ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g23 নং ১ পৃষ্ঠা ৬-৮
  • সমুদ্র

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সমুদ্র
  • ২০২৩ সজাগ হোন!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • যে-কারণে সমুদ্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে
  • আমাদের পৃথিবী—বেঁচে থাকার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে
  • সমস্যা সমাধান করার জন্য মানুষ যা করছে
  • আশার এক আলো—বাইবেল যা বলে
  • “সমুদ্রের বহুল দ্রব্য”
    ২০০৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • সূচিপত্র
    ২০২৩ সজাগ হোন!
  • প্রবাল প্রাচীরগুলিকে রক্ষা করতে কী করা যেতে পারে?
    ১৯৯৭ সচেতন থাক!
  • সজাগ হোন! পত্রিকার এই সংখ্যায়
    ২০২৩ সজাগ হোন!
আরও দেখুন
২০২৩ সজাগ হোন!
g23 নং ১ পৃষ্ঠা ৬-৮
একজন ডুবুরি সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন আর তার আশেপাশে বিভিন্ন রঙের মাছ, প্রবাল এবং সামুদ্রিক গাছপালা আছে।

Georgette Douwma/Stone via Getty Images

পৃথিবী কি রক্ষা পাবে?

সমুদ্র

সমুদ্র থেকে আমরা শুধুমাত্র খাদ্যই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে ওষুধপত্র তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোও পেয়ে থাকি। পৃথিবীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অর্ধেকেরও বেশি পরিমাণ, আমরা সমুদ্র থেকে পাই এবং মানুষের কাজের ফলে উৎপন্ন হওয়া কার্বন ডাইঅক্সাইড সমুদ্র শোষণ করে নেয়। এ ছাড়া, সমুদ্র আমাদের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

যে-কারণে সমুদ্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে প্রবাল-প্রাচীর, শামুক গোত্রীয় প্রাণী এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সমস্ত প্রবাল-প্রাচীরের উপর নির্ভর করে মোট সামুদ্রিক প্রাণীর প্রায় ২৫ শতাংশ বেঁচে রয়েছে আর বিজ্ঞানীদের মতে আগামী ৩০ বছরে এদের সবারই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা অনুমান করে জানিয়েছে যে, প্রায় ৯০ শতাংশ সামুদ্রিক পাখি তাদের খাদ্যের সঙ্গে প্লাস্টিক খেয়ে ফেলেছে এবং সমুদ্রে যে-প্লাস্টিক ফেলা হয়, সেই কারণে প্রত্যেক বছর লক্ষ লক্ষ সামুদ্রিক প্রাণী মারা যাচ্ছে।

২০২২ সালে ইউনাইটেড নেশন্‌স-এর মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “আমরা ঠিকমতো সমুদ্রের দেখাশোনা করছি না। আমার মতে, আমরা বর্তমানে যে-পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি, সেটাকে বলা যায়, ‘সমুদ্রের জরুরি অবস্থা।’”

আমাদের পৃথিবী—বেঁচে থাকার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে

সমুদ্র এবং এর মধ্যে থাকা জীবনকে এক অসাধারণ ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষ যদি অতিরিক্ত দূষণ না করে, তা হলে সামুদ্রিক প্রাণীরা নিজেরাই নিজেদের পরিষ্কার রাখতে পারে এবং সুস্থ থাকতে পারে। ক্রমবিকাশ: এক প্রজন্মের মধ্যেই আবহাওয়া সংকট শেষ নামক ইংরেজি বই ব্যাখ্যা করে, “মানুষ যদি সমুদ্রকে দূষিত না করে, তা হলে সমুদ্র নিজস্ব ক্ষমতা অনুযায়ী আপনা-আপনি দূষণমুক্ত হয়।” কয়েকটা উদাহরণ বিবেচনা করুন:

  • ফাইটোপ্লাংক্‌টন নামক অনুজীবির এমন ক্ষমতা রয়েছে যে, তারা কার্বন ডাইঅক্সাইডকে শোষণ করে জমা রাখতে পারে। এই কার্বন ডাইঅক্সাইডকেই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়। পৃথিবীতে থাকা গাছপালা, ঘাস এবং অন্যান্য উদ্ভিদ একত্রিতভাবে যত পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে, সেই একই পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করার ক্ষমতা এই ফাইটোপ্লাংকটনের রয়েছে।

  • অণুজীবিরা মৃত মাছের দেহের বিভিন্ন অংশ খেয়ে বেঁচে থাকে। এমনটা না হলে, এই বর্জ্য পদার্থ সমুদ্রকে দূষিত করত। এই অণুজীবিদের খেয়ে আবার অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীরা বেঁচে থাকে। স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউট-এর ওসান নামক ওয়েবসাইট জানায়, “এই সহযোগিতা করার ফলে সমুদ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে।”

  • সমুদ্রের জল সাধারণত আম্লিক অর্থাৎ অ্যাসিডিক হয়। কিন্তু প্রবাল-গোত্রীয় প্রাণী এবং অন্যান্য অনেক প্রাণী ক্ষারীয় অর্থাৎ অ্যালকালাইন জলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে। অনেক সামুদ্রিক প্রাণী তাদের পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে জলকে অ্যাসিড মুক্ত করে ক্ষারীয় জলে পরিণত করে।

    আপনি কি জানেন?

    সামুদ্রিক ঘাস এবং সমুদ্রকে ভালো রাখার মধ্যে সম্পর্ক

    একটা প্রস্থচ্ছেদে দেখানো হয়েছে, সমুদ্রতীরের দিকে ঢেউ আসছে। সেখানে সমুদ্রের তলদেশ, সামুদ্রিক ঘাস এবং বেশ কিছু সামুদ্রিক প্রাণী দেখা যাচ্ছে। ঢেউ যত তীরের দিকে এগিয়ে আসে, সামুদ্রিক ঘাসের জন্য এর আকার ও গতি তত কমতে থাকে এবং বালি নীচে জমা হয়। ঘাসের মধ্যে যা-কিছু রয়েছে, সেগুলো খেয়ে মাছ ও অন্যান্য প্রাণী বেঁচে রয়েছে এবং সমুদ্রকে পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করছে। সমুদ্রতীরে পৌঁছোনো জল আরও পরিষ্কার এবং ঢেউয়ের তীব্রতা অনেক কম।

    সমুদ্রের তলদেশে সামুদ্রিক ঘাস উৎপন্ন হয় আর তা বালিকে সঠিক স্থানে জড়ো করে রাখে, বয়ে যেতে দেয় না। এর ফলে প্রবাল রোগমুক্ত থাকতে পারে। এ ছাড়া, এই উপায়ে বড়ো বড়ো ধ্বংসাত্মক ঢেউকে কমানোর এবং ক্ষয় রোধ করার মাধ্যমে সমুদ্রের তীর সুরক্ষিত থাকে।

সমস্যা সমাধান করার জন্য মানুষ যা করছে

কোলাজ: ১. একজন ব্যক্তি তার রান্নাঘরে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য একটা ব্যাগ থেকে ফল-সবজি বের করছেন। ২. একজন মহিলা রান্নাঘরে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এমন বোতলে জল ভরছেন।

পুনরায় ব্যবহার করা যায় এমন ব্যাগ ও জলের বোতল সমুদ্রে প্লাস্টিকের মতো বর্জ্য পদার্থ ফেলা কমাতে সাহায্য করে

বর্জ্য পদার্থ যদি সমুদ্রে ফেলা না হয়, তা হলে সেগুলো পরিষ্কার করারও প্রয়োজন হয় না। সেইজন্য বিশেষজ্ঞরা আমাদের এমন প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহার করতে বারণ করে, যেগুলো এক বার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয়। এর পরিবর্তে, তারা আমাদের পুনরায় ব্যবহার করা যায় এমন ব্যাগ, বোতল এবং অন্যান্য পাত্র ব্যবহার করতে বলে।

কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়, আরও বেশি কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে। সম্প্রতি এক বছরে একটা পরিবেশ সংস্থা ১১২টা দেশের সমুদ্রের তীর থেকে ৮৩০০ টন আবর্জনা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু, প্রতি বছর এর চেয়ে আরও অনেক বেশি আবর্জনা সমুদ্রে ফেলা হয়।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক নামক পত্রিকা জানায়, “সমুদ্রের জল যে-হারে আম্লিক হচ্ছে, তা সম্ভবত আর ঠিক করা যাবে না।” সমুদ্রে থাকা প্রাণীদের এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল, যাতে তারা নিজেরাই সমুদ্রকে পরিষ্কার রাখতে পারে। কিন্তু মানুষ যেভাবে জ্বালানি ব্যবহার করছে, তাতে সামুদ্রিক প্রাণীদের এই ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আশার এক আলো—বাইবেল যা বলে

“পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ। ঐ যে সমুদ্র, বৃহৎ ও চারিদিকে বিস্তীর্ণ, তথায় জঙ্গমেরা থাকে, তাহারা অগণ্য; ক্ষুদ্র ও প্রকাণ্ড কত জীবজন্তু থাকে।”—গীতসংহিতা ১০৪:২৪, ২৫.

আমাদের সৃষ্টিকর্তা সমুদ্র আর সেইসঙ্গে সামুদ্রিক প্রাণীদেরও সৃষ্টি করেছেন, যারা সমুদ্রকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে। বিবেচনা করুন: তিনি যদি সমুদ্র ও এর সমস্ত সামুদ্রিক প্রাণী সম্বন্ধে এত কিছু জানেন, তা হলে তিনি কি সমুদ্রকে ক্ষতির হাত থেকে পুনরায় রক্ষা করার জন্য কিছু করবেন না? পৃষ্ঠা ১৫-তে “ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেন আমাদের পৃথিবী রক্ষা পাবে,” শিরোনামের প্রবন্ধটা দেখুন।

আরও জানুন

পাইলট তিমি সমুদ্রে সাঁতার কাটছে।

Blue Planet Archive/Doug Perrine

বিজ্ঞানীরা এক সামুদ্রিক প্রাণীর কাছ থেকে শিখেছে যে, কীভাবে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করে এক কার্যকারী উপায়ে বিশাল আকারের জাহাজ পরিষ্কার করা যায়। “পাইলট তিমির চামড়া পরিষ্কার করার নিজস্ব ক্ষমতা” নামক ইংরেজি প্রবন্ধটা jw.org-এ পড়ুন।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার