ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৪ ১২/১ পৃষ্ঠা ২৫-৩০
  • সিদ্ধির যোগবন্ধনকারী প্রেমে একতাবদ্ধ

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সিদ্ধির যোগবন্ধনকারী প্রেমে একতাবদ্ধ
  • ১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • একতা জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত
  • অন্যমনষ্কতা একতার ক্ষতি করতে পারে
  • প্ররোচনামূলক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সতর্ক থাকা
  • যিহোবা আপনাকে শক্তিশালী করতে পারেন
    ১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ‘ইহাঁর মধ্যে গুপ্ত’ ধন খুঁজে পাওয়া
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবার যোগ্যরূপে চলতে অন্যদের সাহায্য করুন
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • মানবজাতির ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞানের প্রয়োজন
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৪ ১২/১ পৃষ্ঠা ২৫-৩০

সিদ্ধির যোগবন্ধনকারী প্রেমে একতাবদ্ধ

“প্রেমে পরস্পর একতাবদ্ধ হও।”​—⁠কলসীয় ২:​২, NW.

১, ২. কী বিভেদ-সৃষ্টিকারী প্রভাব আমরা বর্তমানে দেখতে পাই?

শোন! এক উচ্চরব স্বর্গব্যাপী প্রতিধ্বনিত করে বলতে লাগল: “পৃথিবী ও সমুদ্রের সন্তাপ হইবে; কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকটে নামিয়া গিয়াছে; সে অতিশয় রাগাপন্ন, সে জানে, তাহার কাল সংক্ষিপ্ত।’” (প্রকাশিত বাক্য ১২:১২) প্রতি বছর অতিক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে, পূর্বলক্ষণমত এই বার্তা পৃথিবীনিবাসীদের উপর ক্রমবর্ধমান আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।

২ যিহোবার প্রধান শত্রু দীর্ঘদিনব্যাপী বিরোধী (শয়তান) এবং অপবাদক (দিয়াবল) হিসাবে পরিচিত। কিন্তু এই প্রতারক এখন এক বিদ্বেষপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে​—⁠সে একজন ক্রুদ্ধ দেবতার রূপ নিয়েছে! কেন? কারণ ১৯১৪ সালে যুদ্ধে যা স্বর্গে শুরু হয়, মীখায়েল ও তাঁর দূতেরা তাকে স্বর্গ থেকে বহিষ্কার করে দেয়। (প্রকাশিত বাক্য ১২:​৭-৯) দিয়াবল জানে যে, সকল মানুষকে ঈশ্বরের উপাসনা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার যে দাবি, তার সত্যতা প্রমাণ করার আর খুব অল্পই সময় আছে। (ইয়োব ১:১১; ২:​৪, ৫) পালাবার আর কোন পথ না পেয়ে এখন সে ও তার দূতেরা উন্মোত্ত মৌমাছির ঝাঁকের মত অস্থির মানব সমাজের উপর তাদের ক্রোধ বর্ষণ করছে।​—⁠যিশাইয় ৫৭:২০.

৩. আমাদের দিনে শয়তানকে অপকৃষ্ট করার ফল কী দাঁড়িয়েছে?

৩ মানব চক্ষুর অগোচরে ঘটিত এই সকল ঘটনা, আমাদের ব্যাখ্যা দেয় কেন বর্তমানে মানুষের মধ্যে নৈতিক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনাগুলি আরও বিস্তারিতভাবে জানায় যে কেন বিভক্ত জাতিগুলিকে প্রলেপ দিয়ে জোড়া লাগানোর মত ক্ষিপ্র প্রচেষ্টা যা স্পষ্টতই একতা রেখে চলতে পারে না। সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত দলগুলি একে অপরকে নৃশংসরূপে আক্রমণ করে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ লোকেরা গৃহহীন ও বাস্তুহারা হয়ে পড়ে। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই যে কেন অরাজকতা নজীরহীন গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে! যেমন যীশু ভাববাণী করেছিলেন, ‘অধিকাংশ লোকের প্রেম শীতল হয়ে যাচ্ছে।’ যেদিকেই তাকান না কেন, দেখবেন অসংগতি ও প্রেমের অভাব, যা আজকের অস্থির মানবসমাজের চিহ্নস্বরূপ।​—⁠মথি ২৪:​১২.

৪. ঈশ্বরের লোকেরা কেন বিশেষ বিপদের সম্মুখীন?

৪ জগৎ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, তার অনুগামীদের জন্য যীশুর প্রার্থনা এক অন্তর্নিহিত অর্থ রাখে: “আমি নিবেদন করিতেছি না যে, তুমি তাহাদিগকে জগৎ হইতে লইয়া যাও, কিন্তু তাহাদিগকে সেই “পাপাত্মা” বিশেষ করে তাদের উপর তার ক্রোধ বর্ষণ করে “যাহারা ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন ও যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে।” (প্রকাশিত বাক্য ১২:১৭) যিহোবা যদি সতর্কতামূলক দৃষ্টি ও প্রেমপূর্ণ যত্ন না নিতেন, তাহলে তাঁর বিশ্বস্ত সাক্ষীদের মুছে ফেলা হত। ঈশ্বর আমাদের আধ্যাত্মিক নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য যে সব আয়োজন রেখেছেন, সেইগুলি সদ্ব্যবহারের উপরই আমাদের জীবন নির্ভর করে। এর অন্তর্ভুক্ত হল পৌল কলসীয় ১:২৯ পদে যেমন প্রেরণা দিয়েছেন, খ্রীষ্টের মাধ্যমে তাঁর শক্তির প্রয়োগ অনুসারে আমাদের প্রাণপণ চেষ্টা করা।

৫, ৬. কলসীর খ্রীষ্টানদের জন্য প্রেরিত পৌলের উপলব্ধিবোধ কেমন ছিল এবং ১৯৯৫ সালের শাস্ত্রপদের বিষয়বস্তু উপযুক্ত কেন?

৫ যদিও পৌল সম্ভবত কখনও চাক্ষুষ তাদের দেখেননি, তবু কলসীর ভাইদের তিনি স্নেহ করতেন। তিনি তাদের বলেছিলেন: “আমি কামনা করি যেন তোমরা বুঝতে পার যে তোমাদের জন্য আমার কতখানি গভীর উদ্বেগ আছে। (কলসীয় ২:​১, দ্যা নিউ টেষ্টামেন্ট ইন্‌ মর্ডান ইংলিশ, জে. বি. ফিলিপস্‌ কর্তৃক) যেহেতু যীশুর অনুগামীরা জগতের অংশ নয়, তাই “সেই পাপাত্মা” ভাইদের মধ্যে জাগতিক আত্মার বীজ বপন করার মাধ্যমে তাদের একতা ভাঙ্গার চেষ্টা করবে। কলসী থেকে ইপাফ্রা যে তথ্য এনেছিলেন, তা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে কিছুটা পরিমাণ এই ঘটনাই সেইখানে ঘটে চলেছে।

৬ খ্রীষ্টীয় ভাইদের প্রতি পৌলের প্রধান আগ্রহের বিষয়গুলির একটিকে সংক্ষেপে এইভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে: “প্রেমে পরস্পর একতাবদ্ধ হও।” অনৈক্য ও প্রেমহীনতায় পূর্ণ এক জগতে বর্তমানে পৌলের কথাগুলি এক বিশেষ অর্থ রাখে। আমারা যদি পৌলের উপদেশ হৃদয়ে রাখি, তাহলে আমরা যিহোবার যত্নের অধীনে থাকবো। আমাদের জীবনে তাঁর আত্মার শক্তির কার্যকারিতাও উপলব্ধি করবো, যা আমাদের জগতের চাপগুলি দমন করতে সাহায্য করবে। কত সু-বিচারপূর্ণই না এই উপদেশ! অতএব, কলসীয় ২:২ পদ হবে আমাদের ১৯৯৫ সালের শাস্ত্রপদের বিষয়বস্তু।

৭. সত্য খ্রীষ্টানদের মধ্যে কী ধরনের একতা খুঁজে পাওয়া উচিত?

৭ করিন্থীয়দের প্রতি লিখিত তার আগের এক পত্রে, প্রেরিত মানবদেহকে এক দৃষ্টান্তরূপে ব্যবহার করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন যে অভিষিক্ত খ্রীষ্টানদের মণ্ডলীতে “যেন বিচ্ছেদ না হয়,” কিন্তু ‘সকলে যেন পরস্পরের জন্য সমভাবে চিন্তা করে।’ (১ করিন্থীয় ১২:​১২, ২৪, ২৫) কী চমৎকার দৃষ্টান্ত! আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি পরস্পর নির্ভরশীল, প্রতিটি শরীরের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত। আমাদের জগদ্ব্যাপী ভ্রাতৃসমাজের ক্ষেত্রেও এই একই নীতি প্রযোজ্য যা অভিষিক্ত এবং লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি যারা পরমদেশ পৃথিবীতে জীবনের আশা রাখে, তাদের নিয়ে গঠিত। আমরা অবশ্যই আমাদের সহখ্রীষ্টানদের সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে থাকবো না! আমাদের ভাইদের সঙ্গে মেলামেশার সময়ে খ্রীষ্ট যীশুর মাধ্যমে ঈশ্বরের আত্মা অদম্য গতিতে আমাদের মধ্যে প্রবাহিত হয়।

একতা জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত

৮, ৯. (ক) মণ্ডলীর মধ্যে একতা আনার জন্য কী অপরিহার্য? (খ) খ্রীষ্ট সম্পর্কে আপনি কিভাবে জ্ঞান অর্জন করেছেন?

৮ পৌলের বক্তব্যের একটি মুখ্য বিষয় ছিল যে খ্রীষ্টীয় একতা জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, বিশেষকরে খ্রীষ্টের সম্বন্ধে। পৌল লিখেছিলেন যে খ্রীষ্টানরা যেন “প্রেমে পরস্পর একতাবদ্ধ হও এবং জ্ঞানের নিশ্চয়তারূপ সমস্ত ধনে ধনী হইয়া উঠ, যেন ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব, অর্থাৎ খ্রীষ্টকে জানতে পাও।” (কলসীয় ২:⁠২) যখন থেকে আমরা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করেছিলাম, তখন থেকেই জ্ঞান​—⁠অর্থাৎ তথ্যগুলি​—⁠নিতে শুরু করেছি। আমরা যখন বুঝতে শিখি যে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের মধ্যে সেই ঘটনাগুলি কিভাবে সম্পর্কযুক্ত, তখন আমরা যীশুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উপলব্ধি করি। “তাঁহার মধ্যে জ্ঞানের ও বিদ্যার সমস্ত নিধি গুপ্ত রহিয়াছে।”—কলসীয় ২:৩.

৯ ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের ক্ষেত্রে যীশু ও তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে আপনার উপলব্ধিবোধ কি এরকম? খ্রীষ্টীয় জগতের অনেকেই যীশুর বিষয়ে উল্লেখ করতে তৎপর, এই দাবি করে যে তারা তাঁকে গ্রহণ করেছে এবং পরিত্রাণও পেয়ে গেছে। কিন্তু সত্যি সত্যি কি তারা তাঁকে জানে? না, তারা তাঁকে চেনে না, কারণ অধিকাংশই অশাস্ত্রীয় ত্রিত্ব মতবাদে বিশ্বাস করে আপনি শুধুমাত্র যে এই বিষয়ে সত্যই জানেন তাই নয়, কিন্তু যীশু কী বলেছিলেন ও করেছিলেন সে বিষয়েও হয়তো আপনার আরও অধিক জানা আছে। সর্বমহান পুরুষ যিনি কখনও জীবিত ছিলেন বইটির তথ্যপূর্ণ অধ্যয়নে লক্ষাধিক ব্যক্তি যীশুর বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা পেয়েছে। তথাপি যীশু ও তাঁর পথ সম্বন্ধে আরও গভীরভাবে আমাদের জ্ঞান অর্জন করে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

১০. কিভাবে জ্ঞানের ও বিদ্যার গুপ্ত বিষয়সকল আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি?

১০ “জ্ঞানের ও বিদ্যার সমস্ত নিধি” যীশুর মধ্যে “গুপ্ত রহিয়াছে” এই উক্তিটির অর্থ এমন নয় যে এই জ্ঞান আমাদের উপলব্ধির অতীত। এটা একটা উন্মুক্ত খনির মত। আমাদের চারিদিকে খুঁজে বেড়াতে হয় না ঠিক কোথা থেকে খোঁড়ার কাজ শুরু করবো। আমরা ইতিমধ্যেই জানি​—⁠যীশু খ্রীষ্ট সম্পর্কে বাইবেল যা শিক্ষা দেয়, প্রকৃত জ্ঞানের শুরু সেখানেই। যিহোবার উদ্দেশ্য সাধনের ক্ষেত্রে যীশুর ভূমিকা আমরা যখন পূর্ণভাবে উপলব্ধি করি, তখন যথার্থ জ্ঞান ও প্রকৃত প্রজ্ঞার ধন আমরা অর্জন করি। সুতরাং আমাদের প্রয়োজন হল উন্মুক্ত খনির গভীর তলদেশ থেকে ক্রমাগতভাবে আরও অধিক রত্ন অথবা বহুমূল্য ধন অর্জন করা, যা আমরা আগেই উন্মুক্ত করে রেখেছিলাম।​—⁠হিতোপদেশ ২:​১-৫.

১১. যীশুর বিষয়ে ধ্যান কিভাবে আমাদের প্রজ্ঞা ও জ্ঞান অর্জনে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে? (যীশুর তার শিষ্যদের পা ধুইয়ে দেওয়ার অথবা অন্য দৃষ্টান্তের সাহায্যে ব্যাখ্যা করুন)

১১ উদাহরণস্বরূপ, আমরা হয়তো জানি যে যীশু তাঁর শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিয়েছিলেন। (যোহন ১৩:​১-২০) কিন্তু, আমরা কি, যে শিক্ষা তিনি দিচ্ছিলেন ও যে মনোভাব তিনি দেখিয়েছিলেন, তার উপর ধ্যান করি? তা করলে আমরা হয়তো তলদেশ থেকে প্রজ্ঞারূপ রত্ন বার করে নিয়ে আসবো যা আমাদের সাহায্য করবে​—⁠হ্যাঁ, উদ্বুদ্ধ করবে​—⁠আমাদের কোন ভাই বা বোনের সঙ্গে ব্যবহারে পরিবর্তন আনতে, যার ব্যক্তিত্ব হয়তো দীর্ঘদিনব্যাপী আমাদের কাছে বিরক্তিকর ছিল। অথবা আমাদের যখন কোন দায়িত্ব দেওয়া হয়, যখন সেটা আমাদের মনমতো নয়, তখন যদি আমরা যোহন ১৩:​১৪, ১৫ পদের পূর্ণ অর্থ উপলব্ধি করে থাকি, তাহলে আমরা হয়তো অন্যরকম প্রতিক্রিয়া দেখাবো। এইভাবে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা আমাদের উপর প্রভাব ফেলে। খ্রীষ্টের বিষয়ে এই বর্ধিত জ্ঞান অনুযায়ী যখন আমরা আরও সূক্ষ্ণভাবে আচরণ করবো, তখন তা অপরের উপরে কী ধরনের প্রভাব আনবে? সম্ভবত পালেরা হয়তো আরও ‘বেশি প্রেমে পরস্পর একতাবদ্ধ হবে।’a

অন্যমনষ্কতা একতার ক্ষতি করতে পারে

১২. কোন্‌ ধরনের জ্ঞানের বিষয়ে আমাদের সাবধান থাকতে হবে?

১২ যদি সঠিক জ্ঞান আমাদের ‘প্রেমে পরস্পর একতাবদ্ধ হতে’ সাহায্য করে, তাহলে “মিথ্যারূপে জ্ঞান নামে আখ্যাত” থেকে কী ফল হতে পারে? ঠিক বিপরীত​—⁠বাদানুবাদ, অসঙ্গতি, এবং বিশ্বাস হতে সরে পড়া। অতএব আমরা অবশ্যই এই প্রকারের মিথ্যা জ্ঞানের বিরুদ্ধে সচেতন থাকবো, যেমন পৌল তীমথিয়কে সতর্ক করেছিলেন। (১ তীমথিয় ৬:২০ ২১) পৌল এও লিখেছিলেন: “এ কথা বলিতেছি, যেন কেহ প্ররোচক বাক্যে তোমাদিগকে না ভুলায়। দেখিও, দর্শনবিদ্যা ও অনর্থক প্রতারণা দ্বারা কেহ যেন তোমাদিগকে বন্দি করিয়া লইয়া না যায়; তাহা মনুষ্যদের পরম্পরাগত শিক্ষার অনুরূপ, জগতের অক্ষরমালার অনুরূপ, খ্রীষ্টের অনুরূপ নয়।”—কলসীয় ২:৪, ৮.

১৩, ১৪. (ক) কলসীর ভাইয়েরা কেন জ্ঞান অর্জন করার বিষয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়েছিল? (খ) বর্তমানে কিছু লোকে কেন ভাবতে পারে এমন বিপদ তাদের নেই?

১৩ কলসীয় খ্রীষ্টানেরা ‘মিথ্যারূপে আখ্যাত জ্ঞানের’ ক্ষতিকারক প্রভাবের দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল। কলসী ও পাশাপাশি এলাকার অনেক লোকেরা গ্রীক দর্শনবিদ্যাকে অতিশয় সম্মানের চোখে দেখতো। সেখানে যিহূদী ভাবাপন্ন ব্যক্তিরাও ছিল যারা চেয়েছিল খ্রীষ্টানেরা যেন মোশির নিয়ম মেনে চলে, যেমন ভোজন ও উৎসবের দিনগুলি। (কলসীয় ২:​১১, ১৬, ১৭) পৌল কিন্তু সঠিক জ্ঞান তাদের সাবধান হওয়ার প্রয়োজন ছিল যাতে তারা মানুষের ঠকামির শিকার হয়ে, মানুষের দৃষ্টিকোণ গ্রহণ করে যেন জীবন পরিচালনা না করে। আপনি বুঝতে পারছেন যে মণ্ডলীতে যদি কেউ এই প্রকার অশাস্ত্রীয় ধারণার দ্বারা পরিচালিত হয়ে তাদের জীবনের চিন্তাধারা ও সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা মণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে প্রেম ও ঐকতান আনবে না।

১৪ ‘হ্যাঁ,’ আপনি হয়তো ভাবছেন, ‘কলসীয়েরা যেভাবে বিপদাপন্ন হয়েছিল তা আমি বুঝতে পারছি, কিন্তু আত্মার অমরত্ব বা ত্রিত্বের ঈশ্বরের মত গ্রীক দর্শনবাদের দ্বারা প্রভাবিত হবার ভয় আমার নেই; বা মিথ্যা ধর্মীয় পৌত্তলিক উৎসবের দিনগুলির দ্বারা বিপথে চালিত হওয়ার ভয়ও আমার নেই।’ খুবই ভাল কথা। যীশুর মাধ্যমে যে সহজ-সরল সত্য প্রকাশিত হয়েছিল, যেগুলি শাস্ত্রে পাওয়া যায়, তার উৎকৃষ্টতা সম্বন্ধে দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত থাকা ভাল। তবুও এমন কি হতে পারে যে বর্তমানে প্রচলিত অন্যান্য দর্শনবিদ্যা অথবা মানুষের চিন্তাধারার দ্বারাও আমরা বিপদগ্রস্ত হতে পারি?

১৫, ১৬. জীবন সম্পর্কে কী ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি একজন খ্রীষ্টানের চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করতে পারে?

১৫ এই প্রকারের একটি ধারণা দীর্ঘদিন আমাদের চারিপাশে প্রচলিত: “এখন তাঁর আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়? আমাদের পিতৃলোকেরা তো দীর্ঘকালাবধি নিদ্রাগত রয়েছেন, কিন্তু সেই অবধি সমস্তই তো আরম্ভ অবধি যেমন, তেমনই রয়েছে।” (২ পিতর ৩:​৪, দ্যা নিউ ইংলিস বাইবেল) এই ধারণাটি হয়তো অন্যভাবে ব্যক্ত হতে পারে, কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি একই। উদাহরণস্বরূপ, কেউ হয়তো ভাবতে পারে যে, ‘আমি যখন সত্য শিখেছিলাম কয়েক দশক আগে, তখন শেষ ছিল “খুব কাছে।” কিন্তু এখনও তা আসেনি এবং কেই বা জানে তা কখন আসবে?’ এটা সত্য যে কোন মানুষই জানে না যে শেষ কখন হবে। তবুও, যীশু আমাদের কী ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে পরামর্শ দিয়েছিলেন তা লক্ষ্য করুন: “সাবধান, তোমরা জাগিয়া থাকিও ও প্রার্থনা করিও; কেননা সে সময় কবে হইবে, তাহা জান না।”—মার্ক ১৩:৩২, ৩৩.

১৬ শেষ কখন আসবে তা না জানার জন্য আমরা যদি পূর্ণমাত্রায় তথাকথিত “অতিসাধারণ” জীবনযাপন করার পথ অবলম্বন করি, তাহলে কতই না বিপজ্জনক হবে! এই মনোভাব হয়তো এইরকম যুক্তি প্রদর্শন করতে পারে, ‘এটাই ভাল হবে যে আমি [অথবা আমার ছেলেমেয়েদের] জন্য একটা চাকুরির চেষ্টা করবো, যা হয়তো আমাকে প্রচুর অর্থ দেবে ও আরামপ্রদ জীবনযাপন করতে পারবো। অবশ্যই, আমি খ্রীষ্টীয় সভাগুলিতে যোগ দেব ও প্রচার কাজে কিছুটা অংশ নেব, কিন্তু প্রাণপণ করা বা বিরাট আত্মত্যাগ করার কোন কারণ আমি খুঁজে পাই না।’​—⁠মথি ২৪:​৩৮-৪২

১৭, ১৮. যীশু ও প্রেরিতেরা কী প্রকারের দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন?

১৭ কিন্তু, অনস্বীকার্য যে যীশু ও তাঁর প্রেরিতেরা সুপারিশ করেছেন যে আমরা যেন সময়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জীবন যাপন করি, প্রচার কাজে অংশ নিই, প্রাণপণ করি এবং স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করি। পৌল লিখেছিলেন, “আমি এই কথা বলিতেছি, ভ্রাতৃগণ, সময় সঙ্কুচিত, এখন হইতে যাহাদের স্ত্রী আছে, তাহারা এমন চলুক, যেন তাহাদের স্ত্রী নাই . . . যাহারা ক্রয় করিতেছে, তাহারা যেন কিছুই রাখে নাই; আর যাহারা সংসার ভোগ করিতেছে, যেন পূর্ণমাত্রায় করিতেছে না, যেহেতুক এই সংসারের অভিনয় অতীত হইতেছে।”—১ করিন্থীয় ৭:২৯-৩১; লূক ১৩:​২৩, ২৪; ফিলিপীয় ৩:​১৩-১৫; কলসীয় ১:২৯; ১ তীমথিয় ৪:১০; ২ তীমথিয় ২:৪; প্রকাশিত বাক্য ২২:২০.

১৮ আরামপ্রদ জীবন যাপনের জন্য লক্ষ্য স্থাপন করার সম্পূর্ণ বিপরীতে, প্রেরিত পৌল অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছিলেন: “আমরা জগতে কিছুই সঙ্গে আনি নাই, কিছুই সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইতেও পারি না; কিন্তু গ্রাসাচ্ছাদন পাইলে আমরা তাহাতেই সন্তুষ্ট থাকিব। . . . বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ।”—১ তীমথিয় ৬:৭-১২.

১৯. যীশু জীবন সম্পর্কে যে দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে উৎসাহ দিয়েছেন, যখন তা গ্রহণ করা হয় তখন মণ্ডলীতে কী ধরনের প্রভাব হয়?

১৯ যে মণ্ডলী উদ্যোগী খ্রীষ্টানদের নিয়ে গঠিত, যারা জনসাধারণে “মুখে স্বীকার” করার জন্য প্রাণপণ করে, সেখানে ঐকতান আসবেই। তারা এরকম মনোভাব পোষণ করে না, “বহু বৎসরের নিমিত্ত তোমার জন্য অনেক দ্রব্য সঞ্চিত আছে; বিশ্রাম কর, ভোজন পান কর, আমোদ প্রমোদ কর।” (লূক ১২:১৯) পরিবর্তে, তারা সেই একই প্রচেষ্টায় একতাবদ্ধ, যে কাজের আর কখনও পুনরাবৃত্তি হবে না, সেই কাজে পূর্ণরূপে অংশগ্রহণ করার জন্য তারা যতটা সম্ভব ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত।​—⁠তুলনা করুন ফিলিপীয় ১:​২৭, ২৮.

প্ররোচনামূলক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সতর্ক থাকা

২০. আর একটি ক্ষেত্র কী যার দ্বারা খ্রীষ্টানেরা ভ্রান্ত হতে পারে?

২০ অবশ্যই, অন্যান্য বিষয়ও রয়েছে যেখানে খ্রীষ্টানেরা প্ররোচনারূপ দ্বন্দ্বের অথবা সরাসরি প্রতারণার শিকার হতে পারে যা ‘প্রেমে পরস্পর একতাবদ্ধ হয়ে’ চলতে বাধা দেয়। ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটির জার্মানির শাখা অফিস লিখেছে: “একটি ঘটনা যা বহু মণ্ডলীতে ব্যাপকতর মতবিরোধের সৃষ্টি করেছে তা হল একজন ভাই কী ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশক ও প্রাচীনের বিভিন্ন পক্ষ নিয়েছেন।” তারা আরও জানায়: “বহু সংখ্যক রুগী ও বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে এই বিষয়টি বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে এবং চিকিৎসা পদ্ধতির পিছনে যদি কোন ভৌতিক প্রতিক্রিয়া লুকিয়ে থাকে, তাহলে তাও ক্ষতিকর হতে পারে।”​—⁠ইফিষীয় ৬:১২

২১. বর্তমান সময়ে কিভাবে একজন খ্রীষ্টান সঠিক লক্ষ্য থেকে ভ্রষ্ট হতে পারে?

২১ সুস্বাস্থের অধিকারী হয়ে খ্রীষ্টানেরা জীবিত থাকতে চায়, যাতে ঈশ্বরকে উপাসনা করা যায়। তবুও, অসিদ্ধতাবশত এই বিধিব্যবস্থায় আমরা অসুস্থ ও বৃদ্ধ হয়ে পড়ি। স্বাস্থ্যের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে নিজেদের ও অপরের জন্য প্রকৃত সমাধানের উপর জোর দেওয়াই সঠিক কাজ হবে। (১ তীমথিয় ৪:১৬) এই সমাধানের কেন্দ্রবিন্দু হলেন খ্রীষ্ট, এমনকি যেমন কলসীয়দের প্রতি পৌলের উপদেশে তিনি ছিলেন কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু মনে রাখবেন, পৌল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে কেউ কেউ হয়তো “প্ররোচক বাক্যে”-র দ্বারা, সম্ভবত বৈশিষ্ট্যমূলক কোন পদ্ধতি, চিকিৎসার অথবা পথ্যের প্রতি, আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে যাবে খ্রীষ্ট হতে।​—⁠কলসীয় ২:​২-৮.

২২. চিকিৎসা ও পরীক্ষানিরীক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে যে বিবিধ দাবি করা হয়ে থাকে, সে বিষয়ে কী ভারসাম্যপূর্ণ মনোভাব আমাদের রাখা উচিত?

২২ পৃথিবীব্যাপী লোকেরা সকল রকম চিকিৎসা ও পরীক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে বিজ্ঞাপন ও লোকেদের সাক্ষ্যপত্রের বন্ধনে আবদ্ধ। সেগুলির মধ্যে কিছু কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাপকভাবে পরিচিত ও স্বীকৃত; অন্যগুলি ব্যাপকহারে সমালোচিত অথবা সন্দেহভাজন।b প্রতিটি ব্যক্তিই তার নিজ স্বাস্থ্যের বিষয়ে কী করবেন সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে দায়িত্বশীল। কিন্তু যারা পৌলের কলসীয় ২:​৪, ৮ পদের পরামর্শ গ্রহণ করবে, তারা “প্ররোচক বাক্য” অথবা “অনর্থক প্রতারণা” থেকে রক্ষা পাবে, যা অনেককে, যাদের রাজ্যের আশা নেই অথচ মুক্তির জন্য উদগ্রীব, এমন বহু ব্যক্তিকে বিপথে নিয়ে যাবে। এমনকি যদি একজন খ্রীষ্টান নিশ্চিতও হয় যে নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা পদ্ধতি তার জন্য ভাল হবে, তবে তার খ্রীষ্টীয় ভ্রাতৃত্বের মধ্যে সেটাকে জাহির করা উচিত নয়, কারণ তা হয়তো এক ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারে। তা করার দ্বারা সে প্রমাণ করবে যে সে মণ্ডলীর মধ্যে ঐকতান আনার গুরুত্বকে অতিশয় সম্মান করে।

২৩. আমাদের আনন্দিত হবার কী বিশেষ কারণ রয়েছে?

২৩ পৌল জোর দিয়ে বলেছিলেন যে খ্রীষ্টীয় ঐকতান হল প্রকৃত আনন্দের এক উৎস। তার সময়ে মণ্ডলীর সংখ্যা ছিল বর্তমানের তুলনায় অবশ্যই অনেক কম। তথাপি তিনি কলসীয়দের লিখতে পেরেছিলেন: “যদিও আমি মাংসে অনুপস্থিত, তথাপি আত্মাতে তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি, এবং আনন্দপূর্ব্বক তোমাদের সুশৃঙ্খলা ও খ্রীষ্টে বিশ্বাসরূপ সুদৃঢ় গাঁথনি দেখিতে পাইতেছি।” (কলসীয় ২:​৫, এছাড়া কলসীয় ৩:১৪ পদও দেখুন।) আমাদের আনন্দের আরও কত বৃহত্তর কারণই না রয়েছে! আমাদের মণ্ডলীতে আমরা ঐকতান, সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও দৃঢ় বিশ্বাসের নিদর্শনের প্রমাণ দেখি, যা পৃথিবীব্যাপী ঈশ্বরের লোকেদের সাধারণ পরিস্থিতিকে চিত্রিত করে। সুতরাং বর্তমান বিধিব্যবস্থার অল্প অবশিষ্ট সময়টুকুতে আসুন আমরা প্রত্যেকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হই “প্রেমে পরস্পর একতাবদ্ধ” হতে।

[পাদটীকাগুলো]

a যদিও বহু শিক্ষণীয় বিষয় আমাদের আছে, কিন্তু দেখুন নিম্নলিখিত উদাহরণগুলি থেকে আমরা যীশুর বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে কী শিখতে পারি যা হয়তো আপনার মণ্ডলীতে একতা রক্ষার কাজে সহায়তা করতে পারে: মথি ১২:​১-৮; লূক ২:​৫১, ৫২; ৯:​৫১-৫৫; ১০:২০; ইব্রীয় ১০:​৫-৯.

b প্রহরীদুর্গ জুন ১৫, ১৯৮২, পৃষ্ঠা ২২-৯ দেখুন।

আপনি কি লক্ষ্য করেছেন?

▫ যিহোবার সাক্ষীদের ১৯৯৫ সালের শাস্ত্রপদ কী?

▫ কলসীর খ্রীষ্টানদের কেন প্রেমে পরস্পর একতাবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন ছিল এবং বর্তমানে আমাদেরও তা প্রয়োজন ছিল এবং বর্তমানে আমাদেরও তা প্রয়োজন কেন?

▫ জীবনের প্রতি কিরূপ ছলনাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে খ্রীষ্টানদের বর্তমানে এড়িয়ে চলা উচিত?

▫ স্বাস্থ্য ও পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে সম্পর্কে যে সব প্ররোচনাকারী বিবাদ আছে, সে বিষয়ে খ্রীষ্টানেরা কেন ভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সচেতন থাকবে?

[Pictures on page 29]

যীশুর উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনাগুলি করুন?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার