ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr18 অক্টোবর পৃষ্ঠা ১-৮
  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০১৮)
  • উপশিরোনাম
  • অক্টোবর ১-৭
  • অক্টোবর ৮-১৪
  • অক্টোবর ১৫-২১
  • অক্টোবর ২২-২৮
  • অক্টোবর ২৯–নভেম্বর ৪
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০১৮)
mwbr18 অক্টোবর পৃষ্ঠা ১-৮

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

অক্টোবর ১-৭

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | যোহন ৯-১০

“যিশু তাঁর মেষদের যত্ন নেন”

nwtsty মিডিয়া

মেষের খোঁয়াড়

একটা মেষের খোঁয়াড় ছিল এক পরিবেষ্টিত স্থান, যা মেষকে চোর ও শিকারি পশুর হাত থেকে সুরক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হতো। মেষপালকরা রাতের বেলা তাদের পালকে একটা মেষের খোঁয়াড়ের মধ্যে নিরাপদে রাখত। বাইবেলের সময়ে, মেষের খোঁয়াড়গুলো ছিল ছাদহীন কাঠামো, যেগুলোর আকার ও আয়তন বিভিন্ন হতো আর সেগুলোতে সাধারণত পাথরের দেওয়াল ও শুধু এক দিকে অল্প ফাঁকা জায়গা থাকত। (গণনা ৩২:১৬; ১শমূ ২৪:৩; সফ ২:৬) যোহন “দ্বার দিয়ে” মেষের খোঁয়াড়ে প্রবেশ করার বিষয়ে বলেন, যেখানে একজন “দ্বাররক্ষী” পাহারা দিতেন। (যোহন ১০:১, ৩) কোনো এলাকার যৌথ মেষের খোঁয়াড়ে রাতের বেলা একাধিক পাল থাকতে পারত এবং দ্বাররক্ষী সেইসমস্ত মেষের সুরক্ষা করতেন। সকাল বেলা দ্বাররক্ষী মেষপালকদের জন্য দ্বার খুলে দিতেন। প্রত্যেক মেষপালক তখন তার মেষদের ডেকে তার পাল সংগ্রহ করতেন আর মেষেরা তাদের মেষপালকের কণ্ঠস্বর চিনত ও সাড়া দিত। (যোহন ১০:৩-৫) যিশু তাঁর শিষ্যদের যেভাবে যত্ন নেন, সেটার দৃষ্টান্ত তুলে ধরার জন্য তিনি এই কাজ সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন।—যোহন ১০:৭-১৪.

প্রহরীদুর্গ ১১ ৫/১৫ ৭-৮ অনু. ৫

খ্রিস্টীয় পরিবার—‘জাগিয়া থাকুন’

৫ রূপকভাবে বললে, একজন মেষপালক ও তার মেষদের মধ্যে যে-সম্পর্ক রয়েছে, সেটার ভিত্তি হচ্ছে পরস্পরকে জানা এবং পরস্পরের উপর নির্ভরতা। একজন মেষপালক তার মেষদের সম্বন্ধে সমস্ত কিছু জানেন আর মেষপালও তাদের মেষপালককে জানে ও তার উপর নির্ভর করে। তারা তার রব চেনে ও সেইসঙ্গে এর বাধ্য হয়। “আমি আমার নিজের সকলকে [মেষদেরকে] জানি, এবং আমার নিজের সকলে [মেষপাল] আমাকে জানে,” যিশু বলেছিলেন। মণ্ডলী সম্বন্ধে তাঁর যে কেবল ভাসা ভাসা জ্ঞান রয়েছে এমন নয়। এখানে যে-গ্রিক শব্দটিকে ‘জানা’ হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে, তা “ব্যক্তিগতভাবে ও গভীরভাবে জানাকে” নির্দেশ করে। হ্যাঁ, উত্তম মেষপালক তাঁর মেষদেরকে ব্যক্তিগতভাবে জানেন। তিনি তাদের প্রত্যেকের চাহিদা, দুর্বলতা ও ক্ষমতা সম্বন্ধে জানেন। তাঁর মেষপাল সম্বন্ধে কোনো কিছুই আমাদের আদর্শ যিশু খ্রিস্টের দৃষ্টি এড়ায় না। আর মেষপালও মেষপালককে পুরোপুরিভাবে জানে এবং তাঁর পরিচালনার উপর নির্ভর করে।

“আমার পশ্চাদ্গামী হও” ১২৪-১২৫ অনু. ১৭, ইংরেজি

“দৃষ্টান্ত ব্যতিরেকে তাহাদিগকে কিছুই কহিলেন না”

১৭ জর্জ এ. স্মিথ ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর তার পবিত্র ভূমির ঐতিহাসিক ভূগোল (ইংরেজি) বইয়ে লিখেছিলেন: “মাঝে মাঝে আমরা যিহূদিয়ার কোনো একটা কুয়োর পাশে দুপুর বেলা বিশ্রাম নিতাম, যেখানে তিন বা চার জন মেষপালক তাদের পাল নিয়ে আসতেন। পালগুলো একটা আরেকটার সঙ্গে মিশে যেত আর আমরা ভাবতাম, কীভাবে প্রত্যেক মেষপালক তার নিজের মেষগুলো আবার খুঁজে পাবেন। কিন্তু পালের জল খাওয়া ও খেলাধুলা শেষ হওয়ার পর, মেষপালকরা এক এক করে উপত্যকা থেকে বিভিন্ন দিকে উঠে যেতেন এবং তাদের স্বতন্ত্র ডাক দিতেন; আর মেষেরা সেই ভিড়ের মধ্য থেকে বের হয়ে নিজ নিজ মেষপালকের কাছে চলে যেত আর এরপর পালগুলো যেভাবে সুশৃঙ্খলভাবে এসেছিল, ঠিক সেভাবেই চলে যেত।” যিশুর আলোচ্য বিষয় ছিল, আমরা যদি তাঁর শিক্ষাগুলো বুঝতে পারি ও সেগুলোর বাধ্য হই এবং তাঁর নেতৃত্ব অনুসরণ করি, তা হলে আমরা ‘উত্তম মেষপালকের’ যত্নের অধীনে আসতে পারি। এই বিষয়টা বোঝানোর জন্য এর চেয়ে ভালো আর কোন দৃষ্টান্তই-বা যিশু খুঁজে পেতেন।

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১০:১৬

আনতে: বা “পরিচালনা দিতে।” এখানে গ্রিক ক্রিয়া পদ আ্যগো ব্যবহার করা হয়েছে, যেটার অর্থ প্রসঙ্গ অনুযায়ী “আনা” বা “পরিচালনা দেওয়া” হতে পারে। প্রায় ২০০ খ্রিস্টাব্দের একটা গ্রিক পাণ্ডুলিপিতে, সম্পর্কযুক্ত এক গ্রিক শব্দ (সাইন্যাগো) ব্যবহার করা হয়েছে, যেটাকে প্রায়ই “একত্র করা” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে। উত্তম মেষপালক হিসেবে যিশু এই খোঁয়াড়ের মেষদের (লূক ১২:৩২ পদে “ক্ষুদ্র মেষপাল” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে) ও তাঁর আরও মেষকে একত্র করেন, নির্দেশনা দেন, সুরক্ষা করেন ও খাবার খাওয়ান। তারা সবাই একজন পালকের অধীনে এক পাল হবে। এই শব্দচিত্র একতার উপর জোর দেয়, যা যিশুর অনুসারীরা উপভোগ করবে।

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ৯:৩৮

তাঁকে প্রণাম করল: বা “তাঁর সামনে মাথা নত করল; তাঁর সামনে ভূমিতে উবুড় হল; তাঁকে শ্রদ্ধা জানাল।” যখন গ্রিক ক্রিয়া পদ প্রসকিনেও কোনো ঈশ্বর অথবা দেব-দেবীকে উপাসনা প্রদানের ধারণা প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়, তখন এটাকে “উপাসনা করা” হিসেবে অনুবাদ করা হয়। (মথি ৪:১০; লূক ৪:৮) কিন্তু এই প্রসঙ্গে, সুস্থ হওয়া জন্মান্ধ ব্যক্তি যিশুকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন ও তাঁকে প্রণাম করেছিলেন। তিনি যিশুকে ঈশ্বর অথবা দেবতা হিসেবে দেখেননি বরং ভবিষ্যদ্‌বাণীকৃত “মনুষ্যপুত্র” অর্থাৎ ঐশ্বরিক অধিকারসম্পন্ন মশীহ হিসেবে দেখেছিলেন। (যোহন ৯:৩৫) তিনি যখন যিশুর সামনে মাথা নত করেছিলেন, তখন স্পষ্টতই তিনি এমনভাবে তা করেছিলেন, যেমনটা লোকেরা করত বলে ইব্রীয় শাস্ত্রে উল্লেখ করা আছে। তারা ঈশ্বরের ভাববাদী, রাজা অথবা অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার সময় মাথা নত করত। (১শমূ ২৫:২৩, ২৪; ২শমূ ১৪:৪-৭; ১রাজা ১:১৬; ২রাজা ৪:৩৬, ৩৭) অনেক বার, যখন যিশুকে প্রণাম করা হয়েছিল, তখন তা ঈশ্বরের উদ্দেশ্য প্রকাশের এক চিহ্নের প্রতি বা যিশুর উপর যে ঈশ্বরের অনুগ্রহ রয়েছে সেই প্রমাণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার জন্য করা হয়েছিল।—দেখুন, মথি ২:২; ৮:২; ১৪:৩৩; ১৫:২৫ পদের স্টাডি নোট।

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১০:২২

উৎসর্গীকরণ পর্ব: এই পর্বের ইব্রীয় নাম হল হানুকাহ্‌, যেটার অর্থ “প্রতিষ্ঠা; উৎসর্গীকরণ।” খ্রিস্টপূর্ব ১৬৫ সালে যিরূশালেম মন্দিরের পুনরুৎসর্গীকরণ স্মরণ করার জন্য, এই পর্ব ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে কিসলেব মাসের (এই পদে শীত কাল শব্দের স্টাডি নোট ও পরিশিষ্ট বি১৫ দেখুন) ২৫তম দিনে শুরু হতো ও আট দিন ধরে চলত। সিরিয়ার রাজা আ্যন্টিওকাস ৪র্থ এপিফেনিস, যিহুদিদের ঈশ্বর যিহোবার মন্দিরকে অমর্যাদা করার মাধ্যমে তাঁর প্রতি নিজের ঘৃণা প্রকাশ করেছিলেন। উদাহরণ স্বরূপ, তিনি মন্দিরের বড়ো বেদি, যেখানে আগে প্রতিদিন হোমবলি উৎসর্গ করা হতো, সেটার উপর আরেকটা বেদি নির্মাণ করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ১৬৮ সালের ২৫ কিসলেব, যিহোবার মন্দিরকে পুরোপুরি অপবিত্র করার জন্য আ্যন্টিওকাস সেই বেদির উপর শূকর বলি দিয়েছিলেন এবং সেটার মাংস সিদ্ধ করে সেই জল মন্দিরের সমস্ত জায়গায় ছিটিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি মন্দিরের দরজাগুলো পুড়িয়ে দিয়েছিলেন, যাজকদের কক্ষগুলো ভেঙে ফেলেছিলেন এবং স্বর্ণের বেদি, দর্শন রুটির টেবিল ও স্বর্ণের দীপাধার নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর, তিনি যিহোবার মন্দিরকে পৌত্তলিক দেবতা অলিম্পাসের জিউসের উদ্দেশে পুনরুৎসর্গীকৃত করেছিলেন। দু-বছর পর, জুডাস ম্যাকাবিয়াস সেই নগর ও মন্দির পুনরধিকার করেছিলেন। মন্দির পরিষ্কার করার পর, খ্রিস্টপূর্ব ১৬৫ সালের ২৫ কিসলেব অর্থাৎ আ্যন্টিওকাস জিউসের বেদিতে জঘন্য বলি উৎসর্গ করার ঠিক তিন বছর পর, সেই পুনরুৎসর্গীকরণ করা হয়েছিল। তখন আবার যিহোবার উদ্দেশে প্রতিদিন হোমবলি উৎসর্গ করা শুরু হয়েছিল। অনুপ্রাণিত শাস্ত্রে এইরকম কোনো সরাসরি বর্ণনা নেই যে, যিহোবা জুডাস ম্যাকাবিয়াসকে জয়ী করেছিলেন ও তাকে মন্দির পুনরায় সংস্কার করতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু, যিহোবা তাঁর উপাসনার ব্যাপারে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করার জন্য অন্য জাতির ব্যক্তি-বিশেষদের, যেমন পারস্যের কোরসকে, ব্যবহার করেছিলেন। (যিশা ৪৫:১) তাই, এই উপসংহারে আসা যুক্তিযুক্ত যে, সেই সময়ে যিহোবা হয়তো তাঁর উৎসর্গীকৃত লোকেদের মধ্যে একজন ব্যক্তিকে তাঁর ইচ্ছা সম্পাদন করার জন্য ব্যবহার করেছেন। শাস্ত্র এটা প্রকাশ করে, মন্দিরের অস্তিত্ব থাকা ও কাজ পরিচালনা করা প্রয়োজন ছিল, যাতে মশীহের বিষয়ে এবং তাঁর পরিচর্যা ও বলিদান সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্‌বাণীগুলো পরিপূর্ণ হয়। এ ছাড়া, মশীহ আরও মহান বলিদান অর্থাৎ মানবজাতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার আগে পর্যন্ত লেবীয়দের মাধ্যমে বলিদান করা প্রয়োজন ছিল। (দানি ৯:২৭; যোহন ২:১৭; ইব্রীয় ৯:১১-১৪) খ্রিস্টের অনুসারীদের উৎসর্গীকরণ পর্ব পালন করার আজ্ঞা দেওয়া হয়নি। (কল ২:১৬, ১৭) তবে, যিশু কিংবা তাঁর শিষ্যরা এই পর্ব পালন করার নিন্দা করেছেন, এমন কোনো নথি পাওয়া যায় না।

অক্টোবর ৮-১৪

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | যোহন ১১-১২

“যিশুর সমবেদনা অনুকরণ করুন”

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১১:২৪, ২৫

আমি জানি . . . সে উঠবে: মার্থা মনে করেছিলেন, যিশু শেষ দিনে ভবিষ্যৎ পুনরুত্থান সম্বন্ধে কথা বলছেন। (দেখুন, যোহন ৬:৩৯ পদের স্টাডি নোট।) এই শিক্ষার প্রতি তার বিশ্বাস উল্লেখযোগ্য ছিল। তার দিনে, সদ্দূকী বলে পরিচিত কিছু ধর্মীয় নেতা পুনরুত্থান হবে এই বিষয়টা অস্বীকার করেছিল, যদিও অনুপ্রাণিত শাস্ত্রে এই শিক্ষা সম্বন্ধে স্পষ্টভাবে বলা আছে। (দানি ১২:১৩; মার্ক ১২:১৮) অন্যদিকে, ফরীশীরা বিশ্বাস করত মৃত্যুর পর কোনো কিছু বেঁচে থাকে। কিন্তু মার্থা জানতেন, যিশু পুনরুত্থানের আশা সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছিলেন আর এমনকী কয়েক জন ব্যক্তিকে পুনরুত্থান করেছিলেন, যদিও তাদের মধ্যে কেউই লাসারের মতো দীর্ঘসময় মৃত অবস্থায় ছিলেন না।

আমিই পুনরুত্থান ও জীবন: যিশুর মৃত্যু ও পুনরুত্থান, মৃত ব্যক্তিদের জন্য জীবন ফিরে পাওয়ার পথ খুলে দিয়েছিল। যিশু পুনরুত্থিত হওয়ার পর, যিহোবা তাঁকে কেবল মৃত ব্যক্তিদের পুনরুত্থিত করার ক্ষমতাই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে অনন্তজীবন দান করার ক্ষমতাও দিয়েছিলেন। (দেখুন, যোহন ৫:২৬ পদের স্টাডি নোট।) প্রকা ১:১৮ পদে যিশু নিজেকে “জীবন্ত” বলে উল্লেখ করেন, যাঁর কাছে “মৃত্যুর ও কবরের চাবি” রয়েছে। তাই, যিশু হলেন জীবিত ও মৃত ব্যক্তিদের আশা। তিনি কবর খুলে দেওয়ার এবং মৃত ব্যক্তিদের হয় স্বর্গে তাঁর সহ-শাসক হিসেবে কিংবা তাঁর স্বর্গীয় সরকারের দ্বারা শাসিত নতুন পৃথিবীতে জীবন দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।—যোহন ৫:২৮, ২৯; ২পিতর ৩:১৩.

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১১:৩৩-৩৫

কাঁদছেন: বা “শব্দ করে কাঁদছেন।” “কাঁদছেন” হিসেবে অনুবাদিত গ্রিক শব্দটা প্রায়ই শব্দ করে কাঁদাকে বোঝায়। যিশু যখন যিরূশালেমের আসন্ন ধ্বংস সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিলেন, তখন তাঁর ক্ষেত্রেও এই একই ক্রিয়া পদ ব্যবহার করা হয়েছে।—লূক ১৯:৪১.

গভীরভাবে শোকাহত হলেন এবং ব্যাকুল হয়ে উঠলেন: মূল ভাষার এই দুটো শব্দ যুক্ত করা, এই ঘটনায় যিশুর গভীর আবেগ সম্বন্ধে তুলে ধরে। “গভীরভাবে শোকাহত হলেন” হিসেবে অনুবাদিত গ্রিক ক্রিয়া পদ (এমব্রিমেওমাই) সাধারণত জোরালো অনুভূতি থাকা বোঝায়, কিন্তু এই প্রসঙ্গে এটা ইঙ্গিত দেয়, যিশু এতটাই গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন যে, তিনি সেই গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন। “ব্যাকুল হলেন” হিসেবে অনুবাদিত গ্রিক (টারাস্‌সো) শব্দটার আক্ষরিক অর্থ হল মনের বিচলিত অবস্থা। একজন বিশেষজ্ঞের মতে, এই প্রসঙ্গে এটার অর্থ হল, “একজন ব্যক্তির মনে উত্তেজনা সৃষ্টি করা; গভীর যন্ত্রণা ও দুঃখে আচ্ছন্ন হওয়া।” যিহূদা যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন, তা চিন্তা করে যিশু যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তা বর্ণনা করার জন্য যোহন ১৩:২১ পদে একই ক্রিয়া পদ ব্যবহার করা হয়েছে।—দেখুন, যোহন ১১:৩৫ পদের স্টাডি নোট।

কাঁদলেন: এখানে যে-শব্দ (ড্যাক্রিও) ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা “অশ্রু” হিসেবে অনুবাদিত গ্রিক বিশেষ্য পদের ক্রিয়ারূপ, যা বিভিন্ন শাস্ত্রপদে যেমন, লূক ৭:৩৮; প্রেরিত ২০:১৯, ৩১; ইব্রীয় ৫:৭; প্রকা ৭:১৭; ২১:৪ পদে ব্যবহার করা হয়েছে। এই পদে, জোরে জোরে কাঁদার চেয়ে বরং অশ্রুপাত করার উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে বলে মনে হয়। খ্রিস্টান গ্রিক শাস্ত্র-এ এই গ্রিক ক্রিয়া পদ শুধু এখানেই ব্যবহার করা হয়েছে আর এটা যোহন ১১:৩৩ পদে (স্টাডি নোট দেখুন) মরিয়ম ও যিহুদিদের কান্না বর্ণনা করার জন্য যে-শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তা থেকে আলাদা। যিশু জানতেন, তিনি লাসারকে পুনরুত্থিত করতে যাচ্ছেন কিন্তু তাঁর প্রিয় বন্ধুদের শোকাহত হতে দেখে তিনি গভীরভাবে দুঃখিত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর বন্ধুদের প্রতি গভীর প্রেম ও সমবেদনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি খোলাখুলিভাবে অশ্রুপাত করেছিলেন। এই বিবরণ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে যে, সেই ব্যক্তিদের প্রতি যিশুর সহানুভূতি রয়েছে, যারা আদমের কাছ থেকে পাওয়া মৃত্যুতে তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে।

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১১:৪৯

মহাযাজক: ইস্রায়েল যখন একটা স্বাধীন জাতি ছিল, তখন মহাযাজক সারা জীবন তার পদে বহাল থাকতেন। (গণনা ৩৫:২৫) কিন্তু, ইস্রায়েলীয়রা রোমীয়দের অধীনে থাকার সময়, রোমের দ্বারা নিযুক্ত শাসকদের হাতে কাউকে মহাযাজকের পদে নিযুক্ত করার ও তাকে পদচ্যুত করার ক্ষমতা ছিল। (শব্দকোষের অধীনে “মহাযাজক” দেখুন।) রোমীয়দের দ্বারা নিযুক্ত কায়াফা ছিলেন একজন দক্ষ কূটনীতিবিদ, যিনি তার কাছাকাছি পূর্বসূরীদের মধ্যে যেকারো চেয়ে বেশি সময় তার পদে বহাল ছিলেন। তাকে প্রায় ১৮ খ্রিস্টাব্দে নিযুক্ত করা হয়েছিল আর তিনি প্রায় ৩৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সেই পদে বহাল ছিলেন। কায়াফা সেই বছরের অর্থাৎ ৩৩ খ্রিস্টাব্দে মহাযাজক ছিলেন বলার দ্বারা যোহন স্পষ্টতই এটা বোঝাতে চেয়েছেন যে, মহাযাজক হিসেবে কায়াফার সময়কালে সেই স্মরণীয় বছরটা অন্তর্ভুক্ত ছিল, যে-বছরে যিশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।—কায়াফার বাড়ির সম্ভাব্য অবস্থান দেখার জন্য পরিশিষ্ট বি১২ দেখুন।

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১২:৪২

শাসকদের: এখানে “শাসকদের” হিসেবে অনুবাদিত গ্রিক শব্দটা স্পষ্টতই সেনহেদ্রিন অর্থাৎ যিহুদি উচ্চ আদালতের সদস্যদের বোঝায়। এই শব্দ যোহন ৩:১ পদে নীকদীম অর্থাৎ সেই আদালতের একজন সদস্য সম্বন্ধে উল্লেখ করার সময় ব্যবহার করা হয়েছে।—দেখুন, যোহন ৩:১ পদের স্টাডি নোট।

সমাজগৃহ থেকে বের করে দেওয়া হয়: বা “ধর্মীয় সম্প্রদায় থেকে বহিষ্কার করা হয়; সমাজগৃহ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।” গ্রিক বিশেষণ পদ আ্যপোসিনাগোগস শুধু এখানে এবং যোহন ১২:৪২ ও ১৬:২ পদে ব্যবহার করা হয়েছে। একজন বহিষ্কৃত ব্যক্তিকে সমাজ থেকে নির্বাসিত একজন ব্যক্তি হিসেবে এড়িয়ে চলা ও অবজ্ঞা করা হতো। অন্যান্য যিহুদির সাহচর্য থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে সেই পরিবারকে চরম আর্থিক সমস্যায় পড়তে হতো। সমাজগৃহগুলো মূলত শিক্ষা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো। তবে কোনো কোনো সময়, সেগুলো স্থানীয় আদালত হিসেবেও কাজ করত এবং চাবুক মারা ও ধর্মীয় সম্প্রদায় থেকে বহিষ্কার করার শাস্তি কার্যকর করার ক্ষমতা সেই আদালতের ছিল।—দেখুন, মথি ১০:১৭ পদের স্টাডি নোট।

অক্টোবর ১৫-২১

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | যোহন ১৩-১৪

“আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইলাম”

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৩:৫

শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিতে লাগলেন: প্রাচীন ইস্রায়েলে পাদুকা হিসেবে স্যান্ডেল সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল। এগুলোতে কেবল সোলের (জুতোর তলার) উপর সরু ফিতে লাগানো থাকত, যা পা ও গোড়ালিতে বাঁধা হতো আর তাই ধুলোবালিপূর্ণ বা কর্দমাক্ত পথে ও জমিতে হাঁটার সময় স্বাভাবিকভাবেই ভ্রমণকারীদের পা নোংরা হতো। এই কারণে, প্রথা হিসেবে একজন ব্যক্তিকে কোনো ঘরে প্রবেশ করার আগে নিজের স্যান্ডেল খুলতে হতো আর একজন অতিথিপরায়ণ গৃহকর্তাকে নিশ্চিত করতে হতো যেন তার অতিথির পা ধোয়ানো হয়। বাইবেলে এই প্রথার বিষয়ে বেশ কয়েক বার উল্লেখ করা আছে। (আদি ১৮:৪, ৫; ২৪:৩২; ১শমূ ২৫:৪১; লূক ৭:৩৭, ৩৮, ৪৪) যিশু যখন তাঁর শিষ্যদের পা ধুয়ে দিয়েছিলেন, তখন তিনি তাদের সামনে নম্রতা দেখানোর ও একে অন্যের সেবা করার বিষয়ে এক বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরার জন্য এই প্রথা ব্যবহার করেছিলেন।

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৩:১২-১৪

উচিত: বা “বাধ্যবাধকতা রয়েছে।” এখানে ব্যবহৃত গ্রিক ক্রিয়া পদটা প্রায় সময়ই অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবহার করা হয়, যেটার অর্থ মূলত “কারো কাছে ঋণী থাকা; কাউকে কিছু দেওয়া।” (মথি ১৮:২৮, ৩০, ৩৪; লূক ১৬:৫, ৭) এখানে ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এটা আরও ব্যাপক অর্থে কোনো কিছু করার জন্য বাধ্য থাকার বা বাধ্যবাধকতা বোধ করা বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।—১যোহন ৩:১৬; ৪:১১; ৩যোহন ৮. 

প্রহরীদুর্গ ৯৯ ৩/১ ৩১ অনু. ১

সর্বমহান পুরুষ সবচেয়ে ছোট কাজ করেছিলেন

পা ধুইয়ে দিয়ে যিশু তাঁর প্রেরিতদের নম্রতার এক বড়ো শিক্ষা দিয়েছিলেন। বাস্তবিকই, খ্রিস্টানদের মনে করা উচিত নয় যে তারা এতখানিই বিশেষ ব্যক্তি যে অন্যেরা সবসময় তাদের খোশামোদ করে চলবেন আর তাদের সম্মান ও মর্যাদাজনক পদের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখাও উচিত নয়। এটা না করে তারা বরং যিশু যেমন নমুনা রেখেছিলেন সেই অনুযায়ী চলতে পারেন কারণ তিনি “পরিচর্য্যা পাইতে আইসেন নাই, কিন্তু পরিচর্য্যা করিতে, এবং অনেকের পরিবর্ত্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।” (মথি ২০:২৮) হ্যাঁ, যিশুর প্রেরিতদের একে অন্যের জন্য সবচেয়ে ছোটো কাজটা করতেও ইচ্ছুক থাকা উচিত।

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৪:৬

আমিই পথ ও সত্য ও জীবন: যিশু হলেন পথ কারণ একমাত্র তাঁর মাধ্যমেই প্রার্থনায় ঈশ্বরের কাছে আসা সম্ভবপর হয়েছে। এ ছাড়া, তিনি মানুষের জন্য ঈশ্বরের সঙ্গে পুনরায় সম্মিলিত হওয়ারও “পথ।” (যোহন ১৬:২৩; রোমীয় ৫:৮) যিশু এই অর্থে সত্য যে, তিনি সত্য বলেছিলেন এবং সত্যের সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করেছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এমন অনেক ভবিষ্যদ্‌বাণীও পরিপূর্ণ করেছিলেন, যেগুলো ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের পরিপূর্ণতায় তাঁর প্রধান ভূমিকা সম্বন্ধে প্রকাশ করে। (যোহন ১:১৪; প্রকা ১৯:১০) এই ভবিষ্যদ্‌বাণীগুলো “তাঁর মাধ্যমেই ‘হ্যাঁ’ [বা পরিপূর্ণ]” হয়েছিল। (২করি ১:২০) যিশু হলেন জীবন কারণ মুক্তির মূল্যের মাধ্যমে তিনি মানবজাতির জন্য “প্রকৃত জীবন” অর্থাৎ “অনন্তজীবন” লাভ করা সম্ভবপর করেছেন। (১তীম ৬:১২, ১৯; ইফি ১:৭; ১যোহন ১:৭) এ ছাড়া, তিনি সেই লক্ষ লক্ষ লোকের জন্য “জীবন” হিসেবেও প্রমাণিত হবেন, যারা পরমদেশে চিরকাল বেঁচে থাকার প্রত্যাশা নিয়ে পুনরুত্থিত হবে।—যোহন ৫:২৮, ২৯.

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৪:১২

এগুলোর চেয়েও বড়ো বড়ো কাজ: যিশু এটা বলছিলেন না যে, তাঁর শিষ্যরা তাঁর অলৌকিক কাজের চেয়ে আরও বড়ো বড়ো অলৌকিক কাজ করবে। বরং তিনি নম্রভাবে স্বীকার করেন, তারা তাঁর চেয়ে আরও ব্যাপকভাবে প্রচার ও শিক্ষা দেওয়ার কাজ করবে। তাঁর অনুসারীরা তাঁর চেয়ে আরও বেশি এলাকায় প্রচার করবে, আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছাবে এবং আরও বেশি সময় ধরে প্রচার করবে। যিশুর কথাগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে, তিনি চেয়েছিলেন যেন তাঁর অনুসারীরা তাঁর কাজ করে চলে।

অক্টোবর ২২-২৮

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | যোহন ১৫-১৭

“তোমরা ত জগতের নহ”

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৫:১৯

জগৎ: এই প্রসঙ্গে, গ্রিক শব্দ কসমোস ঈশ্বরের দাসদের কাছ থেকে পৃথক মানবজাতির জগৎকে অর্থাৎ ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন অধার্মিক মানবসমাজকে বোঝায়। সুসমাচার লেখকদের মধ্যে কেবল যোহনই যিশুর বলা এই কথাগুলো উদ্ধৃত করেছিলেন, তাঁর অনুসারীরা জগতের অংশ নয় বা জগতের নয়। যিশুর বিশ্বস্ত অনুসারীদের সঙ্গে করা তাঁর শেষ প্রার্থনায় আরও দু-বার এই একই চিন্তাভাবনা প্রকাশ পেয়েছে।—যোহন ১৭:১৪, ১৬.

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৫:২১

আমার নামের জন্য: বাইবেলে, “নাম” শব্দটা কখনো কখনো সেই নামের ব্যক্তি, তার সুনাম ও তিনি যা-কিছুর প্রতিনিধিত্ব করেন সেই সমস্ত কিছুকে চিত্রিত করে। (দেখুন, মথি ৬:৯ পদের স্টাডি নোট।) যিশুর নামের ক্ষেত্রে, এটা তাঁর অধিকার ও পদমর্যাদাকেও চিত্রিত করে, যা তাঁর পিতা তাঁকে দিয়েছেন। (মথি ২৮:১৮; ফিলি ২:৯, ১০; ইব্রীয় ১:৩, ৪) যিশু এখানে ব্যাখ্যা করেন, কেন জগতের লোকেরা তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাজ করবে: কারণ যিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন তারা তাঁকে জানে না। ঈশ্বরকে জানা, যিশুর নাম যে-বিষয়কে চিত্রিত করে তা বুঝতে ও স্বীকার করতে তাদের সাহায্য করবে। (প্রেরিত ৪:১২) এর অন্তর্ভুক্ত ঈশ্বরের নিযুক্ত শাসক অর্থাৎ রাজাদের রাজা হিসেবে তাঁর অবস্থান, যাঁর সামনে সমস্ত লোককে জীবন লাভ করার জন্য বশ্যতা স্বীকার করতে হবে।—যোহন ১৭:৩; প্রকা ১৯:১১-১৬; তুলনা করুন, গীত ২:৭-১২.

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৫১৬, ইংরেজি

সাহস

যিহোবা ঈশ্বরের সঙ্গে শত্রুতা রয়েছে এমন এক জগতের মনোভাব ও কাজ থেকে অকলুষিত থাকার জন্য এবং জগতের ঘৃণার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর প্রতি বিশ্বস্ততা বজায় রাখার জন্য খ্রিস্টানদের সাহস প্রয়োজন। যিশু খ্রিস্ট তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন: “জগতে তোমরা ক্লেশ পাইতেছ; কিন্তু সাহস কর, আমিই জগৎকে জয় করিয়াছি।” (যোহন ১৬:৩৩) ঈশ্বরের পুত্র কখনো জগতের প্রভাবের কাছে নতিস্বীকার করেননি এবং কোনো দিক দিয়ে জগতের অংশ না হওয়ার মাধ্যমে তিনি জগৎকে জয় করেছিলেন। একজন বিজয়ী হিসেবে যিশু খ্রিস্টের অসাধারণ উদাহরণ এবং তাঁর অকলুষিত জীবনযাপনের ফলাফল লক্ষ করলে, একজন ব্যক্তি জগৎ থেকে পৃথক থাকার ও এর দ্বারা কলুষিত না হয়ে পড়ার ক্ষেত্রে যিশুর উদাহরণ অনুকরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সাহসে পূর্ণ হতে পারে।—যোহন ১৭:১৬.

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৭:২১-২৩

এক: বা “একতাবদ্ধ থাকা।” যিশু প্রার্থনা করেছিলেন, তাঁর প্রকৃত অনুসারীরা “এক” হবে অর্থাৎ একই উদ্দেশ্য সম্পাদনের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে, ঠিক যেমন তিনি ও তাঁর পিতা সহযোগিতা দেখানোর ও চিন্তা করার ক্ষেত্রে “এক।” (যোহন ১৭:২২) ১করি ৩:৬-৯ পদে পৌল বর্ণনা করেন, খ্রিস্টান পরিচারকরা যখন একে অন্যের সঙ্গে ও ঈশ্বরের সঙ্গে কাজ করে, তখন তাদের মধ্যে এই ধরনের একতা রয়েছে।—দেখুন, ১করি ৩:৮ পদ ও যোহন ১০:৩০; ১৭:১১ পদের স্টাডি নোট।

পুরোপুরিভাবে এক হয়: বা “সম্পূর্ণভাবে একতাবদ্ধ হয়।” এই পদে যিশু পুরোপুরি একতাকে পিতার কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করেছেন। এটা কল ৩:১৪ পদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বলা আছে: “প্রেম . . . একতার পরিপূর্ণ বন্ধন।” এই পরিপূর্ণ একতা হল আপেক্ষিক। এর অর্থ এই নয় যে, ব্যক্তিত্বের সমস্ত পার্থক্য যেমন, ব্যক্তিগত দক্ষতা, অভ্যাস ও বিবেকের পার্থক্য দূর হয়ে যাবে। বরং এর অর্থ হল, যিশুর অনুসারীরা কাজে, বিশ্বাসে ও শিক্ষায় একতাবদ্ধ হবে।—রোমীয় ১৫:৫, ৬; ১করি ১:১০; ইফি ৪:৩; ফিলি ১:২৭.

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৭:২৪

জগৎ শুরুর: “শুরুর” জন্য যে-গ্রিক শব্দ রয়েছে, সেটাকে ইব্রীয় ১১:১১ পদে “গর্ভে ধারণ করা” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে, যেখানে এটা “সন্তান” বা বংশ শব্দের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে “জগৎ শুরুর” অভিব্যক্তিটা স্পষ্টতই আদম ও হবার সন্তানদের জন্মকে নির্দেশ করে। যিশু “জগৎ শুরুর” অভিব্যক্তিকে হেবলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করেন, স্পষ্টতই যিনি মুক্তি পাওয়ার যোগ্য মানুষদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি এবং যার নাম “জগৎ শুরুর সময় থেকে জীবনপুস্তকে” প্রথমে “লেখা” রয়েছে। (লূক ১১:৫০, ৫১; প্রকা ১৭:৮) তাঁর পিতার কাছে করা প্রার্থনায় যিশুর এই কথাগুলো এটাও নিশ্চিত করে যে, অনেক আগে—আদম ও হবা সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগে—ঈশ্বর তাঁর একজাত পুত্রকে ভালোবেসেছেন।

অক্টোবর ২৯–নভেম্বর ৪

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | যোহন ১৮-১৯

“যিশু সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন”

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৮:৩৭

সাক্ষ্য দিই: খ্রিস্টান গ্রিক শাস্ত্র-এ যেমন ব্যবহার করা হয়েছে, “সাক্ষ্য দেওয়া” (মার্টিরিও) ও “সাক্ষ্য” (মার্টিরিয়া; মার্টিস) হিসেবে অনুবাদিত গ্রিক শব্দগুলোর ব্যাপক অর্থ রয়েছে। দুটো শব্দই মূলত সরাসরি অভিজ্ঞতা বা ব্যক্তিগত জ্ঞান থেকে পাওয়া তথ্য সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেওয়া অর্থে ব্যবহার করা হয়, তবে এই ধারণাগুলোও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, “ঘোষণা করা; নিশ্চয়তা দেওয়া; প্রশংসা করা।” যিশু কেবল সেইসমস্ত সত্য সম্বন্ধে সাক্ষ্যই দেননি ও ঘোষণাই করেননি, যেগুলোর বিষয়ে তিনি দৃঢ়নিশ্চিত ছিলেন কিন্তু সেইসঙ্গে তিনি এমনভাবে জীবনযাপনও করেছিলেন, যা তাঁর পিতার ভবিষ্যদ্‌বাণীমূলক বাক্য ও প্রতিজ্ঞার সত্যতাকে উচ্চীকৃত করেছিল। (২করি ১:২০) রাজ্য ও মশীহ শাসকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঈশ্বরের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছিল। যিশুর বলিদানমূলক মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর সম্পূর্ণ পার্থিব জীবনে, তাঁর সম্বন্ধে করা সমস্ত ভবিষ্যদ্‌বাণী পরিপূর্ণ হয়েছিল, যেগুলোর অন্তর্ভুক্ত ব্যবস্থার মধ্যে থাকা ছায়া বা নমুনা স্বরূপ বিষয়গুলো। (কল ২:১৬, ১৭; ইব্রীয় ১০:১) তাই বলা যেতে পারে, যিশু তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে ‘সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।’

সত্য: যিশু এখানে সাধারণ সত্য নয় বরং ঈশ্বরের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে সত্য বলছিলেন। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের একটা মূল বিষয় হল, যিশু খ্রিস্ট, “দায়ূদের সন্তান,” মহাযাজক ও ঈশ্বরের রাজ্যের শাসক হিসেবে সেবা করেন। (মথি ১:১) যিশু ব্যাখ্যা করেছিলেন, মানবজাতির জগতে তাঁর আসার, পৃথিবীতে তাঁর জীবনযাপনের এবং তাঁর পরিচর্যার একটা মুখ্য কারণ হল, রাজ্যের সত্য সম্বন্ধে ঘোষণা করা। দায়ূদ যে-নগরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেই যিহূদিয়ার বৈৎলেহমে যিশুর জন্মের আগে ও জন্মের সময় স্বর্গদূতেরা একই ধরনের বার্তা ঘোষণা করেছিল।—লূক ১:৩২, ৩৩; ২:১০-১৪.

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৮:৩৮ক

সত্য কী?: পীলাতের প্রশ্ন স্পষ্টতই সাধারণ সত্য সম্বন্ধে ছিল, সুনির্দিষ্টভাবে সেই “সত্য” সম্বন্ধে নয়, যা যিশু সবেমাত্র বলেছিলেন। (যোহন ১৮:৩৭) এই প্রশ্ন যদি আন্তরিকভাবে করা হতো, তা হলে নিশ্চিতভাবেই যিশু সেটার উত্তর দিতেন। কিন্তু পীলাত সম্ভবত এই প্রশ্নের উত্তর আশা করেননি, বরং যেন সন্দেহভাজনের বা নিন্দুকের মতো অবিশ্বাসের সুরে বলতে চেয়েছিলেন, “সত্য? এটা আবার কী? সত্য বলতে কিছুই নেই!” আসলে, পীলাত এমনকী কোনো উত্তরের অপেক্ষা না করেই সেই জায়গা ছেড়ে বাইরে যিহুদিদের কাছে চলে গিয়েছিলেন।

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৯:৩০

তিনি প্রাণত্যাগ করলেন: বা “তিনি মারা গেলেন; তিনি নিশ্বাস নেওয়া বন্ধ করলেন।” কেউ কেউ মনে করে, “প্রাণত্যাগ করলেন” হিসেবে অনুবাদিত গ্রিক শব্দের অর্থ হল যিশু বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করা স্বেচ্ছায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন কারণ সমস্ত কিছু সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। তিনি ইচ্ছুক মনোভাব নিয়ে “নিজের প্রাণ ঢেলে দিলেন।”—যিশা ৫৩:১২; যোহন ১০:১১.

nwtsty স্টাডি নোট—যোহন ১৯:৩১

সেই বিশ্রামবার ছিল মহাবিশ্রামবার: নিশান মাসের ১৫ তারিখ, নিস্তারপর্বের পরের দিন সবসময়ই বিশ্রামবার ছিল, তা সেটা সপ্তাহের যে-দিনেই পড়ুক না কেন। (লেবীয় ২৩:৫-৭) এই বিশেষ বিশ্রামবার যখন সাধারণ বিশ্রামবারের (যিহুদি সপ্তাহের সপ্তম দিন, যা শুক্রবার সূর্যাস্ত থেকে শনিবার সূর্যাস্ত) সঙ্গে একই দিনে পড়ত, তখন সেটা “মহাবিশ্রামবার” হতো। যিশুর মৃত্যুর পরদিন ছিল এইরকমই এক বিশ্রামবার, যা শুক্রবারে পড়েছিল। ২৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৩৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শুধুমাত্র ৩৩ খ্রিস্টাব্দেই ১৪ নিশান শুক্রবারে পড়েছিল। তাই, এই প্রমাণের মাধ্যমে এই উপসংহারে আসা যুক্তিযুক্ত যে, সেই দিনটা ছিল ৩৩ খ্রিস্টাব্দের নিশান মাসের ১৪ তারিখ যে-দিন যিশু মারা গিয়েছিলেন।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার