হাত ধুয়ে মুছতে ভুলবেন না যেন!
আমাদের কিভাবে ঠাণ্ডা লাগে বা অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগ হয়? ইউ. এস এসোসিয়েশন ফর প্রফেশনালস্ ইন ইনফেক্শন কন্ট্রোল অ্যান্ড এপিডেমিওলজি অনুসারে, কমপক্ষে ৮০ শতাংশ ছোঁয়াচে রোগ কেবল বাতাসের মাধ্যমে নয় বরং আমাদের হাতের মাধ্যমেই ছড়ায়। তাই, হাত ধোওয়া রোগ ছড়ানোকে রোধ করার একটা খুবই জরুরি উপায় বলে মনে করা হয়। কিন্তু, অনেকেই টয়লেট ব্যবহার করার পর, নাক পরিষ্কার করার পর কিংবা খাওয়ার আগে সবসময় হাত ধোন না। আবার অনেকেই আছেন যারা এই কাজগুলো করার আগে বা পরে হাত ধোন। কিন্তু, তাড়াহুড়ো করে কোন রকমে হাত ধুয়ে নেওয়া মানেই যে রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি একেবারে চলে গেল তা নয়।
তাই হাত মুছে শুকনো করে নেওয়াও ততটাই জরুরি। ইংল্যান্ডের ইউনিভারসিটি অফ ওয়েস্টমিনিস্টার এর গবেষকেরা দেখেছেন যে অনেকেই তাদের হাত ধোয়ার পর ভালভাবে শুকান না, বিশেষ করে যখন তারা হাত শুকানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করেন। ফলে অনেকেই তাদের হাত শুকানোর জন্য গায়ের জামায় হাত মোছেন। আর এভাবে হাতে যে ক্ষতিকর জীবাণুগুলো থেকে যায় সেগুলো অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। গবেষকেরা বলেন যে সবচেয়ে ভাল হয় যদি হাত মোছার জন্য একবার ব্যবহার করে ফেলা যায় এমন (ডিস্পোজেবল) টিস্যু পেপার কিংবা পরিষ্কার কাপড়ের তোয়ালে ব্যবহার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র, হাত ধোয়ার ব্যাপারে নিচের পরামর্শগুলো দেয়:
• সবসময় হালকা গরম জলে হাত পরিষ্কার করুন ও অল্প ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। কলের জলের বদলে যদি গামলায় হাত ধুতে হয় তবে প্রতি বার হাত ধোয়ার পর এটাকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করে নিন। ভেজা তোয়ালেতে হাত মুছলে হাত ভাল মতো পরিষ্কার হয় না।
• সাবানের ফেনা না ওঠা পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ সেকেন্ড ভাল করে দুহাত কচলান। হাতের ওপরে, তালু এবং আঙ্গুলের মাঝখান ও নখের নিচও ভালভাবে পরিষ্কার করুন।
• হালকা গরম জলে হাত ধুয়ে ফেলুন।
• পরিষ্কার অথবা ব্যবহার করা হয়নি এমন তোয়ালে দিয়ে হাত মুছুন। পরিষ্কার হাত দিয়ে কল বা তোয়ালে রাখার তাকটা ধরবেন না।
• কল বন্ধ করার জন্য হাতে তোয়ালে জড়িয়ে নিন যেন কলে হাত না লাগে।
• ছোট ছেলেমেয়েদের এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত ধোয়া উচিত যেন তাদের হাত কোথাও না লাগে এবং ঠিক জলের নিচে থাকে। ওপরের সবগুলো ধাপ পালন করতে আপনার ছেলেমেয়েকে সাহায্য করুন আর পরে একইভাবে আপনি নিজেও হাত ধুয়ে নিন।