শ্রীলঙ্কার গোখরো সাপেরা শব্দ শুনতে পায়
“তাহারা বধির কালসর্পের সদৃশ, যে কর্ণ রোধ করে, যে সাপুড়েদের স্বর শুনে না।”—গীতসংহিতা ৫৮:৪, ৫.
জানুয়ারি ১০, ১৯৫৪ সালে দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস্-এ “সাপেরা কি সঙ্গীত দ্বারা ‘মায়ামুগ্ধ’ হয়? শিরোনামের নিচে গীতসংহিতা ৫৮:৪, ৫ পদ সম্পর্কে এই বিষয় পাওয়া যায়: “ডা. ডেভিড আই. মাক্ট্, বাল্টিমোর-এর [ইউ. এস. এ.] মাউন্ট সাইনাই হাসপাতালের রিসার্চ ফার্মাকোলজিস্ট, গোখরো সাপের বিষ সম্পর্কে জগতের প্রখ্যাত আধিকারীকদের মধ্যে একজন। (যেমন, রক্তসংক্রান্ত ব্যাধিতে গোখরো সাপের বিষ গ্রহণযোগ্য ঔষধ) ডা. মাক্ট্ বলেন যে গোখরো এবং তার বিষ নিয়ে কাজ করার সময়, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সুশিক্ষিত বহু হিন্দু চিকিৎসকদের সাথে তার পরিচয় হয়। সকলেই স্বীকার করেন যে গোখরো সাপ সুরেলা বাঁশী বা বেণুর কোন এক সুরের প্রতি সাড়া দেয়। এই চিকিৎসকেরা বলেন অন্যান্য সঙ্গীতের থেকে এক বিশেষ ধরনের সঙ্গীত তাদের বেশি উত্তেজিত করে। গ্রামেগঞ্জে ভারতীয় ছেলেমেয়েরা সন্ধ্যেবেলা খেলা করলে তাদের গান না করতে সাবধান করে দেওয়া হয় কারণ যদি তা গোখরো সাপকে আকর্ষণ করে, তিনি বলেন। ডা. মাক্ট্ মন্তব্য করেন যে শেক্সপীয়ার যিনি বারংবার সাপকে বধির বলেন . . . তিনি হয়ত সাধারণ ভুল ধারণাটিরই পুনরুক্তি করেন। অপরপক্ষে ডা. মাক্ট্ বলেন, গীতরচক সঠিক বলেছিলেন, যিনি গীতসংহিতা ৫৮, ৫ পদে পরোক্ষভাবে উল্লেখ করেন যে সাপেরা শুনতে পায়।”
অনুরূপে, জার্মানীর প্রাণিবিদ্যাগত পত্রিকা জিমাকস্ টীর, সীলমানজ্ টীরভেল্ট (জিমাকস্ আ্যনিমল্, সিলম্যানস্ আ্যনিমল ওয়ার্ল্ড), জুলাই ১৯৮১, পৃষ্ঠা ৩৪ এবং ৩৫-এ লেখক এক গোখরো সাপের কথা বলেন যে শ্রীলঙ্কাতে তার জমিতে এক উইয়ের ঢিবিতে বাস করত। তিনি এক সাপুড়েকে এই জংলী সাপটিকে ধরে তার নাচ দেখাতে বলেন। লেখক বলেন: “সেখানে যে একটা সাপ বাস করে তা আমার অতিথিকে বিশ্বাস করাবার পর, সাপুড়ে উই ঢিবির সামনে বসে তার বাঁশী বাজাতে শুরু করল। অনেকক্ষণ পর—আমি ধরেই নিয়ে ছিলাম যে আর কিছু হবে না—গর্তের থেকে কিছু সেন্টিমিটার বাইরে গোখরো সাপটি তার মুখ বার করল। সাপটি মুখ খোলার আগেই সাপুড়ে তাড়াতাড়ি বুড়ো আঙ্গুল ও অন্য দুটো আঙ্গুলের মাঝখানে তার মাথাটা চেপে ধরে।” তারপর সত্যিই, ভারতীয় সাপটির নাচ দেখালো।
সুতরাং প্রমাণ আছে যে গোখরো সাপ “সাপুড়েদের স্বর শুনে।”—নিউ ওয়ার্ল্ড ট্রান্সলেশন অফ দ্যা হোলী স্ক্রিপচারস—উইথ্ রেফারেন্সেস্, আ্যপেন্ডিক্স ৭ক, পৃষ্ঠা ১৫৮৩. (g93 7/22)