এইডস-এ আক্রান্ত হওয়াকে আমি কিভাবে এড়াতে পারি?
“আমার রাগ হচ্ছে যে আমি কেন এটা হতে দিলাম,” বলে কেএ। আমার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমার ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তগুলি তা ছিনিয়ে নিয়েছে।” (নিউজ্উইক্ ম্যাগাজিন, আগস্ট ৩, ১৯৯২) কেএ, ১৮ বছর বয়সে এইডস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়।
কেএ হল, যুক্তরাষ্ট্রের দশ লক্ষেরও বেশি মারাত্মক এইচ আই ভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস) দ্বারা আক্রান্তদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন—ডাক্তারেরা বলেন যে এই ভাইরাসের জন্য ভয়াবহ এইডস রোগ হয়।a বাস্তবিক, কেউই সঠিকরূপে জানে না যে কতজন যুবক-যুবতী এইডস-এ আক্রান্ত, কিন্তু অবশ্যই যুবক-যুবতীরা এই বিষয়ে চিন্তিত। এক সমীক্ষা দেখায় যে ইংরেজ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এইডস হল সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ। সেই ধরনের চিন্তা থাকা সত্ত্বেও ইউ.এস. রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলি বলে: “যেখানে এইচ আই ভি সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে সেইরূপ আচার-ব্যবহারে বহু কিশোর-কিশোরীরা ক্রমাগত লিপ্ত রয়েছে।”
a “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য. . . এইডস—আমার কি হওয়ার ঝুঁকি আছে?” প্রবন্ধটি দেখুন, যা ডিসেম্বর ৮, ১৯৯৩, আওয়েক!-এ বার হয়েছে।
এইডস সবসময় প্রাণনাশক, আর এটি জগদ্ব্যাপী মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। তুমি কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবে?
এইডস—বাস্তব বিষয় থেকে ভুল ধারণা পৃথক করা
ইউ.এস. রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র দ্বারা প্রস্তুত একটি পুস্তিকা ব্যাখ্যা করে: “এইচ আই ভি সংক্রমণ ‘হঠাৎ ঘটে’ না। সর্দিকাশি বা জ্বরের মত আপনি এর দ্বারা ‘আক্রান্ত’ হন না।” সুতরাং, এইডস রোগীদের সাথে প্রতিদিন সাধারণ সংস্পর্শে এলে তা ঝুঁকির বিষয় নয়। এইডস রোগে আক্রান্ত সহপাঠীর কাছে তুমি বস বলে সংক্রামিত হওয়া সম্পর্কে তোমার চিন্তার কোন দরকার নেই। যেহেতু এইচ আই ভি বায়ুবাহিত ভাইরাস নয় তাই যদি এইডস রোগী কাশে বা হাঁচে তাহলে তোমার চিন্তা করার কোন কারণ নেই। এমনকি এইডস রোগীর পরিবারের সদস্যেরা একই তোয়ালে, খাবারের থালাবাসন এমনকি দাঁত মাজার ব্রাশ ব্যবহার করেও ভাইরাস ছড়ায়নি।b
b যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সার্জন জেনারল, ডা. সি. ইভ্রেট কুউপ এই বলে সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তিদের উত্তর দেন: “এই দেশে প্রথম এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সম্বন্ধে রিপোর্ট করা হয় ১৯৮১ সালে। এতদিনে আমরা জানতে পেরে গেছি যে এইডস সাধারণ সংস্পর্শের মাধ্যমে, যৌন সংস্পর্শে না এসে হয় না।”
এর কারণ হল এই মারাত্মক ভাইরাস রোগীর রক্ত, শুক্ররস বা যোনি রসে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাহলে, এইডস আসে যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে—সমকাম বা বিপরীত লিঙ্গ কাম।c একই সূচ বা ইঞ্জেকশন ব্যবহার করে বহু লোকে আক্রান্ত হয়েছে, বেশির ভাগ সময় এইচ আই ভি আক্রান্তদের সাথে ড্রাগের অপব্যবহার করে।d আর প্রচুর অনুসন্ধানের মাধ্যমে এর ঝুঁকি “প্রকৃতপক্ষে দূর করা হয়েছে,” বলে ডাক্তারেরা দাবি করলেও, এইডস রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে আসতে পারে।
c এর মধ্যে জড়িত আছে মুখগত ও পায়ুগত যৌন সঙ্গম।
d ইউ.এস. রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আরও সাবধান করে দেয়: “আপনি যদি আপনার কানে ফুটো করতে চান . . . তাহলে একজন যোগ্য ব্যক্তির কাছে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত হয়ে নিন যে একদম নতুন বা জীবানুমুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা পাবেন না।”
সুতরাং যে কেউ প্রাক্-বিবাহ যৌন সঙ্গমে লিপ্ত থাকে বা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অবৈধ ড্রাগ নিয়ে যারা পরীক্ষা করে, তাদের এইডস সংক্রমণ হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি আছে। সত্য, যে এক সম্ভাব্য যৌন সাথীকে দেখলে অসুস্থ বলে মনে হবে না। কিন্তু, এইচ আই ভি সম্পর্কে স্বেচ্ছায় পরামর্শ প্রদান ও পরীক্ষা গ্রহণ: প্রকৃত সত্য, বিতর্কের বিষয় ও উত্তরগুলি নামক পুস্তিকাটি স্মরণ করিয়ে দেয়: “কাউকে দেখে আপনি বলতে পারবেন না যে সেই স্ত্রী বা পুরুষ এইআইভি দ্বারা আক্রান্ত। কাউকে হয়ত দেখে সম্পূর্ণ সুস্থ লাগে বা সে সুস্থ বোধ করে কিন্তু সে রোগাক্রান্ত হতে পারে। সেইজন্য, বেশির ভাগ লোক যারা এইচ আই ভি দ্বারা আক্রান্ত তারা জানতে পারে না।”
“নিরাপদ যৌন-সঙ্গম”?
তাই বহু স্বাস্থ্য কর্মীরা ও শিক্ষকেরা কন্ডোম ব্যবহার করতে বলেন।e দূরদর্শন বিজ্ঞাপন, বিজ্ঞাপনের বোর্ড এবং স্কুলের ভাষণগুলি এই সংবাদ ছড়িয়েছে যে গর্ভনিরোধক বস্তুগুলি ব্যবহার করলে সঙ্গম হয় “নিরাপদ”—অথবা অন্তত “কিছুটা নিরাপদ।” কিছু কিছু স্কুল এমনকি ছাত্রদের মধ্যে কন্ডোম বিতরণও করেছে। সেই ধরনের প্রচারের জন্য প্রেরণা পেয়ে, এখন অসংখ্য যুবক-যুবতীরা তা ব্যবহার করছে।
e এফ ডি এ উৎপাদক পত্রিকা বলে: “কন্ডোম হল একটি খাপ যা সম্পূর্ণ পুরুষাঙ্গকে ঢেকে দেয়। শুক্ররস, রক্ত ও যোনিরস এক ব্যক্তি থেকে অপর ব্যক্তিতে না যাওয়ার জন্য প্রতিবন্ধক অথবা প্রাচীর হিসাবে কাজ করে এটি এস টি ডি (যৌন রোগ) থেকে রক্ষা করে।”
কিন্তু তবুও, “নিরাপদ যৌন-সঙ্গম” কতটা নিরাপদ? আমেরিকান রেড ক্রস্ দ্বারা প্রকাশিত একটি ব্রোশার বলে: “কন্ডোম সংক্রমণ এড়াবার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।” কিন্তু, যে রোগ সবসময়ই প্রাণনাশক বলে প্রমাণিত তা এড়াবার সম্বন্ধে শুধুমাত্র ‘সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেওয়াকে’ তুমি কি নিরাপদ মনে কর? ইউ.এস. রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলি স্বীকার করে: “ল্যাটেক্স কন্ডোমগুলি এইচ আই ভি এবং অন্যান্য যৌন রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে বলে প্রমাণিত হয়েছে . . . কিন্তু সেইগুলি সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য নয়।” এমনকি, এইগুলি সঙ্গমের সময় ভেঙ্গে, ছিঁড়ে বা খুলে যেতে পারে। টাইম অনুসারে, কন্ডোমের “ব্যর্থতার হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হতে পারে”! ব্যর্থতার হার এত বেশি থাকা সত্ত্বেও তুমি কি তোমার জীবনের ঝুঁকি নেবে? আর বিষয়টি আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে যৌনভাবে সক্রিয় যুবক-যুবতীদের মধ্যে অর্দ্ধেকেরও কম জন কন্ডোম ব্যবহার করে।
হিতোপদেশ ২২:৩ পদের পরামর্শ তাই যথাযথ: “সতর্ক লোক বিপদ দেখিয়া আপনাকে লুকায়, কিন্তু অবোধ লোকেরা অগ্রে গিয়া দণ্ড পায়।” এইডস এড়াবার একটি সর্বোত্তম উপায় হল ড্রাগের অপব্যবহার এবং অনৈতিক যৌন-সঙ্গম থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা। করার থেকে বলা সহজ? অনেকে সেইরূপ মনে করে, বিশেষকরে যুবক-যুবতীরা যা প্রচণ্ড চাপের সম্মুখীন হয় সেই জন্য।
চাপগুলি
‘সৌকুমার্য্যের সময়’ যৌন আবেগ খুব জোরালো হয়। (১ করিন্থীয় ৭:৩৬) তার উপর আছে দূরদর্শন ও চলচ্চিত্রের প্রভাব। কিছু গবেষণা অনুসারে, কিশোর-কিশোরীরা প্রতিদিন পাঁচ ঘন্টা করে টিভি দেখে—যার মধ্যে বেশির ভাগই যৌনরূপে জীবন্ত চিত্র। কিন্তু, দূরদর্শন জগতের রূপকথার গল্পে যৌন-সঙ্গমের কোন ফলাফল থাকে না। একটি গবেষণা প্রকাশ করে যে ইউ. এস. দূরদর্শনে “বিবাহিত পুরুষ ও স্ত্রীয়ের থেকে বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিলনকারী অবিবাহিত যুগলেরা চার থেকে আট গুণ বেশি যৌন মিলনে লিপ্ত থাকে। গর্ভনিরোধকের সম্বন্ধে উল্লেখ বা ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু স্ত্রী খুব কমই গর্ভবতী হয়; পুরুষ বা স্ত্রী খুব কমই যৌন রোগে সংক্রামিত হয় যদি না তারা বেশ্যা বা সমকামী হয়।”—জনগণের মনোনয়ন কেন্দ্র।
এই ধরনের কার্যক্রম বেশি করে দেখলে, তোমার আচার-ব্যবহারকে কি প্রকৃতই প্রভাবিত করে? হ্যাঁ করে, বাইবেলের নীতি গালাতীয় ৬:৭, ৮ পদ অনুসারে: “তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে। ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে।” চারশো যুবক-যুবতীদের নিয়ে একটি পরীক্ষা দেখায় যে “যারা ‘যৌন উত্তেজক’ দূরদর্শন বেশি দেখে তারা, যারা তা কম দেখে তাদের থেকে বেশি যৌনরূপে সক্রিয় হয়ে থাকে।”
আর একটি শক্তিশালী প্রভাব হল, সমবয়সীদের কাছ থেকে চাপ। “আমি এমন এক দলকে খুঁজছিলাম যার মধ্যে আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারব, আর তা পাওয়া কঠিন,” বলে ডেভিড নামে এক কিশোর। “আমি অনেকবার নিজেকে প্রকৃতই মন্দ পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছি . . . পরীক্ষা দেখায় আমার এইডস হয়েছে।” অনুরূপে, বাইবেলের কালের যুবক-যুবতীরাও অনেক সময় সহসাথীদের চাপে পড়ে। বাইবেলের পরামর্শ? “বৎস,” বলেন হিতোপদেশের লেখক, “যদি পাপীরা তোমাকে প্রলোভন দেখায় তুমি সম্মত হইও না।”—হিতোপদেশ ১:১০.
না বলা
“নিরাপদ যৌন-সঙ্গম”-এর পক্ষে যারা উৎসাহ দেয় তারা তর্ক করে যে সম্পূর্ণ ত্যাগ করা অবাস্তব। কিন্তু অবশেষে, এটি কি অনৈতিকতাকে এড়াতে সাহায্য করে? এক কিশোর বলে যে তা যুবক-যুবতীদের শুধুমাত্র বিভ্রান্ত করে তোলে, সে বলে: “তারা আমাদের যৌন-সঙ্গমকে না বলতে বলে এবং বলে নৈতিক দিক দিয়ে স্বাস্থ্যকর ও শুদ্ধ থাকা ভাল। আর তার সাথে সাথে তারা [কন্ডোম] বিলি করে থাকে আর বলে যে কোন পরিণাম ছাড়াই কিভাবে যৌন মিলনে লিপ্ত থাকা যায়।”
সেইরূপ নৈতিক বিভ্রান্তির বলি যেন না হও। বাইবেল—যদিও সেকেলে বলে মনে হয়—তোমাদের সেইরূপ আচার-ব্যবহারকে এড়িয়ে চলতে বলে যার জন্য তোমার এইডস হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। তুমি যদি বাইবেলের আজ্ঞা ‘রক্ত হইতে পৃথক থাক’ পালন কর তাহলে তুমি রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে এইডস দ্বারা সংক্রামিত হবে না। (প্রেরিত ১৫:২৯) “ড্রাগ নেওয়া” সম্বন্ধে বাইবেলের বিধিনিষেধকে পালন করলে দূষিত ইঞ্জেকশনের সূচের দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার ভয় তোমার থাকবে না। (গালাতীয় ৫:২০; প্রকাশিত বাক্য ২১:৮; দ্যা কিংডম ইন্টারলিনিয়ার) বিশেষভাবে যৌন নৈতিকতা সম্পর্কে বাইবেলের নীতি তোমাকে রক্ষা করবে। “তোমরা ব্যভিচার হইতে পলায়ন কর,” বাইবেল আজ্ঞা দেয়। “মনুষ্য অন্য যে কোন পাপ করে, তাহা তাহার দেহের বহির্ভূত; কিন্তু যে ব্যভিচার করে, সে নিজ দেহের বিরুদ্ধে পাপ করে।” (১ করিন্থীয় ৬:১৮) এইডস-এর এই সমস্যা ওই বাক্যগুলির প্রজ্ঞার বিষয় জোর দেয়।
কিভাবে এক যুবক বা যুবতী অনৈতিকতা থেকে “পলায়ন” করতে পারে? বহু বছর ধরে “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য. . . ” প্রবন্ধগুলি বহু ব্যবহারিক পরামর্শ দিয়ে এসেছে, যেমন দলের মধ্যে থেকে যুবক-যুবতীদের একাকী মেলামেশা, আপোশ করার মত পরিস্থিতিকে এড়ানো (যেমন বিপরীত লিঙ্গের সাথে একা একটি ঘরে বা বাড়িতে অথবা দাঁড় করানো গাড়ির মধ্যে থাকা), অনুরাগের অভিব্যক্তি প্রকাশ করা সম্পর্কে সীমা রাখা, মদ্য জাতীয় বস্তুর ব্যবহার এড়ানো (যা অনেক সময় উত্তম নির্ণয়ে ব্যাঘাত আনতে পারে) এবং যদি পরিস্থিতি প্রেমাসক্তি দ্বারা পরিচালিত হয় তাহলে সেখানে দৃঢ়ভাবে না বলা।f যে কোন পরিস্থিতিতেই তোমাকে এমন ব্যবহার করাতে কাউকে সুযোগ দিও না যা শুধুমাত্র দৈহিকরূপেই নয় কিন্তু তা আধ্যাত্মিকরূপে বিনাশজনক হতে পারে। (হিতোপদেশ ৫:৯-১৪) “তুমি কি তোমার জীবন অন্যের হাতে ছেড়ে দেবে?” নিউজ্উইক প্রবন্ধে উল্লেখিত অ্যামি নামে এক যুবতী বলে। মাধ্যমিক পাশ করার আগেই সে তার পুরুষ বন্ধু কাছ থেকে এইচ আই ভি দ্বারা সংক্রামিত হয়। সে লক্ষ্যণীয়রূপে জিজ্ঞাসা করে: “একটি ছেলে বা মেয়ে কি মারা যাওয়ার যোগ্য? আমার সন্দেহ আছে।” (g93 9/8)
f উদাহরণস্বরূপ, এপ্রিল ২২, ১৯৮৬; এপ্রিল ২২, ১৯৮৯; এবং এপ্রিল ২২, ১৯৯২ সালের “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য. . . ” প্রবন্ধটি আওয়েক!-এর ইংরাজি সংস্করণে দেখুন।
যৌন চাপের শিকার হলে এইডস হতে পারে