প্রচার করুন ও পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দিন
১ ‘নায়ক [“নেতা,” NW] ও আদেষ্টা’ হিসেবে যিশু তাঁর শিষ্যদের ব্যাপক প্রচার কাজের জন্য তৈরি করেছিলেন, যা তাদের সামনে ছিল। (যিশা. ৫৫:৪; লূক ১০:১-১২; প্রেরিত ১:৮) যিশু তাদের যে-দায়িত্ব দিয়েছিলেন, প্রেরিত পিতর এই কথাগুলো বলে সেটা বর্ণনা করেছিলেন: “তিনি আদেশ করিলেন, যেন আমরা লোকদের কাছে প্রচার করি ও [“পুঙ্খানুপুঙ্খ,” NW] সাক্ষ্য দিই যে, তাঁহাকেই ঈশ্বর জীবিত ও মৃতদিগের বিচারকর্ত্তা নিযুক্ত করিয়াছেন।” (প্রেরিত ১০:৪২) পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়ার মধ্যে কী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?
২ আমরা প্রেরিত পৌলের উদাহরণ বিবেচনা করে অনেক কিছু শিখতে পারি। ইফিষ মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় তিনি তাদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন: “কোন হিতকথা গোপন না করিয়া তোমাদিগকে সকলই জানাইতে, এবং সাধারণ্যে ও ঘরে ঘরে শিক্ষা দিতে, সঙ্কুচিত হই নাই; ঈশ্বরের প্রতি মনপরিবর্ত্তন এবং আমাদের প্রভু যীশুর প্রতি বিশ্বাস বিষয়ে যিহূদী ও গ্রীকদের নিকটে [“পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে,” NW] সাক্ষ্য দিয়া আসিতেছি।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) পৌল নিজে বিভিন্ন পরীক্ষা সহ্য করা সত্ত্বেও, যত বেশি লোকেদের কাছে সম্ভব সুসমাচার নিয়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি তার শ্রোতাদের সঙ্গে কেবল মৌলিক সত্যগুলো জানিয়েই পরিতৃপ্ত ছিলেন না কিন্তু “ঈশ্বরের সমস্ত মন্ত্রণা” জানানোর চেষ্টা করেছিলেন। এটা সম্পাদন করার জন্য তিনি প্রাণপণ ও ত্যাগস্বীকার করতে ইচ্ছুক ছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন: “আমি নিজ প্রাণকেও কিছুর মধ্যে গণ্য করি না, আমার পক্ষে মহামূল্য গণ্য করি না, যেন নিরূপিত পথের শেষ পর্য্যন্ত দৌড়িতে পারি, এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহের সুসমাচারের পক্ষে [“পুঙ্খানুপুঙ্খ,” NW] সাক্ষ্য দিবার যে পরিচর্য্যাপদ প্রভু যীশু হইতে পাইয়াছি, তাহা সমাপ্ত করিতে পারি।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।)—প্রেরিত ২০:২০, ২১, ২৪, ২৭.
৩ আজকে আমরা কীভাবে পৌলের উদাহরণ অনুকরণ করতে পারি? (১ করি. ১০:৩৪) যোগ্য পরিবারগুলোর অন্বেষণ করে, এমনকি যখন আমরা নিজেরাও পরীক্ষাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি, সমস্ত পটভূমি ও ভাষার লোকেদের কাছে সুসমাচার নিয়ে পৌঁছানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে এবং যে-আগ্রহ আমরা খুঁজে পাই তা অধ্যবসায়ের সঙ্গে বৃদ্ধি করে। (মথি ১০:১২, ১৩) এর জন্য সময়, প্রচেষ্টা এবং লোকেদের প্রতি ভালবাসা থাকা দরকার।
৪ আপনি কি একজন সহায়ক অগ্রগামী হিসেবে সেবা করতে পারেন? সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করার মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মার্চ এবং এপ্রিল মাস আপনার জন্য এক উত্তম সুযোগ হতে পারে। গত বছর অনেকে সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করার জন্য যে-বিশেষ প্রচেষ্টা করেছে, তা দেখা কত উৎসাহজনকই না ছিল!
৫ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও, ৮০ বছর বয়সী একজন বোন যিহোবার সংগঠনের মাধ্যমে দেওয়া উৎসাহ পেয়ে উদ্দীপিত হয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন: “এটা অনেক দিন ধরে আমার হৃদয়ে যে-সুপ্ত বাসনা ছিল, সেটাকে জাগিয়ে তুলেছিল এবং এই অনুভূতি এনে দিয়েছিল যে, অন্তত আরেকবারের জন্য হলেও আমাকে সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করতেই হবে।” তিনি মার্চ মাসে তা করার লক্ষ্য নিয়েছিলেন। “প্রথমে যে-কাজটি আমি করেছিলাম,” তিনি বলেছিলেন, “তা হল বসে আমাকে মূল্য বিবেচনা করতে হয়েছিল। আমি বিষয়টি নিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম কারণ আমার তার সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। সে তার নিজের জন্যও একটা আবেদনপত্র নিয়ে আমাকে অবাক করে দিয়েছিল।” সেই মাসে এই বয়স্কা বোন পরিচর্যায় ৫২ ঘন্টা দিয়েছিলেন। “আমাকে পুনরায় নতুন করে শক্তি দেওয়ার জন্য অনেকবার আমি যিহোবার কাছে প্রার্থনা করছিলাম, যখন আমার মনে হচ্ছিল যে, আমার শক্তি ফুরিয়ে আসছে। মাস শেষে আমি খুবই সুখী ও পরিতৃপ্ত ছিলাম এবং আমাকে সাহায্য করার জন্য আমি অনেক বার যিহোবাকে ধন্যবাদ দিয়েছিলাম। আমি আবারও এই কাজ করতে চাই।” তার আনন্দপূর্ণ অভিজ্ঞতা হয়তো অন্যদেরও উৎসাহিত করতে পারে, যারা তাদের গুরুতর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও, সত্যিই সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করতে চায়।
৬ একজন ভাই যাকে হঠাৎ চাকরি থেকে ছাটাই করা হয়েছিল তিনি তার সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছিলেন ও সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করেছিলেন। সেই মাসে কাজ করার সময় তিনি প্রচার কাজের প্রতি আরও উদ্যোগী হয়েছিলেন এবং মাসের শেষে একটা নতুন বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করে তিনি বলেছিলেন: “কত পরিতৃপ্তিদায়ক মাসই না সেটা ছিল!” যিহোবার পরিচালনা ও সাহায্যের জন্য তিনি কত উল্লসিতই না ছিলেন! হ্যাঁ, পরিচর্যায় এই ভাই বাড়তি প্রচেষ্টা করায় যিহোবা তাকে প্রচুর আশীর্বাদ করেছিলেন এবং আপনার প্রতিও তিনি তাই করবেন।—মালাখি ৩:১০.
৭ অনেকের কাছে, সহায়ক অগ্রগামীর কাজ এতটা সহজ নয়। কিন্তু, জাগতিক ও পারিবারিক দায়িত্ব আর সেইসঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো থাকা সত্ত্বেও, বেশ কিছু সংখ্যক ভাইবোন তা করতে সমর্থ হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়ার সঙ্গে প্রায়ই আমাদের মূল্যবান সময় ও শক্তি ত্যাগ করা জড়িত থাকে কিন্তু পুরস্কারগুলো প্রায়ই অতুলনীয় হয়।—হিতো. ১০:২২.
৮ মার্চ ও এপ্রিল মাস হল সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করার জন্য আদর্শ সময়। মার্চ মাসে পাঁচটা শনি-রবিবার আছে। এগুলোর সুযোগ নেওয়া ও সন্ধ্যার সময়গুলোকে ভালভাবে কাজে লাগানো পূর্ণ-সময় চাকরি করে এমন কিছু ব্যক্তিকে সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করতে সম্ভবপর করবে। এ ছাড়া, আপনি হয়তো এপ্রিল মাসে যে-ছুটির দিনগুলো রয়েছে সেগুলোরও সুযোগ নিতে পারেন। কেউ কেউ হয়তো স্কুল ও চাকরি থেকে ছুটি পেতে পারে, যা তাদের প্রয়োজনীয় ৫০ ঘন্টা পূরণে সাহায্য করতে পারে। মার্চ অথবা এপ্রিল মাসে পরিচর্যায় ৫০ ঘন্টা কীভাবে করবেন, তা ঠিক করতে আপনি কি এই প্রবন্ধের সঙ্গে সহায়ক অগ্রগামীদের তালিকার যে-নমুনাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে একটা ব্যবহার করতে পারেন? আপনার তালিকা নিয়ে অন্যদের সঙ্গে কথা বলুন; কোনো সন্দেহ নেই যে কেউ কেউ আপনার সঙ্গে পরিচর্যায় যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত হবে। যদি আপনি সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করতে না পারেন, তা হলে এই মাসগুলোর জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটা লক্ষ্য রাখুন এবং যারা অগ্রগামীর কাজ করতে পারে তাদের সমর্থন করুন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে পরিচর্যায় আরও বেশি করার জন্য এখনই পরিকল্পনা করুন।
৯ স্মরণার্থের প্রতি উপলব্ধি দেখান: প্রতি বছর স্মরণার্থ মরশুমে মুক্তির মূল্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা হাজার হাজার ব্যক্তিকে সহায়ক অগ্রগামী হওয়ার জন্য ‘সুযোগ কিনিয়া লইতে’ প্রেরণা দেয়। (ইফি. ৫:১৫, ১৬) গত বছর ভারতে মার্চ মাসে ২,৫০৯ জন এবং এপ্রিল মাসে ১,৩৪৯ জন সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করেছিল। এই দুই মাসের প্রত্যেকটিতে গড়ে ১,৯২৯ জন করে সহায়ক অগ্রগামী কাজ করে। একই পরিচর্যা বছরের আগের মাসগুলোতে গড়ে প্রতি মাসে যে-৬৫৭ জন করে অগ্রগামীর কাজ করেছিল সেই সংখ্যার সঙ্গে এটার তুলনা করুন। এই স্মরণার্থ মরশুম হল ক্ষেত্রের পরিচর্যায় আমাদের কাজ বাড়িয়ে খ্রিস্টের মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানের প্রতি আমাদের আন্তরিক উপলব্ধি দেখানোর আরেকটা উত্তম সুযোগ।
১০ এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখ যতই এগিয়ে আসছে, স্মরণার্থ আপনার জন্য কী অর্থ রাখে তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। খ্রিস্টের মৃত্যুর আগে যে-ঘটনাগুলো ঘটেছিল এবং তাঁর মন ও হৃদয়ে যে-চিন্তাভাবনাগুলো তাঁকে ভারগ্রস্ত করেছিল, সেই সম্বন্ধে চিন্তা করুন। এ ছাড়া, যিশুর সামনে যে-আনন্দ অপেক্ষা করছিল এবং তা কীভাবে তাঁকে এইরকম খারাপ ব্যবহার সহ্য করতে সাহায্য করেছিল, সেটা নিয়েও ধ্যান করুন। মণ্ডলীর মস্তক হিসেবে, তিনি যে-প্রচার ও শিষ্য তৈরির কাজ দেখাশোনা করছেন তাঁর সেই বর্তমান অবস্থান সম্বন্ধে চিন্তা করুন। (১ করি. ১১:৩; ইব্রীয় ১২:২; প্রকা. ১৪:১৪-১৬) এরপর, খ্রিস্ট আপনার জন্য যা কিছু করেছেন, আপনার পরিস্থিতি অনুসারে যতখানি সম্ভব প্রচার কাজে অংশ নিয়ে সেগুলোর প্রতি আপনার উপলব্ধি দেখান।
১১ অন্যদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সাক্ষ্য দিতে উৎসাহ দিন: সহায়ক অগ্রগামী পরিচর্যায় অংশ নিয়ে অন্যদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রাচীন ও পরিচারক দাসদের উত্তম সুযোগ রয়েছে। ক্ষেত্রের পরিচর্যায় প্রকাশকদের সঙ্গে কাজ করার এবং পালকীয় সাক্ষাৎ করার সময়, এই বিশেষ কাজে পূর্ণরূপে অংশ নেওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে অন্যদের সাহায্য করার ব্যাপারে তাদের উত্তম সুযোগ রয়েছে। আমরা সকলে যেন এটাকে প্রার্থনার এক বিষয় করে তুলি আর এভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আমাদের একতাবদ্ধ প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করি।
১২ মার্চ ও এপ্রিল মাসে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কাজের জন্য যদিও সমস্ত প্রাচীন ও পরিচারক দাস মণ্ডলীর ব্যবস্থাগুলোতে সহযোগিতা করবে কিন্তু সুসমাচার প্রচার কাজকে সমন্বয় করার জন্য বিশেষ করে পরিচর্যা অধ্যক্ষকে যত্ন নিতে হবে। তিনি বেশির ভাগ প্রকাশকের জন্য সুবিধাজনক, ক্ষেত্রের পরিচর্যার এমন স্থানগুলো, দিন ও সময় সংগঠিত করবেন এবং এই বিষয়গুলো নিয়মিত ঘোষণা করবেন। দিনের বিভিন্ন সময়ে মিলিত হওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যাতে মণ্ডলীর সকলে সাক্ষ্যদানের এই বিভিন্ন দিকগুলোতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। এর মধ্যে হয়তো ব্যবসায়িক এলাকায় কাজ করা, রাস্তায় সাক্ষ্যদান, ঘরে-ঘরে সাক্ষাৎ করা, পুনর্সাক্ষাৎ করা এবং টেলিফোনে সাক্ষ্যদান অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এ ছাড়া, তিনি ওই মাসগুলোতে প্রচুর সাহিত্য ও পত্রিকা সরবরাহের এবং পর্যাপ্ত এলাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
১৩ মার্চ মাসের জন্য যে-সাহিত্য অর্পণ করা হবে তা হল, জ্ঞান বই আর লক্ষ্য থাকবে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করা। ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসের আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা-র ইনসার্টে জ্ঞান বই অর্পণ করার ব্যাপারে কিছু ভাল পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এপ্রিল মাসে প্রহরীদুর্গ এবং সচেতন থাক! পত্রিকা অর্পণ করা হবে। “পত্রিকাগুলো সম্বন্ধে এই কথাগুলো বলা যায়” শিরোনামের নিচে যে-প্রস্তাবিত উপস্থাপনা দেওয়া থাকে, সেগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন। পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সকলের উচিত সময় নিয়ে তৈরি হওয়া।
১৪ মণ্ডলীর মস্তক, খ্রিস্ট যিশুর নির্দেশাধীনে কাজ করার এবং অন্যদের কাছে সুসমাচার জানানোর বিশেষ সুযোগ পাওয়ার জন্য আমরা কতই না সুখী! মার্চ ও এপ্রিল মাস যতই এগিয়ে আসছে, প্রচার ও পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়ার ব্যাপারে খ্রিস্টের আদেশ মেনে চলার সময় আসুন আমরা আরেকবার সেই মাস দুটোকে যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোত্তম মাস করার আপ্রাণ চেষ্টা করি।
[৪ পৃষ্ঠার বাক্স]
২০০৩ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করার বিভিন্ন উপায়
দিন ঘন্টা
সোমবার ১ ২ — — ২ —
মঙ্গলবার ১ — ৩ — — —
বুধবার ১ ২ — ৫ — —
বৃহস্পতিবার ১ — ৩ — — —
শুক্রবার ১ ২ — — — —
শনিবার ৫ ৪ ৩ ৫ ৬ ৭
রবিবার ২ ২ ৩ ২ ২ ৩
মার্চ ৫৬ ৫৬ ৫৪ ৫৫ ৫০ ৫০
এপ্রিল ৫০ ৫০ ৫১ ৫৩ — —
এই তালিকাগুলোর কোনো একটা কি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে?