ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ৯/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • কেউ একজন সত্যিই চিন্তা করেন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • কেউ একজন সত্যিই চিন্তা করেন
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • দরিদ্রতা ও অত্যাচার কেন?
  • যে সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা মানুষের নেই
  • ‘তোমার ইচ্ছা পৃথিবীতে সিদ্ধ হউক’
  • কেউ কি জগৎকে আসলেই পরিবর্তন করতে পারে?
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিশুর উদাহরণ অনুসরণ করুন এবং দরিদ্রদের প্রতি চিন্তা দেখান
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • নিপীড়িতদের জন্য সান্ত্বনা
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বাইবেলের প্রশ্নের উত্তর
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০১৬
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ৯/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭

কেউ একজন সত্যিই চিন্তা করেন

পৃথিবীতে এমন হাজার হাজার লোক আছেন যারা দেখান যে তারা সত্যিই অন্যের জন্য চিন্তা করেন। তারা নির্দয় নন বা স্বার্থপরের মতো এমন ভাবেন না যে অন্যদের সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন তাদের নেই। বরং অন্যদের কষ্ট দূর করার জন্য তারা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেন, এমনকি কখনও কখনও তারা জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। দুঃখকষ্ট দূর করা এক বিরাট কাজ আর এই কাজকে কিছু প্রবল শক্তি আরও কঠিন করে তোলে যা নিয়ন্ত্রণ করা মানুষের সাধ্যের বাইরে।

একটা সাহায্য সংস্থার কর্মচারী বলেন, লোভ, রাজনৈতিক চক্রান্ত, যুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো জিনিসগুলো “খাদ্যাভাব দূর করার সবচেয়ে ভাল এবং দৃঢ় চেষ্টাগুলোকে” মাটি করে দিতে পারে। যারা অন্যদের জন্য চিন্তা করেন তারাও অনেক সমস্যার মুখোমুখি হন যার মধ্যে খাদ্যাভাব দূর করা হল মাত্র একটা। তাদের রোগ, দরিদ্রতা, অবিচার এবং যুদ্ধের কারণে আসা ভয়াবহ দুঃখকষ্টের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হয়। কিন্তু এই লড়াইয়ে তারা কি জয়ী হচ্ছেন?

একটা সাহায্য সংস্থার প্রধান পরিচালক বলেছিলেন যে যারা খাদ্যাভাব ও দুঃখ দূর করার জন্য ‘ভাল ও দৃঢ় চেষ্টা’ করে থাকেন তারা যীশু খ্রীষ্টের দৃষ্টান্তের দয়ালু শমরীয়ের মতো। (লূক ১০:২৯-৩৭) তিনি আরও বলেছিলেন যে তারা যত চেষ্টাই করুন না কেন, দিন দিন দুঃখী লোকেদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই তিনি প্রশ্ন করেছিলেন: “দয়ালু শমরীয় যদি কয়েক বছর ধরে ওই পথ দিয়ে রোজই যাতায়াত করেন এবং প্রত্যেক সপ্তাহে পথের পাশে লুট হয়ে যাওয়া আধমরা লোক পড়ে থাকতে দেখেন তবে তার কী করা উচিত?”

‘সাহায্য করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ার মারাত্মক অসুখে’ পড়া এবং হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেওয়া খুবই সহজ। কিন্তু যারা সত্যিই অন্যের জন্য চিন্তা করেন তারা কখনও হাল ছেড়ে দেন না। (গালাতীয় ৬:৯, ১০) উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন লেখক ব্রিটেনের জুইস টেলিগ্রাফ পত্রিকায় যিহোবার সাক্ষিদের প্রশংসা করে লিখেছিলেন কারণ এই সাক্ষিরা হিটলারের শাসনকালে “অসউইটসের ভয়ংকর দুর্দশা থেকে হাজার হাজার যিহূদীদের বাঁচতে সাহায্য করেছিলেন।” লেখক বলেছিলেন, “যখন খাবার খুব কম ছিল তখন তারা নিজেদের রুটি আমাদের [যিহূদী] ভাইবোনদের সঙ্গে ভাগ করে খেয়েছিলেন!” সাক্ষিদের কাছে যতটুকু ছিল তাই দিয়েই তারা অন্যদের সাহায্য করে চলেছিলেন।

কিন্তু সত্যি বলতে কী মানুষ যতই মিলেমিশে খাক না কেন তা মানুষের দুঃখকষ্টকে পুরোপুরি শেষ করতে পারে না। তাই বলে আমরা যে এই দয়ালু ব্যক্তিদের কাজকে ছোট করে দেখছি তা নয়। দুঃখকষ্ট কমায় এমন যে কোন কাজই মূল্যবান। ওই সাক্ষিরা তাদের সহবন্দিদের দুঃখ কিছুটা কমিয়েছিলেন আর এক সময় হিটলারের শাসন শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এইরকম অত্যাচারী জগৎ ও শাসন রয়ে গেছে আর এখনও অনেক পাষাণ হৃদয়ের লোকেরা আছেন। সত্যিই “এক বংশ আছে, তাহাদের দন্ত খড়্গ ও কসের দন্ত ছুরিকা, যেন দেশ হইতে দুঃখীদিগকে, মনুষ্যদের মধ্য হইতে দরিদ্রদিগকে গ্রাস করে।” (হিতোপদেশ ৩০:১৪) আপনি হয়তো ভাবছেন যে কেন এরকম হয়।

দরিদ্রতা ও অত্যাচার কেন?

যীশু খ্রীষ্ট একবার বলেছিলেন: “দরিদ্রেরা তোমাদের কাছে সর্ব্বদাই আছে; তোমরা যখন ইচ্ছা কর, তাহাদের উপকার করিতে পার।” (মার্ক ১৪:৭) এই কথা বলে যীশু কি বুঝিয়েছিলেন যে দরিদ্রতা ও অত্যাচার কখনই শেষ হবে না? কিছু লোকের মতো তিনিও কি বিশ্বাস করতেন যে এইরকম দুঃখকষ্ট ঈশ্বরের পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল যাতে তা দয়ালু লোকেদের দেখানোর সুযোগ করে দেয় যে তারা অন্যের জন্য কতখানি চিন্তা করেন? না! যীশু তা বিশ্বাস করতেন না। তিনি শুধু বোঝাতে চেয়েছিলেন যে যতদিন এই বিধিব্যবস্থা থাকবে ততদিন মানুষের জীবনে দরিদ্রতাও থাকবে। কিন্তু যীশু এও জানতেন: পৃথিবীর অবস্থা এরকম হোক তা তাঁর স্বর্গীয় পিতার আদি উদ্দেশ্য ছিল না।

যিহোবা ঈশ্বর পৃথিবীকে পরমদেশ হওয়ার জন্য সৃষ্টি করেছিলেন, এমন একটা জায়গা নয় যেখানে দরিদ্রতা, অন্যায় ও অত্যাচার থাকবে। জীবনকে হাসি আনন্দে ভরিয়ে দিতে পারে এমন সুন্দর সুন্দর জিনিসগুলো দিয়ে তিনি দেখিয়েছিলেন যে মানব পরিবারের জন্য তিনি কত চিন্তা করেছিলেন। আমাদের আদি পিতামাতা, আদম ও হবা যে বাগানে ছিল সেটার নামের কথাই চিন্তা করুন! এর নাম ছিল এদন যার মানে “আনন্দ।” (আদিপুস্তক ২:৮, ৯) যিহোবা মানুষকে এক একঘেয়ে, খারাপ পরিবেশে কোনরকমে বেঁচে থাকার জন্য শুধু যতটুকু দরকার ততটুকুই দেননি। তিনি তাঁর সৃষ্টি কাজ শেষ করে তা খুঁটিয়ে দেখেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তা “অতি উত্তম।”—আদিপুস্তক ১:৩১.

যদি তাই হয়, তাহলে আজকে কেন দরিদ্রতা, অত্যাচার ও অন্যান্য দুঃখকষ্ট সারা পৃথিবীতে একেবারে ছড়িয়ে আছে? আজকের এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থার কারণ হল আমাদের আদি পিতামাতা যারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করাকে বেছে নিয়েছিল। (আদিপুস্তক ৩:১-৫) ফলে এই প্রশ্ন উঠেছিল যে তাঁর সৃষ্টির কাছ থেকে বাধ্যতা চাওয়ার অধিকার ঈশ্বরের আছে কি না। আর তাই যিহোবা আদমের বংশধরদের কিছু সময়ের জন্য স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ঈশ্বর মানব পরিবারের কী হবে না হবে তা নিয়ে চিন্তা করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ফলে যে ক্ষতি হবে তা দূর করার জন্য তিনি ব্যবস্থা করেছিলেন। আর খুব তাড়াতাড়ি যিহোবা দরিদ্রতা ও অত্যাচার, প্রকৃতপক্ষে সমস্ত দুঃখকষ্ট চিরকালের জন্য দূর করে দেবেন।—ইফিষীয় ১:৮-১০.

যে সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা মানুষের নেই

মানুষকে সৃষ্টি করার পর থেকে দিন দিন মানবজাতি যিহোবার মানদণ্ড থেকে আরও আরও দূরে সরে গেছে। (দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪, ৫) যেহেতু মানুষ ঈশ্বরের ব্যবস্থা ও নীতিগুলো অগ্রাহ্য করেই চলেছিল, তাই তারা একে অন্যের সঙ্গে লড়াই করেছে ও “এক জন অন্যের উপরে তাহার অমঙ্গলার্থে কর্ত্তৃত্ব” করেছে। (উপদেশক ৮:৯) মানুষ সত্যিই এমন এক সমাজ নিয়ে আসতে পারেনি যেখানে কোন দুঃখকষ্ট নেই, কোন অন্যায় নেই। আর এই ন্যায়পরায়ণ সমাজ নিয়ে আসার সবরকম চেষ্টা সেইসমস্ত লোকেদের স্বার্থপরতার জন্য ভেস্তে গিয়েছে, যারা ঈশ্বরের অধীনে থেকে তাঁর দেখানো পথে না চলে নিজেদের ইচ্ছা খুশিমতো চলতে চেয়েছেন।

আরও একটা সমস্যা আছে যেটাকে হয়তো অনেকে বাজে কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দিতে পারেন। শুরুতেই ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে যে উস্কানি দিয়েছিল সে এখনও লোকেদের খারাপ কাজ করার ও স্বার্থপর হওয়ার জন্য উস্কে দিচ্ছে। সে হল শয়তান দিয়াবল যাকে যীশু “জগতের অধিপতি” বলেছিলেন। (যোহন ১২:৩১; ১৪:৩০; ২ করিন্থীয় ৪:৪; ১ যোহন ৫:১৯) প্রেরিত যোহনকে যে প্রকাশিত বাক্য দেওয়া হয়েছিল, সেখানে শয়তানকে সমস্ত দুর্দশার মূল হোতা হিসেবে দেখানো হয়েছে, যে মূলত ‘সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মানোর’ জন্য দায়ী।—প্রকাশিত বাক্য ১২:৯-১২.

তাই কিছু ভাল লোক তাদের আশেপাশের মানুষের জন্য যত চিন্তাই করুন না কেন, তারা কখনই শয়তান দিয়াবলকে সরাতে পারবেন না বা এই জগৎকে বদলে দিতে পারবেন না যেখানে নিপীড়িত লোকেদের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তাহলে মানবজাতির সমস্যাগুলো সমাধানের উপায় কী? যে ব্যক্তি অন্যদের জন্য শুধু চিন্তাই করেন তিনি কোন সমাধান আনতে পারবেন না। কিন্তু এটা করার জন্য এমন কাউকে দরকার যাঁর শয়তান ও তার পুরো দুষ্ট বিধিব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছা ও ক্ষমতা দুটোই আছে।

‘তোমার ইচ্ছা পৃথিবীতে সিদ্ধ হউক’

ঈশ্বর এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থা ধ্বংস করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। আর তা করার ইচ্ছা ও ক্ষমতা দুটোই তাঁর আছে। (গীতসংহিতা ১৪৭:৫, ৬; যিশাইয় ৪০:২৫-৩১) বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর বই দানিয়েলে এই বিষয়ে আগেই বলা হয়েছে: “স্বর্গের ঈশ্বর এক রাজ্য স্থাপন করিবেন, তাহা কখনও বিনষ্ট হইবে না, এবং সেই রাজত্ব অন্য জাতির হস্তে সমর্পিত হইবে না; তাহা ঐ সকল রাজ্য চূর্ণ ও বিনষ্ট করিয়া আপনি চিরস্থায়ী হইবে”—হ্যাঁ, অনন্ত কাল থাকবে। (দানিয়েল ২:৪৪) যীশু খ্রীষ্ট যখন তাঁর শিষ্যদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন তখন তাঁর মনে চিরস্থায়ী ও মানুষের মঙ্গলকারী এই সরকারের কথাই ছিল: “তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক।”—মথি ৬:৯, ১০.

যিহোবা এইরকম প্রার্থনার উত্তর দেবেন কারণ সত্যিই তিনি মানুষের জন্য চিন্তা করেন। গীতসংহিতা ৭২ অধ্যায়ের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ঈশ্বর তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টকে অধিকার দেবেন যেন তিনি চিরকালের জন্য সেইসব গরিব, দুঃখী ও নিপীড়িতদের কষ্ট মোচন করেন যারা তাঁর শাসনকে মেনে নেয়। তাই ঈশ্বরের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে গীতরচক গেয়েছিলেন: “তিনি [ঈশ্বরের মশীহ রাজা] দুঃখী প্রজাগণের বিচার করিবেন, তিনি দরিদ্রের সন্তানদিগকে ত্রাণ করিবেন, কিন্তু উপদ্রবীকে চূর্ণ করিবেন। . . . তিনি আর্ত্তনাদকারী দরিদ্রকে, এবং দুঃখী ও নিঃসহায়কে উদ্ধার করিবেন। তিনি দীনহীন ও দরিদ্রের প্রতি দয়া করিবেন, তিনি দরিদ্রগণের প্রাণ নিস্তার করিবেন। তিনি চাতুরী ও দৌরাত্ম্য হইতে তাহাদের প্রাণ মুক্ত করিবেন, তাঁহার দৃষ্টিতে তাহাদের রক্ত বহুমুল্য হইবে।”—গীতসংহিতা ৭২:৪, ১২-১৪.

আমাদের দিনের জন্য একটা দর্শনে প্রেরিত যোহন “‘এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী’” দেখেছিলেন যা হল ঈশ্বরের প্রতিষ্ঠিত সম্পূর্ণ নতুন বিধিব্যবস্থা। দুঃখী মানবজাতির জন্য কত বড় আশীর্বাদ! ভবিষ্যতে যিহোবা কী করবেন সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে যোহন লিখেছিলেন: “আমি সিংহাসন হইতে এই উচ্চ বাণী শুনিলাম, দেখ, মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; তিনি তাহাদের সহিত বাস করিবেন, এবং তাহারা তাঁহার প্রজা হইবে; এবং ঈশ্বর আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকিবেন, ও তাহাদের ঈশ্বর হইবেন। আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল। আর যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তিনি কহিলেন, দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি। পরে তিনি কহিলেন, লিখ, কেননা এ সকল কথা বিশ্বসনীয় ও সত্য।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:১-৫.

হ্যাঁ, আমরা এই কথাগুলো বিশ্বাস করতে পারি কারণ তা বিশ্বসনীয় ও সত্য। যিহোবা খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবী থেকে দরিদ্রতা, ক্ষুধা, অত্যাচার, অসুস্থতা এবং অন্যায় দূর করে দেবেন। এই প্রহরীদুর্গ পত্রিকা যেমন সবসময় বাইবেল থেকে প্রচুর প্রমাণ দিয়েছে যে আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি যখন এই প্রতিজ্ঞাগুলো পূর্ণ হবে। ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত নতুন জগৎ একেবারে দোর গোড়ায়। (২ পিতর ৩:১৩) খুব তাড়াতাড়ি যিহোবা “মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট” করবেন এবং “সকলের মুখ হইতে চক্ষুর জল মুছিয়া দিবেন।”—যিশাইয় ২৫:৮.

যতদিন না তা হয়, ততদিন আমরা এইজন্য খুশি হতে পারি যে আজকেও এমন লোকেরা আছেন যারা সত্যিই মন থেকে অন্যের জন্য চিন্তা করেন। আর খুশি হওয়ার আরও বড় কারণ হল যে যিহোবা ঈশ্বর নিজেও আমাদের জন্য চিন্তা করেন। খুব তাড়াতাড়ি তিনি সমস্ত অত্যাচার ও দুঃখকষ্ট দূর করে দেবেন।

আপনি যিহোবার প্রতিজ্ঞাগুলোতে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারেন। তাঁর দাস যিহোশূয় তাই করেছিলেন। তিনি সম্পূর্ণ আস্থা নিয়ে ঈশ্বরের প্রাচীনকালের লোকদের বলেছিলেন: “তোমরা সমস্ত অন্তঃকরণে ও সমস্ত প্রাণে ইহা জ্ঞাত হও যে, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে যত মঙ্গলবাক্য বলিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে একটীও বিফল নাই; তোমাদের পক্ষে সকলই সফল হইয়াছে, তাহার একটীও বিফল হয় নাই।” (যিহোশূয়ের পুস্তক ২৩:১৪) অতএব, এই বর্তমান বিধিব্যবস্থা যতদিন আছে ততদিন যে সমস্ত পরীক্ষার মুখোমুখি আপনি হবেন তা যেন আপনাকে দমিয়ে না দেয়। আপনার সমস্ত ভাবনার ভার যিহোবার ওপরে ছেড়ে দিন কারণ তিনি সত্যিই চিন্তা করেন।—১ পিতর ৫:৭.

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত নতুন জগতে, পৃথিবীতে কোনরকম দরিদ্রতা, অত্যাচার, অসুস্থতা ও অন্যায় থাকবে না

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার