রাজ্য ঘোষণাকারীদের বিবৃতি
প্রতিটি পরিস্থিতিতে রাজ্যের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া
ঈশ্বরের বাক্য, বাইবেল অধ্যবসায়কে উৎসাহিত করে। রাজা শলোমন বলেছিলেন: “তুমি প্রাতঃকালে আপন বীজ বপন কর, এবং সায়ংকালেও হস্ত নিবৃত্ত করিও না। কেননা ইহা কিম্বা উহা, কোন্টা সফল হইবে, কিম্বা উভয় সমভাবে উৎকৃষ্ট হইবে, তাহা তুমি জান না।”—উপদেশক ১১:৬.
যিহোবার সাক্ষীরা প্রতিটি যথার্থ পরিস্থিতিতে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার দ্বারা “বীজ” বপন করে। ২৩০টিরও বেশি দেশে এবং দ্বীপপুঞ্জগুলিতে, তারা ক্রমাগত ‘উপদেশ দেয়, এবং যীশুই যে খ্রীষ্ট, এই সুসমাচার প্রচার করে, ক্ষান্ত হয় না।’ (প্রেরিত ৫:৪২) নিম্নের অভিজ্ঞতাগুলি ব্যাখ্যা করে যে কিভাবে যিহোবার সাক্ষীরা প্রচার কাজে ‘তাদের হস্ত নিবৃত্ত করছে না।’
◻ রিপাবলিক অফ ক্যাপ ভার্ডেতে, যিহোবার সাক্ষীদের একজন ক্ষেত্রের পরিচর্যায় রত থাকার সময়ে একটি কারাগারের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। কারাগার প্রাঙ্গণে কিছু কারাবাসী একটি গাছের উপরে বসেছিল। নিচে সাক্ষীটিকে দেখে কারাবাসীরা কয়েকটি পত্রিকার জন্য চিৎকার করে। সাক্ষীটি বেশ কিছু প্রহরীদুর্গ এবং সচেতন থাক! পত্রিকা একটি পাথরের সাথে বেঁধে কারাগারের দেওয়ালের উপর দিয়ে তাদের কাছে ছুঁড়ে দেন। এই প্রাথমিক আগ্রহের ফলস্বরূপ, ১২টি বাইবেল অধ্যয়ন শুরু হয়। কারাবাসীদের মধ্যে তিন জন তাদের জীবন ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গীকৃত করে এবং নিজেদের জলে বাপ্তিস্মের জন্য উপস্থিত করে। কারাবাসীদের মধ্যে একজন এখন প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পূর্ণ-সময়ের সুসমাচার প্রচারক বা অগ্রগামী হিসাবে সেবা করছে। কিন্তু, কিভাবে তারা কারাগারের মধ্যে ক্ষেত্র পরিচর্যার কার্যক্রমগুলি পরিচালনা করে? প্রথমতঃ, কারাগারকে এলাকাগুলিতে বিভক্ত করা হয়েছে। তারপর সেই এলাকা তিন জন সাক্ষীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে এবং তারা কারাগারের কক্ষে কক্ষে কাজ করে। এই রাজ্যের ঘোষকেরা একইরকমভাবে আগ্রহীদের কাছে ফিরে যায় যেভাবে জগতের চতুর্দিকের যিহোবার সাক্ষীরা করে থাকে—পুনর্সাক্ষাৎগুলি করার দ্বারা। কিন্তু, একটি পার্থক্য হল যে বাইবেল অধ্যয়নগুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে সংখ্যাধিক্য। সপ্তাহে শুধুমাত্র এক বা দুই বার, এক ঘন্টা অথবা সেইরকম সময় ধরে বাইবেল অধ্যয়নের চেয়ে বরঞ্চ কিছু কারাবাসী প্রত্যেকদিন অধ্যয়ন করে! অতিরিক্তভাবে, কারাগারের ভিতরে মণ্ডলীর সমস্ত সভাগুলি পরিচালনা করার অনুমতিও সাক্ষীরা কারাগারের প্রধান পরিচালকের কাছ থেকে পেয়েছে।
◻ পর্তুগালে একজন মহিলা, তার ঠাকুরমার মৃত্যুর পর বেশ কিছু সংখ্যক ওয়াচ টাওয়ার প্রকাশনাদি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলেন। যেহেতু তিনি একজন যিহোবার সাক্ষী ছিলেন না, তাই সেই বইগুলি রাখার কোন আগ্রহই তার ছিল না। কিন্তু, তিনি সেগুলি নষ্ট করে দিতে চাননি। একদিন তিনি যিহোবার সাক্ষীদের একজনকে যিনি ঘরে ঘরে পরিচর্যার সময় তার সাথে সাক্ষাৎ করেন, সেই গ্রন্থাগারটি সম্বন্ধে বলেছিলেন। সাক্ষীটি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন সেই গ্রন্থাগারের প্রকৃত মূল্য সম্বন্ধে তার কোন ধারণা রয়েছে কি না। মহিলাটি উত্তর দিয়েছিলেন: “সত্যি বলতে কী, আমি সেগুলির প্রকৃত মূল্য জানি না, কিন্তু কিভাবে আমি তা জানতে পারি?” মহিলাটি একটি বাইবেল অধ্যয়ন গ্রহণ করেন এবং শীঘ্রই তিনি তার ঠাকুরমার গ্রন্থাগারটির মূল্য সম্বন্ধে জানতে পারেন। এখন তিনিও যিহোবার একজন বাপ্তাইজিত সাক্ষী। এছাড়া, তার মেয়ে এবং পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুও বাইবেল অধ্যয়ন করছে। কতই না এক মূল্যবান উত্তরাধিকার হিসাবে এই বইয়ের সংগ্রহগুলি প্রমাণিত হয়েছে!