এই গরমে কোন কোন ছবি চলছে?
গ্রীষ্মের আগমন আপনার কাছে কী অর্থ রাখে? আবহাওয়া পালটে যদি গরম হতে থাকে, তা হলে গ্রীষ্ম ঋতু হয়তো মনোরম ছুটি কাটানোর আহ্বান জানায়—হতে পারে সমুদ্রসৈকতে কিংবা পার্কে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রে চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সেই কোটি কোটি লোকের ওপর নির্ভর করছে, যারা গ্রীষ্মের অধিকাংশ সময় ইনডোরে সিনেমা দেখে কাটাবে। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই চলচ্চিত্রের কমপক্ষে ৩৫,০০০টা পর্দা রয়েছে আর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই দেশে বক্স-অফিস মুনাফার (টিকিট বিক্রির আয়) মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই হয়ে থাকে গরমের সময়ে।a “এটা অনেকটা বড়দিনের মরসুমে যেমন মুনাফা হয়ে থাকে সেইরকম,” মুভিলাইন পত্রিকার হাইডি পার্কার বলেন।
অবশ্য সবসময় এমনটা ছিল না। গ্রীষ্মকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহগুলোর ব্যাবসা মন্থর ছিল, যা অনেক প্রেক্ষাগৃহকে তাদের ছবি প্রদর্শনের তালিকাকে সীমিত করতে বা সেই ঋতুতে প্রদর্শন বন্ধ রাখতে পরিচালিত করেছিল। কিন্তু ১৯৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রেক্ষাগৃহগুলো কোটি কোটি লোককে গরম থেকে স্বস্তি পাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করছিল। এ ছাড়া, ছেলেমেয়েদের স্কুল বন্ধ থাকায় তারা এক সম্ভাব্য বাজার ছিল আর এই বিষয়টা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নজর এড়ায়নি। আর অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রীষ্মকালীন ব্লকবাস্টার ছবির সূত্রপাত ঘটে।b এটা চলচ্চিত্র তৈরি ও বাজারজাত করার পদ্ধতিকে পালটে দিয়েছিল, যা আমরা এখন দেখব।
[পাদটীকাগুলো]
a যুক্তরাষ্ট্রে, গ্রীষ্মের চলচ্চিত্র মরসুম মে মাস থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে।
b “ব্লকবাস্টার” শব্দটি সাধারণত সেই ছবিগুলোর প্রতি প্রযোজ্য হয়, যেগুলো দশ কোটি মার্কিন ডলার বা তারও বেশি অর্থ আয় করে থাকে। কিন্তু, এই শব্দটি মাঝে মাঝে ব্যাপকভাবে যেকোনো হিট ছবির কথা বর্ণনা করার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়, তা সেই ছবি বক্স-অফিসে যত অর্থই আয় করুক না কেন।