ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯২ ৩/১ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • ধর্মকে কেন গুরুত্বপূর্ণরূপে নেওয়া উচিৎ?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ধর্মকে কেন গুরুত্বপূর্ণরূপে নেওয়া উচিৎ?
  • ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • একটি ধর্ম যাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ
  • সত্য ধর্মের “ফল”
  • অনন্ত উপকার সত্য ধর্ম পালনের মাধ্যমে
  • আপনি কি সঠিক ধর্ম খুঁজে পেয়েছেন?
    ১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ধর্মের নামে সংঘটিত মন্দ বিষয়গুলো কি শেষ হবে?
    ধর্মের নামে সংঘটিত মন্দ বিষয়গুলো কি শেষ হবে?
  • যে-উপাসনা ঈশ্বর অনুমোদন করেন
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯২ ৩/১ পৃষ্ঠা ৪-৭

ধর্মকে কেন গুরুত্বপূর্ণরূপে নেওয়া উচিৎ?

“মনুষ্য কেবল রুটিতে বাঁচিতে পারে না।” (মথি ৪:৪, দ্যা নিউ ইংলিশ বাইবেল) প্রায়ই-করা এই উক্তিটি মানুষের একটি প্রয়োজন সম্বন্ধে ইঙ্গিত করে যা বর্তমানে অনেকে ভুলে গেছে। ইহা দেখায় যে আমাদের গঠনের একটি আত্মিক দিক আছে যাহা পরিতুষ্ট করা দরকার। সেই কারণে, যিনি এই কথাগুলি বলেছেন, যীশু খ্রীষ্ট, তিনি আরও বলেন: “ধন্য যাহারা তাহাদের ঈশ্বরের প্রয়োজন সম্বন্ধে সচেতন।”—মথি ৫:৩, এন.ই.বি.

একমাত্র ধর্ম আমাদের “ঈশ্বরের প্রয়োজন” পূর্ণ করতে পারে। একমাত্র ধর্ম জীবনের উৎস, উদ্দেশ্য এবং অর্থ সম্বন্ধে আমাদের মৌলিক প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে পারে। আর একমাত্র ধর্ম আমাদের জীবনে প্রকৃত অর্থ এবং তাৎপর্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু যে কোন ধর্ম এইসব করতে পারবে না। যীশু একজন শমরীয় নারীকে বলেছিলেন: “প্রকৃত উপাসনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার উপাসনা করিবে।” (যোহন ৪:২৩) ‘সত্যে’ উপাসনা করার অর্থ নারীকে রীতিনীতি এবং অনুষ্ঠান পালনের থেকেও বেশী কিছু বুঝায়। এগুলি থেকে সমর্থকরা প্রায়ই এক ক্ষণস্থায়ী মঙ্গলার্থক মনোভাবের থেকে বেশী আর কিছু পায় না, তারা আত্মিক ভাবে ক্ষুধার্ত থেকেই যায়।

উদাহরণস্বরূপ, এডউইন ও. রাইকয়ার, জাপানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতপূর্ব রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন: “শিনটো এবং বৌদ্ধ ধর্ম অধিকাংশ লোকের জন্য অর্থপূর্ণ বিশ্বাসের চাইতে রীতিনীতি এবং প্রথা হিসাবে অধিক গ্রহণযোগ্য।” মেনে নেওয়া যায়, যে বহু জাপানী ব্যক্তিরা এই ভাবেই সন্তুষ্ট। কিন্তু জাপানে বহু “নতুন ধর্মের” আবির্ভাব, পরম্পরাগত ধর্মের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রতিফলিত করে।

“নতুন ধর্মগুলি” আকর্ষণীয় নেতাদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে—ঈশ্বরকে কেন্দ্র করে নয়। এই ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে অনেকে দাবি করে যে তারা ঐশ্বরিক অনুগ্রহপ্রাপ্ত। কিন্তু তাদের মতবাদ বৌদ্ধ, শিনটো এবং অন্যান্য বিশ্বাসের সংমিশ্রন ছাড়া আর কিছু নয়—তার সঙ্গে স্থাপনাকারীর বিশ্বাসের বেশ কিছু অংশ যোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের আকর্ষণ প্রধাণত উন্নত জীবনধারা এবং অলৌকিক ও আরোগ্যদানের ক্ষমতার দাবির ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু এই রকম ধর্ম কি প্রমাণ দেয় যে তাদের সমর্থকদের “আত্মায় এবং সত্যে” উপাসনা করার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে? উত্তরে আমরা বলতে পারি অবশ্যই না। প্রথমত, যে ধর্মীয় পদ্ধতিগুলি বর্তমানে ব্যবহৃত হয় প্রায়ই ভবিষ্যতে অচল হয়ে পড়ে। তাদের এই খেয়ালী অবস্থা দেখায় যে সেগুলির প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার কারণ নেই।

একটি ধর্ম যাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ

যাইহোক, একটি ধর্ম আছে যা অন্য সমস্ত ধর্মীয় পদ্ধতির থেকে বহু আগে স্থাপিত হয়। ইহা পবিত্র বাইবেলে যে ধর্ম শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রায় ৩৫ শতাব্দী আগে বাইবেল লেখা শুরু হয়, এবং ইহার প্রথম অধ্যায়গুলিতে দেওয়া ‘ইতিহাস’ তার আগে আরও এক হাজার বছরের ঘটনা লিপিবদ্ধ করে।a ধর্মের উৎস সম্বন্ধে সর্বাধিক প্রাচীণ বিবরণ ইহাতে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র ইহাই বাইবেলের ধর্মের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হতে পারে।

বাইবেল সম্বন্ধে দ্যা এনসাইক্লোপিডিয়া অ্যামেরিকানা বলে: “ইহার জ্যোতি ‘সমস্ত জগতে ব্যাপৃত হয়েছে।’ এখন ইহাকে দেখা হয় একটি নৈতিক ও ধর্মীয় সম্পদ হিসাবে যার অফুরন্ত শিক্ষা আরও মূল্যবান হয়ে ওঠে যখন এক বিশ্ব সভ্যতার আশা আরও বৃদ্ধি পায়।” কিন্তু যদি একটি বই প্রকৃতই সত্য ধর্মের প্রতি বিশ্বাসযোগ্য পথপ্রদর্শক হয়, তাহলে কি আশা করা যায় না যে ইহার প্রচলন সর্বাধিক হবে, যাতে সমস্ত সত্যান্বেষী ব্যক্তিদের কাছে তা পৌঁছায়?

বাইবেলের ক্ষেত্রে ইহা সত্য। সম্পূর্ণরূপে, অথবা আংশিকভাবে, ইহা ১,৯২৮ ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে, এবং ইতিহাসে ইহা সর্বাধিক প্রচলিত বই। অধিকন্তু, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক দিয়ে ইহা নির্ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ভূতত্ত্ববিদ্যা এবং ইতিহাস বাইবেলের ভবিষ্যদ্বানীর অব্যর্থ পরিপূর্ণতার সাক্ষ্য দিয়েছে। ইহা সমস্ত রকম প্রেততত্ত্ব, অলৌকিকতা, এবং জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে মুক্ত। এই সমস্তই, বাইবেলের নিজস্ব দাবি যে ইহা ঈশ্বর-অনুপ্রাণীত তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখে।b—২ তীমথিয় ৩:১৬.

সত্য ধর্মের “ফল”

কিন্তু ইহা কি সত্য নয় যে বহু ধর্ম বাইবেল পালন করার দাবি করে? আর যারা নিজেদের খ্রীষ্টান বলে দাবি করে তাদের মধ্যে কি কলহ, বিদ্বেষ ও ভণ্ডামি দেখতে পাওয়া যায় না? হ্যাঁ, কিন্তু ইহা বাইবেল অগ্রাহ্য করার কারণ নয়। যীশু খ্রীষ্ট নিজে ইঙ্গিত করেছিলেন যে যারা নিজেদের খ্রীষ্টান বলে জাহির করে তাদের অধিকাংশই ঈশ্বরের কাছে অনুমোদনযোগ্য নয়। (মথি ৭:১৩, ১৪, ২১-২৩) তাহলে, কিভাবে একজন তাদের সনাক্ত করবে যারা বাইবেলে বর্ণিত সত্য ধর্ম পালন করছে? যীশু উত্তর দেন: “তোমরা তাহাদের ফল দ্বারাই তাহাদিগকে চিনিতে পারিবে। লোকে কি কাঁটাগাছ হইতে দ্রাক্ষাফল, কিম্বা শিয়ালকাঁটা হইতে ডুমুরফল সংগ্রহ করে? সেই প্রকারে প্রত্যেক ভাল গাছে ভাল ফল ধরে, কিন্তু মন্দ গাছে মন্দ ফল ধরে। অতএব তোমরা উহাদের ফল দ্বারাই উহাদিগকে চিনিতে পারিবে।”—মথি ৭:১৬, ১৭, ২০.

হ্যাঁ, সত্য ধর্ম সৎকার্য্যের উদ্দেশ্যে এক শক্তিশালী প্রেরণা হওয়া উচিৎ, যা উপাসকদের মধ্যে মঙ্গলার্থক ফল উৎপন্ন করে। উদাহরণস্বরূপ, আকিনোরি, একজন জাপানী ব্যক্তি, তার কথা বিবেচনা করুন, যে তার নিজের কথায়, “প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের সাক্ষাৎ প্রতিমূর্ত্তি” ছিল। সে সাফল্যের সাথে একটি উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হয় এবং একটি প্রতিপত্তিশালী প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পায়। ধর্মকে তার জীবনে স্থান দিতে কোন প্রয়োজন সে বোধ করেনি। সে মনে করে ‘ধর্ম দুর্বলদের জন্য, যাদের জীবনে চলার জন্য খঞ্জের যষ্ঠির প্রয়োজন হয় তাদের জন্য।’

সবকিছু সুন্দরভাবে চলছিল যতক্ষণ না সে ক্লান্তি ও মানসিক চাপের কারণে একটি গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়। তার ঘাড় বেঁকে যায় এবং তার থুতনি বাঁ কাঁধের দিক থেকে সে “ফেরাতে” পারে না। আকিনোরির কম্পানিতে বহু “বন্ধুরা” এই সংকটের সময় খুব অল্পই সান্ত্বনা দিতে সক্ষম হয়। (হিতোপদেশ ১৭:১৭ তুলনা করুন।) তাই সে মদ্যপানের নেশায় আসক্ত হয় আর এমনকি আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে।

পরবর্তি কালে, যদিও, আকিনোরির স্ত্রী যিহোবার সাক্ষীদের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করে। একদিন আলোচনার সময় সে তাকে গালাতীয় ৬:৭ পদের শাস্ত্রটির কথা বলে, যেখানে লেখা আছে: “মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।” এই কথাগুলির দ্বারা অভিভূত হয়ে আকিনোরি তার সাথে অধ্যয়নে যোগ দেয়, আর সে যা শেখে তা জীবনের অর্থ সম্বন্ধে তার ধারনাকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দেয়। যত আকিনোরির দৃষ্টিভঙ্গি উজ্জ্বল হতে থাকে, মানসিক চাপে সৃষ্ট তার পীড়া দূর হতে থাকে! যেমন একটি বাইবেলের হিতোপদেশ বলে: “শান্ত হৃদয় শরীরের জীবন।” (হিতোপদেশ ১৪:৩০) হ্যাঁ, সত্য ধর্ম উত্তম ফল উৎপন্ন করে!

তোশিরো আরেকজন জাপানী ব্যক্তি যে বুঝতে পারে যে কিভাবে সত্য ধর্ম মঙ্গলার্থক শরীরের প্রেরণা হতে পারে। যদিও সে বিশ্বাস করত যে ধর্ম পালন করায় উপকার হয়, সে নিজে কিছু করত না। তার আগ্রহ ছিল নিজের জন্য একটি বাড়ি তৈরী করা। এই লক্ষ্যে পৌঁছানো, যাইহোক, যে সন্তুষ্টি তাকে দেবে সে আশা করেছিল, তা সে পায়নি। আরও, যখন সে তার কর্মক্ষেত্রের দিকে তাকিয়ে দেখত সে লক্ষ্য করত যে অসৎ কাজে লোকেরা জড়িত হয় আর সেই থেকে তাদের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তোশিরো যা দেখে তার দ্বারা বিতৃষ্ণায় তার মন ভরে ওঠে।

একদিন তার স্ত্রী স্থানীয় যিহোবার সাক্ষীদের মণ্ডলী থেকে একজন প্রাচীনকে আমন্ত্রণ করে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য। তোশিরো তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারে যে সেই প্রাচীণ তার সহকর্মীদের থেকে পৃথক ছিলেন। কারণ? সেই প্রাচীণ নিষ্ঠাপূর্ণভাবে তার জীবনে বাইবেলের নিয়ম পালন করছিলেন। এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, তোশিরো বাইবেল অধ্যয়ন করার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং বাইবেলের ধর্মকে তার জীবনের পথ করে নেয়।

আমরা আপনাকেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি যিহোবার সাক্ষীদের সাথে পরিচিত হতে। তাদের কাজের “ফল” পরিচয় দেয় যে তারা “আত্মায় এবং সত্যে” উপাসনা করছে। বাইবেলের শিক্ষা জীবনে প্রয়োগ করার জন্য তারা কঠোর পরিশ্রম করে। আর ব্যক্তিগতভাবে যদিও তারা কোনক্রমেই সিদ্ধ নয়, দলগতভাবে তারা প্রদর্শন করে যে সত্য ধর্ম সৎকার্য্যের জন্য এক শক্তিশালী প্রেরণা হতে পারে।

যিহোবার সাক্ষীদের মধ্যে হাজার হাজার লোক একসময় তাদের জীবন সম্বন্ধে সুখী ছিলেন না। কিন্তু বাইবেলের উপদেশ পালনের মাধ্যমে, তাদের মধ্যে অনেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। বাইবেল যাকে “আত্মার ফল” বলে, যেমন প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা, মৃদুতা, এবং ইন্দ্রিয়দমন, তা অভ্যাস করার দ্বারা তারা ব্যক্তিগত সুখের চাবিকাঠি খুঁজে পেয়েছে।—গালাতীয় ৫:২২, ২৩.

অনন্ত উপকার সত্য ধর্ম পালনের মাধ্যমে

সত্য ধর্ম, যাইহোক, ব্যক্তিত্ত্ব পরিবর্তন অথবা ব্যক্তিগত সমস্যা লাঘব করা ছাড়াও আরও কিছু সম্পাদন করে। বিশ্বব্যাপী সমস্যা যেমন পরিবেশদূষন, আনবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা, প্রকৃতির অপব্যবহার আমাদের সুন্দর গ্রহ ধ্বংস করার আশঙ্কা উপস্থিত করেছে। অর্থনৈতিক সমস্যা লক্ষ্য লক্ষ্য লোকের আনন্দ কেড়ে নিয়ে জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। কোন ধর্মকে গুরুত্ব দেওয়া যায় না যদি না তা এই সমস্ত বিশ্বব্যাপী সমস্যার সমাধান করার আশা প্রদান করে।

বাইবেলের ধর্ম এইরকম আশা দেয়। ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যে একটি স্বর্গীয় সরকারের, অথবা “রাজ্যের” অধীনে একটি ধার্মিক নতুন জগৎ স্থাপিত করবেন। (মথি ৬:৯, ১০; ২ পিতর ৩:১৩; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) মানবজাতির সমস্ত পাপের জন্য এই রাজ্য সর্বরোগনিবারক ঔষধস্বরূপ। আর পৃথিবীব্যাপি এই উপকারের স্থায়িত্ব সম্বন্ধে, বাইবেল আমাদের ভরসা দেয়: “জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।” হ্যাঁ, অনন্তকালীন সুখী জীবন প্রত্যেক সত্য খ্রীষ্টানের আশা! (১ যোহন ২:১৭) কিন্তু যারা সত্য ধর্ম পালন করা গুরুত্বপূর্ণরূপে নিয়েছে শুধুমাত্র তারাই আগত রাজ্য থেকে উপকার লাভ করতে পারবে। তাই আমরা আপনাকে উৎসাহ দিতে চাই মনোযোগ সহকারে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করতে।c (যোহন ১৭:৩) যখন আপনি ঈশ্বরের বাক্যের জ্যোতির দ্বারা আপনার নিজের জীবনকে আলোকিত হতে দেবেন, আপনি অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করবেন কারণ ধীরে ধীরে আপনার জীবনে ‘ঈশ্বরের প্রয়োজন’ পূর্ণ হবে। প্রকৃতই, আপনি অনন্ত আশীর্বাদপ্রাপ্ত হবেন কারণ আপনি ধর্মকে—সত্য ধর্মকে—গুরুত্বপূর্ণরূপে দেখেছিলেন। (w91 2/1)

[পাদটীকাগুলো]

a উদাহরণস্বরূপ, আদিপুস্তক ২:৪; ৫:১; ৬:৯ দেখুন।

b অতিরিক্ত তথ্যের জন্য, দ্যা বাইবেল—গডস্‌ ওয়ার্ড অর ম্যান্স? বইটি দেখুন, যা এই পত্রিকার প্রকাশকদের কাছে পাওয়া যাবে।

c এই বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করতে যিহোবার সাক্ষীরা আনন্দিত হবে। বিনামূল্যে একটি বাইবেল অধ্যয়নের ব্যবস্থা করা যেতে পারে যদি আপনি হয় এই পত্রিকার প্রকাশকদের অথবা আপনার এলাকায় স্থানীয় যিহোবার সাক্ষীদের মণ্ডলীর সাথে যোগাযোগ করেন।

[Pictures on page 5]

১,৯০০টিরও অধিক ভাষায় বাইবেলের প্রচলন ইহার দাবিকে সমর্থন করে যে ইহা ঈশ্বর-অনুপ্রাণীত

[Pictures on page 7]

বাইবেলের ধর্ম এক স্বর্গীয় সরকারের অধীনে বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ পরিবেশের আশা দেয়

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার