ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৮ ৫/১৫ পৃষ্ঠা ৭-৯
  • উনীকী এবং লোয়ী—উদাহরণযোগ্যা শিক্ষক

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • উনীকী এবং লোয়ী—উদাহরণযোগ্যা শিক্ষক
  • ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • “শিশুকাল” থেকে শিক্ষা
  • তীমথিয়ের ছেড়ে যাওয়া
  • মূল্যবান শিক্ষাগুলি
  • মায়েরা—উনীকীর কাছ থেকে শিখুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২২
  • তীমথিয় লোকেদেরকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন
    আপনার সন্তানকে শিক্ষা দিন
  • যুবক-যুবতীরা—ঈশ্বরকে সম্মানিত করে এমন লক্ষ্যগুলো অনুধাবন করো
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • তীমথিয়—সেবা করতে প্রস্তুত ও ইচ্ছুক
    ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৮ ৫/১৫ পৃষ্ঠা ৭-৯

উনীকী এবং লোয়ী—উদাহরণযোগ্যা শিক্ষক

যিহোবার সেবক হিসাবে আমরা জানি যে আমাদের সন্তানদের কার্যকারী ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা এক গুরু দায়িত্ব। এমনকি সবচেয়ে অনুকূল পরিস্থিতিতেও এই কাজটি হয়ত বিভিন্ন ধরনের বাধা ও অসুবিধাগুলিতে পরিপূর্ণ। এটি এমনকি আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়ে যখন এক খ্রীষ্টীয় বাবা অথবা মা ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত পরিবারে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হন। এইধরনের পরিস্থিতি নতুন নয়। শাস্ত্র আমাদের সা.কা. প্রথম শতাব্দীর একজন মা সম্বন্ধে বলে যিনি অনুরূপ এক অবস্থার মধ্যে ছিলেন।

উনীকী নামের এই স্ত্রীলোকের পরিবার দক্ষিণ-মধ্য এশিয়া মাইনরের লুকায়নিয়া প্রদেশের একটি শহর লুস্ত্রায় বাস করতেন। লুস্ত্রা একটি ছোট প্রাদেশিক শহর যেটি খুব একটা প্রসিদ্ধ ছিল না। এটি একটি রোমীয় উপনিবেশ ছিল যেটিকে বলা হত জুলিয়া ফেলিক্স জেমিনা লুস্ত্রা আর চতুর্পার্শ্বস্থ এলাকাগুলিতে দস্যুদের কার্যকলাপ প্রতিহত করার জন্য কৈসর আগস্ত এটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। উনীকী একজন যিহূদী খ্রীষ্টান ছিলেন যিনি ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত পরিবারে তার গ্রীক স্বামী, পুত্র তীমথিয় ও তার মা লোয়ীর সাথে বাস করতেন।—প্রেরিত ১৬:১-৩.

সম্ভবত লুস্ত্রায় খুব অল্প সংখ্যক যিহূদী ছিল আর সেখানে কোন ধর্মধাম ছিল বলে বাইবেল উল্লেখ করে না কিন্তু, সেখান থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে ইকনিয়তে কিছু যিহূদী বসবাস ছিল। (প্রেরিত ১৪:১৯) তাই উনীকীর পক্ষে তার বিশ্বাস অনুশীলন করে চলা খুব সহজ ছিল না। তীমথিয়ের জন্মের পর তাকে ত্বকচ্ছেদ করা হয়নি এই বিষয়টি কিছু পণ্ডিতদের অনুমান করতে পরিচালিত করেছিল যে উনীকীর স্বামী এই ধারণাটির বিরোধিতা করেছিলেন।

যাইহোক, উনীকী একাই বিশ্বাসিনী ছিলেন না। এটি প্রতীয়মান হয় যে তীমথিয় “পবিত্র শাস্ত্রকলাপ” সম্বন্ধীয় নির্দেশনা তার মা ও দিদিমা লোয়ী,a উভয়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। প্রেরিত পৌল তীমথিয়কে উৎসাহিত করেছিলেন: “তুমি যাহা যাহা শিখিয়াছ ও যাহার যাহার প্রমাণ জ্ঞাত হইয়াছ, তাহাতেই স্থির থাক; তুমি ত জান যে, কাহাদের কাছে শিখিয়াছ। আরও জান, তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সে সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান্‌ করিতে পারে।”—২ তীমথিয় ৩:১৪, ১৫.

“শিশুকাল” থেকে শিক্ষা

যখন পৌল উল্লেখ করেছিলেন যে “পবিত্র শাস্ত্রকলাপ” সম্বন্ধীয় তীমথিয়ের শিক্ষা “শিশুকাল” থেকে প্রদান করা হয়েছে তখন এটি স্পষ্টতই শৈশবকে বুঝিয়েছিলেন। এটি গ্রীক শব্দ (ব্রেফোস) এর ব্যবহারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা সাধারণভাবে এক নবজাতকে বোঝায়। (লূক ২:১২, ১৬ পদের সাথে তুলনা করুন।) এইভাবে উনীকী তীমথিয়কে ঈশ্বরের একজন উৎসর্গীকৃত দাস হিসাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য, প্রথম থেকেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন সময় নষ্ট না করে তার ঈশ্বর দত্ত দায়িত্বকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেছিলেন।—দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৬-৯; হিতোপদেশ ১:৮.

তীমথিয় শাস্ত্রীয় সত্যের “প্রমাণ জ্ঞাত” হয়েছিলেন। একটি গ্রীক অভিধান অনুযায়ী পৌল যে শব্দগুলি এখানে ব্যবহার করেছেন তার অর্থ হল কিছু বিষয় সম্বন্ধে “দৃঢ়ভাবে প্রত্যয় জন্মানো; স্থির নিশ্চিত করা।” নিঃসন্দেহে, তাকে ঈশ্বরের বাক্যের পক্ষে যুক্তি করতে ও এটিতে বিশ্বাস অনুশীলন করতে সাহায্য করে তীমথিয়ের হৃদয়ে এইধরনের দৃঢ়প্রত্যয় উৎপাদনের জন্য প্রচুর সময় ও প্রচেষ্টার প্রয়োজন ছিল। তাই স্পষ্টতই, উনীকী ও লোয়ী উভয়েই তীমথিয়কে শাস্ত্র থেকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। আর এই ধার্মিক স্ত্রীলোকেরা কতই না উত্তম পুরস্কার পেয়েছিলেন! পৌল তীমথিয় সম্বন্ধে লিখতে পেরেছিলেন: “তোমার অন্তরস্থ অকল্পিত বিশ্বাসের কথা স্মরণ করিতেছি, যাহা অগ্রে তোমার মাতামহী লোয়ীর ও তোমার মাতা উনীকীর অন্তরে বাস করিত, এবং আমার নিশ্চয় বোধ হয়, তোমার অন্তরেও বাস করিতেছে।”—২ তীমথিয় ১:৫.

তীমথিয়ের জীবনে উনীকী ও লোয়ী কতই না এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন! এই সম্বন্ধে লেখক ডেভিড রীড উল্লেখ করেন: “যদি প্রেরিত বিশ্বাস করতেন যে ধর্মান্তরিত হওয়ার ব্যাপারে তীমথিয়ের নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে তিনি তৎক্ষণাৎই সেটি তাকে মনে করিয়ে দিতেন। কিন্তু তীমথিয়ের বিশ্বাস সম্পর্কে প্রথম যে বিষয়টি তার বলার ছিল সেটি হল যে তা ইতিমধ্যেই ‘লোয়ী . . . এবং উনীকীর মধ্যে জীবন্ত ছিল।’” লোয়ী, উনীকী ও তীমথিয়ের বিশ্বাস সম্বন্ধে পৌলের উক্তি দেখায় যে প্রায়ই বাবামা ও এমনকি দাদু দিদিমা কর্তৃক গৃহে প্রদত্ত প্রাথমিক শাস্ত্রীয় শিক্ষাই একজন অল্পবয়স্কের ভবিষ্যৎ আধ্যাত্মিক প্রত্যাশাগুলি স্থির করার জন্য ভিত্তিমূল হিসাবে কাজ করে। তাই এই বিষয়টি কি পরিবারের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণভাবে চিন্তা করতে প্রণোদিত করে না যে ঈশ্বর ও তাদের সন্তান, উভয়ের প্রতি এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা কী করছেন?

লোয়ী ও উনীকী গৃহে যে ধরনের পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন, সম্ভবত পৌল সেই বিষয়টিও ভেবেছিলেন। প্রায় সা.কা. ৪৭/৪৮ সালে লুস্ত্রায় তার প্রথম পরিদর্শনকালে হয়ত প্রেরিত তাদের ঘরে এসেছিলেন। এই দুই স্ত্রীলোক সম্ভবত সেই সময়ে খ্রীষ্টতত্ত্বে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। (প্রেরিত ১৪:৮-২০) সম্ভবত তাদের ঘরে বিদ্যমান সুখকর সম্পর্ক লোয়ীকে তীমথিয়ের “মাতামহী” বলে উল্লেখ করার সময় পৌলের শব্দ চয়নকে প্রভাবিত করেছিল। পণ্ডিত সেসলা স্পেকের মতানুসারে (তেথে এই চিরাচরিত ও শ্রদ্ধাপূর্ণ পরিভাষাটির বিপরীতে মামমে) এই গ্রীক পরিভাষাটি তিনি ব্যবহার করেছিলেন যেটি হল তার দিদিমার জন্য “এক শিশুর আদরের ডাক” যা এই প্রসঙ্গটিতে “ঘনিষ্ঠতা ও স্নেহের এক ধারণা” জ্ঞাপন করে।

তীমথিয়ের ছেড়ে যাওয়া

লুস্ত্রায় পৌলের দ্বিতীয় পরিদর্শনকালে (প্রায় সা.কা. ৫০ সালে) উনীকীর বৈবাহিক অবস্থা ঠিক কেমন ছিল সে সম্বন্ধে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। অনেক পণ্ডিতেরা মনে করেন যে তিনি একজন বিধবা ছিলেন। যাই হোক না কেন, তার মা ও দিদিমার তত্ত্বাবধানের অধীনে তীমথিয় এক উত্তম যুবক হিসাবে গড়ে উঠেছিলেন, সম্ভবত সেই সময়ে তিনি ২০ বছর বয়সী ছিলেন। “লুস্ত্রা ও ইকনীয় নিবাসী ভ্রাতৃগণ তাঁহার পক্ষে সাক্ষ্য দিত।” (প্রেরিত ১৬:২) স্পষ্টতই রাজ্য সম্বন্ধীয় সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এক ইচ্ছা তীমথিয়ের হৃদয়ে গেঁথে দেওয়া হয়েছিল যে কারণে তিনি তার ও সীলের সাথে তাদের মিশনারি ভ্রমণে সঙ্গী হওয়ার জন্য পৌলের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন।

কল্পনা করুন যে উনীকী ও লোয়ী কেমন অনুভব করেছিলেন যখন তীমথিয় তাদের ছেড়ে যাচ্ছিলেন! তারা জানতেন যে তাদের শহরে পৌলের প্রথম ভ্রমণের সময় প্রেরিতকে পাথর মারা ও মৃত্যুর জন্য ফেলে রাখা হয়েছিল। (প্রেরিত ১৪:১৯) সুতরাং যুবক তীমথিয়কে যেতে দেওয়া তাদের জন্য সহজ ছিল না। সম্ভবত তারা ভেবেছিলেন যে কতদিন সে দূরে থাকবে আর সে নিরাপদে ফিরে আসবে কি না। এইধরনের সম্ভাব্য উদ্বেগগুলি থাকা সত্ত্বেও নিঃসন্দেহে তার মা এবং দিদিমা এই বিশেষ সুযোগকে গ্রহণ করার জন্য তাকে উৎসাহিত করেছিলেন যা তাকে আরও পূর্ণরূপে যিহোবার সেবা করতে সক্ষম করেছিল।

মূল্যবান শিক্ষাগুলি

উনীকী ও লোয়ীর প্রতি মনোযোগী বিবেচনা থেকে অনেক কিছু শেখা যেতে পারে। তীমথিয়কে আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে গঠনমূলকভাবে প্রতিপালন করতে বিশ্বাস তাদের প্রণোদিত করেছিল। ঈশ্বরীয় ভক্তির পরিপক্ব, সুস্থির উদাহরণ দাদু দিদিমারা তাদের নাতি নাতনীদের জন্য স্থাপন করতে পারেন আর সম্পূর্ণ খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর অন্যান্যেরাও নিশ্চিতভাবেই উপকারজনক হতে পারেন। (তীত ২:৩-৫) অনুরূপভাবে উনীকীর উদাহরণ অবিশ্বাসী স্বামীদের সাথে বাসকারী মায়েদের তাদের সন্তানদের আধ্যাত্মিক নির্দেশনা প্রদান করার দায়িত্ব ও পুরস্কার সম্বন্ধে স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি করার জন্য হয়ত কখনও কখনও অনেক সাহসের প্রয়োজন হতে পারে বিশেষত যদি বাবা তার সাথীর ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি ভাল মনোভাব পোষণ না করেন। এর জন্য কৌশলী হওয়ারও প্রয়োজন আছে কারণ খ্রীষ্টীয় স্ত্রী তার স্বামীর মস্তকপদের প্রতিও অবশ্যই সম্মান দেখাবেন।

লোয়ী ও উনীকীর বিশ্বাস, প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগ এভাবে পুরস্কৃত হয়েছিল যখন তারা দেখেছিলেন যে তীমথিয় এক চমৎকার মিশনারি ও অধ্যক্ষ হওয়ার দিকে আধ্যাত্মিক অগ্রগতি করছেন। (ফিলিপীয় ২:১৯-২২) অনুরূপভাবে আজকে, আমাদের সন্তানদের শাস্ত্রীয় সত্য সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া সময়, ধৈর্য ও স্থিরসংকল্পকে দাবি করে কিন্তু এক উত্তম পরিণতি সমস্ত প্রচেষ্টাকে প্রকৃতই যথাযোগ্য করে তোলে। অনেক উদাহরণযোগ্য খ্রীষ্টীয় যুবক যারা ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত পরিবারে ‘শিশুকাল থেকে পবিত্র শাস্ত্রকলাপ’ সম্বন্ধে শিখেছে তারা তাদের ধার্মিক বাবা বা মার জন্য প্রচুর আনন্দ নিয়ে আসে। আর এই প্রবাদবাক্যটি কতই না সত্য যেটি বলে: ‘জ্ঞানবানের জন্মদাত্রী তাহাতে আনন্দ করেন’!—হিতোপদেশ ২৩:২৩-২৫.

প্রেরিত যোহন তার আধ্যাত্মিক সন্তানদের প্রতি বলেছিলেন: “আমার সন্তানগণ সত্যে চলে, ইহা শুনিলে যে আনন্দ হয়, তদপেক্ষা মহত্তর আনন্দ আমার নাই।” (৩ যোহন ৪) নিশ্চিতভাবেই, এই বাক্যগুলিতে যে ভাবপ্রবণতা ব্যক্ত হয়েছে তা অনেকেই বন্টন করে নিয়েছেন যারা উনীকী ও লোয়ীর মত উদাহরণযোগ্যা শিক্ষক হিসাবে প্রমাণিত হয়েছেন।

[পাদটীকাগুলো]

a লোয়ী তীমথিয়ের ঠাকুমা ছিলেন না কারণ সিরীয় অনুবাদ ২ তীমথিয়য় ১:৫ পদে তাকে “তোমার মায়ের মা” বলে উল্লেখ করে।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার