ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৭ ১/১৫ পৃষ্ঠা ৩-৪
  • প্রকৃত শান্তির বার্তাবাহকগণ কারা?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • প্রকৃত শান্তির বার্তাবাহকগণ কারা?
  • ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • প্রকৃত শান্তি সন্নিকট!
  • ঈশ্বরের শান্তির বার্তাবাহকগণ
  • প্রকৃত শান্তি—কোন্‌ উৎস থেকে?
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “ঈশ্বরের শান্তি” তোমার হৃদয়কে রক্ষা করুক
    ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বরীয় শান্তির বার্তাবাহকগণ হিসাবে সেবা করা
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ১৯৯৬ সালের “ঈশ্বরীয় শান্তির বার্তাবাহকগণ” সম্মেলন
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৭ ১/১৫ পৃষ্ঠা ৩-৪

প্রকৃত শান্তির বার্তাবাহকগণ কারা?

মে৩১, ১৯৯৬ সালের সংবাদ উৎসগুলি যা ঘোষণা করেছিল তা শান্তির বার্তা বলে মনে হয়েছিল। এর আগের দিনটিতে, একটি সরকারি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল যেটি এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল যে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যিনি প্রায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছিলেন, তিনি “ইজরায়েল রাষ্ট্র এবং এর সমস্ত প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে যার অন্তর্ভুক্ত ছিল প্যালেষ্টাইন, নিরাপত্তাসহ শান্তি ও শান্তির প্রক্রিয়া ক্রমাগতভাবে বজায় রাখার জন্য গভীরভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন।”

নেতানিয়াহুর এই উচ্চ-প্রচারিত নির্বাচন অনেককে এই বিষয়টি চিন্তা করতে বাধ্য করেছিল যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি হয়ত শুধুমাত্র এক স্বপ্নের চেয়ে আরও বেশি কিছু হবে। যদি তাই হয়, তবে অন্যান্য জাতিগুলি কি তাদের বৈষম্যকে ভুলে, সেই একই পথ অনুসরণ করতে পারত?

অবশ্যই, শান্তি অর্জন করার চাইতে এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সহজতর। এটি উপলব্ধি করে অনেকে সন্দেহপ্রবণ ছিল। যেমন সাংবাদিক হেমী শালেভ এটিকে বর্ণনা করেন, “ইজরায়েলের অর্ধেক জনগণ এখন এই মনোভাব পোষণ করছে যে পুনরুদ্ধার সন্নিকট এবং অবশিষ্টেরা বিশ্বাস করে যে এটি পৃথিবীর নরকে বন্দী হয়ে পড়েছে।” সংক্ষিপ্তসার হিসাবে তিনি বলেছিলেন: “কেউ কেউ আনন্দ করে; অন্যেরা ক্রন্দন করে।”

সুতরাং শান্তি আনার জন্য মানুষের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এইরকমই ঘটে থাকে। একজন নেতা এবং তার সমর্থনকারীদের বিজয়ের অর্থ বিরোধী শিবিরের জন্য পরাজয়। অসন্তুষ্টতা বিভ্রান্তি নিয়ে আসে এবং বিভ্রান্তি প্রায়ই বিদ্রোহের দিকে পরিচালিত করে। তা সে মধ্যপ্রাচ্য, ল্যাটিন আমেরিকা, পূর্ব ইউরোপ অথবা অন্য যে কোন স্থানেই হোক না কেন—শান্তির জন্য মানবজাতির প্রচেষ্টা খুবই বিভ্রান্তিকর।

প্রকৃত শান্তি সন্নিকট!

সেই সময়ে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বিশেষভাবে একটি উত্তেজক খবর ছিল, তখন শান্তির আরেকটি বার্তাও শোনা গিয়েছিল। এটি কোন উচ্চ-প্রচারিত রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল না; কিম্বা এটি জাতিগণের মধ্যে শান্তির চুক্তিও ছিল না। বরঞ্চ, এই বার্তাটি এমন এক শান্তি সম্বন্ধে ঘোষণা করেছিল যা কেবলমাত্র ঈশ্বরের রাজ্যের মাধ্যমেই আসবে। কোথায় এই বার্তা শোনা গিয়েছিল? এটি ছিল ১৯৯৬/৯৭ সালে জগদ্ব্যাপী যিহোবার সাক্ষীদের দ্বারা অনুষ্ঠিত ১,৯০০টিরও বেশি “ঈশ্বরীয় শান্তির বার্তাবাহকগণ” জেলা সম্মেলনগুলি।

এই সম্মেলনগুলিতে এটি স্পষ্ট করা হয়েছিল যে কোন মনুষ্য সরকার প্রকৃত শান্তি এবং নিরাপত্তা আনতে পারে না। কেন? কারণ এর জন্য প্রয়োজন, প্রত্যহ যা কিছু আমাদের শান্তিকে হরণ করে সেগুলির শেষ নিয়ে আসা। প্রকৃত শান্তির অর্থ হল প্রতিদিন সকালে যুদ্ধ অথবা দৌরাত্ম্যের ভয় ছাড়াই ঘুম থেকে ওঠা। এর অর্থ আর কোন অপরাধ নেই, আমাদের দরজায় আর তালা লাগানোর প্রয়োজন নেই, রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলার সময় আর কোন ভয় নেই, পরিবারগুলি আর কখনও বিচ্ছিন্ন হবে না। পৃথিবীর কোন্‌ সরকার এই সমস্ত কিছু সম্পাদন করতে পারে? প্রকৃতপক্ষে, পৃথিবীর কোন্‌ সরকার এমনকি এটি প্রতিজ্ঞা করতে সাহস করবে?

কিন্তু, ঈশ্বরের রাজ্য এই বিষয়গুলিকে পূর্ণ করতে পারে এবং সেটি তা করবে। বাইবেল প্রতিজ্ঞা করে: “দেখ, মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; তিনি তাহাদের সহিত বাস করিবেন, এবং তাহারা তাঁহার প্রজা হইবে; এবং ঈশ্বর আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকিবেন, ও তাহাদের ঈশ্বর হইবেন। আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) কষ্টভোগরত মানবজাতির জন্য এটি কতই না এক স্বস্তি নিয়ে আসবে!

যিহোবা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা নিষ্ফল হওয়ার নয়। বাইবেল আমাদের আশ্বাস দেয়: “ঈশ্বর মনুষ্য নহেন যে মিথ্যা বলিবেন; তিনি মনুষ্য-সন্তান নহেন যে অনুশোচনা করিবেন; তিনি কহিয়া কি কার্য্য করিবেন না? তিনি বলিয়া কি সিদ্ধ করিবেন না?” (গণনাপুস্তক ২৩:১৯) হ্যাঁ, ঈশ্বর যা প্রতিজ্ঞা করেছেন তা পরিপূর্ণ হবে—তাদের আশীর্বাদ করার জন্য যারা তাঁর পক্ষে তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

ঈশ্বরের শান্তির বার্তাবাহকগণ

যিহোবার সাক্ষীরা ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে তাদের উদ্দীপনাপূর্ণ প্রচারের জন্য সুপরিচিত। প্রত্যেক বছর, তারা বাইবেলের হৃদয়গ্রাহী বার্তা অন্যদের সাথে বন্টন করতে সমষ্টিগতভাবে ১০০ কোটিরও অধিক ঘন্টা ব্যয় করে থাকে। এটি যীশুর বাক্যগুলির পরিপূর্ণতাস্বরূপ ঘটে থাকে: “আর সর্ব্ব জাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।” (মথি ২৪:১৪) সেই বার্তা যা সাক্ষীরা নিয়ে আসে তা প্রকৃতপক্ষেই “সুসমাচার,” কারণ এটি মানবজাতির একমাত্র আশা হিসাবে ঈশ্বরের স্বর্গীয় রাজ্যকে ঘোষণা করে। আর ভবিষ্যতের জন্য এটি কতই না এক দৃঢ় আশা!

এমনকি এখনও ঈশ্বরের রাজ্য তার প্রজাদের মধ্যে এক অকৃত্রিম শান্তির যোগবন্ধন এবং ভ্রাতৃপ্রেম উৎপন্ন করছে। যীশু বলেছিলেন: “তোমরা যদি আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ, তবে তাহাতেই সকলে জানিবে যে, তোমরা আমার শিষ্য।” (যোহন ১৩:৩৫) যিহোবার সাক্ষীরা সত্য খ্রীষ্টতত্ত্বের এই মৌলিক চাহিদা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে প্রচেষ্টা করে থাকে। ফলস্বরূপ, এক অপূর্ব ভ্রাতৃত্ব যিহূদী ও আরবীয়, ক্রোয়েশীয় ও সার্বিয়, হুটু ও টুট্‌সিদের একতাবদ্ধ করে। সেই শান্তি যা অধিকাংশ মানুষের কাছে কেবলমাত্র এক স্বপ্নের মত তা এখন জগদ্ব্যাপী লক্ষ লক্ষ যিহোবার সাক্ষীদের মধ্যে সম্পদস্বরূপ।

“ঈশ্বরীয় শান্তির বার্তাবাহকগণ” জেলা সম্মেলন কার্যক্রমে বাইবেলের নীতিগুলি অনুযায়ী ক্রমাগত জীবনযাপন করতে উৎসাহ প্রদান এবং ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করে চলার প্রতি আলোকপাত করা হয়েছিল। আমরা আপনাকে তিন-দিনের অনুপ্রেরণামূলক সম্মেলনের পরবর্তী প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাই যা লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিরা উপভোগ করেছে।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার