আপনি কি আরও বিচক্ষণতা গড়ে তুলতে পারেন?
বিচক্ষণতা হল “মনের শক্তি বা দক্ষতা যার দ্বারা এটি একটি থেকে আরেকটি বিষয়ের পার্থক্য বোঝায়।” এটি “বিচার করার সূক্ষ্মতা” অথবা “জিনিস বা ধারণার মধ্যে পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা”-ও হতে পারে। ওয়েবস্টারস ইউনিভারসাল ডিকশনারী তাই বলে। সত্য, বিচক্ষণতা হল এক কাম্য গুণ। এর মূল্য শলোমনের বাকগুলিতে দেখা যায়: “কেননা প্রজ্ঞা তোমার হৃদয়ে প্রবেশ করিবে, জ্ঞান তোমার প্রাণের তুষ্টি জন্মাইবে, . . . বুদ্ধি তোমাকে রক্ষা করিবে; যেন তোমাকে উদ্ধার করে দুষ্টের পথ হইতে।”—হিতোপদেশ ২:১০-১২.
হ্যাঁ, বিচক্ষণতা “দুষ্টের পথ” যার অস্তিত্ব আজকে সর্বত্র বিদ্যমান তা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। আর এটি অন্যান্য উপকার নিয়ে আসে। উদাহরণস্বরূপ, পিতামাতারা অনেকবার তাদের ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে শুনে থাকেন, ‘তোমরা বুঝ না!’ কিছু প্রশ্নের দ্বারা, পিতামাতারা যারা বিচক্ষণ তারা জানেন কিভাবে অনুভূতি এবং বিষয়গুলি যেগুলি তাদের ছেলেমেয়েদের বিরক্ত করছে তা বার করে নিয়ে আসতে পারেন। (হিতোপদেশ ২০:৫) একজন বিচক্ষণ স্বামী তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে আসার পরিবর্তে তার স্ত্রীর কথা শুনবেন এবং তার চিন্তাধারা এবং অনুভূতির প্রতি অন্তর্দৃষ্টি লাভ করবেন। স্ত্রী স্বামীর প্রতি একই করবে। এইভাবে, “প্রজ্ঞা দ্বারা গৃহ নির্ম্মিত হয়, আর বুদ্ধি দ্বারা তাহা স্থিরীকৃত হয়।”—হিতোপদেশ ২৪:৩.
বিচক্ষণতা এক ব্যক্তিকে পরিস্থিতিকে সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। হিতোপদেশ ১৭:২৭ পদ বলে: “যে বাক্য সম্বরণ করে, সে জ্ঞানবান; আর যে শীতলাত্মা, সে বুদ্ধিমান।” বিচক্ষণ ব্যক্তি মাথা গরম করে না, চিন্তা না করে কোন্ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে না। দায়িত্ব নেওয়ার আগে সে মনোযোগ সহকারে সম্ভাব্য পরিণতি সম্বন্ধে বিবেচনা করে। (লূক ১৪:২৮, ২৯) এছাড়াও সে লোকেদের সাথে আরও শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে কারণ “বিচক্ষণতার ওষ্ঠ” মনোযোগ সহকারে বাক্য নির্বাচন করতে পরিচালিত করে। (হিতোপদেশ ১০:১৯; ১২:৮, NW) কিন্তু, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে এক বিচক্ষণ ব্যক্তি নম্রভাবে তার নিজ সীমাবদ্ধতা উপলব্ধি করে এবং মানুষের পরিবর্তে ঈশ্বরের কাছে পরিচালনার জন্য যায়। এটি যিহোবাকে খুশি করে ও এটি হল বিচক্ষণতা গড়ে তোলার আরেকটি কারণ।—হিতোপদেশ ২:১-৯; যাকোব ৪:৬.
ইস্রায়েলের বিচক্ষণতার অভাব
বিচক্ষণতা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার বিপদ ইস্রায়েল জাতির প্রাচীন ইতিহাসের একটি ঘটনা থেকে দেখা যায়। সেই সময়কালের কথা চিন্তা করে, গীতরচক এই বিষয়টি বলতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন: “আমাদের পিতৃপুরুষেরা মিসরে তোমার আশ্চর্য্য ক্রিয়া সকল বুঝিল না, তোমার বহু দয়া স্মরণ করিল না, বরং সমুদ্রতীরে, সূফ-সাগরে, বিরুদ্ধাচরণ করিল।”—গীতসংহিতা ১০৬:৭.
যখন মোশি ইস্রায়েলজাতিকে মিশর থেকে বার করে নিয়ে আসেন, যিহোবা তাঁর লোকেদের শক্তিশালী বিশ্ব শক্তির হাত থেকে স্বাধীন করতে ইতিমধ্যেই দশটি মহামারীর মাধ্যমে তাঁর শক্তি এবং তাঁর দৃঢ়সঙ্কল্পবদ্ধতা দেখিয়েছিলেন। ফরৌণ ইস্রায়েলজাতিকে ছেড়ে দেওয়ার পর, মোশি তাদের পরিচালনা করে লোহিত সাগরের তীরে নিয়ে আসেন। কিন্তু, মিশরের সৈন্যদল তাদের পিছনে ধাওয়া করে। মনে হয়েছিল ইস্রায়েলজাতি যেন বন্দী হয়েছিল এবং তাই তাদের সদ্যপ্রাপ্ত স্বাধীনতা যেন ক্ষণকালের জন্য ছিল। তাই বাইবেলের বিবরণ বলে: “তাহারা অতিশয় ভীত হইল, আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে ক্রন্দন করিল।” আর তারা মোশির প্রতি ফিরে বলেছিল: “তুমি আমাদের সহিত এ কেমন ব্যবহার করিলে? কেন আমাদিগকে মিসর হইতে বাহির করিলে? . . . কেননা প্রান্তরে মরণাপেক্ষা মিস্রীয়দের দাস্যকর্ম্ম করা আমাদের মঙ্গল।”—যাত্রাপুস্তক ১৪:১০-১২.
তাদের ভয় হয়ত যুক্তিযুক্ত বলে মনে হতে পারে যতক্ষণ না আমরা যিহোবার উল্লেখযোগ্য দশটি শক্তির নমুনা যা তারা ইতিমধ্যেই দেখেছিল তার কথা মনে করি। তারা সরাসরি জানত প্রায় ৪০ বছর পরে মোশি যা মনে করিয়ে দেবেন: “সদাপ্রভু বলবান্ হস্ত, বিস্তারিত বাহু ও মহা ভয়ঙ্করতা এবং নানা চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ দ্বারা মিসর হইতে আমাদিগকে বাহির করিয়া আনিলেন।” (দ্বিতীয় বিবরণ ২৬:৮) তাই, যেমন গীতরচক লিখেছিলেন, যখন ইস্রায়েলীয়েরা মোশির পরিচালনার বিরুদ্ধে যায়, ‘তারা বুঝিল না।’ তথাপি, যিহোবা প্রতিজ্ঞা অনুসারে হতবুদ্ধিকারী এক জয়লাভ মিশরের সৈন্য দলের বিরুদ্ধে নিয়ে আসেন।—যাত্রাপুস্তক ১৪:১৯-৩১.
আমাদের বিশ্বাসও একইভাবে হোঁচট খেতে পারে যদি আমরা পরীক্ষাকে সন্দেহের সাথে অভিনন্দন করি। বিচক্ষণতা আমাদের সর্বদা সাহায্য করবে বিষয়গুলিকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে, এই মনে রেখে যে, হয়ত যারা আমাদের বিরোধিতা করছে তাদের থেকে যিহোবা কত মহান। বিচক্ষণতা আরও আমাদের মনে করিয়ে দিতে সাহায্য করবে যে যিহোবা আমাদের জন্য ইতিমধ্যেই যা কিছু করেছেন। এটি আমাদের সাহায্য করবে এই বিষয়টি কখনও না ভুলতে যে তিনিই হলেন সেই ব্যক্তি “যাহারা সদাপ্রভুকে প্রেম করে, তিনি তাহাদের সকলকে রক্ষা করেন।”—গীতসংহিতা ১৪৫:১৮-২০.
আধ্যাত্মিক বিচক্ষণতা লাভ করা
বয়সের সাথে সাথে বিচক্ষণতা আপনা আপনি আসে না। এটি অবশ্যই গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞ রাজা শলোমন, যিনি বিচক্ষণতার জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন: “ধন্য সেই ব্যক্তি যে প্রজ্ঞা পায়, সেই ব্যক্তি যে বুদ্ধি লাভ করে; কেননা রৌপ্যের বাণিজ্য অপেক্ষাও তাহার বাণিজ্য উত্তম, সুবর্ণ অপেক্ষাও প্রজ্ঞা-লাভ উত্তম।” (হিতোপদেশ ৩:১৩, ১৪) শলোমন কোথা থেকে তার বিচক্ষণতা লাভ করেছিলেন? যিহোবার কাছ থেকে। যখন যিহোবা শলোমনকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি কী আশীর্বাদ চান, শলোমন উত্তর দিয়েছিলেন: “তোমার প্রজাদের বিচার করিতে ও ভাল মন্দের বিশেষ জানিতে তোমার এই দাসকে বুঝিবার চিত্ত প্রদান কর।” (১ রাজাবলি ৩:৯) হ্যাঁ, শলোমন তার সাহায্যকারী হিসাবে যিহোবার প্রতি দৃষ্টিপাত করেছিলেন। তিনি বিচক্ষণতা চেয়েছিলেন এবং যিহোবা অসাধারণ মাত্রায় তাকে তা দিয়েছিলেন। এর পরিণাম? “তাহাতে পূর্ব্বদেশের সমস্ত লোকের জ্ঞান ও মিস্রীয়দের যাবতীয় হইতে শলোমনের অধিক জ্ঞান হইল।”—১ রাজাবলি ৪:৩০.
শলোমনের অভিজ্ঞতা আমাদের দেখায় বিচক্ষণতা খোঁজার জন্য আমাদের কোথায় যাওয়া উচিত। শলোমনের মত, আমাদের যিহোবার কাছে যাওয়া উচিত। কিভাবে? হ্যাঁ, যিহোবা তাঁর বাক্য, বাইবেল দিয়েছেন যা তাঁর চিন্তাধারা সম্বন্ধে আমাদের অন্তর্দৃষ্টি দেয়। যখন আমরা বাইবেল পড়ি, তখন জ্ঞানের মূল্যবান এক উৎস আমরা খনন করছি যা আমাদের আধ্যাত্মিক বিচক্ষণতার ভিত্তি যোগাবে। বাইবেল পড়ার দ্বারা যে তথ্য আমরা পাই তার উপর ধ্যান করতে হবে। তারপর, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কালক্রমে, আমাদের চিন্তা শক্তি গড়ে ওঠে এতদূর পর্যন্ত যে আমরা “বুদ্ধিতে পরিপক্ব” হই যার দরুন আমরা “উভয় সঠিক ও বেঠিকের পার্থক্য বুঝতে [অথবা, বিচক্ষণ করতে] পারি।—১ করিন্থীয় ১৪:২০; ইব্রীয় ৫:১৪, NW; ১ করিন্থীয় ২:১০.
আগ্রহের বিষয় এই যে, যিহোবা শলোমনকে যে বিচক্ষণতা দিয়েছিলেন তা থেকে আমরা এখনও উপকার পেতে পারি। কিভাবে? শলোমন প্রজ্ঞা, প্রবাদের দ্বারা ব্যক্ত করতে দক্ষ হয়ে ওঠেছিলেন, আসলে যেগুলি ছিল ঐশিকভাবে অনুপ্রাণিত প্রজ্ঞা। এই প্রবাদের অনেকগুলি বাইবেলের পুস্তক হিতোপদেশে সংরক্ষিত করা রয়েছে। এই বইটি পড়ার দ্বারা শলোমনের বিচক্ষণতা থেকে উপকার পেতে এবং নিজেদের জন্য বিচক্ষণতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
আমাদের বাইবেল অধ্যয়নে সাহায্য করার জন্য আমরা বাইবেল অধ্যয়ন সহায়ক যেমন প্রহরীদুর্গ এবং সচেতন থাক! পত্রিকাগুলি ব্যবহার করতে পারি। ১১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে, দ্যা ওয়াচটাওয়ার (প্রহরীদুর্গ) সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে চলেছে। সচেতন থাক! এবং এর পূর্ববর্তী পত্রিকাগুলি জগৎ পরিস্থিতি সম্বন্ধে ১৯১৯ সাল থেকে মন্তব্য করে চলেছে। এই দুটি পত্রিকা বাইবেল সত্যকে পরীক্ষা করে এবং ক্রমাগত আধ্যাত্মিক জ্ঞানালোক প্রদান করে যা আমাদের ভুল, তা খ্রীষ্টীয়জগতের দ্বারা শিক্ষিত হোক অথবা তা আমাদের চিন্তার ধারাতে পাওয়া যায়, যাই হোক না কেন তা উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।—হিতোপদেশ ৪:১৮.
বিচক্ষণতা গড়ে তোলার জন্য আরেকটি সাহায্য হল সঠিক সঙ্গ। রাজা শলোমনের একটি প্রবাদ বাক্য বলে: “জ্ঞানীদের সহচর হও, জ্ঞানী হইবে; কিন্তু যে হীনবুদ্ধিদের বন্ধু, সে ভগ্ন হইবে।” (হিতোপদেশ ১৩:২০) এটি দুঃখের বিষয় যে, রাজা শলোমনের পুত্র, রহবিয়াম তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই প্রবাদটি মনে রাখেননি। তার পিতার মৃত্যুর পর, ইস্রায়েলের দশটি গোষ্ঠী এসে দাবি করে যে তাদের উপর যে বোঝা আছে কম করে দিতে। প্রথমে, রহবিয়াম বয়স্ক লোকেদের সাথে পরামর্শ করেন এবং এরা বিচক্ষণতা দেখায় ও তাকে প্রজাদের কথা শুনতে উৎসাহ দেয়। তারপরে, তিনি অল্প বয়স্কদের কাছে যান। এরা অনভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতার অভাব দেখায়, যারা রহবিয়ামকে উৎসাহ দেয় ইস্রায়েলজাতিকে ভয় দেখানোর দ্বারা প্রত্যুত্তর দিতে। রহবিয়াম অল্প বয়স্কদের কথা শোনেন। পরিণাম কী হয়? ইস্রায়েল বিদ্রোহ করে এবং রহবিয়াম তার রাজ্যের বৃহৎ অংশ হারান।—১ রাজাবলি ১২:১-১৭.
বিচক্ষণতা গড়ে তোলার একটি অতিপ্রয়োজনীয় অংশ হল পবিত্র আত্মার সাহায্য চাওয়া। মিশর দেশের বন্দী দশা থেকে স্বাধীন হওয়ার পর তাদের সাথে যিহোবার ব্যবহার পুনরালোচনা করার সময় বাইবেল লেখক নহিমিয় বলেছিলেন: “তুমি শিক্ষা দিবার জন্য আপন মঙ্গলময় আত্মা তাহাদিগকে দান করিলে।” (নহিমিয় ৯:২০) যিহোবার আত্মাও আমাদের দূরদর্শী হতে সাহায্য করতে পারে। বিচক্ষণতার জন্য আপনি যখন যিহোবার আত্মার জন্য প্রার্থনা করছেন, আস্থার সাথে প্রার্থনা করুন কারণ যিহোবা “সকলকে অকাতরে দিয়া থাকেন, তিরস্কার করেন না।”—যাকোব ১:৫; মথি ৭:৭-১১; ২১:২২.
বিচক্ষণতা এবং অন্তর্দৃষ্টি
প্রেরিত পৌল বিচক্ষণতা দেখিয়েছিলেন যখন তিনি জাতিগণের কাছে সত্য প্রচার করেন। উদাহরণস্বরূপ একবার, যেমন আথীনীতে, “বেড়াবার সময় মনোযোগ সহকারে” (NW) তিনি তাদের উপাস্য বস্তু লক্ষ্য করছিলেন। পৌল প্রতিমাতে পরিবেষ্টিত ছিলেন এবং তার আত্মা উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছিল। তখন তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। তখন তিনি কি সতর্কতা অবলম্বন করে চুপ করে থাকবেন? অথবা অতিপ্রচলিত প্রতিমাপূজা যাতে তিনি উত্তপ্ত হয়েছেন সেই বিষয়ে খোলাখুলি বলবেন, এমনকি যদিও তা বিপদ নিয়ে আসতে পারে?
পৌল বিচক্ষণতার সাথে কাজ করেছিলেন। তিনি একটি বেদী দেখেন যাতে লেখা ছিল: “অপরিচিত দেবের উদ্দেশে।” কৌশলতার সাথে, পৌল তাদের প্রতিমাপূজার প্রতি তাদের ভক্তি স্বীকার করেছিলেন এবং বেদীটি একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে এই বিষয়টি উপস্থাপিত করেছিলেন যে ‘ঈশ্বর জগৎ ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত বস্তু নির্মাণ করেছেন।’ হ্যাঁ, যিহোবা হলেন সেই ঈশ্বর যাঁকে তারা জানতেন না! পৌল সেই বিষয়ের উপর তাদের অনুভূতি জানতেন এবং তাই তিনি তাদের এক উত্তম সাক্ষ্য দান করতে পেরেছিলেন। এর পরিণাম কী হয়? অনেক লোকে সত্য গ্রহণ করে যার অন্তর্ভুক্ত ছিল, “আরেয়পাগীয় দিয়নুষিয়, এবং দামারী নাম্নী একটী স্ত্রীলোক, ও তাঁহাদের সহিত আর কয়েক জন।” (প্রেরিত ১৭:১৬-৩৪) বিচক্ষণতার কী উত্তম এক উদাহরণই পৌল ছিলেন!
প্রশ্নাতীতরূপে, বিচক্ষণতা সহজে ও প্রকৃতিগতভাবে আসে না। কিন্তু ধৈর্য, প্রার্থনা, কঠোর প্রচেষ্টা, সঠিক সঙ্গ, বাইবেল অধ্যয়ন এবং তার উপর ধ্যান করা এবং যিহোবার পবিত্র আত্মার উপর আস্থা রাখলে আপনিও তা গড়ে তুলতে পারেন।