ঈশ্বর অস্বীকারকারী বিংশ শতাব্দী
“লোকেরা ঈশ্বরের অনুপস্থিতিকে মেনে নেয় এবং স্বাধীনভাবে, ঈশ্বরের কথা না ভেবে, ভাল বা মন্দের বিচার না করে, নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে আরম্ভ করে।”—ঈশ্বর সম্বন্ধে একশ বছরের তর্কবিতর্ক—আধুনিক নাস্তিকতার উৎস। (ইংরাজি)
যদিও প্রথমে এটি গভীর ছাপ ফেলতে পারে কিন্তু পরিশেষে সেই বিশাল গাছটি একটা সাধারণ বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। এর উপস্থিতি সুপরিচিত হয়ে ওঠে, এর উচ্চতা আর অবাকের বিষয় থাকে না।
নাস্তিকতার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। যদিও উনবিংশ শতাব্দীতে এটি অনেক বিতর্কের সূচনা করেছিল, কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার আজকে আর অবাক বা উত্তেজনার সৃষ্টি করে না। প্রশ্রয়ের এই যুগ, নাস্তিকতাকে ঈশ্বর বিশ্বাসের সাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে সহাবস্থানের সুযোগ দিয়েছে।
এর অর্থ এই নয় যে অধিকাংশ লোক সরাসরি ঈশ্বরকে অস্বীকার করে; বরঞ্চ আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার প্রায় ১১টি দেশে নেওয়া সমীক্ষার ফলাফল জানায় যে, গড়ে প্রায় ২ শতাংশের একটু বেশি লোক নিজেদেরকে নাস্তিক বলে দাবি করে। কিন্তু যাইহোক না কেন, নাস্তিকতামূলক মনোভাবের প্রচলন আছে, এমনকি তাদের মধ্যেও যারা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। এটা কী করে সম্ভব?
ঈশ্বরের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করা
“অনেক সময় নাস্তিকতার অর্থ দাঁড়ায় কেবল মাত্র বাস্তবিক ক্ষেত্রে ঈশ্বরকে অস্বীকার অথবা অবজ্ঞা করা,” দি এনসাইক্লোপিডিয়া আমেরিকানা মন্তব্য করে। এই কারণে দ্যা নিউ শর্টার অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকসনারি “নাস্তিক” শব্দটির একটি দ্বিতীয় সংজ্ঞা দেয়: “একজন ব্যক্তি যে নৈতিকভাবে ঈশ্বরকে অস্বীকার করে; ঈশ্বরবিহীন এক ব্যক্তি।”—বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।
হ্যাঁ, নাস্তিকতার অর্থ হতে পারে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে বা তাঁর কর্তৃত্বকে অথবা দুটোকেই অস্বীকার করা। নাস্তিকতার এই মনোভাব সম্বন্ধে বাইবেল পরোক্ষভাবে উল্লেখ করে তীত ১:১৬ পদে: “তারা ঈশ্বরকে জানে বলে দাবি করে, কিন্তু তাদের কাজের দ্বারা তাঁকে অস্বীকার করে।”—দ্যা নিউ ইংলিশ বাইবেল; তুলনা করুন গীতসংহিতা ১৪:১.
ঈশ্বরের কর্তৃত্বের প্রতি ঐ ধরনের অস্বীকার, প্রথম মানব দম্পতির মধ্যে দিয়ে খুঁজে বার করা যায়। হবা ঈশ্বরের অস্তিত্বকে স্বীকার করেছিল, তবুও সে “ঈশ্বরের সদৃশ হইয়া সদসদ্-জ্ঞান প্রাপ্ত” হতে চেয়েছিল। এর নিহিতার্থ হল যে সে নিজেই নিজের কর্তা হওয়ার এবং নিজস্ব নৈতিক মান তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। পরে আদম ঈশ্বরের কর্তৃত্বের প্রতি অস্বীকারের এই কাজে হবার সাথে যোগদান করে।—আদিপুস্তক ৩:৫, ৬.
ইদানিং কালে এইধরনের মনোভাব কি প্রচলিত? হ্যাঁ। নাস্তিকতার একটা সূক্ষ্ম প্রকাশ পাওয়া যায় স্বাধীনতার প্রতি যে স্পৃহা তার মাধ্যমে। “আজকে লোকেরা ঈশ্বরের নজরের অধীনে বেঁচে থাকতে ক্লান্ত বোধ করে,” ঈশ্বর সম্বন্ধে একশ বছরের তর্কবিতর্ক—আধুনিক নাস্তিকতার উৎস নামক বইটি মন্তব্য করে। “তারা . . . স্বাধীনভাবে বাঁচতে পছন্দ করে।” বাইবেলের নৈতিক নিয়মকে, অকার্যকর, অবাস্তব বলে পরিত্যাগ করা হয়েছে। বেশ কিছু লোকেদের চিন্তাধারা অনেকটা মিশরীয় ফরৌণের মতো, যিনি বিরোধিতার সাথে ঘোষণা করেছিলেন: “যিহোবা কে, যে আমি তাঁর কথা শুনবো . . . ? আমি আদৌ যিহোবাকে জানি না।” তিনি যিহোবার কর্তৃত্বকে অস্বীকার করেছিলেন।—যাত্রাপুস্তক ৫:২, NW.
ঈশ্বর সম্বন্ধে খ্রীষ্টজগতের অস্বীকার
ঈশ্বরের কর্তৃত্বের প্রতি অস্বীকারের সবচাইতে মর্মান্তিক প্রকাশ ঘটে খ্রীষ্টজগতের পাদরীদের মধ্যে, যারা বাইবেলের নির্ভেজাল সত্যের পরিবর্তে, মানুষের পরম্পরাগত বিধি নিয়মকে প্রতিষ্ঠা করেছে। (তুলনা করুন মথি ১৫:৯.) এছাড়াও, তারা বিংশ শতাব্দীর রক্তাপ্লুত যুদ্ধগুলিকে সমর্থন জানিয়েছে, আর এইভাবে, আন্তরিক প্রেম প্রকাশ সম্বন্ধে যে বাইবেলের নির্দেশ তা অগ্রাহ্য করেছে।—যোহন ১৩:৩৫.
ঈশ্বরের নৈতিক মানগুলিকে পালন করতে অসম্মত হওয়ার দ্বারাও পাদরীরা তাঁকে অস্বীকার করেছে—উদাহরণস্বরূপ, এর প্রমাণ পাওয়া যায় শিশু কামের দোষে দোষী পুরোহিতদের বিরুদ্ধে আনা নিয়মিত ধারা থেকে। খ্রীষ্টজগতের পরিস্থিতি অনেকটা প্রাচীন কালের ইস্রায়েল ও যিহূদার মতো। “দশ রক্তে পরিপূর্ণ ও নগর অত্যাচারে পরিপূর্ণ,” ভাববাদী যিহিষ্কেলকে বলা হয়েছিল, “কারণ তাহারা বলে, সদাপ্রভু দেশ ত্যাগ করিয়াছেন, সদাপ্রভু দেখিতে পান না।” (যিহিষ্কেল ৯:৯; তুলনা করুন যিশাইয় ২৯:১৫.) এটা আশ্চর্যের বিষয় নয় যে অনেকে খ্রীষ্টজগতের গির্জাগুলিকে সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করেছে! কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি যে বিশ্বাস এটাও কি পরিত্যাগ করা তাদের পক্ষে বাঞ্ছনীয়?
নাস্তিকতার বৈধ কারণ?
ধর্মের কপটতা লক্ষ্য করুন বা নাই করুক, অনেক নাস্তিকবাদীরা কোন রকম ভাবেই ঈশ্বর বিশ্বাসের সাথে, জগতের এই দুঃখদুর্দশার সামঞ্জস্য খুঁজে পায় না। সিমোন ডি বোভয়ার একবার বলেছিলেন: “জগতের বিতর্কিত মতবাদের জর্জরিত স্রষ্টার চাইতে আমার পক্ষে স্রষ্টাবিহীন জগৎকে মেনে নেওয়া অনেক বেশি সহজ।”
এই জগতের অন্যায় অবিচার—এমনকি যেগুলি ভণ্ড ধর্মবাদীদের দ্বারা প্ররোচিত—তা কি প্রমাণ করে যে ঈশ্বর নেই? চিন্তা করে দেখুন: যদি একটি ছুরিকে ব্যবহার করা হয় কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে ভয় দেখাতে, তার ক্ষতি করতে অথবা তাকে খুন করবার জন্য, তাহলে কি এটা প্রমাণ করে যে সেই ছুরিটার কোন নির্মাতা নেই? বরঞ্চ এটা কি দেখায় না যে বস্তুটিকে ভুল ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে? ঠিক একইরকমভাবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষের যন্ত্রণা প্রমাণ করে যে মানুষ ঈশ্বর-দত্তক ক্ষমতা এবং পৃথিবী উভয়েরই অপব্যবহার করছে।
অনেকে অবশ্য মনে করে যে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করা অযৌক্তিক, যেহেতু আমরা তাঁকে দেখতে পাই না। কিন্তু বাতাস, শব্দতরঙ্গ আর গন্ধ, এদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? আমরা এদের মধ্যে একটিকেও দেখতে পাই না, তবুও আমরা জানি যে এগুলি আছে। আমাদের ফুসফুস, কান আর নাকই আমাদের তা বলে দেয়। অবশ্যই, আমরা যা দেখা যায় না তা বিশ্বাস করি যদি আমাদের কাছে প্রমাণ থাকে।
দৃশ্যতঃ প্রমাণগুলি—যার অন্তর্ভুক্ত হল ইলেকট্রনস, প্রোটনস, পরমাণু, এমিনো অ্যাসিড আর জটিল মস্তিষ্ক—এগুলির সম্বন্ধে চিন্তা করার পর একজন প্রকৃতি বিজ্ঞানী আরভিং উইলিয়াম নোব্লক মন্তব্য করতে বাধ্য হন যে: “আমি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি কারণ, এই সমস্ত কিছু যে ভাবে রয়েছে, সেটাই আমার কাছে তাঁর ঐশিক অস্তিত্বের একমাত্র যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা।” (তুলনা করুন গীতসংহিতা ১০৪:২৪.) শরীর বিজ্ঞানী মার্লিন বুকস্ ক্রাইডার ঠিক অনুরূপ কথা বলতে গিয়ে মন্তব্য করেন: “সাধারণ মানুষ হিসাবে এবং সারা জীবন বিজ্ঞান ভিত্তিক অধ্যয়ন ও গবেষণার ব্যয় করেছি এমন একজন ব্যক্তি হিসাবে, আমার ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই।”
এরাই যে একমাত্র উদাহরণ তা নয়। পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হেনরি মারগিনোর কথা অনুসারে, “আপনি যদি প্রথমশ্রেণীর বৈজ্ঞানিকদের কথা বিবেচনা করেন, তাহলে তাদের মধ্যে আপনি খুব কমই নাস্তিকবাদীদের খুঁজে পাবেন।” বিজ্ঞানের প্রগতি অথবা ধর্মের ব্যর্থতা, কোনটাই স্রষ্টার প্রতি আমাদের বিশ্বাসকে পরিত্যাগ করার যুক্তিযুক্ত কারণ যোগাতে পারে না। আসুন পরীক্ষা করে দেখি যে কেন।
সত্য ধর্মের বৈসাদৃশ্য
১৮০৩ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি থমাস জেফরসন লিখেছিলেন: “খ্রীষ্টতত্ত্বের যে কলুষতা, আমি অবশ্যই এর বিরোধী; কিন্তু যীশুর খাঁটি নীতিগুলির বিরোধী নই।” হ্যাঁ, খ্রীষ্টজগৎ ও খ্রীষ্টতত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। খ্রীষ্টজগতের অনেক মতবাদগুলি মানুষের পরম্পরাগত নিয়মের উপর স্থাপিত। তুলনামূলকভাবে সত্য খ্রীষ্টতত্ত্বের বিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে বাইবেলের উপর নির্ভরশীল। তাই, পৌল প্রথম শতাব্দীর কলসীয়দের লিখেছিলেন যে তাদের উচিত “তত্ত্বজ্ঞান,” “প্রজ্ঞা” এবং “আধ্যাত্মিক উপলব্ধিতা” অর্জন করা।—কলসীয় ১:৯, ১০, NW.
এটাই আমাদের প্রকৃত খ্রীষ্টানদের কাছ থেকে আশা করা উচিত, কারণ যীশু তাঁর অনুগামীদের আদেশ দেন: “সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; . . . আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও।”—মথি ২৮:১৯, ২০.
আজকে, যিহোবার সাক্ষীরা পৃথিবীব্যাপী ২৩১টি দেশে এই আদেশ পালন করে চলেছে। তারা বাইবেল ১২টি ভাষায় অনুবাদ করেছে এবং ৭,৪০,০০,০০০ সংখ্যারও বেশি প্রতিলিপি ছাপিয়েছে। এছাড়াও বাইবেল অধ্যয়নের যে ব্যবস্থা তার মাধ্যমে, তারা বর্তমানে ৪৫,০০,০০০ এর বেশি ব্যক্তিদেরকে সাহায্য করছে ‘যীশু যা যা আজ্ঞা করেছিলেন, সে সমস্ত পালন করতে।’
এই শিক্ষামূলক কর্মসূচি সুদূর প্রসারী ফল এনেছে। এটি প্রকৃত জ্ঞানালোকের সৃষ্টি করে, কারণ এর ভিত্তি মানুষের চিন্তাধারার উপরে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের প্রজ্ঞার উপরে নির্ভরশীল। (হিতোপদেশ ৪:১৮) এছাড়াও, এটি সমস্ত দেশ ও জাতির লোকেদেরকে সাহায্য করেছে এমন কিছু করতে যা মানুষের “জ্ঞানালোক” কখনও সম্পাদন করতে পারবে না—অর্থাৎ “নূতন মনুষ্যকে” পরিধান যা তাদেরকে সাহায্য করবে একে অপরের প্রতি আন্তরিক প্রেম প্রদর্শন করতে।—কলসীয় ৩:৯, ১০.
এই সত্যধর্ম বিংশ শতাব্দীতে সাফল্য লাভ করছে। এটি ঈশ্বরকে অস্বীকার করে না—তাঁর অস্তিত্বকে অথবা তাঁর কর্তৃত্বকে। আমরা আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি যিহোবার সাক্ষীদের একটি কিংডম হলে গিয়ে তা নিজে পরীক্ষা করে দেখুন।
[৬ পৃষ্ঠার বাক্স]
নাস্তিকতার শিকড়গুলি বলশালী করা
অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে দার্শনিক ডেনিস ডিড্রটকে ইংরাজি থেকে ফরাসী ভাষায় একক খণ্ডের একটি বিশ্বকোষ অনুবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যাইহোক, তিনি কিন্তু তার নিয়োগকর্তার চাহিদা অতিক্রম করে অনেক বেশি কিছু সম্পাদন করেছিলেন। ডিড্রট প্রায় তিন দশকের মত সময় অতিবাহিত করে ২৮ খণ্ডের একটি বিশ্বকোষ সঙ্কলন করেছিলেন, যা তার সমসাময়িক রীতিনীতি ও লোকেদের মনোভাবকে তুলে ধরেছিল।
যদিও এই বিশ্বকোষটি ছিল অনেক বাস্তবধর্মী উপদেশে ভরা, কিন্তু সেগুলি ছিল মানব-প্রজ্ঞাকে কেন্দ্র করে লেখা। মানবের বিরাট যুগ (ইংরাজি) নামক বই এর সংকলনটি “স্বাধীনভাবে এই [দার্শনিকের] মৌলিক বিশ্বাসকে ব্যক্ত করে, যে মানুষ তার ভাগ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে যদি সে তার বিশ্বাসকে যুক্তির দ্বারা পরিবর্তন করে তার জীবনের পরিচালনার নীতি হিসাবে।” ঈশ্বরের বিষয় উল্লেখ কোন চিহ্নই সেখানে পাওয়া যায় না। “বিষয়বস্তু নির্বাচনের বিষয়ে” গিয়ে আধুনিক উত্তরাধিকার (ইংরাজি) নামক বইটি জানায় যে “সম্পাদকেরা খুব স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে ধর্ম এমন কোন বিষয় নয় যে মানুষকে তা জানতেই হবে।” আশ্চর্যের কিছু নেই যে গির্জা এই বিশ্বকোষটিকে গোপন করার চেষ্টা করেছিল। এটর্নি জেনারেল প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন যে এটা হল রাজনীতি, ন্যায়পরায়ণতা ও ধর্মকে ধ্বংস করার চেষ্টা।
এত শত্রু থাকা সত্ত্বেও ডিড্রটের বিশ্বকোষটি প্রায় ৪, জন ব্যক্তি কিনতে চেয়েছিল—এমন একটি সংখ্যা যা সকলকে স্তম্ভিত করে, যখন এই বইটির অত্যধিক মূল্যের বিষয় বিবেচনা করা হয়। শুধুমাত্র অল্প সময়ের মধ্যেই নাস্তিকতার এই অন্তপ্রবাহ সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বর-অস্বীকারের ভূমিকা গ্রহণ করে।