ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৭ ১১/১৫ পৃষ্ঠা ৫-৭
  • এক ন্যায়পূর্ণ জগৎ স্বপ্ন নয়!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • এক ন্যায়পূর্ণ জগৎ স্বপ্ন নয়!
  • ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • মানুষ কেন ব্যর্থ হয়েছে?
  • ন্যায়পূর্ণ জগৎ এক বাস্তব বিষয়—কিভাবে?
  • এক ন্যায়পূর্ণ জগতে জীবন
  • যিহোবা ন্যায়বিচার ভালবাসেন
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “ঈশ্বরে কি অন্যায় আছে?”
    যিহোবার নিকটবর্তী হোন
  • “তাঁহার সমস্ত পথ ন্যায্য”
    যিহোবার নিকটবর্তী হোন
  • যখন পাপ আর থাকবে না
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৭ ১১/১৫ পৃষ্ঠা ৫-৭

এক ন্যায়পূর্ণ জগৎ স্বপ্ন নয়!

“ন্যায় পৃথিবীর মানুষের কাছে এক বৃহৎ আগ্রহের বিষয়,” আমেরিকার কূটনীতিজ্ঞ দানিয়েল ওয়েবস্টার বলেছিলেন। আর বাইবেল উল্লেখ করে: “সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন।” (গীতসংহিতা ৩৭:২৮) ঈশ্বরের স্বরূপে সৃষ্ট হওয়ায় প্রথম মানব দম্পতি ঈশ্বরীয় গুণাবলির অধিকারী ছিল, যার অন্তর্ভুক্ত হল ন্যায় সম্পর্কে এক উপলব্ধিবোধ।—আদিপুস্তক ১:২৬, ২৭.

এছাড়াও শাস্ত্র বলে “যে পরজাতিরা কোন ব্যবস্থা পায় নাই, তাহারা স্বভাবতঃ ব্যবস্থানুযায়ী আচরণ করে।” আর এইভাবে তারা “ব্যবস্থার কার্য্য আপন আপন হৃদয়ে লিখিত বলিয়া দেখায়, তাহাদের সংবেদও সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষ্য দেয়, এবং তাহাদের নানা বিতর্ক পরস্পর হয় তাহাদিগকে দোষী করে, না হয় তাহাদের পক্ষ সমর্থন করে।” (রোমীয় ২:১৪, ১৫) হ্যাঁ, মানুষকে এক বিবেক—ঠিক ও ভুলের এক অন্তস্থ বোধ, এক মৌলিক মানসিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। স্পষ্টতই, ন্যায়ের প্রয়োজনীয়তা মানুষের সহজাত।

মানুষের সুখের অন্বেষণের সাথে ন্যায়ের প্রয়োজন ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত, কারণ গীতসংহিতা ১০৬:৩ পদ ঘোষণা করে: “ধন্য তাহারা, যাহারা ন্যায় রক্ষা করে, ধন্য সে, যে সতত ধর্ম্মাচরণ করে।” তাহলে, মানুষ কেন একটি ন্যায়পূর্ণ জগৎ নিয়ে আসতে সক্ষম নয়?

মানুষ কেন ব্যর্থ হয়েছে?

এক ন্যায়পূর্ণ জগৎ অর্জন করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার মুখ্য কারণটি হল সেই ত্রুটি যা আমরা আমাদের প্রথম পিতামাতা, আদম ও হবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। বাইবেল ব্যাখ্যা করে: “এক মনুষ্য দ্বারা পাপ, ও পাপ দ্বারা মৃত্যু জগতে প্রবেশ করিল; আর এই প্রকারে মৃত্যু সমুদয় মনুষ্যের কাছে উপস্থিত হইল, কেননা সকলেই পাপ করিল।” (রোমীয় ৫:১২) ত্রুটিটি হল পাপ। যদিও আদম আর হবাকে নিখুঁতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল, তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য মনস্থ করেছিল আর এইভাবে তারা নিজেদের পাপীতে পরিণত করেছিল। (আদিপুস্তক ২:১৬, ১৭; ৩:১-৬) এই কারণে, তারা তাদের সন্তানদের জন্য পাপপূর্ণ, অন্যায় প্রবণতার উত্তরাধিকার ছেড়ে গিয়েছে।

লোভ ও কুসংস্কার, ব্যক্তিত্বের এইধরনের বৈশিষ্ট্যগুলি কি পাপপূর্ণ প্রবণতার পরিণতি নয়? আর এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি কি জগতে বিদ্যমান অবিচারের ক্ষেত্রে অবদান রাখে না? কারণ উদ্দেশ্যপূর্ণ পরিবেশের অপব্যবহার এবং অর্থনৈতিক দমনের মূলে রয়েছে লোভ! জাতিগত শত্রুতা ও সাম্প্রদায়িক অবিচারের পিছনে নিশ্চিতভাবেই রয়েছে কুসংস্কার। এছাড়াও এই বৈশিষ্ট্যগুলি লোকেদের লুণ্ঠন, প্রতারণা এবং সেই সমস্ত কাজগুলি করতে প্ররোচিত করে যা অন্যদের ক্ষতি সাধন করে।

এমনকি ন্যায়বিচার অনুশীলন করা ও মঙ্গল সাধন করার সর্বোত্তম অভিপ্রায়যুক্ত প্রচেষ্টাগুলিও প্রায়ই ব্যর্থ হয়ে থাকে আমাদের পাপপূর্ণ প্রবণতার কারণে। প্রেরিত পৌল নিজে স্বীকার করেছিলেন: “আমি যাহা ইচ্ছা করি, সেই উত্তম ক্রিয়া করি না; কিন্তু মন্দ, যাহা ইচ্ছা করি না, কাজে তাহাই করি।” এই সংগ্রাম সম্বন্ধে তিনি আরও বর্ণনা করেন এই বলার দ্বারা: “বস্তুতঃ আন্তরিক মানুষের ভাব অনুসারে আমি ঈশ্বরের ব্যবস্থায় আমোদ করি। কিন্তু আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অন্য প্রকার এক ব্যবস্থা দেখিতে পাইতেছি; তাহা আমার মনের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এবং পাপের যে ব্যবস্থা আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আছে, আমাকে তাহার বন্দি দাস করে।” (রোমীয় ৭:১৯-২৩) সম্ভবত, আজকে আমাদেরও এই একই দ্বন্দ্ব আছে। আর সেই কারণে অবিচার প্রায়ই ঘটে চলে।

মানুষের শাসন পদ্ধতিও জগতের অবিচারের ক্ষেত্রে অবদান রাখে। প্রত্যেক দেশে নিয়মগুলি আছে ও সেগুলির প্রয়োগকারীরাও আছে। আর অবশ্যই বিচারক ও আদালতগুলিও আছে। নিশ্চিতভাবেই, কিছু নীতিবান লোকেরা মানব অধিকারকে উন্নতভাবে তুলে ধরতে চেষ্টা করে থাকেন আর দেখতে চান যে সকলের জন্য যেন সমান ন্যায়বিচার থাকে। তবুও, তাদের অধিকাংশ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কেন? তাদের ব্যর্থতার সাথে জড়িত বিভিন্ন কারণগুলিকে সংযুক্ত করে যিরমিয় ১০:২৩ পদ নির্দেশ করে: “হে সদাপ্রভু, আমি জানি, মনুষ্যের পথ তাহার বশে নয়, মনুষ্য চলিতে চলিতে আপন পাদবিক্ষেপ স্থির করিতে পারে না।” ঈশ্বর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানুষ সাধারণভাবে এক ধার্মিক ও ন্যায়পূর্ণ জগৎ প্রতিষ্ঠিত করতে অক্ষম।—হিতোপদেশ ১৪:১২; উপদেশক ৮:৯.

এক ন্যায়পূর্ণ জগৎ নির্মাণ করার ক্ষেত্রে মানুষের প্রচেষ্টার এক বড় প্রতিবন্ধক হল শয়তান দিয়াবল। বাইবেল স্পষ্টভাবে বলে যে বিদ্রোহী দূত শয়তান হচ্ছে আদি “নরঘাতক” এবং “মিথ্যাবাদী” আর তাই “সমস্ত জগৎ সেই পাপাত্মার মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে।” (যোহন ৮:৪৪; ১ যোহন ৫:১৯) প্রেরিত পৌল তাকে “এই যুগের দেব” বলে শনাক্ত করেন। (২ করিন্থীয় ৪:৩, ৪) ধার্মিকতার ঘৃণাকারী হওয়ায় শয়তান দুষ্টতাকে বৃদ্ধি করার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত কিছু করে। যতদিন পর্যন্ত সে পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করবে, সমস্ত প্রকার অন্যায় এবং সেগুলির ফলস্বরূপ আসা বিপর্যয়গুলি মানবজাতিকে এর ক্রীতদাস করে রাখবে।

এই সমস্ত কিছুর অর্থ কী এই যে মানব সমাজের জন্য অবিচার অপরিহার্য? একটি ন্যায়পূর্ণ জগৎ কি অসম্ভব স্বপ্ন?

ন্যায়পূর্ণ জগৎ এক বাস্তব বিষয়—কিভাবে?

ন্যায়পূর্ণ জগতের আশাকে এক বাস্তবতায় পরিণত করতে হলে মানবজাতিকে এমন একটি উৎসের প্রতি তাকাতে হবে যেটি অবিচারের সমস্ত কারণগুলিকে সমূলে উৎপাটন করতে পারে। কিন্তু কে পাপকে নির্মূল এবং শয়তান ও তার শাসকপদকে উন্মুলিত করতে পারে? স্পষ্টতই, কোন মানুষ অথবা মনুষ্য প্রতিষ্ঠান এইধরনের এক বিশাল কার্যভার সম্পন্ন করতে পারবে না। কেবলমাত্র যিহোবা ঈশ্বর পারেন! তাঁর সম্বন্ধে বাইবেল উল্লেখ করে: “তিনি শৈল, তাঁহার কর্ম্ম সিদ্ধ, কেননা তাঁহার সমস্ত পথ ন্যায্য; তিনি বিশ্বাস্য ঈশ্বর, তাঁহাতে অন্যায় নাই; তিনিই ধর্ম্মময় ও সরল।” (দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪) আর ‘ন্যায়বিচার ভালবাসায়’ যিহোবা চান যে মনুষ্যজাতি এক ন্যায়পূর্ণ জগতে জীবন উপভোগ করুক।—গীতসংহিতা ৩৭:২৮.

এক ন্যায়পূর্ণ জগৎ নিয়ে আসা সম্বন্ধে ঈশ্বরের ব্যবস্থার বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন: “তাঁহার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমরা এমন নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যাহার মধ্যে ধার্ম্মিকতা বসতি করে।” (২ পিতর ৩:১৩) এই ‘নূতন আকাশমণ্ডল’ আক্ষরিক নতুন আকাশমণ্ডল নয়। ঈশ্বর আমাদের আক্ষরিক আকাশমণ্ডলকে সিদ্ধভাবে তৈরি করেছিলেন আর তারা তাঁর গৌরব নিয়ে আসে। (গীতসংহিতা ৮:৩; ১৯: ১, ২) ‘নূতন আকাশমণ্ডল’ হল পৃথিবীর উপর এক নতুন শাসনব্যবস্থা। বর্তমান ‘আকাশমণ্ডল’ মনুষ্য নির্মিত সরকারগুলি দ্বারা গঠিত। শীঘ্রই ঈশ্বরের যুদ্ধ হরমাগিদোনে এইগুলি, ‘নূতন আকাশমণ্ডল’—তাঁর স্বর্গীয় রাজ্য অথবা সরকারকে পথ উন্মুক্ত করে দেবে। (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৪-১৬) সেই রাজ্যের রাজা হলেন যীশু খ্রীষ্ট। মনুষ্য শাসনের এক চিরস্থায়ী সমাপ্তি নিয়ে এসে এই সরকার অনন্তকাল শাসন করবে।—দানিয়েল ২:৪৪.

তাহলে ‘নূতন পৃথিবী’ কী? এটি একটি নতুন গ্রহ নয়, কারণ ঈশ্বর এই পৃথিবীকে মনুষ্য বসবাসের উপযুক্ত করে সৃষ্টি করেছিলেন আর তাঁর ইচ্ছা যে এটি চিরকাল থাকবে। (গীতসংহিতা ১০৪:৫) ‘নূতন পৃথিবী’ মানুষের এক নতুন সমাজকে উল্লেখ করে। (আদিপুস্তক ১১:১; গীতসংহিতা ৯৬:১) ‘পৃথিবী’ যেটি ধ্বংস হবে তা সেই লোকেদের নিয়ে গঠিত যারা নিজেদের এই মন্দ বিধিব্যবস্থার অংশ করে তুলেছে। (২ পিতর ৩:৭) ‘নূতন পৃথিবী’ যেটি এগুলিকে স্থানান্তরিত করবে, সেটি ঈশ্বরের সত্য সেবকদের নিয়ে গঠিত হবে যারা দুষ্টতাকে ঘৃণা করে এবং ধার্মিকতা ও ন্যায়বিচারকে ভালবাসে। (গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১) আর এইভাবে শয়তানের জগৎ চলে যাবে।

কিন্তু শয়তানের জন্য কী সঞ্চিত রয়েছে? প্রেরিত যোহন ভাববাণী করেছিলেন: “তিনি [খ্রীষ্ট যীশু] সেই নাগকে ধরিলেন; এ সেই পুরাতন সর্প, এ দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ]; তিনি তাহাকে সহস্র বৎসর বদ্ধ রাখিলেন, আর তাহাকে অগাধলোকের মধ্যে ফেলিয়া দিয়া সেই স্থানের মুখ বদ্ধ করিয়া মুদ্রাঙ্কিত করিলেন; যেন . . . সে জাতিবৃন্দকে আর ভ্রান্ত করিতে না পারে।” (প্রকাশিত বাক্য ২০:১-৩) মানবজাতির উপর শৃঙ্খলাবদ্ধ শয়তানের প্রভাব ভূগর্ভস্থ অন্ধকার কারাকক্ষে থাকা কারাবন্দীর চেয়ে বেশি হবে না। মানবজাতির জন্য তা কতই না স্বস্তিজনক হবে, এক ন্যায়পূর্ণ জগতের অগ্রদূত হয়ে প্রবেশ করা! আর সহস্র বছরের শেষে শয়তানের অস্তিত্বকে বিলুপ্ত করা হবে।—প্রকাশিত বাক্য ২০:৭-১০.

তাহলে, উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত পাপ সম্বন্ধে কী? যিহোবা ইতিমধ্যেই পাপকে নির্মূল করার জন্য ভিত্তি সরবরাহ করেছেন। “মনুষ্যপুত্ত্র [যীশু খ্রীষ্ট] . . . অনেকের পরিবর্ত্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।” (মথি ২০:২৮) ‘মুক্তির মূল্য’ শব্দটি সেই মূল্যকে নির্দেশ করে যা বন্দীত্ব থেকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজন। যীশু মানবজাতিকে মুক্ত করার জন্য তাঁর সিদ্ধ মনুষ্য জীবন মুক্তির মূল্যরূপে প্রদান করেছিলেন।—২ করিন্থীয় ৫:১৪; ১ পিতর ১:১৮, ১৯.

যীশুর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদান এমনকি এখনও আমাদের জন্য উপকার নিয়ে আসতে পারে। এটিতে বিশ্বাস অনুশীলন করার দ্বারা আমরা ঈশ্বরের সামনে এক পরিচ্ছন্ন অবস্থান উপভোগ করতে পারি। (প্রেরিত ১০:৪৩; ১ করিন্থীয় ৬:১১) ঈশ্বরের রাজ্য শাসনের অধীনে মুক্তির মূল্য মানবজাতিকে পাপ থেকে সম্পূর্ণ উদ্ধার পেতে সাহায্য করবে। বাইবেলের শেষ পুস্তকটি এক রূপক “জীবন-জলের নদী” সম্বন্ধে উল্লেখ করে যেটি ঈশ্বরের সিংহাসন থেকে নির্গত হয় আর এর দুই তীরে প্রতীক ফলের বৃক্ষ আছে যার পত্র “জাতিগণের আরোগ্য নিমিত্তক।” (প্রকাশিত বাক্য ২২:১, ২) বাইবেল এখানে যা চিত্রিত করে তা যীশুর মুক্তির মূল্যের ভিত্তিতে মানবজাতিকে তার পাপ থেকে পুনরুদ্ধার করার জন্য সৃষ্টিকর্তার বিস্ময়কর ব্যবস্থাকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই ব্যবস্থার সম্পূর্ণ প্রয়োগ বাধ্য মানবজাতিকে পাপ ও মৃত্যু থেকে স্বাধীন করবে।

এক ন্যায়পূর্ণ জগতে জীবন

রাজ্য শাসনের অধীনে কিধরনের জীবন হবে সে সম্বন্ধে চিন্তা করুন। অপরাধ ও হিংস্রতা অতীত বিষয়ে পরিণত হবে। (হিতোপদেশ ২:২১, ২২) অর্থনৈতিক অবিচার দূরীভূত হবে। (গীতসংহিতা ৩৭:৬; ৭২:১২, ১৩; যিশাইয় ৬৫:২১-২৩) সামাজিক, জাতিগত, উপজাতিগত ও সম্প্রদায়গত সমস্ত বৈষম্যতার চিহ্ন মুছে যাবে। (প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫) যুদ্ধ এবং যুদ্ধাস্ত্রগুলি আর থাকবে না। (গীতসংহিতা ৪৬:৯) লক্ষ লক্ষ মৃত ব্যক্তিরা এক অবিচার মুক্ত জগতে জীবনে পুনরধিষ্ঠিত হবে। (প্রেরিত ২৪:১৫) প্রত্যেকে সিদ্ধ ও উত্তম স্বাস্থ্য উপভোগ করবে। (ইয়োব ৩৩:২৫; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) বাইবেল আমাদের আশ্বস্ত করে “সত্যে [যীশু খ্রীষ্ট] ন্যায়বিচার প্রচলিত করিবেন।”—যিশাইয় ৪২:৩.

এই অন্তর্বর্তী সময়ে, আমাদের প্রতি অবিচার ঘটতে পারে কিন্তু প্রতিদানে আমরা যেন কখনও অবিচারপূর্ণ না হই। (মীখা ৬:৮) এমনকি যখন অবিচার সহ্য করতে হয় আমরা যেন এক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখি। প্রতিজ্ঞাত ন্যায়পূর্ণ জগৎ শীঘ্রই এক বাস্তবতায় পরিণত হবে। (২ তীমথিয় ৩:১-৫; ২ পিতর ৩:১১-১৩) সর্বশক্তিমান ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন আর এটি “তেমনি হইবে।” (যিশাইয় ৫৫:১০, ১১) ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে কী চান তা শেখার দ্বারা এক ন্যায়পূর্ণ জগতে বসবাস করতে প্রস্তুত হওয়ার জন্য এখনই হচ্ছে উপযুক্ত সময়।—যোহন ১৭:৩; ২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭.

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত নতুন জগতে অবিচারের সমস্ত চিহ্ন মুছে যাবে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার