তরুণ-সম্প্রদায় তোমরা কি খ্রীষ্টীয় বিশ্বস্ততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে?
“অনৈতিক আচরণকে অবিশ্বস্ততা বলে তোমার মনে হয় না। তুমি শুধুমাত্র মজা করছ। সত্য, তুমি জান যে যদি তোমার বাবা-মা অথবা প্রাচীণরা জানতে পারেন তাহলে তারা দুঃখ পাবেন এবং অনেক সমস্যা দেখা দেবে। কিন্তু মজা করার সময়, এই সমস্ত চিন্তা মনে আসে না।”
যে যুবকটির কথা ওপরে উদ্ধৃতি করা হয়েছে সে গোপনে ব্যভিচারে জড়িত ছিল। সে দ্বৌত জীবন যাপন করছিল, তার পিতামাতা এবং খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীকে প্রতারণা করছিল। সেই সময় সে বুঝতে পারেনি যে খ্রীষ্টীয় বিশ্বস্ততার পরীক্ষায় সে ব্যর্থ হচ্ছিল।
হাজার হাজার খ্রীষ্টীয় যুবক অনুরূপ বিশ্বস্ততার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। আর ইহা কোন আশ্চর্য্যের বিষয় নয়! কারণ, শয়তান দিয়াবল ঈশ্বরের লোকেদের সঙ্গে “যুদ্ধ করিতে” এসেছে, তাদের বিশ্বস্ততা ভঙ্গ করবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা সে করছে। (প্রকাশিত বাক্য ১২:১৭) বিশেষত তার “নানাবিধ চাতুরীর” লক্ষ্যবস্তু যুবকেরা। (ইফিষীয় ৬:১১, কিংডম ইন্টারলিনিয়ার) বিশ্বস্ত থাকার জন্য তাই প্রকৃত প্রচেষ্টা করা এবং দৃঢ়সংকল্প হওয়ার প্রয়োজন।
বিশ্বস্ততা কি? ইব্রীয় শাস্ত্রে, “বিশ্বস্ততা” কথাটি মূল ভাষায় ইঙ্গিত করে কোন ব্যক্তির প্রতি প্রেমপূর্ণ অনুরাগ, কোন উদ্দেশ্য মনে রেখে। (গীতসংহিতা ১৮:২৫) ইহা কোন পল্কা সম্পর্ক নয় যা সহজে ভেঙে যেতে পারে কিন্তু এই অনুরাগ অক্ষত থাকে যতক্ষণ না সেই ব্যক্তির প্রতি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে। গ্রীক শাস্ত্রে, “বিশ্বস্ততার” মূল ভাষায় অর্থ পবিত্রতা, ধার্মিকতা, এবং শ্রদ্ধা।
বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাই ঈশ্বরের সাথে সঠিক সম্পর্ক জড়িত আছে। ইফিষীয় ৪:২৪ আমাদের বলে “নূতন মনুষ্যত্ব পরিধান কর যাহা সত্য ধার্ম্মিকতায় ও বিশ্বস্ততায় . . . সৃষ্ট হইয়াছে।” (NW) তুমি কি যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে চাও? তাহলে তোমাকে তাঁর সাথে এক বিশ্বস্ত ঘনিষ্টতা গড়ে তুলতে হবে, এক অভেদ্য বন্ধন, তোমার সমস্ত কাজে তাঁকে সন্তুষ্ট করার সংকল্প গড়ে তুলতে হবে। তোমাকে যিহোবার ধার্মিক মান অনুযায়ী চলতে হবে—অন্যথা করা যত লোভনীয়ই হোক না কেন!
অবিশ্বস্ত হওয়ার জন্য চাপ
ইহা প্রশংসাযোগ্য যে যিহোবার সাক্ষীদের মধ্যে অধিকাংশ যুবক-যুবতীরা বিশ্বস্ত থাকার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করছে, এবং ফলত তারা পরিষ্কার বিবেক উপভোগ করে। যাইহোক প্রেরিত পৌল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে “শেষ কালে” অবিশ্বস্ততা সাধারণভাবে মানুষের চরিত্র হবে। (২ তীমথিয় ৩:১, ২) দুঃখজনকভাবে, কিছু খ্রীষ্টীয় যুবক-যুবতী এই বিশ্বাসঘাতক জগৎকে প্রশ্রয় দিয়েছে তাদের ‘এই যুগের নিজস্ব কাঠামোর অনুরূপে’ গড়তে। (রোমীয় ১২:২, ফিলিপস্) কিভাবে শয়তান তা সম্ভব করেছে?
সঙ্গীদের কাছ থেকে চাপ শয়তানের একটি মুখ্য অস্ত্র। অধিকাংশ লোক চায় অন্যেরা তাদের সম্বন্ধে ভাল মনে করুক, আর শয়তান জানে কিভাবে এই সহজাত ইচ্ছা ব্যবহার করতে হয়। যাতে তাদের স্বাভাবিক বলে দেখা হয়, সেইজন্য কিছু খ্রীষ্টীয় যুবক-যুবতী ক্ষতিকর কথাবার্তায়, অনৈতিক আচরণে, সিগারেট খাওয়ায়, অতিরিক্ত মদ্যপানে—এমনকি নেশাকর ওষুধ গ্রহণ করায় অংশ নিয়েছে—সমস্তই তাদের সঙ্গীসাথীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য।
শয়তান চায় আমরা যেন ‘আপন আপন মাংসের অভিলাষ অনুসারে আচরণ করি, মাংসের ও মনের বিবিধ ইচ্ছা পূর্ণ করি।’ (ইফিষীয় ২:৩) সে খুব ভালভাবেই জানে “সৌকুমার্য্যের” সময় যৌন আকাঙ্খার আকর্ষণ কত প্রবল হতে পারে। (১ করিন্থীয় ৭:৩৬) আর সে চায় যে তুমি সেই আকাঙ্খার বশ্যতা স্বীকার কর। কিছু খ্রীষ্টীয় যুবক-যুবতী অনিচ্ছাপূর্বক তার হাতে ধরা দেয় অশ্লীল সাহিত্য, চলচ্চিত্র, এবং ভিডিও দেখার মাধ্যমে অথবা হস্তমৈথুন অভ্যাস করার দ্বারা। এই জিনিসগুলি, কালক্রমে, প্রায়ই গুরুতর অবিশ্বস্ততায় নিয়ে যায়। শয়তানের জগৎ কি তোমাকে এইরকম কোন বিষয়ে ‘এই যুগের নিজস্ব কাঠামোর অনুরূপে’ গড়েছে?
দ্বৌত জীবন যাপন করা
ব্যভিচার জাতীয় কোন বড় ধরনের পাপ করা এমনিতেই গুরুতর ব্যাপার, কিন্তু কিছু যুবক-যুবতী তাদের সমস্যা আরও বৃদ্ধি করে। তারা গীতসংহিতা ২৬:৪ পদে বর্ণিত “অলীক লোকদের” মত যারা “আপন রূপ গোপন করে।” এই রকম তরুণেরা দ্বৌত জীবন যাপন করে, তাদের পিতামাতা অথবা অন্য খ্রীষ্টীয় ব্যক্তিদের সামনে একরকম ব্যবহার এবং তাদের সঙ্গীদের সাথে অন্যরকম ব্যবহার করে।
দ্বৌত জীবন যাপন করা, যাইহোক, আত্মপ্রবঞ্চনামূলক এবং বিপদজনক। অবাধে ভুল করে যাওয়া সর্বদা আরও ভুল কাজে পরিচালিত করে। আর যদিও প্রথমে বিবেক কাউকে বিব্রত করতে পারে, যত বেশী সে ভুল করবে, তার বিবেক ভুল কাজের প্রতি তত কম প্রতিক্রিয়া দেখাবে। কেউ কেউ আক্ষরিকভাবে ভুল কাজের জন্য আর ‘বেদনা অনুভব করে না।’—ইফিষীয় ৪:১৯, কিংডম ইন্টারলিনিয়ার।
এই সময় ভুল স্বীকার করে সাহায্য গ্রহণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে ওঠে। ইহা আরও বেশী সত্য যখন অন্য খ্রীষ্টান যুবকেরা অসৎ কাজে জড়িত থাকে। বিশ্বস্ততার এক লক্ষ্যভ্রষ্ট অনুভূতি প্রায়ই দেখা যায়। ভূমিকায় যে যুবকের কথা উদ্ধৃতি করা হয়েছিল সে ব্যাখ্যা করে: “তুমি বুঝতে পার তুমি কি করছ, এবং তা ভুল। অন্য যারা জড়িত আছে তারা যাতে সমস্যায় না পড়ে, সেই জন্য তুমি কাউকে কিছু না বলতে সম্মত হও।”
যদিও একজন ব্যক্তি তার পিতামাতা অথবা মণ্ডলীর কাছে ‘নিজের প্রকৃত রূপ গোপন করতে’ পারে, যিহোবার কাছে সে গোপন করতে পারবে না। “তাঁহার সাক্ষাতে কোন সৃষ্ট বস্তু অপ্রকাশিত নয়; কিন্তু তাঁহার চক্ষুগোচরে সকলই নগ্ন ও অনাবৃত রহিয়াছে, যাঁহার কাছে আমাদিগকে নিকাশ দিতে হইবে।” (ইব্রীয় ৪:১৩) বাইবেল আমাদের নিশ্চিতভাবে জানায়: “যে আপন অধর্ম্মসকল ঢাকে, সে কৃতকার্য্য হইবে না।” (হিতোপদেশ ২৮:১৩) যথাসময় সেই অসৎ কাজ প্রকাশিত হবে। যিহোবার চাইতে বেশী বুদ্ধিমান কেউ নয়। হিতোপদেশ ৩:৭ বলে: “আপনার দৃষ্টিতে জ্ঞানবান হইও না। যিহোবাকে ভয় কর, মন্দ হইতে দূরে যাও।” (NW) আরও মনে রাখবেন, যে, “যিহোবার চক্ষু সর্ব্বস্থানেই আছে, তাহা অধম ও উত্তমদের প্রতি দৃষ্টি রাখে।”—হিতোপদেশ ১৫:৩.
পূর্বে উল্লিখিত যুবক, আরও অনেকে যারা এই গোপন অসৎ কাজে জড়িত ছিল, ধরা পড়ে, এবং তাকে ও তার সঙ্গীদের খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী থেকে বহিষ্কৃত করতে হয়। পরে তারা আত্মিকভাবে উন্নতি করে এবং পুনঃগৃহিত হয়। তবুও, বিশ্বস্ততার অর্থ বুঝতে কত কঠিন পথ তারা বেছে নিয়েছিল!
ঈশ্বরের সাথে ‘উত্তর প্রত্যুত্তর’ করা
যদি কেউ কোন ভাবে ইতিমধ্যেই অবিশ্বস্ত প্রমাণিত হয়েছে, হয়তো কোন ভুল কাজ করার দ্বারা, তাহলে কি? নিজেকে প্রতারণা করে পরিস্থিতি শুধরে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা সহজ হতে পারে। একজন তরুণ যে গোপনে ব্যভিচারে রত ছিল বলে: “আমি আমার ক্ষেত্রের পরিচর্য্যা বাড়িয়ে তুলি, মনে করি যে এর দ্বারা কোনরকমে আমার অসৎ কাজ ঢেকে দেওয়া যাবে।” পথভ্রষ্ট ইস্রায়েল জাতি একইভাবে বলি উৎসর্গ করার দ্বারা যিহোবাকে সন্তুষ্ট করতে চেয়েছিল। কিন্তু যিহোবা এই রকম প্রতারণাপূর্ণ ভক্তি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি তাদের নির্দেশ দেন: “আপনাদিগকে ধৌত কর, বিশুদ্ধ কর, আমার নয়নগোচর হইতে তোমাদের ক্রিয়ার দুষ্টতা দূর কর; কদাচরণ ত্যাগ কর।” যিহোবা তাদের উৎসর্গ গ্রহণ করবেন একমাত্র তারা তাঁর সাথে “উত্তর প্রত্যুত্তর” করার পর। বর্তমানে যারা অসৎ কাজে জড়িত তাদের জন্যেও একই কথা সত্য।—যিশাইয় ১:১১, ১৫-১৮.
শুধুমাত্র কোন সঙ্গীর কাছে সমস্ত কিছু বলে যিহোবার সাথে উত্তর প্রত্যুত্তর করা যায় না। সঙ্গীরা সবসময় সর্বাধিক উপকারী সাহায্য দেয় না, কারণ প্রায়ই জীবনে অভিজ্ঞতায় তারা একইরকম সীমাবদ্ধ। তার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ, তারা তোমার পাপ ক্ষমা করতে পারবে না। একমাত্র ঈশ্বর করতে পারেন। তাই পাপ স্বীকার করে তাঁর কাছে “তোমাদের মনের কথা খুলিয়া বল।” (গীতসংহিতা ৬২:৮) যদিও তোমার আচরণ সম্বন্ধে তুমি অত্যন্ত লজ্জিত হতে পার, নিশ্চিত থেক যে যিহোবা ‘প্রচুররূপে ক্ষমা করবেন।’—যিশাইয় ৫৫:৭.
তোমার আরও সাহায্যের প্রয়োজন হবে। “তোমার বাবা-মাকে জানাও, অবিলম্বে প্রাচীণদের জানাও—প্রথম থেকে সব কিছু বল,” একজন খ্রীষ্টীয় যুবক উৎসাহ দেয় যে এই রকম সাহায্য থেকে উপকৃত হয়েছে। হ্যাঁ, তোমার বাবা-মা হয়তো তোমাকে সাহায্য করতে পারবেন। “তোমার হৃদয়” তাদের দাও, তোমার সমস্যা সম্পূর্ণরূপে তাদের কাছে ব্যক্ত কর। (হিতোপদেশ ২৩:২৬) যদি প্রয়োজন হয় মণ্ডলীর প্রাচীণদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য তারা ব্যবস্থা করবেন।—যাকোব ৫:১৪, ১৫.
সত্য বিশ্বস্ততা প্রদর্শন করা—কিভাবে?
অবশ্যই, সবথেকে ভাল হবে যদি প্রথম থেকে অবিশ্বস্ত আচরণে না জড়ানো যায়। গীতসংহিতা ১৮:২৫ আমাদের বলে: “তুমি [যিহোবা] বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সহিত বিশ্বস্ত ব্যবহার করিবে; সিদ্ধের সহিত সিদ্ধ ব্যবহার করিবে।” যারা আচরণে উচ্চ মান বজায় রাখে তাদের যিহোবা প্রচুররূপে আশীর্বাদ করেন।
যাইহোক, অন্য উপায় আছে, যার মাধ্যমে তোমার বিশ্বস্ততা পরীক্ষিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ধর তোমার একজন বন্ধু বিপথগামী হয়েছে। তুমি কি সেই বন্ধুর প্রতি লক্ষ্যভ্রষ্ট বিশ্বস্ততা যিহোবার প্রতি তোমার বিশ্বস্ততাকে আড়াল করতে দেবে? প্রেমপূর্ণ কাজ হবে সেই বন্ধুর কাছে গিয়ে তাকে উৎসাহ দেওয়া বিষয়টি সম্বন্ধে তার বাবা-মা অথবা প্রাচীণদের খুলে বলতে। তোমার বন্ধুকে বল যদি উপযুক্ত সময়ের মধ্যে সে তা না করে তাহলে তোমাকেই তা করতে হবে। হিতোপদেশ ২৭:৫ বলে: “প্রকাশ্য অনুযোগ ভাল, তবু গুপ্ত প্রেম ভাল নয়।” এইভাবে তোমার বন্ধুকে সাহায্য করে শুধুমাত্র তুমি তার প্রতি তোমার বন্ধুত্বের আন্তরিকতা প্রকাশ করবে না কিন্তু যিহোবার প্রতি তোমার বিশ্বস্ততার গভীরতাও দেখাবে।
পরীক্ষা যাই হোক না কেন, বিশ্বস্ততা প্রদর্শন করার শক্তি উৎপন্ন হয় যিহোবার সঙ্গে দৃঢ় ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকার দ্বারা। অর্থপূর্ণ প্রার্থনা এবং একান্ত ব্যক্তিগত অধ্যয়ন প্রয়োজন যদি আমরা এই রকম সম্পর্ক উপভোগ করতে চাই। আগ্রহজনকভাবে, পূর্বে উল্লিখিত সব বিপথগামী তরুণরা স্বীকার করে যে তাদের প্রার্থনা এবং বাইবেল অধ্যয়ন নামমাত্র হয়ে পড়েছিল—এবং কোন সময় একেবারেই করা হত না। যিহোবা তাদের কাছে আর বাস্তব বলে মনে হত না, এবং শীঘ্রই অনৈতিক আচরণে তারা জড়িত হয়। তুমি কি, প্রার্থনা এবং ব্যক্তিগত অধ্যয়নের দ্বারা, যিহোবার সাথে তোমার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে তুলছ যাতে বিশ্বস্ত থাকতে পার?
সত্য, হয়তো কখনও তোমার মনে হতে পারে যে তুমি আনন্দ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছ। “এক এক সময় মনে হয় জাগতিক লোকেরা আনন্দ করছে,” একজন যুবতী বলে। “কিন্তু যখন কোন সমস্যায় জড়িয়ে পড়া হয়, তখন দেখা যায় তা একেবারেই আনন্দ নয়।” তার অভিজ্ঞতা থেকে সে বলে, কারণ যৌন অনৈতিকতায় সে জড়িয়ে পড়ে, যার ফলস্বরূপ সে গর্ভবতী হয় ও তাকে গর্ভপাত করতে হয়। “সত্যে থাকা অবশ্যই নিরাপদ,” সে এখন বলে—যে শিক্ষা সে তিক্ত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখে। গীতসংহিতা ১১৯:১৬৫ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে “যাহারা [ঈশ্বরের] ব্যবস্থা ভালবাসে, তাহাদের পরম শান্তি।”
তাই, বিশ্বস্ত থাকার জন্য তোমার যথাসাধ্য চেষ্টা কর। যিহোবার সাথে এক স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা কর। যা মন্দ তা ঘৃণা কর, যা ভাল তাতে আসক্ত হও। (রোমীয় ১২:৭) গীতসংহিতা ৯৭:১০ আমাদের বলে: “হে যিহোবার প্রেমিকগণ, দুষ্টতাকে ঘৃণা কর; তিনি আপন বিশ্বস্তবর্গের প্রাণ রক্ষা করেন, দুষ্টগণের হস্ত হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।” হ্যাঁ, একজন খ্রীষ্টীয় যুবক হিসাবে তুমি যিহোবার সুরক্ষা থেকে উপকৃত হবে এবং অনন্ত জীবন উপভোগ করবে যদি খ্রীষ্টীয় বিশ্বস্ততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হও। (w91 6/15)