ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr20 ডিসেম্বর পৃষ্ঠা ১-৬
  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০২০)
  • উপশিরোনাম
  • ডিসেম্বর ৭-১৩
  • ডিসেম্বর ১৪-২০
  • ডিসেম্বর ২১-২৭
  • ডিসেম্বর ২৮–জানুয়ারি ৩
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০২০)
mwbr20 ডিসেম্বর পৃষ্ঠা ১-৬

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

ডিসেম্বর ৭-১৩

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন

লেবীয় পুস্তক ১০-১১

“পরিবারের চেয়ে যিহোবাকে বেশি ভালোবাসুন”

অন্তর্দৃষ্টি-১ ১১৭৪, ইংরেজি

নিয়মের বিরুদ্ধে

নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে জ্বালানো আগুন ও ধূপ। লেবীয় পুস্তক ১০:১ পদে বলা হয়েছে যে, হারোণের ছেলে নাদব ও অবীহূ ‘আজ্ঞার বিপরীতে অগ্নি উৎসর্গ করিল।’ এই পদে “আজ্ঞার বিপরীতে” জ্বালানো আগুনের জন্য ইব্রীয় শব্দ জার ব্যবহার করা হয়েছে, যেটার আক্ষরিক অর্থ হল, “অদ্ভুত।” নাদব ও অবীহূ যখন তা করেছিল, তখন যিহোবা অগ্নি নিক্ষেপ করে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেন। (লেবীয় ১০য়্র:২; গণনা ৩:৪; ২৬:৬১) এই ঘটনার পর যিহোবা হারোণকে এই আজ্ঞা দেন: “তোমরা যেন মারা না পড়, এই জন্য যে সময়ে তুমি কিম্বা তোমার পুত্ত্রগণ সমাগম-তাম্বুতে প্রবেশ করিবে, তৎকালে দ্রাক্ষারস কি মদ্য পান করিও না; ইহা পুরুষানুক্রমে তোমাদের পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি। তাহাতে তোমরা পবিত্র ও সামান্য বিষয়ের এবং শুচি ও অশুচি বিষয়ের প্রভেদ করিতে, এবং সদাপ্রভু মোশি দ্বারা ইস্রায়েল-সন্তানগণকে যে সকল বিধি দিয়াছেন, তাহা তাহাদিগকে শিক্ষা দিতে পারিবে।” (লেবীয় ১০:৮-১১) এটা থেকে বোঝা যায় যে, নাদব ও অবীহূ মদের নেশায় ছিল, যার ফলে তারা নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে আগুন জ্বালিয়েছিল। হতে পারে, তারা যে-সময়ে, যে-জায়গায় কিংবা যেভাবে আগুন জ্বালিয়েছিল, তা নিয়মের বিরুদ্ধে ছিল। এও হতে পারে যে, তাদের উৎসর্গ করা ধূপ ঠিক সেভাবে তৈরি ছিল না, যেভাবে যাত্রাপুস্তক ৩০:৩৪, ৩৫ পদে বলা হয়েছে। কারণ যাই হোক না কেন, তারা এই অজুহাত দেখাতে পারত না যে, তারা মদের নেশায় এই ভুল কাজ করে ফেলেছিল।

প্রহরীদুর্গ ১১ ৭/১৫ ৩১ অনু. ১৬

ঈশ্বরের বিশ্রাম—আপনি কি এর মধ্যে প্রবেশ করেছেন?

১৬ মোশির ভাই হারোণ তার দুই ছেলের বিষয়ে এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই সময়ে তার অনুভূতির কথাটা একটু চিন্তা করুন, যখন নাদব ও অবীহূ যিহোবার উদ্দেশে ইতর অগ্নি উৎসর্গ করেছিল আর তাই যিহোবা তাদের আঘাত করে মেরে ফেলেছিলেন। নিশ্চিতভাবেই, এর ফলে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে তাদের সমস্ত ধরনের মেলামেশা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, আরও কিছু বিষয় ছিল। যিহোবা হারোণ এবং তার অন্যান্য বিশ্বস্ত ছেলেকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন: “তোমরা যেন মারা না পড়, ও সমস্ত মণ্ডলীর প্রতি যেন [সদাপ্রভুর] ক্রোধ প্রজ্বলিত না হয়, এই জন্য তোমরা আপন আপন মস্তক মুক্তকেশ করিও না, ও [শোক করে] আপন আপন বস্ত্র চিরিও না।” (লেবীয়. ১০:১-৬) বার্তাটা একেবারে স্পষ্ট। যিহোবার প্রতি আমাদের ভালোবাসা অবশ্যই পরিবারের অবিশ্বস্ত সদস্যদের প্রতি আমাদের ভালোবাসার চেয়ে আরও শক্তিশালী হবে।

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

প্রহরীদুর্গ ১৪ ১১/১৫ ১৭ অনু. ১৮

আমাদের সমস্ত আচার-ব্যবহারে পবিত্র হতে হবে

১৮ পবিত্র হওয়ার জন্য, আমাদের মনোযোগের সঙ্গে শাস্ত্র পরীক্ষা করতে হবে এবং ঈশ্বর আমাদের যা করতে বলেন, ঠিক তা-ই করতে হবে। হারোণের ছেলে নাদব ও অবীহূর মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল কারণ তারা সম্ভবত মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় “ইতর অগ্নি” উৎসর্গ করেছিল। (লেবীয়. ১০:১, ২) এরপর ঈশ্বর হারোণকে কী বলেছিলেন, তা লক্ষ করুন। (পড়ুন, লেবীয় পুস্তক ১০:৮-১১.) এই কথাগুলোর অর্থ কি এই যে, খ্রিস্টীয় সভাতে যাওয়ার আগে আমরা মদ্য-জাতীয় কোনো কিছু পান করব না? এই বিষয়গুলো চিন্তা করুন: আমরা এখন আর ব্যবস্থার অধীন নই। (রোমীয় ১০:৪) কিছু দেশে, আমাদের সহবিশ্বাসীরা সভাতে যাওয়ার আগে খাবারের সঙ্গে পরিমিত মাত্রায় মদ্য-জাতীয় পানীয় গ্রহণ করে। নিস্তারপর্ব উদ্‌যাপন করার সময় চার কাপ দ্রাক্ষারস ব্যবহার করা হতো। আর স্মরণার্থ সভা প্রবর্তন করার সময় যিশু তাঁর প্রেরিতদের দ্রাক্ষারস পান করতে দিয়েছিলেন, যা তাঁর রক্তকে চিত্রিত করেছিল। (মথি ২৬:২৭) বাইবেল অতিরিক্ত মদ পান এবং মাতাল হওয়ার বিষয়টাকে নিন্দা করে। (১ করি. ৬:১০; ১ তীম. ৩:৮) আর অনেক খ্রিস্টান হয়তো তাদের বিবেকের কারণে যিহোবাকে উপাসনা করার আগে কোনো ধরনের মদ পান করতে চায় না। কিন্তু, বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি আলাদা এবং খ্রিস্টানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল, “পবিত্র ও সামান্য বিষয়ের ... প্রভেদ” করা, যাতে তারা পবিত্র থাকতে পারে ও যিহোবাকে খুশি করতে পারে।

অন্তর্দৃষ্টি-১ ১১১, অনু. ৫, ইংরেজি

পশু

মোশির ব্যবস্থার অধীনে ইস্রায়েলীয়দের কিছু পশুর মাংস খেতে বারণ করা হয়েছিল। সেগুলোর ব্যাপারে যিহোবা তাঁর লোকেদের বলেছিলেন: “তাহারা তোমাদের পক্ষে অশুচি।” (লেবীয় ১১:৮) কিন্তু, যিশু খ্রিস্টের বলিদানমূলক মৃত্যুর পর মোশির ব্যবস্থা শেষ হয়ে যায়। তারপর, খ্রিস্টানরা যেকোনো পশুর মাংস খেতে পারে, যেমনটা যিহোবা জলপ্লাবনের পর নোহকে বলেছিলেন।

ডিসেম্বর ১৪-২০

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন

লেবীয় পুস্তক ১২-১৩

“কুষ্ঠরোগ সম্বন্ধে নিয়ম থেকে শিখুন”

প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৮.১ ৭, ইংরেজি

সেকেলে না কি নিজের সময়ের চেয়ে আগে?

রোগীদের অন্য ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হত।

মাত্র ৭০০ বছর আগেই ডাক্তাররা মহামারির সময়ে জানতে পারেন যে, এই ছোঁয়াচে রোগের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা রাখতে হবে। কিন্তু, শত শত বছর আগে ঈশ্বর মোশির মাধ্যমে তাঁর উপাসকদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন যেন তারা কুষ্ঠরোগীদের আলাদা রাখে। বর্তমানেও চিকিৎসা জগতে এই নীতি অনুসরণ করা হয়।—লেবীয় পুস্তক, অধ্যায় ১৩ ও ১৪.

প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৬.৩ ৯ অনু. ১

আপনি কি জানতেন?

বাইবেলের সময় প্রাচীন যিহুদিরা কুষ্ঠরোগকে ভয় পেত। এই ভয়ানক রোগের ফলে একজন ব্যক্তির স্নায়ুপ্রান্তগুলো অসাড় হয়ে যেত, তার অঙ্গগুলো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেত এবং শরীরে বিকৃতি ঘটত। সেই সময় কুষ্ঠরোগের কোনো চিকিৎসা জানা ছিল না। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা থাকতে হতো এবং আইন অনুযায়ী তাদের নিজেদেরকেই চিৎকার করে অন্যদের সাবধান করতে হতো।—লেবীয় পুস্তক ১৩:৪৫, ৪৬.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ২৩৮ অনু. ৩, ইংরেজি

কুষ্ঠরোগ

জামাকাপড়ে ও ঘরের দেওয়ালে। লোমের কিংবা মসীনার বস্ত্রে অথবা চামড়ার তৈরি জিনিসেও কুষ্ঠ হতে পারত। কখনো কখনো সেই সংক্রামিত বস্তুগুলো ভালোভাবে ধোয়ার পর সেগুলো থেকে কুষ্ঠ দূর হয়ে যেত। তারপরও, সেগুলোকে কিছু দিনের জন্য আলাদা করে রাখা হত। কিন্তু, পরে যদি তাতে কিছুটা সবুজ বা কিছুটা লাল দাগ দেখা যেত, তা হলে এটা বোঝা যেত যে, এই কুষ্ঠ ছড়াতে পারে। তাই, সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হত। (লেবীয় ১৩:৪৭-৫৯) পরে যদি ঘরের দেওয়ালেও কিছুটা সবুজ বা কিছুটা লাল দাগ দেখা যেত, তা হলে যাজক কিছু দিনের জন্য ঘরটা বন্ধ করে রাখার আজ্ঞা দিতেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যাজক আবার দেওয়ালের যে-পাথরে দাগ থাকত, সেগুলো বের করার আজ্ঞা দিতেন। এই ধরনের ঘরের ভিতরের অংশ ভালোভাবে ঘষে সেটা থেকে পাথর এবং চুনবালির প্রলেপ বের করে নগরের বাইরে একটা অশুচি জায়গায় ফেলে দিতে হত। তারপরও যদি ঘরে কোনো দাগ দেখা যেত, তা হলে সেই ঘরটাকেও অশুচি বলে গণ্য করা হত আর ভেঙে ফেলা হত। এমনকী সেই ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র এবং পাথর বের করে নগরের বাইরে একটা অশুচি জায়গায় ফেলে দিতে হত। কিন্তু, যদি ঘরের দেওয়াল থেকে কুষ্ঠ দূর হয়ে যেত, তা হলে যাজক শুচিকরণের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতেন এবং তা শুচি রয়েছে বলে ঘোষণা করতেন। (লেবীয় ১৪:৩৩-৫৭) এমনটা মনে করা হয় যে, জামাকাপড়ে ও ঘরে যে-কুষ্ঠ হত, সেটা এক ধরনের ছত্রাক ছিল। কিন্তু, এটা নির্দিষ্টভাবে বলা যেতে পারে না।

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

প্রহরীদুর্গ ০৪ ৫/১৫ ২৩ অনু. ২

লেবীয় পুস্তকের প্রধান বিষয়গুলো

১২:২, ৫—সন্তান-প্রসব কেন একজন স্ত্রীলোককে “অশুচি” করত? প্রজনন অঙ্গগুলো সিদ্ধ মানব জীবন জন্ম দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পাপের প্রভাবের কারণে, অসিদ্ধ এবং পাপপূর্ণ জীবন বংশধরদের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছিল। সন্তান-প্রসবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অস্থায়ী “অশুচি” সময়গুলো ও সেইসঙ্গে অন্যান্য বিষয়, যেমন ঋতুস্রাব ও রেতপাত তাদেরকে বংশাণুক্রমিক পাপকে মনে করিয়ে দিত। (লেবীয় পুস্তক ১৫:১৬-২৪; গীতসংহিতা ৫১:৫; রোমীয় ৫:১২) শুচি হওয়ার প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধগুলো ইস্রায়েলীয়দের মানবজাতির পাপ আচ্ছাদন করার ও মানুষকে পুনরায় সিদ্ধতায় ফিরিয়ে আনার জন্য এক মুক্তির মূল্যের প্রয়োজনকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে। তাই, ব্যবস্থা তাদেরকে “খ্রীষ্টের কাছে আনিবার জন্য . . . পরিচালক দাস হইয়া” উঠেছিল।—গালাতীয় ৩:২৪.

প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৮.১ ৭, ইংরেজি

সেকেলে না কি নিজের সময়ের চেয়ে আগে?

ত্বকচ্ছেদ করার নির্দিষ্ট সময়

ঈশ্বর এই নিয়ম দিয়েছিলেন যেন পুত্রসন্তানের জন্মের অষ্টম দিনে তার ত্বকচ্ছেদ করা হয়। (লেবীয় পুস্তক ১২:৩) একটি সন্তানের জন্মের এক সপ্তাহ পরই রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে। এর আগে ত্বকচ্ছেদ করলে সন্তানের ক্ষতি হতে পারত। এই নিয়ম পালন করার ফলে হয়তো সেই সময়ের লোকেরা উপকৃত হয়েছিল কারণ তখনকার দিনে আজকের মতো আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করা হত না।

ডিসেম্বর ২১-২৭

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন

লেবীয় পুস্তক ১৪-১৫

“বিশুদ্ধ উপাসনায় শুচি থাকা প্রয়োজন”

অন্তর্দৃষ্টি-১ ২৬৩, ইংরেজি

স্নান

নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো ইস্রায়েলীয় কোনো কারণে অশুচি হয়ে যেত, তা হলে তাকে বিধিসম্মত উপায়ে স্নান করে শুচি হতে হত। এমনটা না করলে সে উপাসনায় কোনোভাবে অংশ নিতে পারত না। উদাহরণ স্বরূপ, কোনো ব্যক্তি যদি কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হতেন কিংবা এমন কোনো জিনিস স্পর্শ করতেন, যেটাকে কোনো “প্রমেহী” ও অশুচি ব্যক্তি স্পর্শ করেছিল, তা হলে সেই ব্যক্তিও অশুচি হয়ে যেতেন। একজন ব্যক্তি তখনও অশুচি হতেন যখন তার “রেতঃশুদ্ধ” হত, একজন মহিলা ঋতুস্রাবের সময় অশুচি হতেন কিংবা একজন ব্যক্তি যৌন সম্পর্কের পরও “অশুচি” হয়ে যেতেন এবং তাকে স্নান করতে হত। (লেবীয় ১৪:৮, ৯; ১৫:৪-২৭) একইভাবে, একজন ব্যক্তি যদি কোনো মৃতদেহকে স্পর্শ করতেন কিংবা মৃতদেহ রয়েছে এমন তাম্বুতে থাকতেন, তা হলে তিনি “অশুচি” হয়ে যেতেন এবং তাকে শুচি করার জন্য তার গায়ে জল ছেটানো হত। কিন্তু কেউ যদি নিজেকে শুচি না করত, তা হলে ‘সে সমাজের মধ্য হইতে উচ্ছিন্ন হইত, কেননা সে সদাপ্রভুর ধর্ম্মধাম অশুচি’ করেছিল। (গণনা ১৯:২০) বাইবেলের অন্যান্য পদে যখন স্নান করে নিজেকে শুচি করার কথা বলে হয়েছে, তখন সেটার অর্থ হল এমনটা করার পর সেই ব্যক্তি যিহোবার দৃষ্টিতে শুচি হতেন। (গীত ২৬:৬; ৭৩:১৩; যিশা ১:১৬; যিহি ১৬:৯) ঈশ্বরের বাক্যকেও জলের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যেটি দিয়ে একজন ব্যক্তি নিজেকে শুচি করতে পারেন।—ইফি ৫:২৬.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৩৭২, অনু. ২ ইংরেজি

ঋতুস্রাব

একজন মহিলার যদি ঋতুস্রাব ছাড়াও অনেক দিন ধরে রক্তস্রাব হত কিংবা ‘অশৌচকালের পর যদি রক্ত ক্ষরিত’ হত অর্থাৎ ঋতুস্রাবের নিয়মিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও রক্তস্রাব হতেই থাকত, তা হলেও সে অশুচি হত। সে যে-বিছানায় শয়ন করত বা যে-জায়গায় বসত, সেই বিছানা বা বসার জায়গাটাও অশুচি হয়ে যেত। এমনকী যদি অন্য কেউ সেগুলোকে স্পর্শ করত, তা হলে সেও অশুচি হয়ে যেত। তার রক্তস্রাব বন্ধ হওয়ার সাত দিন পর্যন্ত সে অশুচি থাকত আর তারপর সে শুচি হত। অষ্টম দিনে যাজকের কাছে তাকে দুটো ঘুঘু বা দুটো কপোতশাবক নিয়ে যেতে হত। যাজক একটা পাখি পাপার্থক বলি ও আরেকটা পাখি হোমবলি হিসেবে উৎসর্গ করতেন এবং যিহোবার সামনে সেই মহিলার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতেন।—লেবীয় ১৫:১৯-৩০.

অন্তর্দৃষ্টি-১ ১১৩৩, ইংরেজি

পবিত্র স্থান

২. সমাগম-তাম্বু ও এটার প্রাঙ্গণকে পবিত্র স্থান বলা হয়। পরে যখন মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল, তখন মন্দির এবং আবাসের প্রাঙ্গণকে পবিত্র স্থান বলা হত। (যাত্রা ৩৮:২৪; ২বংশা ২৯:৫; প্রেরিত ২১:২৮) প্রাঙ্গণে বলি উৎসর্গ করার জন্য বেদি ও তামা দিয়ে প্রক্ষালন-পাত্র তৈরি করা হয়েছিল। এগুলোও পবিত্র ছিল। যারা ব্যবস্থা অনুযায়ী অশুচি ছিল, তারা আবাসের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারত না। শুধুমাত্র তারাই সেখানে প্রবেশ করতে পারত, যারা শুচি ছিল। উদাহরণ স্বরূপ, কোনো মহিলা যদি অশুচি থাকত, তা হলে সে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করতেও পারত না এবং সেখানকার কোনো বস্তু স্পর্শ করতেও পারত না। (লেবীয় ১২:২-৪) এটা থেকে বোঝা যায় যে, একজন ইস্রায়েলীয় যদি অশুচি থাকা সত্ত্বেও নিজেকে শুচি না করতেন, তা হলে তিনি পবিত্র স্থানকেও কলুষিত করে ফেলতেন। (লেবীয় ১৫:৩১) যে-ব্যক্তি কুষ্ঠরোগ থেকে শুচি হওয়ার জন্য উপহার নিয়ে আসতেন, তাকে কেবল সমাগম-তাম্বুর দ্বার পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হত। (লেবীয় ১৪:১১) কোনো অশুচি ব্যক্তি যদি আবাসে বা মন্দিরে উৎসর্গীকৃত মঙ্গলার্থক বলির মাংস খেতে, তা হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হত।—লেবীয় ৭:২০, ২১.

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৬৬৫, অনু. ৫, ইংরেজি

কান

যাজকত্ব অর্পণ করার সময় যিহোবা মোশিকে একটি মেষকে হনন করে সেটার কিছুটা রক্ত নিয়ে হারোণ এবং তার সমস্ত ছেলের ডান কানের প্রান্তে বা লতিতে, ডান হাতের ও ডান পায়ের অঙ্গুষ্ঠে বা বুড়ো আঙুলে লাগাতে বলেছিলেন। এটা এই বিষয়কে চিত্রিত করত যে, তাদের যিহোবার বাক্য শুনতে হত, যিহোবার উপাসনা করতে হত এবং যিহোবার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হত। (লেবীয় ৮:২২-২৪) একইভাবে, যখন একজন কুষ্ঠরোগী সুস্থ হয়ে যেত, তখন ব্যবস্থা অনুযায়ী যাজক পাপার্থক বলির জন্য উৎসর্গীকৃত মেষের কিছুটা রক্ত এবং তেল নিয়ে সেই ব্যক্তির ডান কানের লতিতে লাগাতেন। (লেবীয় ১৪:১৪, ১৭, ২৫, ২৮) একজন দাস যখন সারাজীবন তার প্রভুর সেবা করতে চাইত, তখনও এমনটা করা হত। তাই, সেই দাসকে তার প্রভু কপাট অথবা বাজুর কাছে এনে তার কানে গুঁজি দিয়ে ফুটো করে দিতেন। সেই দাসের কানে করা এই স্থায়ী চিহ্ন চিত্রিত করত যে, সে আনন্দের সঙ্গে সবসময় তার প্রভুর প্রতি বাধ্য থাকবে।—যাত্রা ২১:৫, ৬.

প্রহরীদুর্গ ০৯ জুলাই-সেপ্টেম্বর ৩১, অনু. ২

আপনি কি জানতেন?

কোনো সন্দেহ নেই যে, বাইবেলের সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের লোকেরা কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হতো এবং মোশির ব্যবস্থা অনুসারে একজন কুষ্ঠরোগীকে রুদ্ধ বা পৃথক করে রাখতে হতো। (লেবীয় পুস্তক ১৩:৪, ৫) কিন্তু, “কুষ্ঠরোগ” হিসেবে অনুবাদিত ইব্রীয় শব্দ সারাথ্‌ শুধুমাত্র মানুষের দেহে সংক্রমণকে নির্দেশ করে না। সারাথ্‌ কাপড়চোপড় এবং ঘরবাড়িকেও সংক্রামিত করত। লোমের কিংবা মসীনার বস্ত্রে অথবা চামড়ার তৈরি যেকোনো কিছুতে এই ধরনের কুষ্ঠ হতে পারত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, এটা ধুয়ে ফেলার মাধ্যমে দূর করা যেত কিন্তু যদি “ঈষৎ শ্যামবর্ণ কিম্বা ঈষৎ লোহিতবর্ণ কলঙ্ক” লেগে থাকত, তাহলে সেই বস্ত্র বা চামড়াকে পুড়িয়ে ফেলতে হতো। (লেবীয় পুস্তক ১৩:৪৭-৫২) ঘরবাড়ির ক্ষেত্রে, বাড়ির ভিত্তি থেকে “নিম্ন ও ঈষৎ হরিৎ কিম্বা লোহিতবর্ণ” কলঙ্ক দেখা যেত। সংক্রামিত প্রস্তর ও চুনবালির প্রলেপ মানুষের বসবাসের স্থান থেকে দূরে সরিয়ে ফেলতে বা ধ্বংস করে দিতে হতো। যদি পুনরায় কুষ্ঠ হতো, তাহলে সেই ঘরকে ভেঙে ফেলতে এবং এর উপাদানগুলো নষ্ট করে ফেলতে হতো। (লেবীয় পুস্তক ১৪:৩৩-৪৫) কেউ কেউ মনে করে যে, কাপড়চোপড় বা ঘরবাড়ির কুষ্ঠরোগ হয়তো সেই বিষয়ের বর্ণনা করেছে, যেটাকে বর্তমানে ছত্রাক বলা হয়। কিন্তু, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।

ডিসেম্বর ২৮–জানুয়ারি ৩

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন

লেবীয় পুস্তক ১৬-১৭

“প্রায়শ্চিত্তের দিন থেকে আমরা যা শিখতে পারি”

প্রহরীদুর্গ ১৯.১১ ২১ অনু. ৪

লেবীয় পুস্তক থেকে আমরা যে-শিক্ষাগুলো লাভ করতে পারি

৪ লেবীয় পুস্তক ১৬:১২, ১৩ পদ পড়ুন। প্রায়শ্চিত্তের দিনে কী ঘটত, তা কল্পনা করুন: মহাযাজক আবাসে প্রবেশ করেন। সেই দিনে মহাযাজককে অতি পবিত্র স্থানে যে-তিন বার প্রবেশ করতে হবে, সেগুলোর মধ্যে এটাই হল প্রথম বার। তিনি এক হাতে সুগন্ধি ধূপে পূর্ণ একটা পাত্র নেন এবং অন্য হাতে জ্বলন্ত অঙ্গারে পূর্ণ সোনার অঙ্গারধানী বা বেলচা নেন। তিনি তিরস্করিণীর সামনে গিয়ে দাঁড়ান, যেটা অতি পবিত্র স্থানের প্রবেশদ্বারকে ঢেকে রেখেছে। গভীর সম্মানের সঙ্গে তিনি অতি পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেন এবং নিয়ম সিন্দুকের সামনে দাঁড়ান। রূপক অর্থে এটা এমন ছিল যেন তিনি যিহোবা ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন! এবার যাজক সতর্কতার সঙ্গে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর পবিত্র ধূপ ঢালেন এবং সেই ঘরটা সুগন্ধে পূর্ণ হয়ে যায়। পরে, তিনি পাপার্থক বলির রক্ত নিয়ে আবারও অতি পবিত্র স্থানে প্রবেশ করবেন। লক্ষ করুন, তিনি পাপার্থক বলির রক্ত উৎসর্গ করার আগে ধূপ জ্বালাতেন।

প্রহরীদুর্গ ১৯.১১ ২১ অনু. ৫

লেবীয় পুস্তক থেকে আমরা যে-শিক্ষাগুলো লাভ করতে পারি

৫ প্রায়শ্চিত্তের দিনে ধূপের ব্যবহার থেকে আমরা কী শিখতে পারি? বাইবেল ইঙ্গিত দেয়, যিহোবার বিশ্বস্ত উপাসকদের করা প্রার্থনাগুলো হল সুগন্ধি ধূপের মতো। (গীত. ১৪১:২; প্রকা. ৫:৮) মনে করে দেখুন, মহাযাজক অনেক সম্মানের সঙ্গে অতি পবিত্র স্থানে অর্থাৎ যিহোবার সামনে ধূপ নিয়ে যেতেন। একইভাবে, আমরা যখন যিহোবার কাছে প্রার্থনা করি, তখন আমরা যেন গভীর সম্মানের সঙ্গে তা করি। আমরা তাঁকে সশ্রদ্ধ ভয় করি। ঠিক যেমন একজন বাবা তার সন্তানের প্রতি আচরণ করেন, একইভাবে নিখিলবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা আমাদের তাঁর সঙ্গে কথা বলার এবং তাঁর নিকটবর্তী হওয়ার সুযোগ দেন আর এর জন্য আমরা খুবই কৃতজ্ঞ! (যাকোব ৪:৮) তিনি আমাদের তাঁর বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন! (গীত. ২৫:১৪) আমরা এই বিশেষ সুযোগকে এতটাই উপলব্ধি করি যে, আমরা কখনো তাঁকে হতাশ করতে চাইব না।

প্রহরীদুর্গ ১৯.১১ ২১ অনু. ৬

লেবীয় পুস্তক থেকে আমরা যে-শিক্ষাগুলো লাভ করতে পারি

৬ মনে করে দেখুন, বলি উৎসর্গ করার আগে মহাযাজককে ধূপ জ্বালাতে হতো। এভাবে তিনি এটা নিশ্চিত করতেন যে, বলি উৎসর্গ করার সময়ে তিনি ঈশ্বরের অনুমোদন লাভ করবেন। এখান থেকে আমরা কী শিখতে পারি? পৃথিবীতে থাকার সময়ে বলিদান হিসেবে তাঁর জীবন উৎসর্গ করার আগে যিশুকেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে হতো, যা মানবজাতির পরিত্রাণের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা কী ছিল? যিহোবা যাতে তাঁর বলিদান গ্রহণ করেন, সেইজন্য পৃথিবীতে থাকাকালীন তাঁর সমগ্র জীবনধারায় তাঁকে যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত ও অনুগত থাকতে হতো। এভাবে যিশু এটা প্রমাণ করতেন, জীবনযাপন করার বিষয়ে যিহোবার পদ্ধতিই সঠিক। যিশু এও প্রমাণ করতেন, তাঁর পিতার শাসন করার অধিকার রয়েছে এবং তাঁর শাসন করার পদ্ধতি ন্যায্য।

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

প্রহরীদুর্গ ০৯ ৮/১৫ ৬ অনু. ১৭

অজাজেল

এ ছাড়া, “ত্যাগের [“অজাজেলের,” পাদটীকা]” জন্য দেওয়া ছাগ সম্বন্ধে মোশির ব্যবস্থায় নির্দিষ্টভাবে উল্লেখিত পদ্ধতিটাও বিবেচনা করুন। বছরে একবার প্রায়শ্চিত্ত দিনে মহাযাজক ‘সেই জীবিত ছাগের মস্তকে আপনার দুই হস্ত অর্পণ করিতেন, এবং ইস্রায়েল সন্তানগণের সমস্ত অপরাধ স্বীকার করিয়া সে সমস্ত ঐ ছাগের মস্তকে অর্পণ করিতেন; আর ঐ ছাগ নিজের উপরে তাহাদের সমস্ত অপরাধ বিচ্ছিন্ন ভূমিতে বহিয়া লইয়া যাইত।’ (লেবীয়. ১৬:৭-১০, ২১, ২২) যিশাইয় মশীহের আগমন সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিলেন, যিনি “যাতনা [“ব্যাধি,” পাদটীকা] সকল,” “ব্যথা” এবং “অনেকের পাপভার” বহন করার ক্ষেত্রে একইরকম ভূমিকা পালন করবেন।—পড়ুন, যিশাইয় ৫৩:৪-৬, ১২.

প্রহরীদুর্গ ১৪ ১১/১৫ ১০ অনু. ১০

যে-কারণে আমাদের পবিত্র হতে হবে

১০ লেবীয় পুস্তক ১৭:১০ পদ পড়ুন। যিহোবা ইস্রায়েলীয়দের আজ্ঞা দিয়েছিলেন, যেন তারা “কোন প্রকার রক্ত” ভোজন না করে। খ্রিস্টানদেরও আজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা মানুষের ও পশুপাখির রক্ত থেকে পৃথক থাকে। (প্রেরিত ১৫:২৮, ২৯) আমাদের পক্ষে এটা কল্পনা করাও অনেক কষ্টকর যে, আমরা এমন কিছু করছি, যেটার কারণে ঈশ্বর আমাদের প্রত্যাখ্যান করবেন আর আমাদের তাঁর মণ্ডলী থেকে দূর করে দেবেন। আমরা যিহোবাকে ভালোবাসি এবং তাঁর বাধ্য থাকতে চাই। এমনকী আমাদের জীবন যদি ঝুঁকির মুখে থাকে, তবুও আমরা এমন ব্যক্তিদের কাছে নতিস্বীকার করব না, যারা যিহোবাকে জানে না অথবা তাঁর সম্বন্ধে চিন্তা করে না, অথচ আমাদেরকে তাঁর অবাধ্য হওয়ার জন্য চাপ দেয়। আমরা জানি, রক্ত প্রত্যাখ্যান করি বলে কেউ কেউ আমাদের উপহাস করবে, কিন্তু আমরা ঈশ্বরের বাধ্য হওয়া বেছে নিই। (যিহূদা ১৭, ১৮) কী আমাদের রক্ত ভোজন বা গ্রহণ না করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে সাহায্য করবে?—দ্বিতীয়. ১২:২৩.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার