আকাশছোঁয়া জিনিসের দাম কীভাবে মোকাবিলা করবেন?
বাস্তবতাকে মেনে নিন
আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে, সব কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পাশাপাশি যদি আমাদের বেতন বাড়ে, তা হলে আমরা ততটা চিন্তা করি না। কিন্তু, জিনিসপত্রের দাম যখন বেড়ে যায় অথচ আমাদের বেতন বাড়ে না, তখন আমরা সত্যিই চিন্তায় পড়ে যাই, বিশেষ করে যদি আমাদের পরিবারের যত্ন নিতে হয়।
জিনিসপত্রের দাম যে দিন দিন বাড়ছে, এতে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা যদি মেনে নিই, এটাই বাস্তব, তা হলে আমরা নিজেরাই আসলে উপকৃত হব।
কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?
আমরা যদি মেনে নিই যে, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি আমাদের হাতে নেই, তা হলে আমরা . . .
শান্ত থাকতে পারি। আমরা যখন শান্ত থাকি, তখন আমরা আরও ভালোভাবে চিন্তা করতে পারি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
বোকার মতো কাজ করা এড়িয়ে চলতে পারি। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, আমরা হয়তো অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার পিছনে এত খরচ করে ফেলি যে, সেই মাসের ইলেকট্রিক অথবা জলের বিল মেটানোর জন্য আমাদের হাতে যথেষ্ট টাকা থাকে না।
টাকাপয়সা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করা এড়িয়ে চলতে পারি।
কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা খুঁজে বের করতে পারি। যেমন, আমরা অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে পারি এবং শুধুমাত্র সেই জিনিসপত্র কিনতে পারি, যেগুলো আমাদের সত্যিই প্রয়োজন।
আপনি কী করতে পারেন?
পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিন। জিনিসপত্রের দাম যখন আকাশছোঁয়া হয়ে যায়, তখন যদি সম্ভব হয়, খরচ কিছুটা হলেও কমিয়ে দিন। এমনটা করলে আপনারই উপকার হবে। কোনো কোনো লোকের কাছে হয়তো যথেষ্ট টাকাপয়সা নেই, কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা এক বিলাসবহুল জীবনযাপন করার চেষ্টা করে। তাদের পরিস্থিতি ঠিক সেই ব্যক্তির মতো হয়, যে নদীতে নেমে স্রোতের উলটো দিকে সাঁতার কাটার চেষ্টা করে আর একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে। একইভাবে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে করতে এই ব্যক্তিরাও একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আপনার যদি পরিবার থাকে, তা হলে তাদের ভরণ-পোষণ জোগানোর বিষয়টাও আপনাকে চিন্তা করতে হবে আর সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার পরিবারের সদস্যেরা আপনার কাছ থেকে ভালোবাসা, সময় ও মনোযোগ ছাড়া আর বেশি কিছু চায় না।
যথেষ্ট টাকাপয়সা না থাকা সত্ত্বেও বিলাসবহুল জীবনযাপন করা হল নদীতে নেমে স্রোতের উলটো দিকে সাঁতার কাটার মতো