মৃতদের অবস্থা কী রকম?
মৃতদের কাছ থেকে ভয় একটি ধারণার উপর স্থাপিত—মৃত ব্যক্তির প্রাণ কিংবা আত্মা মৃত্যুর পরে জীবিত থাকে। বাইবেল যদি স্পষ্টভাবে শিক্ষা দেয় যে এই ধারণা মিথ্যা তাহলে মৃত ব্যক্তি আপনাকে ক্ষতি করার কোন প্রশ্ন ওঠে না। তাহলে, বাইবেল এই বিষয়ে কী বলে?
মৃতদের অবস্থা সম্বন্ধে ঈশ্বরের বাক্য বলে: “জীবিত লোকেরা জানে যে, তাহারা মরিবে; কিন্তু মৃতেরা কিছুই জানে না, এবং তাহাদের আর কোন ফলও হয় না, কারণ লোকে তাহাদের বিষয় ভুলিয়া গিয়াছে। তাহাদের প্রেম, তাহাদের দ্বেষ ও তাহাদের ঈর্ষা সকলই বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে; সূর্য্যের নীচে যে কোন কার্য্য করা যায়, তাহাতে কোন কালেও তাহাদের আর কোন অধিকার হইবে না।”—উপদেশক ৯:৫, ৬.
এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, মৃতেরা কি আপনাকে সাহায্য অথবা ক্ষতি করতে পারে? শাস্ত্র বলে, না। মৃতেরা চেতনাহীন এবং নিস্তব্দতায় আছে। তারা জীবিতদের সাথে যোগাযোগ কিংবা কোন অনুভূতি—প্রেম বা বিদ্বেষ প্রকাশ করতে পারে না—অথবা কোন কাজ সম্পাদন করতে পারে না। আপনার তাদেরকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।
‘হ্যাঁ, কেউ কেউ বলে, ‘যদি আপনি দৈহিক দেহ সম্বন্ধে চিন্তা করেন, তাহলে তা হয়ত সত্য হতে পারে। কিন্তু, দৈহিক মৃত্যু জীবনের শেষ নয়; তা শুধু দেহ থেকে আত্মা চলে যাওয়া মাত্র। সেই আত্মা, জীবিতদের সাহায্য কিংবা ক্ষতি করতে পারে।’ পৃথিবীব্যাপী লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি এইরকম মনে করে।
উদাহরণস্বরূপ, মাডাগাস্কারে বিশ্বাস করা হয় যে জীবন শুধু এক স্থানান্তরে গমন, তাই কবর এবং কবর খুঁড়ে তোলাকে বিবাহের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় যে সেই ব্যক্তি পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এসেছিল এবং মৃত্যুতে তাদের কাছেই ফিরে গেল। তাই জন্য, জীবিতদের ঘর কাঠ এবং মাটি দিয়ে তৈরি হয়, উপাদানগুলি যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়ে যায়, কিন্তু অপরপক্ষে মৃতদের জন্য কবরগুলি, “ঘর” সাধারণত বিশদ আর টেকশই করা হয়। যখন কবর খোঁড়া হয় পরিবার এবং বন্ধুরা মনে করে যে তারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হবে এবং মহিলারা মনে করে যদি তারা মৃত ব্যক্তির হাড় স্পর্শ করে, তাহলে তাদের বাচ্চা হবে। কিন্তু আবার বিবেচনা করুন ঈশ্বরের বাক্য এই সম্বন্ধে কী বলে?
মৃত্যু মানবজাতির জন্য উদ্দিষ্ট করা হয়নি
এটি লক্ষ্য করা আগ্রহের বিষয় যে যিহোবা ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন জীবিত থাকার জন্য এবং কেবল অবাধ্যতার পরিণাম হিসাবে তিনি মৃত্যুর কথা বলেছিলেন। (আদিপুস্তক ২:১৭) দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, প্রথম মানব এবং মানবী পাপ করে, আর তার ফলে এক প্রাণঘাতী উত্তরাধিকার হিসাবে পাপ সমগ্র মানবজাতির কাছে ছড়িয়ে পড়ে। (রোমীয় ৫:১২) তাই জন্য আপনি বলতে পারেন যে মৃত্যু হল জীবনের একটি বাস্তবতা, যখন থেকে প্রথম মানব দম্পতি অবাধ্য হয়, হ্যাঁ, জীবনের এক অতি কষ্টকর বাস্তবতা। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল, যা আংশিকরূপে ব্যাখ্যা করে কেন লক্ষ লক্ষ লোকদের শেষ হিসাবে মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়া কষ্টকর হয়।
বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী, মৃত্যু সম্বন্ধে ঈশ্বরের সাবধানবাণী যে অবাধ্যতা মৃত্যু নিয়ে আসবে শয়তান তা অস্বীকার করার দ্বারা প্রথম মানব দম্পতিকে প্রতারণা করে। (আদিপুস্তক ৩:৪) সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে এটি পরিষ্কার বোঝা গেল যে মানুষ মরে ঠিক যেমন ঈশ্বর বলেছিলেন তারা মরবে। ফলে, প্রত্যুত্তরে শতাব্দীগুলি অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে শয়তান আরেকটি মিথ্যা চালু করে—যে দেহের মৃত্যুর পর আত্মার কোন অংশ বেঁচে থাকে। এইধরনের প্রবঞ্চনা শয়তান দিয়াবলের প্রতি প্রযোজ্য, যীশু যাকে “মিথ্যাবাদী ও তাহার পিতা” হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। (যোহন ৮:৪৪) অপরপক্ষে, মৃত্যুর প্রতি ঈশ্বরের উত্তর হল একটি উৎসাহজনক প্রতিজ্ঞা।
কী প্রতিজ্ঞা?
অনেকের জন্য এটি হল পুনরুত্থানের প্রতিজ্ঞা। “পুনরুত্থান” শব্দটির গ্রীক অনুবাদ আনাসটাসিস্। এর আক্ষরিক অর্থ হল “আবার উঠে দাঁড়ানো,” এবং তা মৃত্যু থেকে উঠে আসা ইঙ্গিত করে। হ্যাঁ, মানুষ মৃত্যুতে শুয়ে পড়ে, কিন্তু ঈশ্বর তার শক্তির দ্বারা এক ব্যক্তিকে আবার উঠাতে পারেন। মানুষ জীবন হারায়, কিন্তু ঈশ্বর আবার জীবন দিতে পারেন। ঈশ্বরের পুত্র, যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন যে “এমন সময় আসিতেছে যখন কবরস্থ সকলে তাঁহার রব শুনিবে, এবং . . . বাহির হইয়া আসিবে।” (যোহন ৫:২৮, ২৯) প্রেরিত পৌল উল্লেখ করেন তার “ঈশ্বরে এই প্রত্যাশা করিতেছি যে, ধার্ম্মিক অধার্ম্মিক উভয় প্রকার লোকের পুনরুত্থান হইবে।” (প্রেরিত ২৪:১৫) প্রাক-খ্রীষ্টীয় সময়ের ঈশ্বরের এক বিশ্বাসী সেবক, ইয়োব পুনরুত্থানের প্রতি তার আশাকে ঘোষণা করেছিলেন: “মনুষ্য মরিয়া কি পুনর্জীবিত হইবে? আমি আপন সৈন্যবৃত্তির সমস্ত দিন প্রতীক্ষা করিব, যে পর্য্যন্ত আমার দশান্তর না হয়। পরে তুমি আহ্বান করিবে, ও আমি উত্তর দিব।”—ইয়োব ১৪:১৪, ১৫.
পুনরুত্থানের এই স্পষ্ট প্রতিজ্ঞা কি মৃতেরা যে অন্য কোন রূপে জীবিত থাকে এই ধারণাকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করে না? যদি মৃতেরা জীবিত থাকত এবং স্বর্গে অথবা কোন আধ্যাত্মিক জগতে তাদের অস্তিত্ব উপভোগ করত, তাহলে পুনরুত্থানের উদ্দেশ্য কী? তারা কি ইতিমধ্যেই তাদের পুরস্কার বা নিয়তি পায়নি? ঈশ্বরের বাক্যের পরীক্ষা প্রকাশ করে যে মৃতেরা প্রকৃতই মৃত, চেতনাহীন, ঘুমন্ত যতক্ষণ না এক নতুন জগতে আমাদের প্রেমময় পিতা যিহোবার এক প্রতিজ্ঞাত—পরমদেশে—পুনরুত্থানের মাধ্যমে বিরাট জাগরণ হচ্ছে। কিন্তু মৃত্যুর অর্থ যদি দেহ জীবিত না থাকে, তাহলে আধ্যাত্মিক জগতের সাথে আপাতদৃষ্টিতে যোগাযোগ সম্বন্ধে কী বলা যেতে পারে?
আধ্যাত্মিক জগৎ থেকে যোগাযোগ
আপাতদৃষ্টিতে আধ্যাত্মিক জগৎ থেকে যোগাযোগ সম্বন্ধে অসংখ্য রিপোর্ট পাওয়া গেছে। প্রকৃত- পক্ষে তাদের উৎপত্তি কোথা থেকে? বাইবেল আমাদের সাবধান করে “শয়তান দীপ্তিময় দূতের মুখোশ পরে। সুতরাং এটি সহজ বিষয় যে তার প্রতিনিধিরাও ধার্ম্মিকতার প্রতিনিধিদের মুখোশ পরে।” (২ করিন্থীয় ১১:১৪, ১৫, দ্যা নিউ ইংলিশ বাইবেল) হ্যাঁ, আরও সহজে, লোকেদের প্রবঞ্চিত এবং বিপথগামী করতে, মন্দ দূতেরা (বিদ্রোহী দূতগণ) জীবিতদের সাথে যোগাযোগ এবং কয়েকসময়ে সাহায্যকারী হতে ভান করেছে।
এই প্রবঞ্চনার প্রচারের বিরুদ্ধে প্রেরিত পৌল আরও সাবধানবাণী দেন: “কত লোক ভ্রান্তিজনক অনুপ্রাণিত বাক্য ও মন্দ দূতগণের শিক্ষাতে মন দিয়ে বিশ্বাস থেকে সরে পড়বে।” (১ তীমথিয় ৪:১, NW) সুতরাং মৃতদের কাছ থেকে যে কোন সাড়া খুব সম্ভবত সেই মন্দ দূতেদের, যারা “ধার্ম্মিকতার প্রতিনিধি” হিসাবে মুখোশ পরে এবং ধর্মীয় মিথ্যাকে তুলে ধরে, লোকেদের বাক্যের সত্য থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়, তাদের কাছ থেকে আসছে।
মৃতেরা যে কিছু বলতে, কিছু করতে কিংবা অনুভব করতে পারে না, সে বিষয়ে আরও জোর দেয় গীতসংহিতা ১৪৬:৩, ৪, NW বলে: “তোমরা নির্ভর করিও না রাজন্যগণে, বা মনুষ্য-সন্তানে, যাহার নিকটে ত্রাণ নাই। তাহার আত্মা নির্গত হয়, সে নিজ মৃত্তিকায় প্রতিগমন করে; সেই দিনেই তাহার সঙ্কল্প সকল নষ্ট হয়।” কোন্ আত্মা যা “নির্গত” হয়? এটি হল ব্যক্তির জীবনী-শক্তি যা নিঃশ্বাসের দ্বারা জীবিত থাকে। সেইজন্য, এক মৃত ব্যক্তি নিঃশ্বাস নেওয়া বন্ধ করলে তার ইন্দ্রিয়গুলি আর কাজ করে না। সে সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় প্রবেশ করে। তাই তার পক্ষে জীবিতদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
সেই কারণে বাইবেল মানুষের মৃত্যুকে পশুর মৃত্যুর সঙ্গে তুলনা করে যে মৃত্যুতে উভয়ই অচেতন অবস্থাতে পৌঁছায় এবং যে ধূলি থেকে তৈরি হয়েছিল সেইখানেই ফিরে যায়। উপদেশক ৩:১৯, ২০ পদ বলে: “মনুষ্য-সন্তানদের প্রতি যাহা ঘটে, তাহা পশুর প্রতিও ঘটে, সকলেরই প্রতি একরূপ ঘটনা ঘটে; এ যেমন মরে, সে তেমনি মরে; এবং তাহাদের সকলেরই নিঃশ্বাস এক; পশু হইতে মানুষের কিছু প্রাধান্য নাই, কেননা সকলই অসার। সকলেই এক স্থানে গমন করে, সকলেই ধূলি হইতে উৎপন্ন, এবং সকলেই ধূলিতে প্রতিগমন করে।”
মন্দ দূতেরা মৃতদের সাথে যোগাযোগ করতে ও তাদের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, এই চিন্তাধারা লোকেদের মধ্যে ঢুকিয়ে, প্রবঞ্চিত করতে চেষ্টা করে জেনে, যিহোবা ঈশ্বর তাঁর লোক, প্রাচীন ইস্রায়েলীয়দের সাবধান করেছিলে: “তোমার মধ্যে যেন এমন কোন লোক পাওয়া না যায়, . . . যে মন্ত্র ব্যবহার করে, বা গণক, বা মোহক, বা মায়াবী, বা ঐন্দ্রজালিক, বা ভূতড়িয়া, বা গুণী বা প্রেতসাধক। কেননা সদাপ্রভু এই সকল কার্য্যকারীকে ঘৃণা করেন; আর সেই ঘৃণার্হ কার্য্য প্রযুক্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সম্মুখ হইতে তাহাদিগকে অধিকারচ্যুত করিবেন।”—দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১০-১২.
স্পষ্টত, মৃতেরা যে আমাদের ক্ষতি করতে পারে এই ধারণাটি ঈশ্বর থেকে আসেনি। তিনি হলেন সত্যের ঈশ্বর। (গীতসংহিতা ৩১:৫; যোহন ১৭:১৭) আর সত্যের প্রেমিক যারা তাঁকে “আত্মায় ও সত্যে ভজনা” করে তাদের জন্য তিনি এক অপূর্ব ভবিষ্যৎ সঞ্চিত করে রেখেছেন।—যোহন ৪:২৩, ২৪.
যিহোবা, সত্যের এবং প্রেমের ঈশ্বর
আমাদের প্রেমময় স্বর্গীয় পিতা, যিনি “মিথ্যাকথনে অসমর্থ” তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন: লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি যারা মারা গেছে এবং কবরস্থ হয়েছে তারা ধার্মিকতার এক নতুন জগতে অনন্ত জীবনের আশা নিয়ে পুনরুত্থিত হবে! (তীত ১:১, ২; যোহন ৫:২৮) পুনরুত্থানের এই প্রেমময় প্রতিজ্ঞা দেখায় যে তাঁর সৃষ্ট মানবের মঙ্গলের প্রতি যিহোবার গভীর আগ্রহ আছে এবং মৃত্যু, দুঃখ এবং ব্যথা দূর করতে আন্তরিক ইচ্ছা আছে। তাই জন্য মৃতদের কাছ থেকে ভয় পাওয়া কিংবা তাদের ও তাদের আশা সম্বন্ধে অযথা চিন্তা করার কোন দরকার নেই। (যিশাইয় ২৫:৮, ৯; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) মৃত্যু যন্ত্রনা থেকে রক্ষা করে আমাদের প্রেমের এবং ন্যায়ের ঈশ্বর যিহোবা তাদের পুনরুত্থিত করতে পারেন এবং করবেন।
ধার্মিকতার নতুন জগতে কি ধরনের পরিস্থিতি হবে সেই বিষয়ের বর্ণনায় ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল পরিপূর্ণ। (গীতসংহিতা ৩৭:২৯; ২ পিতর ৩:১৩) সকল সহমানবের জন্য সেটি হবে শান্তি ও সুখের এবং প্রেমের সময়। (গীতসংহিতা ৭২:৭; যিশাইয় ৯:৭;১১:৬-৯; মীখা ৪:৩, ৪) সকলের জন্য সুরক্ষিত, উপযুক্ত ঘর আর তার সাথে সাথে উপভোগ্য কাজ ও থাকবে। (যিশাইয় ৬৫:২১-২৩) সকলের খাবার জন্য সেখানে প্রচুর উত্তম খাদ্য থাকবে। (গীতসংহিতা ৬৭:৬; ৭২:১৬) সকলে সুস্বাস্থ্য উপভোগ করবে। (যিশাইয় ৩৩:২৪; ৩৫:৫, ৬) যখন প্রেরিতরা এবং সংযোজিত সীমিত সংখ্যা যীশুর সাথে স্বর্গে রাজত্ব করবে, বাইবেল মৃত্যুর পর অন্য মৃতদের প্রাণ স্বর্গেতে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হবে বলে কিছুই বলে না। (প্রকাশিত বাক্য ৫:৯, ১০; ২০:৬) এটি অদ্ভুত হবে যদি কোটি কোটি ব্যক্তিরা যারা মারা গেছে মৃত্যু হওয়ার পরেও বেঁচে থাকে।
কিন্তু এটি অদ্ভুত নয় যখন আমরা বাইবেলের সঠিক শিক্ষা জানি: মৃতেরা আর জীবিত প্রাণ নয়। তারা আপনার ক্ষতি করতে পারে না। যারা কবরে থাকে তারা সাধারণভাবে ঘুমিয়ে, অচৈতন্যতায় আছে যতক্ষণ না ঈশ্বর তাঁর নিরূপিত সময়ে তাদের পুনরুত্থান করেন। (উপদেশক ৯:১০; যোহন ১১:১১-১৪;৩৮-৪৪) আমাদের আশা এবং আকাঙ্ক্ষা ঈশ্বরের উপর নির্ভর করে। “ইহাঁর কৃত পরিত্রাণে উল্লাসিত হইব, আনন্দ করিব।”—যিশাইয় ২৫:৯.
[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]
যেমন ঈশ্বরের বাক্য স্পষ্টভাবে দেখায়, মৃতেরা সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের পুনরুত্থিত করা হয়