জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
নভেম্বর ৬-১২
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | আমোষ ১-৯
“সদাপ্রভুর অন্বেষণ কর, তাহাতে বাঁচিবে”
প্রহরীদুর্গ ০৪ ১১/১৫ ২৪ অনু. ২০
হৃদয়ের পরীক্ষক, যিহোবার অন্বেষণ করুন
২০ সেই সময়ে ইস্রায়েলে বসবাসরত যেকারো পক্ষে বিশ্বস্তভাবে যিহোবাকে সেবা করে যাওয়া নিশ্চয়ই সহজ ছিল না। চলতি প্রবণতার বিরুদ্ধে যাওয়া এত সহজ নয়, যা আজকে খ্রিস্টান হিসেবে যুবক ও বৃদ্ধ সকলেই খুব ভালোভাবে জানে। তবুও, ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা এবং তাঁকে খুশি করার আকাঙ্ক্ষা কিছু ইস্রায়েলীয়কে সত্য উপাসনা করে যেতে প্রেরণা দিয়েছিল। যিহোবা তাদের প্রতি আমোষ ৫:৪ পদে লিপিবদ্ধ উষ্ণ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন: “তোমরা আমার অন্বেষণ কর, তাহাতে বাঁচিবে।” আজকে, একইভাবে ঈশ্বর সেই ব্যক্তিদের প্রতি করুণা দেখান, যারা তাঁর বাক্য সম্বন্ধে জেনে বা সঠিক জ্ঞান নিয়ে অনুতপ্ত হয় ও তাঁর অন্বেষণ করে এবং পরে তাঁর ইচ্ছা পালন করে। এই পথে চলা সহজ নয় কিন্তু তা করা অনন্তজীবনের দিকে পরিচালিত করে।—যোহন ১৭:৩.
যিহোবার দিন ৯০-৯১ অনু. ১৬-১৭, ইংরেজি
যিহোবার উচ্চ মান অনুযায়ী তাঁর সেবা করুন
১৬ প্রথম মানব আদম, ভালো-মন্দ সম্বন্ধে কার মান সর্বোত্তম, সেই বিষয়ে এক মূর্খতাপূর্ণ বাছাই করেছিলেন। আমরা কি আরও বিজ্ঞতাপূর্ণ বাছাই করব? আমোষ এই বিষয়ে আমাদের দৃঢ় অনুভূতি বজায় রাখার জন্য জোরালো পরামর্শ দিয়ে বলেন: “মন্দকে ঘৃণা কর ও উত্তমকে ভালবাস।” (আমোষ ৫:১৫) এই পদ সম্বন্ধে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিটিক ভাষা ও সাহিত্যের প্রয়াত অধ্যাপক উইলিয়াম রেইনি হার্পার মন্তব্য করেছিলেন: “[আমোষের] মনে ভালো-মন্দ সম্বন্ধে যে-মান ছিল, তা ইয়াওয়ের ইচ্ছার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।” এটাই হল মূল ধারণা, যা আমরা ১২ জন ভাববাদীর কাছ থেকে জানতে পারি। আমরা কি ভালো-মন্দ সম্বন্ধে যিহোবার মান গ্রহণ করতে ইচ্ছুক? এইসমস্ত উচ্চমান আমাদের জন্য বাইবেলে প্রকাশ করা হয়েছে আর এগুলো পরিপক্ব ও অভিজ্ঞ খ্রিস্টানদের নিয়ে গঠিত ‘বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাসের’ দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।—মথি ২৪:৪৫-৪৭.
১৭ মন্দকে ঘৃণা করা আমাদের এমন বিষয়গুলো করা থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে, যা ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে। উদাহরণ স্বরূপ, একজন ব্যক্তি হয়তো ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির বিপদ সম্বন্ধে অবগত থাকতে পারেন এবং তা দেখা প্রত্যাখ্যান করার জন্য চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু, পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু সম্বন্ধে সেই ব্যক্তির ‘আন্তরিক মনুষ্য’ কেমন অনুভব করে? (ইফিষীয় ৩:১৬) আমোষ ৫:১৫ পদে প্রাপ্ত ঈশ্বরের পরামর্শ কাজে লাগানোর মাধ্যমে মন্দ বিষয়ের প্রতি ঘৃণা গড়ে তোলা তার জন্য আরও সহজ হবে। এভাবে তিনি নিজের আধ্যাত্মিক যুদ্ধে বিজয়ী হতে পারেন।
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
যোয়েল ও আমোষ বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো
২:১২. কঠোর পরিশ্রমী অগ্রগামী, ভ্রমণ অধ্যক্ষ, মিশনারি অথবা বেথেল পরিবারের সদস্যদেরকে তথাকথিত স্বাভাবিক জীবনযাপন করার জন্য পূর্ণসময়ের সেবা ছেড়ে দিতে পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের তাদেরকে নিরুৎসাহিত করা উচিত নয়। এর পরিবর্তে, আমাদের তাদেরকে উৎসাহিত করা উচিত, যাতে তারা তাদের উত্তম কাজ চালিয়ে যায়।
যোয়েল ও আমোষ বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো
৮:১, ২—“এক চুপড়ী গ্রীষ্মের ফল” কী নির্দেশ করেছিল? এটা নির্দেশ করেছিল যে, যিহোবার দিন নিকটবর্তী। ফল সংগ্রহের মরশুমের শেষে অর্থাৎ কৃষি বছরের শেষে গ্রীষ্মের ফল তোলা হয়ে থাকে। যিহোবা যখন আমোষকে “এক চুপড়ী গ্রীষ্মের ফল” দেখিয়েছিলেন, তখন এর অর্থ ছিল যে, ইস্রায়েলের ধ্বংস নিকটবর্তী। তাই, ঈশ্বর আমোষকে বলেছিলেন: “আমার প্রজা ইস্রায়েলের কাছে পরিণাম আসিল। আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না।”
নভেম্বর ১৩-১৯
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ওবদিয় ১–যোনা ৪
“আপনার ভুলগুলো থেকে শিখুন”
অনুকরণ করুন অধ্যায় ১৩ অনু. ২২-২৩
তিনি তার ভুলগুলো থেকে শিখেছিলেন
২২ যোনা সম্বন্ধে কী বলা যায়? তিনি কি বাধ্য হওয়ার দ্বারা যিহোবার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখাতে শিখেছিলেন? হ্যাঁ, তিনি শিখেছিলেন। তিন দিন ও তিন রাত পরে, সেই মাছটা যোনাকে তীরে নিয়ে এসেছিল এবং তাকে ‘শুষ্ক ভূমির উপরে উদ্গীরণ করিয়া দিয়া ছিল।’ (যোনা ২:১০) একটু কল্পনা করুন, এত কিছুর পরে, তীরে আসার জন্য যোনাকে এমনকী সাঁতার পর্যন্ত কাটতে হয়নি! অবশ্য, তাকে সমুদ্রতীর থেকে তার পথ খুঁজে নিতে হয়েছিল, তা সেটা যেখানেই থাকুক না কেন। কিন্তু তার যে কৃতজ্ঞতার মনোভাব ছিল, তা শীঘ্র পরীক্ষিত হয়েছিল। যোনা ৩:১, ২ পদ বলে: “পরে দ্বিতীয় বার সদাপ্রভুর বাক্য যোনার কাছে উপস্থিত হইল; তিনি কহিলেন, তুমি উঠ, নীনবীতে, সেই মহানগরে যাও, আর আমি তোমাকে যাহা ঘোষণা করিতে বলি, তাহা সেই নগরের উদ্দেশে ঘোষণা কর।” যোনা এখন কী করবেন?
২৩ যোনা ইতস্তত করেননি। আমরা পড়ি: “তখন যোনা উঠিয়া সদাপ্রভুর বাক্যানুসারে নীনবীতে গেলেন।” (যোনা ৩:৩) হ্যাঁ, তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। স্পষ্টতই, তিনি তার ভুলগুলো থেকে শিখেছিলেন। এই ক্ষেত্রে আমাদেরও যোনার বিশ্বাস অনুকরণ করতে হবে। আমরা সকলেই পাপ করি; সকলেই ভুল করি। (রোমীয় ৩:২৩) কিন্তু, আমরা কি হাল ছেড়ে দিই, না কি আমরা আমাদের ভুলগুলো থেকে শিখি ও বাধ্যতার সঙ্গে ঈশ্বরকে সেবা করার পথে ফিরে আসি?
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
ওবদিয়, যোনা ও মীখা বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো
১০—কীভাবে ইদোম “চিরকালের জন্য উচ্ছিন্ন” হয়েছিল? ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, পৃথিবীর একটা অঞ্চলে এক সরকার ও জনসাধারণ-সহ বিদ্যমান ইদোম জাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। বাবিলের রাজা নেবোনাইডাস সা.কা.পূ. ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রায় মাঝামাঝি সময়ে ইদোমকে জয় করেছিলেন। সা.কা.পূ. চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যে নাবাটিয়ার লোকেরা ইদোমের এলাকা দখল করেছিল এবং ইদোমীয়দেরকে যিহূদিয়ার দক্ষিণ অংশে বসবাস করতে হয়েছিল। রোমীয়রা সা.কা. ৭০ সালে যিরূশালেম ধ্বংস করার পর ইদোমীয়রা অস্তিত্বহীন হয়ে গিয়েছিল।
যিহোবার দিন ১১২ অনু. ৪-৫, ইংরেজি
ঈশ্বর যেভাবে চান, সেভাবে অন্যদের সঙ্গে আচরণ করা
৪ ইস্রায়েলের কাছাকাছি একটা দেশ ইদোমের প্রতি ঈশ্বর যে-নিন্দা প্রকাশ করেছিলেন, সেটার মধ্যে আপনি একটা শিক্ষা লাভ করতে পারেন: “তোমার ভ্রাতার দিনে, তাহার বিষম দুর্দ্দশার দিনে, তাহার দিকে দৃষ্টি করিও না; যিহূদার সন্তানদের বিনাশের দিনে তাহাদের বিষয়ে আনন্দ করিও না।” (ওবদিয় ১২) সোর হয়তো ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডের সূত্রে ‘ভ্রাতা’ ছিল, কিন্তু ইদোমীয়রা প্রকৃত অর্থেই ইস্রায়েলীয়দের “ভ্রাতা” কারণ তারা যাকোবের যমজ ভাই এষৌর বংশধর ছিল। এমনকী যিহোবা ইদোমীয়দের ইস্রায়েলের “ভ্রাতৃগণ” বলে উল্লেখ করেছিলেন। (দ্বিতীয় বিবরণ ২:১-৪) তাই, বাবিলীয়দের হাতে যিহুদিদের দুর্দশা ভোগ করতে দেখে ইদোমীয়রা যে আনন্দ করেছিল, তা সত্যিই ঘৃণ্য এক বিষয় ছিল।—যিহিষ্কেল ২৫:১২-১৪.
৫ স্পষ্টতই, ইদোমীয়রা তাদের যিহুদি ভাইদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেছিল তা ঈশ্বর অনুমোদন করেননি। তাই, আমরা হয়তো নিজেদের জিজ্ঞেস করতে পারি: ‘আমি আমার ভাই-বোনদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করি, সেটাকে ঈশ্বর কীভাবে মূল্যায়ন করেন?’ চিন্তা করার মতো একটা ক্ষেত্র হল, যখন সব কিছু ঠিকভাবে চলে না, তখন আমরা একজন ভাইকে কীভাবে দেখি ও তার সঙ্গে কেমন আচরণ করি। উদাহরণ স্বরূপ, মনে করুন কোনো খ্রিস্টান আপনাকে অসন্তুষ্ট করেছেন অথবা আপনার কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে তার কোনো সমস্যা হয়েছে। আপনার যদি “দোষ দিবার কারণ” থাকে, তা হলে আপনি কি বিষয়টা ভুলে না গিয়ে অথবা মীমাংসা করার চেষ্টা না করে বিরক্তি পুষে রাখবেন? (কলসীয় ৩:১৩; যিহোশূয় ২২:৯-৩০; মথি ৫:২৩, ২৪) তা করলে, সেই ভাইয়ের প্রতি আপনার আচরণ প্রভাবিত হতে পারে; আপনি হয়তো উদাসীন আচরণ করতে পারেন, তার সাহচর্য এড়িয়ে চলতে পারেন অথবা তার সম্বন্ধে নেতিবাচক কথাবার্তা বলতে পারেন। উদাহরণটা আরেকটু বিস্তারিতভাবে চিন্তা করুন, মনে করুন সেই ভাই পরে কোনো ভুল করেছেন এবং তার হয়তো মণ্ডলীর প্রাচীনদের কাছ থেকে পরামর্শ বা সংশোধন লাভের প্রয়োজন হয়েছে। (গালাতীয় ৬:১) আপনি কি তখন ইদোমীয়দের মতো মনোভাব প্রকাশ করবেন এবং সেই ভাইয়ের কষ্টে আনন্দ করবেন? আপনি কীভাবে আচরণ করবেন বলে ঈশ্বর চান?
নভেম্বর ২০-২৬
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | মীখা ১-৭
“যিহোবা আমাদের কাছ থেকে কী চান?”
প্রহরীদুর্গ ০৮ ৫/১৫ ৬ অনু. ২০
অন্যদের সঙ্গে আমাদের কীভাবে ব্যবহার করা উচিত?
২০ ঈশ্বরের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমাদের ভাইদের সঙ্গে সম্পর্ক হল সত্য উপাসনার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যারা পশুবলি উৎসর্গ করত, তারা যদি তাদের সহমানবদের সঙ্গে সঠিক ব্যবহার না করত, তা হলে সেই বলিগুলো যিহোবার কাছে অর্থহীন ছিল। (মীখা ৬:৬-৮) তাই, যিশু তাঁর শিষ্যদের ‘শীঘ্র মিলন করিবার’ অনুরোধ জানিয়েছিলেন। (মথি ৫:২৫) অনুরূপভাবে পৌল লিখেছিলেন: “ক্রুদ্ধ হইলে পাপ করিও না; সূর্য্য অস্ত না যাইতে যাইতে তোমাদের কোপাবেশ শান্ত হউক; আর দিয়াবলকে স্থান দিও না।” (ইফি. ৪:২৬, ২৭) যদি আমরা সঠিক কারণেও ক্রুদ্ধ হই, তবুও আমাদের দ্রুত বিষয়টা মিটমাট করা উচিত, যাতে আমরা ক্রুদ্ধ অবস্থায় না থাকি আর এভাবে যেন দিয়াবলকে আমাদের অবস্থার সুযোগ নিতে না দিই।—লূক ১৭:৩, ৪.
প্রহরীদুর্গ ১২ ১১/১ ২২ অনু. ৪-৭, ইংরেজি
“সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?”
“ন্যায্য আচরণ।” একটা তথ্যগ্রন্থ অনুযায়ী, “ন্যায্য আচরণ” বা ন্যায়বিচার হিসেবে অনুবাদিত ইব্রীয় শব্দের সঙ্গে “সমাজের মধ্যে সঠিক ও নিরপেক্ষ সম্পর্ক বজায় রাখা জড়িত।” ঈশ্বর আমাদের তাঁর মান অনুযায়ী অন্যদের সঙ্গে সঠিক ও নিরপেক্ষ আচরণ করতে বলেন। আমরা অন্যদের সঙ্গে আমাদের আচরণে পক্ষপাতহীন, সরল ও সৎ হওয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার করতে পারি। (লেবীয় পুস্তক ১৯:১৫; যিশাইয় ১:১৭; ইব্রীয় ১৩:১৮) আমরা যখন অন্যদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করি, তখন তারাও হয়তো আমাদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করার জন্য অনুপ্রাণিত হবে।—মথি ৭:১২.
“দয়ায় অনুরাগ।” ঈশ্বর আমাদের শুধু দয়া দেখাতে বলেননি বরং এটার প্রতি অনুরাগ বা ভালোবাসা গড়ে তুলতে বলেন। ‘দয়া’ হিসেবে অনুবাদিত ইব্রীয় শব্দটা (কেসিদ) “প্রেমপূর্ণ-দয়া” বা “অনুগত প্রেম” হিসেবেও অনুবাদ করা যেতে পারে। একজন বাইবেল পণ্ডিত বলেন: “[কেসিদ] শব্দ অনুবাদ করার জন্য প্রেম, করুণা ও দয়া শব্দগুলো অপর্যাপ্ত; এটা এইসমস্ত সদ্গুণের মধ্যে কোনো একটা নয়, বরং সবগুলোর সমন্বয়েই এই সদ্গুণ।” আমরা যদি দয়া ভালোবাসি, তা হলে আমরা স্বেচ্ছায় তা দেখাই; অভাবী ব্যক্তিদের সাহায্য করে আমরা আনন্দ পাই। এর ফলে, আমরা দেওয়ার মাধ্যমে সুখ লাভ করি।”—প্রেরিত ২০:৩৫.
“নম্রভাবে [“বিনয়ের সঙ্গে,” NW] তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন।” বাইবেলে “গমনাগমন” শব্দটা “একটা নির্দিষ্ট কাজের ধারা অনুসরণ করাকে” বোঝায়। ঈশ্বর বাইবেলের মধ্যে যে-জীবনধারা সম্বন্ধে লিখে রেখেছেন, তা অনুসরণ করার মাধ্যমে আমরা তাঁর সঙ্গে গমনাগমন করি। এই ধরনের জীবনধারা অনুধাবন করার জন্য আমাদের ‘বিনয়ী’ হতে হবে। কীভাবে? আমরা যখন ঈশ্বরের সামনে বিনয়ী হই, তখন আমরা বাস্তবসম্মতভাবেই তাঁর সামনে নিজেদের অবস্থান সম্বন্ধে মূল্যায়ন করি এবং আমাদের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করি। তাই, ‘বিনয়ের সঙ্গে গমনাগমন’ করা বলতে বোঝায়, তিনি যা চান এবং আমরা যা দিতে পারি, সেই বিষয়ে এক বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি থাকা।
আনন্দের বিষয় হল, যিহোবা কখনো আমরা যা দিতে পারি, সেটার অতিরিক্ত চান না। তাঁকে সেবা করার জন্য আমরা যখন সর্বোত্তম প্রচেষ্টা করি, তখন তিনি খুশি হন। (কলসীয় ৩:২৩) তিনি আমাদের সীমাবদ্ধতা বোঝেন। (গীতসংহিতা ১০৩:১৪) আমরাও যখন যথাযথ বিনয়ের সঙ্গে সেগুলো মেনে নিতে শিখি, তখন আমরা তাঁর সঙ্গে গমনাগমন করে আনন্দিত হই। কীভাবে আপনি ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করা শুরু করতে পারেন, তা জানার চেষ্টা করুন না কেন? এই ধরনের জীবনধারা অনুসরণ করলে তিনি প্রচুর আশীর্বাদ করেন।—হিতোপদেশ ১০:২২.
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
ওবদিয়, যোনা ও মীখা বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো
২:১২—‘ইস্রায়েলের অবশিষ্টাংশকে সংগ্রহ করা’ সম্বন্ধীয় ভবিষ্যদ্বাণী কখন পরিপূর্ণ হয়েছিল? এর প্রথম পরিপূর্ণতা হয়েছিল সা.কা.পূ. ৫৩৭ সালে, যখন যিহুদিদের অবশিষ্টাংশ বাবিলের বন্দিত্ব থেকে তাদের নিজেদের দেশে ফিরে এসেছিল। আধুনিক সময়ে, এই ভবিষ্যদ্বাণী ‘ঈশ্বরের ইস্রায়েলের’ ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ হয়। (গালাতীয় ৬:১৬) ১৯১৯ সাল থেকে, অভিষিক্ত খ্রিস্টানদের “বস্রার মেষগণের ন্যায়” একত্রে সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৩৫ সাল থেকে, ‘আরও মেষের’ “বিস্তর লোক” তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় তারা “মনুষ্য-বাহুল্যে কোলাহল” করেছে। (প্রকাশিত বাক্য ৭:৯; যোহন ১০:১৬) তারা একত্রে উদ্যোগের সঙ্গে সত্য উপাসনাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
প্রহরীদুর্গ ০৩ ৮/১৫ ২৪ অনু. ২০
যিহোবা আমাদের কাছ থেকে কী চান?
২০ যিহোবার আশীর্বাদ উপভোগ করা আমাদের মীখার মনোভাব অনুকরণ করতে প্রেরণা দেয়। তিনি ঘোষণা করেন: “আমার পরিত্রাণের ঈশ্বরের প্রতি অপেক্ষা করার মনোভাব দেখাব।” (মীখা ৭:৭, NW) এই কথাগুলো কীভাবে ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের বিনয়ভাবে গমনাগমনকে সম্পর্কযুক্ত করে? অপেক্ষা করার মনোভাব রাখা বা ধৈর্য ধরা, যিহোবার দিন এখনও আসছে না বলে হতাশ হওয়ার অনুভূতি এড়াতে আমাদের সাহায্য করে। (হিতোপদেশ ১৩:১২) সত্যি বলতে কী, আমরা সবাই চাই এই দুষ্ট জগতের শেষ আসুক। কিন্তু, প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার লোক সবেমাত্র ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করতে শুরু করেছে। তা জানা আমাদের অপেক্ষা করার মনোভাব দেখানোর জন্য কারণ জোগায়। একজন দীর্ঘদিনের সাক্ষি এর সঙ্গে মিল রেখে বলেছিলেন: “৫৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে করা প্রচার কাজের দিকে তাকিয়ে, আমার মধ্যে এই দৃঢ়প্রত্যয় জন্মেছে যে, যিহোবার অপেক্ষা করে আমি কিছুই হারাইনি। বরং, আমি অনেক যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছি।” আপনারও কি একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে?
নভেম্বর ২৭–ডিসেম্বর ৩
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | নহূম ১–হবক্কূক ৩
“আধ্যাত্মিকভাবে সতর্ক ও সক্রিয় থাকুন”
প্রহরীদুর্গ ০৭ ১১/১৫ ১০ অনু. ৩-৫
নহূম, হবক্কূক ও সফনিয় বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো
২:১. হবক্কূকের মতো, আমাদেরও আধ্যাত্মিকভাবে সতর্ক ও সক্রিয় থাকা উচিত। এ ছাড়া, আমাদের করা হতে পারে এমন যেকোনো সংশোধনের সঙ্গে মিল রেখে আমাদের চিন্তাধারাকে রদবদল করতে আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
২:৩; ৩:১৬. আমরা যখন বিশ্বাস সহকারে যিহোবার দিন আসার জন্য অপেক্ষা করছি, তখন আসুন আমরা যেন তৎপরতার মনোভাব না হারাই।
২:৪. ঈশ্বরের সেই আসন্ন বিচার দিনে রক্ষা পেতে হলে, আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বস্ততা সহকারে ধৈর্য ধরতে হবে।—ইব্রীয় ১০:৩৬-৩৮.
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
নহূম, হবক্কূক ও সফনিয় বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো
২:৬—“নদীর” কোন “দ্বার সকল” খুলে গিয়েছিল? এই দ্বার সকল টাইগ্রিস নদীর জল দ্বারা নীনবীর প্রাচীরে সৃষ্ট পথকে নির্দেশ করেছিল। সা.কা.পূ. ৬৩২ সালে যখন বাবিলীয় ও মাদীয়দের যৌথ বাহিনী নীনবীর বিরুদ্ধে এসেছিল, তখন সে মূলত ভয় পায়নি। চারদিকে উচ্চ প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত থাকায় সুরক্ষিত মনে করে, সে নিজেকে এক অভেদ্য নগর বলে মনে করেছিল। কিন্তু, প্রচণ্ড বর্ষণের কারণে টাইগ্রিস নদীর জল প্লাবিত হয়। ইতিহাসবেত্তা ডাইয়োডোরাসের কথা অনুসারে, তা “নগরের একটা অংশকে প্লাবিত করেছিল এবং প্রাচীরের কিছুটা অংশ ভেঙে দিয়েছিল।” এভাবে নদীর দ্বার সকল খুলে গিয়েছিল আর যেমন ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, শীঘ্রই নীনবী শুষ্ক খড়ের ন্যায় অগ্নি-ভক্ষিত হয়েছিল।—নহূম ১:৮-১০.
প্রহরীদুর্গ ০৭ ১১/১৫ ১০ অনু. ১০
নহূম, হবক্কূক ও সফনিয় বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো
৩:১৭-১৯. এমনকী যদিও হর্মাগিদোনের আগে এবং তা চলাকালে আমাদের উপর কষ্ট আসতে পারে কিন্তু আমরা আস্থা রাখতে পারি যে, আমরা যখন আনন্দের সঙ্গে যিহোবার সেবা করে চলি, তখন তিনি আমাদেরকে “বল” প্রদান করবেন।