ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৭ ১/১ পৃষ্ঠা ৩-৫
  • আমাদের সকলের কেন ঈশ্বরের প্রশংসা করা উচিত?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আমাদের সকলের কেন ঈশ্বরের প্রশংসা করা উচিত?
  • ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • ‘একমাত্র যিহোবাই আমাকে আশা প্রদান করতে পারেন’
  • ‘যদিও আমি অন্ধ, আমি দেখতে পাই’
  • সকলে “যাঃ এর প্রশংসা” করুক
  • যখন আপনি আর বেঁচে থাকতে চান না
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০১৯
  • তাদের বলুন, আপনি তাদের ভালোবাসেন
    যিহোবার সাক্ষিদের অভিজ্ঞতা
  • যাঃয়ের স্তুতি এসো করি
    আনন্দের সঙ্গে যিহোবার উদ্দেশে গান করুন
১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৭ ১/১ পৃষ্ঠা ৩-৫

আমাদের সকলের কেন ঈশ্বরের প্রশংসা করা উচিত?

হাল্লিলূয়া! এই শব্দটি খ্রীষ্টীয়জগতের অধিকাংশ গির্জাগামীদের কাছে সুপরিচিত। তাদের কিছুজন রবিবারের উপাসনায় উচ্চৈঃস্বরে এই শব্দটিকে উচ্চারণ করে। কিন্তু, কত জন প্রকৃতপক্ষে এই শব্দের অর্থ জানে? বস্তুতপক্ষে, এটি “যাঃ এর প্রশংসা কর” এই অভিব্যক্তিটির এক ইব্রীয় সমরূপ। এটি সৃষ্টিকর্তা, যাঁর নাম যিহোবা তাঁর প্রতি এক আনন্দপূর্ণ সুস্পষ্ট উচ্চ প্রশংসার অভিব্যক্তি।a

“হাল্লিলূয়া” শব্দটি বাইবেলে প্রায়ই দেখা যায়। কেন? কেননা ঈশ্বরের প্রশংসা করার জন্য অনেক কারণ রয়েছে। যাঃ (যিহোবা) হচ্ছেন এই অপরিসীম মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা এবং সংরক্ষক। (গীতসংহিতা ১৪৭:৪, ৫; ১৪৮:৩-৬) তিনি বাস্তুতন্ত্রের প্রবর্তন করেন যা পৃথিবীতে জীবন সম্ভবপর করেছে। (গীতসংহিতা ১৪৭:৮, ৯; ১৪৮:৭-১০) আর তিনি মানবজাতির প্রতি এক বিশেষ আগ্রহ দেখিয়ে থাকেন। আমরা যদি তাঁর ইচ্ছা পালন করি, তবে তিনি আমাদের এই বর্তমান জীবনকে আশীর্বাদ ও সহায়তা দান করেন এবং আগত এমনকি আরও উত্তম জীবন সম্বন্ধে নিশ্চিত আশা প্রদান করেন। (গীতসংহিতা ১৪৮:১১-১৪) তিনি হচ্ছেন যাঃ (যিহোবা) যিনি এই বাক্যগুলি লিখতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন: “ধার্ম্মিকেরা দেশের [“পৃথিবীর,” NW] অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।”—গীতসংহিতা ৩৭:২৯.

হ্যাঁ, এই একান্ত অনুরোধটি সকলের প্রতি নির্দেশিত: “হাল্লিলূয়া!” “তোমরা যাঃ এর প্রশংসা কর!” (গীতসংহিতা ১০৪:৩৫; NW, পাদটীকা) কিন্তু, দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে সকলে সাড়া দেওয়ার প্রযোজনীয়তা অনুভব করে না। আজকে, লোকেরা দুঃখকষ্ট ভোগ করছে। অনেকে ক্ষুধার্ত, অসুস্থ অথবা নিপীড়িত। অসংখ্য লোকেরা নেশাকর ওষুধ বা মদের অপব্যবহার অথবা তাদের অনৈতিকতা বা বিদ্রোহের পরিণতির জন্য তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করে থাকে। এইধরনের ব্যক্তিদের কেন ঈশ্বরের প্রশংসা করা উচিত তার কি কোন কারণ আছে?

‘একমাত্র যিহোবাই আমাকে আশা প্রদান করতে পারেন’

হ্যাঁ, কারণ রয়েছে। যিহোবা কোন প্রকার ব্যতিক্রম ছাড়াই প্রত্যেককে আমন্ত্রণ জানান তাঁকে জানতে, তার ইচ্ছা পালন করার জন্য শিখতে এবং আশীর্বাদগুলি উপভোগ করতে যা লোকেদের তাঁকে প্রশংসা করতে পরিচালিত করে। আর অনেকেই সাড়া দেয়। উদাহরণস্বরূপ, গুয়াটেমালার আদ্রিয়ানার কথা বিবেচনা করুন। আদ্রিয়ানার বয়স যখন সাত বছর, তার মা মারা যান। তার অল্প কিছুদিন পরেই তার বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। যখন তার দশ বছর বয়স, সে জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করা আরম্ভ করে। যেহেতু তার মা তাকে ঈশ্বর এবং গির্জার সেবা করতে বলেছিলেন, আদ্রিয়ানা বহু ক্যাথলিক দলের সাথে মেলামেশা করে, কিন্তু তার বয়স ১২ বছরে পৌঁছানোর মধ্যেই সে নিরাশ হয় এবং একটি রাস্তার দুর্বৃত্ত দলে যোগ দেয়। সে ধুমপান, নেশাকর ওষুধ সেবন এবং চুরি করতে শুরু করে। এইধরনের এক যুবতী মেয়ে কেন ঈশ্বরের প্রশংসা করতে চাইবে?

আদ্রিয়ানার বোন যিহোবার সাক্ষীদের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন করতে আরম্ভ করে, কিন্তু আদ্রিয়ানা তাকে বিদ্রূপ করে। এরপর তাদের মাসি মারা যান। তার মাসির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়, কিছু যন্ত্রণাদায়ক প্রশ্ন আদ্রিয়ানাকে বিক্ষুদ্ধ করে। তার মাসি কোথায় গেছেন? তিনি কি স্বর্গে ছিলেন? তিনি কি অগ্নিময় নরকে গিয়েছিলেন? এটি ছিল খুবই বিভ্রান্তিকর, আর তাই আদ্রিয়ানা সাহায্যের জন্য সমাধিক্ষেত্রের উপাসনালয়ে প্রার্থনা করতে যায় ঈশ্বরের নাম যিহোবা ব্যবহার করে, যেমন তার বোন তাকে শেখায়।

শীঘ্রই সে যিহোবার সাক্ষীদের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন করতে এবং তাদের খ্রীষ্টীয় সভাগুলিতে যোগ দিতে আরম্ভ করে। এটি তাকে জীবন সম্বন্ধে এক সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দান করে এবং সে সাহসীভাবে রাস্তার দুর্বৃত্ত দলের সাথে তার বন্ধন ছিন্ন করে। এখন ২০ বছরের মাঝামাঝি বয়সে পৌঁছে আদ্রিয়ানা বলে: “একমাত্র যিহোবার প্রতি প্রেমই আমাকে জীবনযাপনের ওই খারাপ পথ ত্যাগ করতে সাহায্য করে। একমাত্র যিহোবাই তাঁর অপরিসীম করুণার গুণে আমাকে অনন্ত জীবনের আশা দান করতে পারেন।” আদ্রিয়ানার জীবনের শুরু কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও, ঈশ্বরের প্রশংসা করার চমৎকার কারণগুলি তার ছিল।

ইউক্রেন থেকে এমনকি আরও অধিক নিরাশাজনক একটি পরিস্থিতি সম্বন্ধে বিবৃতি দেওয়া হয়। একজন ব্যক্তি কারাগারে বসে তার মৃত্যুদণ্ডের জন্য অপেক্ষা করছে। সে কি নিজের জন্য দুঃখবোধ করছে? হতাশাগ্রস্ত? না, বরঞ্চ এর সম্পূর্ণ বিপরীত। সম্প্রতি যিহোবার সাক্ষীদের সংস্পর্শে আসায় এবং যিহোবা সম্বন্ধে কিছু জ্ঞান লাভ করার ফলে সে তার মায়ের সাথে তাদের যোগাযোগ করতে বলে। এখন সে তাদের চিঠি লিখছে কারণ সে শুনেছে যে তারা তার অনুরোধ রাখে। সে বলে: “আমার মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য ধন্যবাদ। গত বছরে পাওয়া সমস্ত সংবাদের মধ্যে এটি ছিল আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দদায়ক।”

নিজের সম্বন্ধে এবং সহবন্দীদের যাদের সে সাক্ষ্য দিয়েছে, তাদের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে সে লেখে: “এখন আমাদের ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আছে এবং আমরা আমাদের বিশ্বাস অনুসারে কাজ করার চেষ্টা করি।” সে তার চিঠিটি এইভাবে শেষ করে: “প্রেম কী তা জানানো এবং বিশ্বাস অর্জন করতে আমাদের সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ। আমি যদি জীবিত থাকি, তবে আমিও আপনাদের সাহায্য করব। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে, আপনারা আছেন এবং ঈশ্বরকে প্রেম ও তাঁকে বিশ্বাস করার জন্য অন্যদের সাহায্য করছেন।” এই ব্যক্তিটি তার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন জানায়। কিন্তু তার মৃত্যুদণ্ড হোক বা সে অনেক বছর কারাগারে কাটাক না কেন, স্পষ্টভাবেই তার ঈশ্বরের প্রশংসা করার কারণ রয়েছে।

‘যদিও আমি অন্ধ, আমি দেখতে পাই’

এখন একটি প্রাণবন্ত কিশোরী মেয়ের কথা বিবেচনা করুন যে হঠাৎ তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। গ্লোরিয়ার ক্ষেত্রে এটিই ঘটেছিল, যে আর্জ্জেন্টিনায় বাস করে। গ্লোরিয়ার যখন ১৯ বছর বয়স, হঠাৎ সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে এবং আর কখনও সে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায় না। ২৯ বছর বয়সে, সে রক্ষিতা হিসাবে এক ব্যক্তির সাথে একত্রে বাস করে এবং শীঘ্রই গর্ভবতী হয়। এখন তার মনে হয় যে তার জীবনের একটা অর্থ ছিল। কিন্তু যখন সে তার শিশুটিকে হারায়, তখন সে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে শুরু করে। সে ভাবতে থাকে, ‘আমার প্রতি কেন এইরকম ঘটছে? আমি কী করেছি? ঈশ্বর কি প্রকৃতই অস্তিত্বে আছেন?’

সেই সময়ে, যিহোবার দুই জন সাক্ষী তার দরজায় আসে। সে বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করে এবং নতুন জগতে, অন্ধেরা যে আবার দেখতে পাবে সেই সম্বন্ধে এর প্রতিজ্ঞার বিষয়ে জানতে পারে। (যিশাইয় ৩৫:৫) গ্লোরিয়ার জন্য কতই না এক অপূর্ব প্রত্যাশা! সে খুব আনন্দিত হয়, বিশেষ করে যখন তার স্বামী তাদের বিবাহকে বৈধ করতে সম্মত হয়। এরপর তার স্বামীর একটি দুর্ঘটনা ঘটে এবং সে অক্ষম হয়ে পড়ে, আর হুইলচেয়ারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয় পড়ে। বর্তমানে এই অন্ধ মহিলাকে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। এছাড়াও, সে তার ঘরের সমস্ত কাজ করে আর সেই সাথে তার স্বামীর ব্যক্তিগত প্রয়োজনের প্রতিও যত্ন নেয়। তৎসত্ত্বেও, গ্লোরিয়া যিহোবার প্রশংসা করে! তার খ্রীষ্টীয় ভাই এবং বোনেদের সাহায্যে সে ব্রেইল অক্ষরের বাইবেল অধ্যয়ন করে এবং সে কিংডম হলের খ্রীষ্টীয় সভাগুলির মাধ্যমে প্রচুররূপে উৎসাহিত হয়েছে। সে বলে: “এটি ব্যাখ্যা করা কঠিন, কিন্তু যদিও আমি অন্ধ এটি এমন যেন তবুও আমি দেখতে পাই।”

কখনও কখনও লোকেরা তাড়িত হয়ে থাকে যখন তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করে। ক্রোয়েশিয়ার এক মহিলা যখন ঈশ্বর সম্বন্ধে জানতে পায়, সে আনন্দিত ছিল, কিন্তু তার স্বামী তার নতুন প্রাপ্ত বিশ্বাসের বিরোধিতা করে এবং তাদের এক বছরের মেয়েকে নিয়ে তাকে পরিত্যাগ করে। রাস্তায়, স্বামী এবং পরিবারের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়ে, গৃহহারা চাকুরিহীন আর এমনকি সন্তানবিহীন অবস্থায় সে প্রথমে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি তার প্রেম তাকে সংরক্ষিত করে, যদিও যে পর্যন্ত না মেয়েটি বড় হয়ে ওঠে মেয়ের সাথে তার কেবলমাত্র সীমিত যোগাযোগ ছিল। এই মহিলা “মহামূল্য মুক্তা” খুঁজে পায় এবং এটিকে হারাতে চায় না। (মথি ১৩:৪৫, ৪৬) এই কষ্টকর সময়েও সে কিভাবে তার আনন্দ বজায় রাখতে পারে? সে বলে: “আনন্দ হচ্ছে ঈশ্বরের আত্মার একটি ফল। এটিকে বাইরের পরিস্থিতির প্রভাবমুক্ত হিসাবেও উৎপন্ন করা যেতে পারে ঠিক যেমন বৃক্ষাদি চাষের ঘরে চারাগাছগুলি বৃদ্ধি পায়, বাইরের আবহাওয়া যাই হোক না কেন।”

ফিনল্যান্ডে, ছয় বছর বয়সী মার্কোসের এক দুরারোগ্য পেশীরোগ হয়েছে বলে রোগনির্ণয় করা হয়। শীঘ্রই সে হুইলচেয়ারে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এর কয়েক বছর পর, তার মা তাকে পেন্টিকস্ট দলের একজনের কাছে নিয়ে যায় যে অসুস্থ ব্যক্তিদের আরোগ্য করার দাবি করে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করছিল। কিন্তু কোন আশ্চর্যজনক আরোগ্য ঘটেনি। তাই মার্কোস ঈশ্বরের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং বিজ্ঞান ও অন্যান্য জাগতিক ক্ষেত্রগুলিতে অধ্যয়ন করতে থাকে। তারপর প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে, এক যুবক ব্যক্তির সাথে হুইলচেয়ারে করে একজন মহিলা মার্কোস যে বাড়িতে বাস করত সেখানে আসে। তারা ছিল যিহোবার সাক্ষী। সেই সময়ে মার্কোস একজন নাস্তিক ছিল, কিন্তু ধর্ম নিয়ে আলোচনা করায় তার কোন বাধা ছিল না আর তাই সে তাদের ভিতরে আমন্ত্রণ জানায়।

পরবর্তী সময়ে, এক বিবাহিত দম্পতি তার সাথে সাক্ষাৎ করে এবং একটি বাইবেল অধ্যয়ন শুরু হয়। পরিশেষে, বাইবেলের সত্যের ক্ষমতা বিষয়গুলির প্রতি মার্কোসের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয় এবং সে উপলব্ধি করে যে তার অক্ষমতা সত্ত্বেও ঈশ্বরের প্রশংসা করার প্রকৃত কারণ তার রয়েছে। সে বলে: “আমি খুবই আনন্দিত কারণ আমি সত্য এবং সেই সংগঠন খুঁজে পেয়েছি যা যিহোবা ব্যবহার করছেন। আমার জীবনের এখন নির্দেশনা এবং অর্থ আছে। আরেকটি হারানো মেষ খুঁজে পাওয়া গেছে, যে যিহোবার পালকে কখনও পরিত্যাগ করতে চায় না!”—তুলনা করুন মথি ১০:৬.

সকলে “যাঃ এর প্রশংসা” করুক

অগণিত অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে এগুলি হচ্ছে মাত্র কয়েকটি যা বর্ণনা করে যে আজকে মানুষের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ঈশ্বরকে প্রশংসা করার কারণ তাদের থাকতে পারে। প্রেরিত পৌল বিষয়টিকে এইভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন: “ভক্তি সর্ব্ববিষয়ে সুফলদায়িকা, তাহা বর্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতিজ্ঞাযুক্ত।” (১ তীমথিয় ৪:৮) যদি আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করি, তবে তিনি ‘বর্ত্তমান জীবনের প্রতিজ্ঞা’ পূর্ণ করবেন। অবশ্য, তিনি এই বিধিব্যবস্থায় দরিদ্রদের ধনী বা অসুস্থদের স্বাস্থ্যবান করে তুলবেন না। কিন্তু যারা তাঁকে সেবা করে তাদের তিনি তাঁর আত্মা দেন যাতে করে তাদের বাইরের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন তারা যেন আনন্দ ও পরিতৃপ্তি খুঁজে পায়। হ্যাঁ, এমনকি ‘বর্ত্তমান জীবনের’ অসুস্থ, নিপীড়িত এবং দরিদ্রদেরও ঈশ্বরের প্রশংসা করার কারণ থাকতে পারে।

কিন্তু “ভবিষ্যৎ” জীবন সম্বন্ধে কী বলা যায়? এই বিষয়ের চিন্তাই সর্বাধিক উদ্যমের সাথে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে আমাদের প্রণোদিত করবে! সেই সময়ের কথা চিন্তা করে আমরা রোমাঞ্চিত হই যখন দারিদ্র আর থাকবে না; যখন “নগরবাসী কেহ বলিবে না, আমি পীড়িত”; আর যখন যিহোবা ঈশ্বর “তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।” (যিশাইয় ৩৩:২৪; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪; গীতসংহিতা ৭২:১৬) ঈশ্বরের এই প্রতিজ্ঞাগুলিকে আপনি কোন্‌ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন?

এল সালভাদরের একটি যুবক ব্যক্তি একটি ট্র্যাক্ট গ্রহণ করে যা এই বিষয়গুলির কিছু ব্যাখ্যা করে। যে সাক্ষীটি তাকে এটি দিয়েছিল সে তাকে বলে: “মহাশয়া, এই ট্র্যাক্টটি যা বলে তা বাস্তবে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে অসম্ভব বলে মনে হয়।” অনেকেই এইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকে। তথাপি, এগুলি এমন একজনের প্রতিজ্ঞা যিনি মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, যিনি আমাদের পৃথিবীর প্রাকৃতিক চক্রকে গতিশীল রাখেন এবং এমনকি যিনি দরিদ্র ও অসুস্থদের আনন্দ খুঁজে পেতে সাহায্য করেন। তিনি যা বলেন আমরা তা বিশ্বাস করতে পারি। উপরে উল্লেখিত যুবক ব্যক্তিটি যিহোবার সাক্ষীদের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন করে এবং এটিকে সত্য হিসাবে দেখতে পায়। আপনি যদি ইতিমধ্যেই এটি না করে থাকেন, আমরা আপনাকে একই বিষয় করতে উৎসাহিত করছি। তাহলে, আপনি হয়ত নতুন জগতে থাকতে পারবেন যখন এই বর্তমান বিধিব্যবস্থা লুপ্ত হবে এবং সমস্ত সৃষ্টি এই উচ্চৈঃধ্বনিতে যোগ দেবে: “হাল্লিলূয়া!” “তোমরা যিহোবার প্রশংসা কর!”—গীতসংহিতা ১১২:১, NW; ১৩৫:১.

[পাদটীকা]

a বাইবেলে মাঝে মাঝে “যিহোবা”-কে সংক্ষেপে “যাঃ” বলা হয়েছে।

[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনি যেন সেখানে থাকেন যখন সমস্ত সৃষ্টি এই উচ্চৈঃধ্বনিতে যোগ দেবে: “হাল্লিলূয়া!”

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার