নিপীড়িতদের জন্য সান্ত্বনা
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন যে আপনার জীবনকালে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ বারবার সংবাদের শিরোনামে এসেছে? আপনি কি যুদ্ধ, অপরাধ, বিপর্যয়, ক্ষুধা এবং দুঃখকষ্ট এইধরনের শব্দগুলি পড়তে-পড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? যদিও সংবাদ বিবরণগুলি থেকে একটি শব্দ যেন লক্ষণীয়ভাবে বাদ পড়ে যাচ্ছে। তথাপি, এটি এমন একটি শব্দ যেটি প্রতিনিধিত্ব করে সেই বিষয়টিকে যা মানবজাতির অত্যন্ত প্রয়োজন। শব্দটি হচ্ছে “সান্ত্বনা।”
“সান্ত্বনা দেওয়ার” অর্থ হচ্ছে কাউকে “শক্তি ও আশা প্রদান করা” এবং কারও “দুঃখ বা সমস্যাকে লাঘব করা।” যেহেতু এই বিংশ শতাব্দীতে জগৎ সমস্ত রকম বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাই আশা ও দুঃখ লাঘব করা নিদারুণভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। এটি সত্য যে, আজ আমাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি অনেক বেশি সুখ স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করে থাকেন যা আমাদের পূর্বপুরুষেরা কখনও সম্ভবপর বলে কল্পনাও করেনি। এটি বৃহৎভাবে বৈজ্ঞানিক প্রগতির কারণে সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা মানবজাতির দুঃখকষ্টের সমস্ত কারণগুলিকে অপসারণ করার অর্থে আমাদের সান্ত্বনা দিতে পারেনি। এই কারণগুলি কী কী?
বহু শতাব্দী আগে, জ্ঞানী রাজা শলোমন দুঃখকষ্টের একটি মৌলিক কারণ সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন যখন তিনি বলেছিলেন: “এক জন [“মানুষ,” NW] অন্যের উপরে তাহার অমঙ্গলার্থে কর্ত্তৃত্ব করে।” (উপদেশক ৮:৯) মানুষের তার সহমানবের উপর কর্তৃত্ব করতে চাওয়ার প্রবণতাকে পরিবর্তন করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা সক্ষম হয়নি। বিংশ শতাব্দীতে, এটিই দেশগুলির মধ্যে নিপীড়নমূলক একনায়কতন্ত্র শাসন ও জাতিগুলির মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ করতে মানুষকে পরিচালিত করেছে।
১৯১৪ সাল থেকে যুদ্ধের পরিণামস্বরূপ দশ কোটির বেশি মানুষ হত হয়েছে। সেই নিদারুণ যন্ত্রণার কথা চিন্তা করুন যা এই সংখ্যা চিত্রিত করে—কোটি কোটি শোকার্ত পরিবারগুলির সান্ত্বনার প্রয়োজন আছে। আর যুদ্ধগুলি হিংস্র মৃত্যু ছাড়াও আরও অন্যান্য দুঃখকষ্টের দিকেও পরিচালিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে, ইউরোপে ১২০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী ছিল। আরও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যুদ্ধাঞ্চলগুলি ছেড়ে ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষেরা পালিয়েছে। বালকানের যুদ্ধবিগ্রহ ২০ লক্ষের চেয়েও বেশি মানুষকে তাদের গৃহ ছাড়া করতে বাধ্য করেছে—অনেক ক্ষেত্রে “সাম্প্রদায়িক বিশুদ্ধিকরণ” থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
শরণার্থীদের, বিশেষভাবে যারা শুধুমাত্র সামান্য সম্পদ যা তারা বহন করতে পারে ততটুকু নিয়ে, কোথায় যেতে হবে বা তাদের নিজেদের ও তাদের পরিবাগুলির ভবিষ্যৎ কী তা না জেনেই ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল, তাদের সত্যই সান্ত্বনার প্রয়োজন। এই লোকেরা অধিক শোচনীয় নিপীড়নের শিকার যাদের সান্ত্বনার প্রয়োজন।
পৃথিবীর আরও অধিক শান্তিপূর্ণ স্থানগুলিতে, লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পূর্ণ দাসত্বের মধ্যে বাস করে। এটি সত্য যে, কারও কারও প্রচুর বস্তুসম্পদ আছে। তবুও, অধিকাংশকে জীবিকা-অর্জনের জন্য, প্রতিদিন সংগ্রামের সম্মুখীন হতে হয়। অনেকে উপযুক্ত বাসস্থানের অনুসন্ধান করে থাকে। বৃদ্ধিরত সংখ্যার লোকেরা বেকার। আফ্রিকার একটি সংবাদপত্র ভবিষ্যদ্বাণী করে যে, “বিশ্ব এক নজিরবিহীন চাকুরি সংকটের দিকে ধাবমান হচ্ছে, যার ফলে ২০২০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ১৩০ কোটির বেশি লোক চাকুরির সন্ধান করবে।” নিশ্চিতভাবেই অর্থনৈতিকভাবে নিপীড়িতদের “শক্তি ও প্রত্যাশা”—সান্ত্বনার প্রয়োজন।
হতাশাময় পরিস্থিতির প্রতিক্রয়াস্বরূপ কেউ কেউ অপরাধীতে পরিণত হয়েছে। তাদের শিকারদের জন্য এটি অবশ্য শুধুমাত্র কষ্টকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং উচ্চ অপরাধের হার নিপীড়ন বাড়িয়ে তোলে। দক্ষিণ আফ্রিকার, জোহান্সবার্গের দ্যা স্টার নামক সংবাদপত্রে সাম্প্রতিক এক শিরোনাম জানায়: “‘বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বেশি হত্যাকারী একটি দেশে’ জীবনের একটি দিন।” প্রবন্ধটি জোহান্সবার্গ এবং এর চতুর্দিকের একটি সাধারণ দিনের বর্ণনা করেছিল। ঐ একটি দিনে, চার জন ব্যক্তি খুন হয়েছিল এবং আট জন ব্যক্তির মোটরগাড়ি ছিনতাই হয়েছিল। একটি মধ্যবিত্ত উপনগর থেকে সতেরটি চুরি সম্পর্কে অভিযোগ করা হয়েছিল। এছাড়াও, সেখানে বেশ কিছু সংখ্যক অস্ত্রসহ ডাকাতিও হয়েছিল। সংবাদপত্র অনুসারে পুলিশেরা সেই দিনটিকে “তুলনামূলকভাবে শান্ত” দিন বলে বর্ণনা দিয়েছিল। এটি সহজেই বোঝা যায় যে হত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজন এবং যারা ডাকাতি এবং গাড়ি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিল তারা নিদারুণভাবে উৎপীড়ন অনুভব করেছিল। তাদের নিশ্চয়তা ও আশা—সান্ত্বনার প্রয়োজন।
কিছু দেশে পিতামাতারা তাদের সন্তানদের বেশ্যাবৃত্তির জন্য বিক্রি করে দেয়। এশিয়ার একটি দেশে যেখানে “যৌন সফর” করার জন্য বহু পর্যটকেরা উপস্থিত হয়, বলা হয়েছে সেখানে ২০ লক্ষ পতিতা রয়েছে যাদের মধ্যে অনেককেই শিশু বয়সে ক্রয় করা অথবা অপহরণ করা হয়েছিল। এই করুণ শিকারদের তুলনায় আর কোন ব্যক্তি কি এর চেয়েও বেশি নিপীড়িত? এই ঘৃণার্হ ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নারী সংগঠনগুলির এক আলোচনাসভার উপর টাইম পত্রিকাটি বিবৃতি দিয়েছিল। সেখানে এটি হিসাব করা হয়েছিল যে, “১৯৭০ দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে বিশ্বব্যাপী ৩০ লক্ষ নারীকে বিক্রি করা হয়েছে”।
অবশ্যই, অসহায়তার শিকার হতে শিশুদের বেশ্যাবৃত্তির জন্য বিক্রিত হওয়াই একমাত্র প্রয়োজনীয় নয়। এক বৃহৎ সংখ্যক শিশুরা নিজেদের গৃহেই পিতামাতা এবং আত্মীয়স্বজনদের দ্বারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত বা এমনকি ধর্ষিত হয়েছে। এইধরনের শিশুরা হয়ত দীর্ঘকাল ধরে মানসিক ভীতি বহন করতে পারে। নিঃসন্দেহে, নিপীড়নের করুণ শিকার হিসাবে তাদের সান্ত্বনার প্রয়োজন।
নিপীড়নের এক প্রাচীন পর্যবেক্ষক
রাজা শলোমন মানুষের নিপীড়নের ব্যাপকতায় মর্মাহত হয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন: “আমি ফিরিয়া, সূর্য্যের নীচে যে সকল উপদ্রব হয়, তাহা নিরীক্ষণ করিতে লাগিলাম। আর দেখ, উপদ্রুত লোকদের অশ্রুপাত হইতেছে, কিন্তু তাহাদের সান্ত্বনাকারী কেহ নাই; উপদ্রবী লোকদের হস্তে বল আছে, কিন্তু উপদ্রুত লোকদের সান্ত্বনাকারী কেহ নাই।”—উপদেশক ৪:১.
জ্ঞানী রাজা যদি ৩,০০০ বছর আগেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে নিপীড়িতদের জন্য সান্ত্বনাকারীর অত্যন্ত প্রয়োজন, তবে তিনি আজকে কী বলতেন? তবুও, শলোমন জানতেন যে তিনি সহ, কোন অসিদ্ধ মানুষের পক্ষেই, মানবজাতির প্রয়োজনীয় সান্ত্বনা প্রদান করা সম্ভব নয়। এই নিপীড়নকারীদের ক্ষমতাকে বিনষ্ট করার জন্য আরও মহান কোনও ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল। এমন কোনও ব্যক্তি কি আছেন?
সকল মানুষের জন্য একজন মহান সান্ত্বনাকারী সম্পর্কে বাইবেলের গীতসংহিতা ৭২ অধ্যায় বলে। শলোমনের পিতা রাজা দায়ূদের দ্বারা গীতসংহিতা লিখিত হয়েছিল। এর শীর্ষদেশের লিখনটি এইভাবে পড়া হয় “শলোমনের।” স্পষ্টতই, এটি বৃদ্ধ রাজা দায়ূদের দ্বারা লিখিত হয়েছিল, এমন একজন সম্পর্কে যিনি তার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হবেন। গীতসংহিতা অনুসারে এই ব্যক্তিই নিপীড়ন থেকে স্থায়ী মুক্তি আনবেন। “তাঁহার সময়ে ধার্ম্মিক লোক প্রফুল্ল হইবে, চন্দ্রের স্থিতিকাল পর্য্যন্ত প্রচুর শান্তি হইবে। তিনি এক সমুদ্র অবধি অপর সমুদ্র পর্য্যন্ত, . . . পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত কর্ত্তৃত্ব করিবেন।”—গীতসংহিতা ৭২:৭, ৮.
সম্ভবত যখন দায়ূদ এই কথাগুলি লিখেছিলেন, তিনি তার পুত্র শলোমন সম্পর্কে চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু শলোমন উপলব্ধি করেছিলেন যে, গীতসংহিতাটিতে বর্ণিত উপায়ে মানবজাতিকে সেবা করা তার ক্ষমতার বাইরে ছিল। গীতসংহিতার বাক্যগুলি তিনি শুধুমাত্র ক্ষুদ্র অর্থে এবং ইস্রায়েল জাতির পক্ষেই তা পরিপূর্ণ করতে পারতেন, কিন্তু সমগ্র পৃথিবীর উপকারার্থে নয়। স্পষ্টতই, শলোমনের চেয়ে আরও মহান কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে গীতসংহিতার এই অনুপ্রাণিত ভবিষ্যদ্বাণীটি ইঙ্গিত করেছিল। তিনি কে ছিলেন? ইনি শুধুমাত্র যীশু খ্রীষ্টই হতে পারতেন।
যীশুর জন্ম সম্পর্কে যখন একজন স্বর্গদূত ঘোষণা করেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন: “প্রভু [“যিহোবা,” NW] ঈশ্বর তাঁহার পিতা দায়ূদের সিংহাসন তাঁহাকে দিবেন।” (লূক ১:৩২) এছাড়াও, যীশু নিজেকে “শলোমন হইতেও মহান্ এক ব্যক্তি” হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। (লূক ১১:৩১) ঈশ্বরের দক্ষিণপার্শ্বে যীশুর পুনরুত্থানের সময় থেকে তিনি স্বর্গে আছেন, যেখান থেকে তিনি গীতসংহিতা ৭২ অধ্যায়ের কথাগুলি পরিপূর্ণ করতে পারেন। এছাড়াও, তিনি মানব নিপীড়নকারীদের দাসত্ববন্ধনকে বিনষ্ট করতে, ঈশ্বরের কাছ থেকে ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব পেয়েছেন। (গীতসংহিতা ২:৭-৯; দানিয়েল ২:৪৪) সুতরাং গীতসংহিতা ৭২ অধ্যায়ের কথাগুলি পরিপূর্ণ করার জন্য যীশুই হচ্ছেন একমাত্র ব্যক্তি।
শীঘ্রই নিপীড়নের পরিসমাপ্তি
এটির অর্থ কী? এর অর্থ হল যে সকলপ্রকার মানব নিপীড়ন থেকে মুক্তি খুব শীঘ্রই একটি বাস্তব বিষয় হবে। এই বিংশ শতাব্দীব্যাপী যে অভূতপূর্ব দুঃখকষ্ট ও নিপীড়ন সাক্ষ্য করা হয়েছে তা যীশুর দ্বারা চিহ্নের এক অংশ হিসাবে ভাববাণী করা হয়েছিল যা ‘যুগান্তকে’ চিহ্নিত করবে। (মথি ২৪:৩) অন্যান্য বিষয়গুলির সাথে সাথে তিনি ভাববাণী করেছিলেন: “জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠিবে।” (মথি ২৪:৭) ভবিষ্যদ্বাণীর এই বৈশিষ্ট্যটির পরিপূর্ণতা সেই সময় শুরু হয়েছিল যখন ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল। যীশু আরও বলেছিলেন, “অধর্ম্মের বৃদ্ধি হওয়াতে অধিকাংশ লোকের প্রেম শীতল হইয়া যাইবে।” (মথি ২৪:১২) অধর্ম এবং প্রেমহীনতা এক দুষ্ট এবং নিপীড়নমূলক বংশ উৎপাদন করেছে। তাই, অবশ্যই পৃথিবীর নব রাজা রূপে হস্তক্ষেপ করার জন্য যীশু খ্রীষ্টের সময় সন্নিকটে। (মথি ২৪:৩২-৩৪) নিপীড়িত মানুষেরা, যাদের যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস আছে এবং ঐশিকভাবে নিযুক্ত মানবজাতির সান্ত্বনাকারীরূপে দেখে তাঁর প্রতি তাকিয়ে আছে তাদের জন্য এটি কী বোঝাবে?
ঐ প্রশ্নের উত্তরের জন্য, আসুন আমরা গীতসংহিতা ৭২ অধ্যায়ের আরও কিছু বাক্য যা যীশু খ্রীষ্টতে পরিপূর্ণ হয়েছে তা পড়ি: “তিনি আর্ত্তনাদকারী দরিদ্রকে, এবং দুঃখী ও নিঃসহায়কে উদ্ধার করিবেন। তিনি দীনহীন ও দরিদ্রের প্রতি দয়া করিবেন, তিনি দরিদ্রগণের প্রাণ নিস্তার করিবেন। তিনি চাতুরী [“নিপীড়ন,” NW] ও দৌরাত্ম্য হইতে তাহাদের প্রাণ মুক্ত করিবেন, তাঁহার দৃষ্টিতে তাহাদের রক্ত বহুমূল্য হইবে।” (গীতসংহিতা ৭২:১২-১৪) এইভাবে, ঈশ্বরের মনোনীত রাজা যীশু খ্রীষ্ট নিশ্চিত করবেন যাতে নিপীড়নের কারণে আর কাউকে কষ্টভোগ করতে না হয়। সকল ধরনের অবিচার বিলুপ্ত করার ক্ষমতা তাঁর আছে।
‘এটি শুনতে অপূর্ব লাগে,’ কেউ হয়ত বলতে পারেন, ‘কিন্তু বর্তমান সময় সম্বন্ধে কী? এই মুহূর্তে যারা দুঃখকষ্ট ভোগ করছে তাদের জন্য কী সান্ত্বনা সঞ্চিত রয়েছে?’ বস্তুতপক্ষে, নিপীড়িতদের জন্য সান্ত্বনা রয়েছে। এই পত্রিকার পরবর্তী প্রবন্ধ দুটি দেখাবে যে সত্য ঈশ্বর, যিহোবার এবং তার প্রিয় পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সাথে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই কিভাবে সান্ত্বনা উপভোগ করছে। এই নিপীড়নমূলক সময়ে এইরূপ একটি সম্পর্ক আমাদের সান্ত্বনা দিতে পারে এবং একজন ব্যক্তিকে নিপীড়ন মুক্ত অনন্ত জীবনে পরিচালিত করতে পারে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় যীশু বলেছিলেন: “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।”—যোহন ১৭:৩.
[৪, ৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
ঈশ্বরের নতুন জগতে কোন মানুষ আর অপরকে নিপীড়িত করবে না