ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৪ ৬/১ পৃষ্ঠা ৫-৭
  • সঠিক ধর্মের জন্য তাদের খোঁজ

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সঠিক ধর্মের জন্য তাদের খোঁজ
  • ১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কেন অনেকের মনে গুরুতর সন্দেহ আছে
  • সে মৃতদের সম্বন্ধে সত্য শিখেছিল
  • তারা অর্থপূর্ণ জীবন খুঁজে পেয়েছিল
  • কেউ কেউ যেভাবে উত্তরগুলো পেয়েছে
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৪ ৬/১ পৃষ্ঠা ৫-৭

সঠিক ধর্মের জন্য তাদের খোঁজ

শিশুকাল থেকেই কিছু লোক, জীবন সম্বন্ধে তাদের প্রশ্নের সন্তুষ্টিজনক উত্তর পেতে চেয়েছে। অল্প বয়সে, হয়ত তারা ধর্মীয় সভায় উপস্থিত থেকেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে দেখেছে, যে উত্তর দেওয়া হয়েছে অথবা গির্জার রীতিনীতি, জীবনের সমস্যাগুলির মোকাবিলা করতে কিছুই তাদের সাহায্য করেনি।

তারা হয়ত বলে যে তাদের পিতা-মাতার ধর্ম এখনও তারা মানে, যদিও ধর্মীয় সভায় তারা কদাচিৎ উপস্থিত থাকে। চার্চ অফ ইংল্যান্ডের একজন বিশপ বলেছিলেন যে তাদের বিশ্বাস শিথিল হয়ে গেছে। ধর্মকে তারা তাকে তুলে রেখেছে। অন্যেরা, ধর্মের মধ্যে যে ভণ্ডামি তারা দেখেছে, তার দ্বারা বিরক্ত হয়ে সম্পূর্ণরূপে ধর্মকে পরিত্যাগ করেছে। কিন্তু জীবন সম্বন্ধে তাদের প্রশ্ন থেকেই গেছে।

কেন অনেকের মনে গুরুতর সন্দেহ আছে

অধিকাংশ লোক জানে যে বহু গির্জায় বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে গৃহহীনদের সাহায্য, দরিদ্রদের খাদ্য বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য। কিন্তু প্রায় রোজই তারা ধর্মজনিত মারামারি ও রক্তপাতের খবরও শোনে, শুধুমাত্র যারা খ্রীষ্টান নয়, তাদের মধ্যেই নয়, কিন্তু যারা খ্রীষ্টান বলে দাবি করে, তাদের মধ্যেও। এই ধরনের মারামারিতে জড়িত দলগুলি যে সঠিক ধর্ম মেনে চলছে, সেই বিষয়ে তাদের মনে সন্দেহ হলে আমাদের কি আশ্চর্য হওয়া উচিত?

বহু ধর্মীয় লোকেরা মনে করত যে গির্জার পৃষ্ঠপোষকতায় অনাথ আশ্রমগুলি একটি ভাল ব্যবস্থা। কিন্তু সম্প্রতি, একের পর এক জায়গায় পাদ্রিদের দ্বারা তাদের তত্ত্বাবধানে রাখা ছেলেমেয়েদের প্রতি যৌন দুর্ব্যবহারের অভিযোগের জন্য তারা মর্মাহত হয়েছে। প্রথমে লোকে মনে করেছিল যে শুধুমাত্র কয়েকজন পাদ্রি দোষী। এখন সেই লোকেদের মধ্যে অনেকে চিন্তা করে যে সম্পূর্ণ গির্জাতেই কিছু মারাত্মক ভুল আছে কি না।

এউকেনিয়ার মত কয়েকজন, একসময়ে তাদের ধর্মের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিল। আর্জেন্টিনার একজন যুবতী হিসাবে, সে ইতাতির কুমারীকে উপাসনা করতে যেত। প্রায় ১৪ বছর ধরে সে একজন নান্‌ হিসাবে কন্‌ভেন্টে থাকত। তারপর, একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয়-রাজনৈতিক দল, যারা বিপ্লবের মাধ্যমে জগতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে তৎক্ষণাৎ আমূল পরিবর্তন করা প্রচার করত, তাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য সে কন্‌ভেন্ট ছেড়ে দেয়। সে যা দেখে ও যে অভিজ্ঞতা তার হয়, সেইজন্য ঈশ্বরের উপর থেকে তার বিশ্বাস ও আস্থা চলে যায়। বিশ্বাস করার জন্য কোন একটি ধর্ম সে বিশেষভাবে খুঁজছিল না। সে যা চেয়েছিল তা হল দরিদ্রদের প্রতি ন্যায় নিয়ে আসার একটি পথ​—⁠হ্যাঁ, আর একজন বন্ধু যাকে সে বিশ্বাস করতে পারবে।

অন্যেরা লক্ষ্য করে গির্জায় কী ঘটছে এবং সেখান থেকে দূরে থাকে। একজন নিরীশ্বরবাদী, যার চিন্তাধারা ১৯৯১ সালে স্পুট্‌নিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল, স্পষ্টভাবে বলেছিলেন: “পৌত্তলিকদের এবং খ্রীষ্টানদের পৌরাণিক গল্পের মধ্যে কোন প্রধান পার্থক্য আমার চোখে পড়েনি।” উদাহরণস্বরূপ, তিনি মস্কোর রাস্তায় একটি শোভাযাত্রার কথা বলেছেন, যেখানে স্বর্ণখোচিত পোশাক পরে পাদ্রিরা কফিনের মধ্যে একটি মমি বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। দেহটি ছিল “একজন অর্থোডক্স খ্রীষ্টীয় সাধুর,” যেটি একটি যাদুঘর থেকে গির্জায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, আর সেটি লেখককে প্রাচীন মিশরের পুরোহিতদের ও মমিগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়। তিনি আরও মনে করেছিলেন যে, মস্কোর সেই শোভাযাত্রায় যারা যোগ দিয়েছিল তারা যেমন “খ্রীষ্টীয় ত্রিত্বে” বিশ্বাস করত, ঠিক সেইভাবে মিশরীয়রাও ত্রিত্ব দেবতাদের উপাসনা করত​—⁠ওসিরিস্‌, আইসিস্‌ এবং হোরাস্‌।

সেই একই লেখক প্রেম সম্বন্ধে খ্রীষ্টীয় মনোভাব সম্বন্ধে লিখেছেন​—⁠“ঈশ্বর প্রেম,” এবং “আপনার প্রতিবাসীদের প্রেম কর,”​—⁠যার কোন উদাহরণ পৌত্তলিক মিশরে ছিল না। কিন্তু তিনি উল্লেখ করেছেন: “ভ্রাতৃপ্রেম এই জগতে জয়লাভ করতে অসমর্থ হয়েছে, এমনকি যে অংশটি নিজেদের খ্রীষ্টীয় জগৎ বলে, সেখানেও।” আর তারপরে, রাষ্ট্রের কাজে ক্রমাগত গির্জা জড়িত থাকায় যে মন্দ পরিণতি হয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি যা দেখেছিলেন, তার দ্বারা তার মনে হয়নি তিনি যা খুঁজছিলেন, খ্রীষ্টজগতের গির্জাগুলি তা দিতে পারবে।

এর পরিবর্তে, অন্যেরা সন্তুষ্টিজনক উত্তর পেয়েছে, কিন্তু খ্রীষ্টজগতের গির্জাগুলিতে নয়।

সে মৃতদের সম্বন্ধে সত্য শিখেছিল

এখন ৩৭ বছর বয়স্কা ম্যাগ্‌ডালেনা বুলগেরিয়াতে থাকে। তার শ্বশুর ১৯৯১ সালে মারা যাওয়ার পরে সে খুবই হতাশ হয়ে পড়ে। বার বার সে নিজেকে জিজ্ঞাসা করে: ‘মৃতেরা কোথায় যায়? আমার শ্বশুর কোথায় আছে?’ সে গির্জায় যায় এবং বাড়িতে একটি মূর্তির সামনে প্রার্থনা করে, কিন্তু কোন উত্তর পায় না।

তারপর একদিন, একজন প্রতিবাসী ফোন করে তাকে নিমন্ত্রণ করে তার বাড়িতে আসতে। একজন যুবক, যে যিহোবার সাক্ষীদের সাথে অধ্যয়ন করছিল। সে যখন ঈশ্বরের রাজ্য এবং লোকে যেখানে চিরকাল আনন্দে বাস করতে পারবে, পৃথিবীকে এমন এক পরমদেশে পরিণত করা সম্বন্ধে তাঁর উদ্দেশ্যের কথা বলছিল, তখন ম্যাগ্‌ডালেনা তা শুনছিল। টেবিলের উপরে আপনি পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্তকাল বেঁচে থাকতে পারেন বইটি ছিল। সেটি ব্যবহার করে যুবকটি বাইবেলে উপদেশক ৯:৫ পদটির প্রতি তার মনোযোগ আকর্ষণ করল, যেখানে বলা হয়েছে: “মৃতেরা কিছুই জানে না।” সেই সন্ধ্যায় সে আরও কিছুটা পড়ে। সে জানতে পারে যে মৃতেরা স্বর্গে অথবা নরকে অন্য কোন জীবন যাপন করছে না; তারা কোন কিছু সম্বন্ধেই সচেতন নয়, ঠিক যেন গভীর ঘুমে রয়েছে। যিহোবার সাক্ষীদের একটি স্থানীয় সভায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ সে আনন্দের সাথেই গ্রহণ করে। সভার পরে সে নিয়মিত বাইবেল অধ্যয়ন করতে রাজি হয়। সভায় যিহোবার কাছে যেভাবে প্রার্থনা করা হচ্ছে তা লক্ষ্য করে সেও তার একটি প্রবল দুর্বলতাকে অতিক্রম করতে সাহায্য করার জন্য যিহোবার কাছে প্রার্থনা করতে শুরু করে। সে যখন তার প্রার্থনার উত্তর পায়, তখন বুঝতে পারে যে সে সঠিক ধর্ম খুঁজে পেয়েছে।

তারা অর্থপূর্ণ জীবন খুঁজে পেয়েছিল

বেল্‌জিয়ামের একটি গোঁড়া ক্যাথলিক পরিবারে আন্দ্রে বড় হয়ে উঠেছিল এবং সে স্থানীয় পাদ্রির সহকারী হিসাবে কাজ করত। কিন্তু সেই সময়ে সে এমন সব কাজ লক্ষ্য করেছিল যে জন্য গির্জার প্রতি তার সম্মান কমে গিয়েছিল। যার, ফলে, সে শুধু নামে একজন ক্যাথলিক ছিল।

পনেরো বছর ধরে যে পেশাদারী ফুটবল খেলত। একবার, যখন তার দল ইতালিতে খেলতে গিয়েছিল, তখন পোপের সঙ্গে দেখা করবার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই সাক্ষাৎকারের সঙ্গে কোন আধ্যাত্মিক উন্নতি জড়িত ছিল না আর পোপের চারিপাশে জাগতিক প্রাচুর্য দেখে আন্দ্রের ভাল লাগেনি। গির্জা সম্বন্ধে তার সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়ে উঠল। তার নিজের ব্যক্তিগত জীবনও অসুখী ছিল কারণ দুইবার তার বিবাহ ভেঙে যায়। জগতের পরিস্থিতি তাকে হতাশ করে তুলেছিল। তার ডায়রিতে, ১৯৮৯ সালে সে লিখেছিল: ‘আমাদের চারিপাশে এই সমস্ত পাগলামির অর্থ কী?’ তার ধর্ম থেকে সে কোন উত্তর খুঁজে পায়নি।

আইস্‌ল্যান্ডে ফুটবলের কোচ্‌ হিসাবে কাজ করার সময়ে, ১৯৯০ সালে যিহোবার সাক্ষীদের একজন মিশনারী তার সঙ্গে দেখা করে। সে সাহিত্য গ্রহণ করে এবং সেই মিশনারীকে আবার ফিরে আসতে বলে। সে তার স্বামী চেলকে নিয়ে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত যখন তারা ভালভাবে আন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে সমর্থ হয়, তখন তারা স্পষ্ট বুঝতে পারে যে সে বাইবেলকে বুঝতে পারায় খুবই আগ্রহী ছিল। তার স্ত্রী আস্টারও একই আগ্রহ ছিল। ফুটবল শেখা- নোর মাঝে দুপুরের দিকে তার হাতে তিন ঘন্টা সময় ছিল এবং তারা ঠিক করে যে সেই সময়টি বাইবেল অধ্যয়নের জন্য ব্যবহার করবে। “বিশ্রাম নেওয়ার চাইতে বাইবেল অধ্যয়ন করে আমি আরও বেশি সতেজ বোধ করি,” সে বলেছিল। ক্রমে, বাইবেল তার প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিল। আস্তে আস্তে যিহোবা ও তাঁর রাজ্যের প্রতি তাদের বিশ্বাস বেড়ে উঠতে লাগল। একটি শান্তিপূর্ণ নতুন জগৎ, যেখানে কোন “পাগলামি” থাকবে না, সেই জগৎ, সম্বন্ধে বাইবেলের অপূর্ব প্রতিজ্ঞা তাদের কাছে বাস্তব হয়ে উঠল। আন্দ্রে এবং আস্টা, দুজনেই এখন তাদের নতুন বিশ্বাস অন্যদের জানাচ্ছে।

ম্যাগ্‌ডালেনা, আন্দ্রে এবং আস্টা নিশ্চিত যে তারা অবশেষে সঠিক ধর্ম খুঁজে পেয়েছে। এউকেনিয়াও, রাজনৈতিক উপায়ে জগতের সমস্যাগুলির সমাধান করার চেষ্টা করার পরে, শেষ পর্যন্ত যিহোবার সাক্ষীদের মধ্যে সেই ধর্মটি খুঁজে পায় যেটি তার কাছে সঠিক মনে হয়েছিল। কিন্তু কিভাবে বোঝা যায় কোন্‌ ধর্মটি সঠিক? দয়া করে পরবর্তী প্রবন্ধটি দেখুন।

[Pictures on page 7]

যিহোবার সাক্ষীদের সঙ্গে নিয়মিত বাইবেল অধ্যয়ন, পঞ্চাশ লক্ষেরও বেশি লোককে সন্তুষ্টিজনক উত্তর খুঁজে পেতে সাহায্য করছে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার