ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৫ ৭/৮ পৃষ্ঠা ৩-৪
  • দাদুদিদিমাদের ক্ষেত্রে কী ঘটছে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • দাদুদিদিমাদের ক্ষেত্রে কী ঘটছে?
  • ১৯৯৫ সচেতন থাক!
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কয়েকটি সমস্যা কী?
    ১৯৯৫ সচেতন থাক!
  • একসাথে প্রেমে বসবাস করা
    ১৯৯৫ সচেতন থাক!
  • বয়স্ক পিতামাতাদের সম্মান করার পুরস্কারগুলি
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • খ্রীষ্টীয় পরিবার বয়স্ক ব্যক্তিদের সাহায্য করে
    ১৯৯৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৫ সচেতন থাক!
g৯৫ ৭/৮ পৃষ্ঠা ৩-৪

দাদুদিদিমাদের ক্ষেত্রে কী ঘটছে?

ইটালির সচেতন থাক! পত্রিকার প্রতিনিধি কর্তৃক

“একজন দাদু হিসাবে, আমি কখনও বিশ্বাস করতে পারিনি যে আমি আমার নাতিনাতনীদের কাছে স্নেহের পাত্র হয়ে উঠব। এরা যেন একটা উপহার​—স্নেহের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে তোলার ক্ষেত্রে এরা হল এক মধুর ও সরল প্রতিনিধিদের দল।”​—ইটোরা, একজন দাদু।

উপরে উল্লেখিত এই মধুর সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও আজকের দিনে দাদুদিদিমা, বাবামা এবং নাতিনাতনীরা একে অপরের সাথে সবসময় এই উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে না। পরস্পরের সাথে সহযোগিতা করার পরিবর্তে অধিকাংশ সময়েই এই তিন বংশের লোকেরা সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়। এর ফল কী দাঁড়ায়? বয়স্কদের জন্য একাকীত্ব ও নিরানন্দের বৃদ্ধি, অর্থাৎ সেই দাদুদিদিমাদের জন্য​—⁠পরিবারের এমন সদস্য যারা প্রায়ই মর্মাঘাত ও বিচ্ছিন্ন এবং যাদের কাছে পরিবারের অন্যান্য সদস্যেরা আসে যখন তারা কোন অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। আপনার পরিবারের পরিস্থিতি কিরকম? সেখানে কি দাদুদিদিমাদের প্রতি প্রকৃত উপলব্ধি দেখানো হয়?

বিগত কয়েকটি দশকে, জগদ্ব্যাপী এক লক্ষণীয় পরিবর্তন পরিবার ও তার অন্তর্নিহিত বংশগুলির মধ্যে পরস্পর সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে, যার ফলে পিতৃশাসিত পরিবার বলতে গেলে প্রায় সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়েছে। ইউরোপে, মাত্র ২ শতাংশ বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের সন্তানদের সাথে বাস করেন। এমনকি শিল্পপ্রধান দেশগুলিতে, সম্প্রতি আয়ুর হার বৃদ্ধি এবং জন্মের হ্রাস পাওয়ার দরুন সাধারণ জনসংখ্যার তুলনায় দাদুদিদিমাদের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরোপের জনসংখ্যার প্রায় ২৬ শতাংশ হল দিদিমা ও দাদুরা আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের দ্বারা প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে এই সংখ্যা “অবশ্যম্ভাবীরূপে বৃদ্ধি পাবে।” আসাহি ইভিনিং নিউস জানায় যে, জাপান “তার বয়স্ক নাগরিকদের দেখাশোনা করার ক্ষেত্রে বংশ পরম্পরাগত রীতির জন্য গর্বিত।” তবুও, প্রকৃত প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও দাদুদিদিমাদের হাসপাতালে এবং বিশেষ নারসিংহোমে ভর্তি করার অভ্যাসটি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষকরে শহরগুলিতে। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও, যেখানে বয়স্কদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন একটা পরম্পরাগত রীতি ছিল, এমনকি সেখানেও কেপ টাউনের সংবাদপত্র দ্যা কেপ টাইমস অনুসারে বৃদ্ধদের পরিত্যাগ করার এক বেদনাদায়ক প্রবণতা এখন দেখা দিয়েছে। রিপোর্টটি জানায় যে পরিবারগুলি “সম্পূর্ণরূপে জীবনকে উপভোগ করতে চায়” এবং তারা “নিজেদের এইভাবে সান্ত্বনা দিয়ে থাকে যে একবার যখন তারা দিদিমার জন্য বৃদ্ধাদের নার্সিংহোমে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে এটাই তাদের পক্ষে যথেষ্ট।”

সেই একই সংবাদপত্রটি নির্দিষ্ট ঘটনার কথা জানায় যেখানে একজন বয়স্ক দিদিমাকে তার তিনটি সন্তান একটি নামকরা বৃদ্ধাদের আশ্রমে রাখে এবং তাকে “নিয়মিতভাবে দেখাশোনা ও সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।” কিন্তু তার কী হয়? “শুরুতে নিয়মিতরূপে আসাযাওয়া করা হত। কয়েক সপ্তাহ পর সেটি কমে সপ্তাহে তিনবার দাঁড়ায়। তারপর সপ্তাহে একবার। একবছর বাদে মাসে দুই বা তিনবার, এরপর বছরে পাঁচ বা ছয়বার এবং পরিশেষে একেবারই দেখতে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।” কিভাবে এই দিদি­মাটি তার এই সীমাহীন দিনগুলি কাটাতেন? মর্মভেদী বর্ণনাটি এইভাবে বিবরণ দেয়: “তার ঘরের জানালা থেকে একটি গাছ দেখা যেত এবং তার জীবন্ত সাথী ছিল ঘুঘু পাখি ও স্টারলিং পাখি যা সেই গাছটিতে বসত। তিনি এতই সাগ্রহে তাদের আসার অপেক্ষায় থাকতেন যেন তারা তার নিকট আত্মীয়।”

ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার জীবনধারায় পাশ্চাত্ব্যের প্রভাব পড়ার দরুন, অনেকে বাধ্য হয়ে শহরে যায় কাজ খুঁজতে এবং একই ঘটনা ঘটছে উপজাতি পরিবারগুলিতেও। সামাজিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ছাড়াও দাদুদিদিমাদের পরিত্যাগ করার অরও অন্যান্য কারণের মধ্যে একটি হল মানবিক গুণগুলি যা একটি সুখী সামাজিক ও পারিবারিক জীবনকে উন্নত করে​—⁠যেমন মঙ্গলভাব, প্রতিবেশীর প্রতি সম্মান, পারিবারিক প্রেম, এইগুলির বিলুপ্তি​—⁠আর অপর দিকে স্বার্থপরতা, ভোগবিলাস, অহংকার এবং বিদ্রোহী মনোভাবেরর প্রসার। শাস্ত্র অনুসারে এইধরনের নৈতিক অবনতিই হল সেই চিহ্ন যে আমরা “শেষ কালে” বাস করছি। (২ তীমথিয় ৩:​১-৫) অতএব সমৃদ্ধশালী ও দৃঢ়তার উৎস হিসাবে দাদুদিদিমাদের গণ্য না করে, প্রায়ই সন্তান ও নাতিনাতনীরা তাদের এক বোঝাস্বরূপ বাধা, দ্রুতগামী সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে মনে করে।a

প্রাচীন ও নবীনের মধ্যে যে ব্যবধান তা ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে এবং তা অত্যন্ত চাপের সৃষ্টি করে, বিশেষকরে যখন বয়স্কেরা তাদের পরিবারের সাথে একসঙ্গে বাস করেন। তবুও দাদুদিদিমাদের অবদান খুবই উপকারজনক হতে পারে! তাহলে, সেই বংশের প্রধান সমস্যাগুলি কী যা দাদুদিদিমা, সন্তান এবং নাতিনাতনীদের যে মধুর সম্পর্ক তা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে? আর কিভাবে দাদুদিদিমারা পরিবারের মধ্যে তাদের মূল্যবান ভূমিকাকে আবার পুনর্প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন? (g95 7/8)

[পাদটীকা]

a এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে কয়েকটি বার্ধক্যজনিত এবং গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যার ক্ষেত্রে, অভিজ্ঞ লোকেদের অধীনে নারসিং হোমে ভর্তি করা হয়ত কিছু বৃদ্ধ পিতামাতাদের জন্য প্রেমময় ও বাস্তধর্মী ব্যবস্থা হতে পারে।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার