ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g০৩ ১০/৮ পৃষ্ঠা ১১-১৩
  • আপনার স্বাস্থ্যকে রক্ষা করার ৬টা উপায়

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনার স্বাস্থ্যকে রক্ষা করার ৬টা উপায়
  • ২০০৩ সচেতন থাক!
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • সুস্থ থাকার কিছু উপায়
    ২০১৫ সচেতন থাক!
  • হাত ধুয়ে মুছতে ভুলবেন না যেন!
    ১৯৯৯ সচেতন থাক!
  • কীভাবে আপনি একটা ঘর সামলাতে পারেন?
    পারিবারিক সুখের রহস্য
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কেন তা গুরুত্বপূর্ণ?
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০৩ সচেতন থাক!
g০৩ ১০/৮ পৃষ্ঠা ১১-১৩

আপনার স্বাস্থ্যকে রক্ষা করার ৬টা উপায়

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা

আজকে অনেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কঠোরভাবে চেষ্টা করে থাকে, বিশেষ করে সেই দেশগুলোতে যেখানে বিশুদ্ধ জল ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা দুর্লভ। তা সত্ত্বেও, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রচেষ্টার মূল্য রয়েছে। অনুমান করে দেখা গেছে যে, ছোট বাচ্চাদের সব ধরনের অসুস্থতা ও মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশির কারণ হল রোগজীবাণু, যা ময়লা হাত অথবা দূষিত খাবার বা জলের মাধ্যমে তাদের মুখে ঢোকে। রাষ্ট্রসংঘের শিশু তহবিল দ্বারা প্রণীত জীবনের কিছু তথ্য (ইংরেজি) নামক একটা প্রকাশনায় উল্লেখিত নিচে দেওয়া পরামর্শগুলো মেনে চলার দ্বারা অনেক রোগব্যাধি, বিশেষ করে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

১ মলকে সাবধানতার সঙ্গে ঢেকে ফেলুন

মলে প্রচুর রোগজীবাণু পাওয়া যায়। যখন রোগ বহনকারী জীবাণুগুলো জল ও খাবারে অথবা হাতে, বাসনপত্রে কিংবা খাবার তৈরি বা পরিবেশনের জন্য ব্যবহৃত পাত্রে চলে আসে, তখন সেগুলো মুখে চলে যেতে পারে ও গিলে ফেলা হতে পারে, যার ফলে রোগব্যাধি হয়। এই ধরনের রোগজীবাণু ছড়ানোকে প্রতিরোধ করার সর্বোত্তম উপায় হল, সমস্ত মল ঢেকে ফেলা। টয়লেট বা পায়খানাতে গিয়ে মলত্যাগ করা উচিত। নিশ্চিত হোন যে, ঘরের কাছে, রাস্তায় বা যে-জায়গাগুলোতে ছেলেমেয়েরা খেলা করে, সেখানে পশুপাখির কোনো মল নেই।

যেখানে টয়লেট বা পায়খানা নেই, সেখানে সঙ্গে সঙ্গে মল মাটি দিয়ে চাপা দিন। মনে রাখবেন যে, সমস্ত মল এমনকি শিশুদের মলেও জীবাণু রয়েছে, যা রোগ ছড়াতে পারে। শিশুদের মলও পায়খানাতে ফেলা বা মাটি দিয়ে চাপা দেওয়া উচিত।

পায়খানা এবং টয়লেটগুলো ঘন ঘন পরিষ্কার করুন। পায়খানাগুলো ঢেকে রাখুন এবং টয়লেট সবসময় ফ্লাশ করুন।

২ আপনার হাত ধোন

আপনার হাত নিয়মিতভাবে ধোয়া উচিত। সাবান ও জল বা ছাই ও জল দিয়ে হাত ধোয়া রোগজীবাণুগুলো ধুয়ে দেয়। শুধুমাত্র জল দিয়ে আলতোভাবে হাত ধোয়া যথেষ্ট নয়—দুহাতই সাবান বা ছাই দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।

পায়খানা করার পর এবং কোনো শিশু বা বাচ্চা যে সবেমাত্র পায়খানা করেছে, তাকে পরিষ্কার করে দেওয়ার পর আপনার হাত ধোয়া অত্যাবশ্যক। এ ছাড়া, কোনো পশুপাখিকে খাবার দেওয়ার পরে, খাবার পরিবেশন করার আগে ও শিশুকে খাওয়ানোর আগে আপনার হাত ধোন।

হাত ধোয়া লোকেদের সেই সমস্ত কৃমি থেকে রক্ষা করে, যেগুলো রোগের কারণ হয়। এই কৃমিগুলো এত ছোট যে, এক অণুবীক্ষণযন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না। এগুলো মলমূত্রে, জলের ও মাটির তলদেশে এবং কাচা অথবা ভালভাবে রান্না না হওয়া মাংসে থাকে। এই কৃমিগুলো যাতে শরীরে না যায়, সেটা প্রতিরোধ করার এক প্রধান উপায় হল আপনার হাত ধোয়া। এ ছাড়া, আপনি যখন পায়খানাগুলোর কাছাকাছি হাঁটাচলা করেন, তখন জুতো পায়ে দেওয়ার দ্বারা সেখানে থাকা কৃমিগুলোকে আপনার পায়ের চামড়া দিয়ে শরীরে প্রবেশ করা থেকে প্রতিরোধ করতে পারেন।

বাচ্চারা প্রায়ই তাদের হাত মুখে দেয়, তাই বার বার তাদের হাত ধুয়ে দিন, বিশেষ করে তাদের পায়খানা করার পর ও খাওয়ার আগে। তাদের নিজেদের হাত ধুতে এবং পায়খানা, টয়লেট বা মলত্যাগের জায়গাগুলোর কাছাকাছি খেলা না করার বিষয়ে শেখান।

৩ প্রতিদিন আপনার মুখ ধোন

চোখের ইনফেকশন রোধ করায় সাহায্য করতে, প্রতিদিন সাবান ও জল দিয়ে আপনার মুখ ধোন। এ ছাড়া, বাচ্চাদের মুখও ধুয়ে দেওয়া উচিত। নোংরা মুখ মাছিদের আকৃষ্ট করে, যেগুলো রোগজীবাণু বহন করে। এই রোগজীবাণুগুলো চোখের ইনফেকশন সৃষ্টি করতে ও এমনকি অন্ধ করে দিতে পারে।

আপনার বাচ্চার চোখ নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করুন। সুস্থ চোখ সাধারণত আর্দ্র ও উজ্জ্বল থাকে। চোখ যদি শুকনো, লাল বা ফোলা থাকে কিংবা চোখ দিয়ে যদি আঠালো জলের মতো পড়ে, তা হলে বাচ্চাকে একজন স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তারের কাছে পরীক্ষা করানো উচিত।

৪ কেবল পরিষ্কার জল ব্যবহার করুন

পরিবারগুলো যখন পরিষ্কার জল ব্যবহার করে ও এটাকে জীবাণুমুক্ত রাখে, তখন তাদের কম রোগব্যাধি হয়। সম্ভবত আপনার জল পরিষ্কার থাকে, যখন তা সঠিকভাবে নির্মিত ও সুবিন্যস্ত পাইপের দ্বারা অথবা অদূষিত কুয়ো এবং ঝরণা থেকে পাওয়া যায়। পুকুর, নদী ও খোলা জলাধার কিংবা সাধারণ কুয়ো থেকে পাওয়া জল সম্ভবত খুব কমই পরিষ্কার থাকে কিন্তু ফুটানোর মাধ্যমে এটাকে কিছুটা নিরাপদ করা যেতে পারে।

কুয়োগুলো ঢেকে রাখা উচিত। জল ওঠানো ও জমানোর জন্য ব্যবহৃত বালতি, দড়ি এবং পাত্রগুলোকে নিয়মিতভাবে ধোয়া ও পরিষ্কার জায়গায় রাখা উচিত, মাটির ওপর নয়। পশুপাখিদের পানীয় জলের উৎসগুলোর কাছ থেকে এবং পরিবার বসবাসের এলাকাগুলো থেকে দূরে রাখা উচিত। কোনো জলের উৎসের কাছে কীটনাশক পদার্থ বা রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করবেন না।

ঘরে ঢাকনা দেওয়া পরিষ্কার পাত্রে জল রাখা উচিত। কল লাগানো এক জলের পাত্র সবচেয়ে ভাল। যদি কোনো কল লাগানো না থাকে, তা হলে লম্বা হাতলওয়ালা চামচ বা কাপ দিয়ে পাত্র থেকে জল নেওয়া উচিত। পানীয় জলকে কখনও ময়লা হাতে স্পর্শ করা উচিত নয়।

৫ খাবারকে রোগজীবাণু থেকে নিরাপদে রাখুন

খাবার ভালভাবে রান্না করার মাধ্যমে আপনি রোগজীবাণু মেরে ফেলতে পারেন। খাবার, বিশেষ করে হাঁস-মুরগির মাংস সহ সমস্ত মাংসই ভাল করে রান্না করা উচিত। অল্প উষ্ণ খাবারে রোগজীবাণু খুব তাড়াতাড়ি বংশবৃদ্ধি করে। তাই, খাবার রান্না করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে ফেলা উচিত। আপনাকে যদি খাবার দুঘন্টারও বেশি সময় রেখে দেওয়ার দরকার হয়, তা হলে নিশ্চিত হোন যে সেটা এমন এক জায়গায় রাখা হয়েছে, যা হয় গরম বা ঠাণ্ডা জায়গা। এ ছাড়া, যদি আপনাকে আরেক বেলার জন্য রান্না করা খাবার তুলে রাখতে হয়, তা হলে সেটা ঢেকে রাখুন। এটা খাবারকে মাছি ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা করে। খাওয়ার আগে খাবার আবারও গরম করুন।

শিশু ও ছোট বাচ্চাদের জন্য মায়ের দুধ হচ্ছে সবেচেয়ে ভাল ও নিরাপদ দুধ। পশুর দুধ যা ভালমতো ফোটানো হয়েছে বা পাস্তুরিত করা হয়েছে, তা ফোটানো হয়নি এমন দুধের চেয়ে নিরাপদ। প্রতিবার ব্যবহারের আগে ফুটন্ত জলে বোতল ধোয়া না হলে বোতলে দুধ খাওয়ানো এড়িয়ে চলুন। দুধ খাওয়ানোর বোতলগুলোতে প্রায়ই রোগজীবাণু থাকে, যা ডায়রিয়া ঘটাতে পারে। বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানো বা কোনো পরিষ্কার কাপ দিয়ে খাওয়ানো আরও ভাল।

ফল ও শাকসবজি পরিষ্কার জল দিয়ে ধোন। এটা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ, যদি শিশু বা বাচ্চাদের সেগুলো কাঁচা খেতে দেওয়া হয়।

৬ ঘরের সমস্ত আবর্জনা ফেলে দিন

মাছি, আরশোলা, ইদুঁর ও নেংটি ইদুঁর সমস্তই রোগজীবাণু বহন করে। এই প্রাণীগুলো আবর্জনায় বৃদ্ধি পায়। আপনি যেখানে থাকেন, সেখানে যদি কোনো আবর্জনা সংগ্রহের ব্যবস্থা না থাকে, তা হলে আপনার ঘরের আবর্জনাগুলো একটা গর্তে ফেলুন, যা চাপা দেওয়া যেতে পারে বা যেখানে পুড়িয়ে ফেলা যেতে পারে। আপনার ঘরদোর পরিষ্কার, আবর্জনামুক্ত এবং নোংরা জল থেকে মুক্ত রাখুন।

আপনি যদি নিয়মিতভাবে এই পরামর্শগুলো মেনে চলেন, তা হলে আপনি শীঘ্রই দেখবেন যে, সেগুলো আপনার রোজকার তালিকার একটা অংশ হয়ে উঠেছে। এগুলো তেমন কঠিন বিষয় নয় এবং প্রয়োগ করার জন্য তেমন পয়সা খরচ হয় না কিন্তু এগুলো আপনার ও আপনার পরিবারের স্বাস্থ্যকে রক্ষা করবে। (g০৩ ৯/২২)

[১১ পৃষ্ঠার চিত্র]

যেখানে টয়লেট বা পায়খানা নেই, সেখানে মল সঙ্গে সঙ্গে মাটি দিয়ে চাপা দিন

[১১ পৃষ্ঠার চিত্র]

নিয়মিতভাবে আপনার হাত ধোন

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

পরিবারগুলো যখন পরিষ্কার জল ব্যবহার করে ও এটাকে জীবাণুমুক্ত রাখে, তখন তাদের রোগব্যাধি কম হয়

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

প্রতিদিন সাবান ও জল দিয়ে আপনার মুখ ধোন

[১৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

যদি আপনাকে আরেক বেলার জন্য রান্না করা খাবার তুলে রাখতে হয়, তা হলে সেটা ঢেকে রাখুন

[১৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঘরের আবর্জনাগুলো প্রতিদিন মাটি চাপা দেওয়া বা পুড়িয়ে ফেলা উচিত

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার