ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৮ ৬/১৫ পৃষ্ঠা ৩-৫
  • পৃথিবী গ্রহটি কি ধ্বংস হবে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • পৃথিবী গ্রহটি কি ধ্বংস হবে?
  • ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • “ধ্বংসদিন” এর এক স্পষ্ট বর্ণনা
  • মানুষের অব্যবস্থা বিপরীতমূখী
  • এটি করা যেতে পারে
  • “টেমস নদী” ইংল্যান্ডের অদ্বিতীয় ঐতিহ্য
    ২০০৬ সচেতন থাক!
  • ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেন আমাদের পৃথিবী রক্ষা পাবে
    ২০২৩ সজাগ হোন!
  • আর ধ্বংস নয়
    ১৯৯৯ সচেতন থাক!
  • সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে এক চিরস্থায়ী উপহার
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৮ ৬/১৫ পৃষ্ঠা ৩-৫

পৃথিবী গ্রহটি কি ধ্বংস হবে?

বিংশ শতাব্দীর শেষ সমীপবর্তী আর একবিংশ শতাব্দীর সূচনা হতে চলেছে। এই অবস্থায় ক্রমবর্ধিষ্ণু সংখ্যায় লোকেরা যারা সাধারণত ধ্বংস সম্বন্ধীয় ভবিষ্যদ্বাণীগুলির প্রতি সামান্য অথবা একেবারেই মনোযোগ দিতেন না, এখন চিন্তিত যে জগৎ-আলোড়নকারী তাৎপর্যপূর্ণ কিছু ঘটনা নিকটবর্তী কি না।

আপনি হয়ত এই বিষয়ের উপর সংবাদপত্র ও পত্রিকার প্রবন্ধগুলি—এমনকি সম্পূর্ণ বইও লক্ষ্য করে থাকবেন। একবিংশ শতাব্দী যে অগ্রগতিগুলির দ্বারা শুরু হবে তা দেখার জন্য আমাদের অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। কিছু লোকেরা বলেন যে ২০০০ সালের শেষে পৌঁছানোর অর্থ হল কেবল একটি বছর থেকে আর একটি বছরে পদার্পণ করা (অথবা ২০০০ সালের শেষ মিনিটে পৌঁছানো ও ২০০১ সালে প্রবেশ করা) আর তাই সম্ভবত এটি কোন ব্যাপক ফলাফলও নিয়ে আসবে না। আমাদের গ্রহের দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যৎই অনেকের কাছে অধিকতর উদ্বিগ্নতার কারণ।

আজকাল যে ভবিষ্যদ্বাণীটি প্রায়ই মনোযোগ আকর্ষণ করে তা হল যে একসময়—অচিরেই হোক অথবা সুদূর ভবিষ্যতে—পৃথিবী গ্রহটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। এইধরনের কেবল কয়েকটি নৈরাশ্যজনক পূর্বানুমান বিবেচনা করুন।

জগতের শেষ—মানব বিলুপ্তির বিজ্ঞান ও নীতিশাস্ত্র (ইংরাজি) নামক তার বইয়ে যেটি ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়, গ্রন্থকার ও দার্শনিক জন ল্যাজলি, পৃথিবীতে মানুষের জীবন কিভাবে শেষ হবে সেই সম্বন্ধে তিনটি সম্ভাবনা প্রদান করেন। প্রথমত তিনি জিজ্ঞাসা করেন: “সর্বাত্মক পারমাণবিক যুদ্ধ কি মানবজাতির শেষ বোঝায়?” তারপর তিনি আরও বলেন: “খুব সম্ভবত আরেকটি পরিণতি . . . হতে পারে বিলুপ্তি যা বিকিরণের ফলে ঘটবে: ক্যান্সার, প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় যার ফলে সংক্রামক ব্যাধিগুলি অতি দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করবে অথবা অসংখ্য বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেবে। এছাড়াও পরিবেশের জন্য জরুরী আনুবীক্ষণিক জীবাণুগুলির মৃত্যুও হতে পারে।” শ্রী ল্যাজলি তৃতীয় যে সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তা হল যে পৃথিবীর সঙ্গে হয়ত একটি ধূমকেতু অথবা একটি উপগ্রহের সংঘর্ষ হতে পারে: “কিছু ধূমকেতু ও উপগ্রহগুলির কক্ষপথ এমন যে সেগুলির সঙ্গে হয়ত কখনও পৃথিবীর সংঘর্ষ হতে পারে আর মনে হয় প্রায় দুই হাজার ধূমকেতু ও উপগ্রহ রয়েছে যেগুলির ব্যাস এক থেকে দশ কিলোমিটার। এর থেকে বড় আকারের অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক কিছু ধূমকেতু ও উপগ্রহ রয়েছে (যেগুলি হিসাব করা অত্যন্ত অনুমানপ্রসূত হবে) কিন্তু ছোট আকারের অগণিত সংখ্যায় রয়েছে।”

“ধ্বংসদিন” এর এক স্পষ্ট বর্ণনা

এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভারসিটি অফ্‌ অ্যাডেলেইড এর অধ্যাপক, বৈজ্ঞানিক পল ডেভিসের কথা বিবেচনা করুন। ওয়াশিংটন টাইমস তাকে “আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত সর্বোত্তম বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক” হিসাবে বর্ণনা করেছিল। ১৯৯৪ সালে তিনি শেষের তিন মিনিট (ইংরাজি) নামক বইটি লিখেছিলেন যেটিকে “ধ্বংসদিন সংক্রান্ত সমস্ত বইয়ের জননী” হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই বইয়ের প্রথম অধ্যায়টিকে বলা হয় “ধ্বংসদিন” আর তা ধূমকেতু যদি পৃথিবী গ্রহটিকে আঘাত করে তাহলে কী ঘটতে পারে সেই সম্বন্ধে এক কাল্পনিক দৃশ্যবিবরণী উপস্থিত করে। তার রোমহর্ষক বর্ণনার কিছু অংশ পড়ুন:

“গ্রহটি দশ হাজার ভূমিকম্পের সমতুল্য শক্তিতে কম্পিত হয়। স্থানচ্যুত হাওয়ার এক প্রবল তরঙ্গ পৃথিবীর উপরের স্তর দিয়ে প্রবাহিত হয়, সমস্ত কাঠামোকে সমতল করে দেয়, এর পথের সমস্ত কিছুকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। ধূমকেতু আঘাতের চতুর্দিকের সমতল ভূখণ্ডটি কয়েক কিলোমিটার উঁচু তরল পদার্থের পর্বতের বলয়ের মধ্য দিয়ে উত্থিত হয়, যেটি দেড়শ কিলোমিটার ব্যাসবিশিষ্ট গর্তের দ্বারা ভূগর্ভকে অনাবৃত করে। . . . ধূলিময় ধ্বংসাবশেষ স্তম্ভাকারে বায়ুমণ্ডলে পাখার মত ছড়িয়ে পড়ে, সমস্ত গ্রহব্যাপী সূর্যকে ঢেকে দেয়। এরপর সূর্যালোক বদলে গিয়ে কোটি কোটি উল্কায় পরিণত হয় যা অশুভ জলন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত আর যখন এই স্থানচ্যুত পদার্থ মহাশূন্য থেকে বায়ুমণ্ডলে নিক্ষিপ্ত হয় তখন তাদের তীব্র তাপ নিম্নদেশে ভূমিকে দগ্ধ করে।”

অধ্যাপক ডেভিস এই কাল্পনিক দৃশ্যবিবরণীকে, সুইফ্ট-টাটল ধূমকেতুটি যে পৃথিবীকে আঘাত করবে সেই ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে যুক্ত করে চলেন। এছাড়াও তিনি এই সতর্কবাণীটি যুক্ত করেন যে যদিও অদূর ভবিষ্যতে এইধরনের কোন ঘটনা হয়ত ঘটবে না কিন্তু তার মতানুসারে “শীঘ্রই অথবা পরে সুইফ্ট-টাটল বা এটির মত কোন বস্তু পৃথিবীকে আঘাত করবে।” তার উপসংহার এমন একটি হিসাবের উপর ভিত্তি করে যেটি ইঙ্গিত দেয় যে ১০,০০০ বস্তু রয়েছে যাদের ব্যাস অর্ধ কিলোমিটার অথবা আরও অধিক, যেগুলির কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথকে ছেদ করে।

আপনি কি মনে করেন যে এইধরনের এক আতঙ্কজনক দৃশ্য বাস্তব? অনেক লোক তাই মনে করেন। কিন্তু তারা যে কোন উদ্বিগ্নতাকে এই আশ্বাস দিয়ে ঢেকে রাখতে চান যে এটি তাদের সময়ে ঘটবে না। তাহলে কেন পৃথিবী গ্রহটি কখনও না কখনও ধ্বংস হবে—অচিরেই হোক অথবা এখন থেকে সহস্র বছর পরে? নিশ্চিতরূপে, পৃথিবী এর অধিবাসী অর্থাৎ মানুষ অথবা পশুদের সমস্যার প্রধান উৎস নয়। পরিবর্তে, পৃথিবীকে সম্পূর্ণরূপে ‘নাশ করার’ সম্ভাবনা সহ এই বিংশ শতাব্দীর অধিকাংশ সমস্যাগুলির জন্য স্বয়ং মানুষই কি দায়ী নয়?—প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮.

মানুষের অব্যবস্থা বিপরীতমূখী

মানুষ যে নিজে তার অব্যবস্থা এবং লোভের দ্বারা পৃথিবীকে সম্পূর্ণরূপে নাশ অথবা বিনষ্ট করতে পারে, সেই বিষয়ের অতি সম্ভাব্য সম্ভাবনা সম্বন্ধে কী বলা যায়? নিঃসন্দেহে পৃথিবীর কিছু অংশ ইতিমধ্যেই বিপুল হারে বননিধন, অনিয়ন্ত্রণযোগ্য পরিবেশ দূষণ এবং জলপথ বিনাশের কারণে ধ্বংসিত হয়েছে। প্রায় ২৫ বছর আগে, লেখিকা বারবারা ওয়ার্ড ও লেখক রেনে ডুবোস কেবল একটি পৃথিবী (ইংরাজি) নামক তাদের বইয়ে যথার্থভাবে এই বিষয়টির সারাংশ করেছিলেন: “দূষণের তিনটি প্রসারিত ক্ষেত্র যা আমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করা উচিত তা হল—বায়ু, জল ও মাটি—নিশ্চিতরূপে যেগুলি আমাদের গ্রহ-জীবনের তিনটি প্রধান মৌলিক উপাদান।” আর তখন থেকে অবস্থার মূলত কোন উন্নতিই হয়নি, হয়েছে কি?

মানুষের নিজস্ব মূর্খতার মাধ্যমে পৃথিবীকে নাশ অথবা ধ্বংস করার সম্ভাবনার বিষয়টি বিবেচনা করার সময়ে, পৃথিবী গ্রহের বিস্ময়কর পুনরুদ্ধারকারী ও পুনরুৎপাদনশীল ক্ষমতা বিবেচনা করে আমরা উৎসাহিত হতে পারি। চমকপ্রদ পুনরুজ্জীবনের এই ক্ষমতা সম্বন্ধে বর্ণনা করতে গিয়ে রেনে ডুবোস এই উৎসাহজনক পর্যবেক্ষণগুলি বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিস্থাপকতা (ইংরাজি) নামক আরেকটি বইয়ে লিপিবদ্ধ করেন:

“অনেক লোকেরা ভয় পান যে পরিবেশসংক্রান্ত অবনতি সম্বন্ধে সচেতন হওয়ায় অনেক দেরি হয়ে গেছে কারণ ইতিমধ্যেই বাস্তুতন্ত্রের প্রতি ঘটা অধিকাংশ ক্ষতিই অপরিবর্তনীয়। আমার মতে, এই নৈরাশ্যবাদিতা অযৌক্তিক কারণ চরম কষ্টকর অভিজ্ঞতাগুলি থেকে পুনরুজ্জীবিত হওয়ার মত প্রচুর ক্ষমতা বাস্তুতন্ত্রের রয়েছে।

“আত্ম-আরোগ্যের জন্য বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। . . . কেবল বাস্তুসংস্থানিক ভারসাম্যের মূল অবস্থাকে ক্রমাগ্রসরমানভাবে পুনর্প্রতিষ্ঠিত করার দ্বারা সেগুলি বাস্তুতন্ত্রকে বিক্ষেপের ক্ষতিগুলি অতিক্রম করতে সক্ষম করে।”

এটি করা যেতে পারে

সাম্প্রতিক কালে, লন্ডনের বিখ্যাত টেমস্‌ নদীর ক্রমান্বয়ে পরিষ্কারকরণ হল এটির এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। জ্যাফ্রি হ্যারিসন ও পিটার গ্রান্ট কর্তৃক লিখিত টেমস্‌ নদী রূপান্তরিত (ইংরাজি) বইটি এই লক্ষণীয় কীর্তির সাক্ষ্য দেয় যেটি প্রদর্শন করে যে লোকেরা যখন সার্বিক মঙ্গলের জন্য একত্রে কাজ করেন তখন কী করা যেতে পারে। ব্রিটেনের এডিনবার্গের ডিউক ওই বইটির মুখবন্ধে লিখেছিলেন: “কিছু লোক এই বিষয়টি ধরে নিতে পারেন যে সংরক্ষণের সমস্যা ঠিক ততটা খারাপ ছিল না যতটা তাদের বলা হয়েছিল, এই ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও অবশেষে এটি বৃহৎ মাত্রায় এক সফল কাহিনী যেটির মুদ্রণ সার্থক হয়েছে। . . . টেমস্‌ নদীর ক্ষেত্রে যা কিছু সম্পাদন করা গিয়েছে তা থেকে সকলে সাহস লাভ করতে পারেন। সুসংবাদটি হল এই যে এটি করা যেতে পারে এবং তাদের কর্ম-পরিকল্পনাও সফল হতে পারে।”

“ব্যাপক পরিষ্কারকরণ” নামক অধ্যায়টিতে, হ্যারিসন এবং গ্রান্ট বিগত ৫০ বছরের বেশি সময়ে যা কিছু সম্পাদিত হয়েছে সেই সম্বন্ধে উদ্যমের সঙ্গে লেখেন: “বিশ্বে এই প্রথমবারের মত, গুরুতরভাবে দূষিত ও শিল্পায়ত কোন নদী এত ব্যাপক মাত্রায় পুনরুদ্ধার করা হয়েছে যে প্রচুর পরিমাণে জলচর পাখি ও মাছ এখানে ফিরে এসেছে। এই রূপান্তর এত দ্রুত ঘটেছে যে পরিস্থিতিকে প্রথমে বেশ নিরাশাজনক মনে হলেও পরে তা এমনকি সবচেয়ে নৈরাশ্যবাদী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকারীকেও উৎসাহ প্রদান করে।”

এরপর তারা রূপান্তর সম্বন্ধে বর্ণনা করেন: “বছরের পর বছর ধরে নদীর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হয়েছে যেটি সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আগত এক চূড়ান্ত আঘাত ছিল, যখন ব্যাপক আবর্জনা নিষ্কাশনের প্রক্রিয়া এবং পয়ঃপ্রণালীগুলিকে নষ্ট অথবা ধ্বংস করা হয়েছিল। ১৯৪০ থেকে ১৯৫০ এর দশকে টেমস্‌ নদীর অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটেছিল। নদীটি এক উন্মুক্ত পয়ঃপ্রণালীর চেয়ে সামান্যই ভাল ছিল; জলের রং ছিল কালো, তাতে কোন অক্সিজেন ছিল না আর গ্রীষ্মকালে টেমস্‌ নদীর দুর্গন্ধ এক বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ত। . . . কেবল কয়েকটি বান মাছ ছাড়া একসময়ের প্রচুর মাছ পরিশেষে চলে গিয়েছিল, কারণ বান মাছ সরাসরি উপরিতল থেকে বায়ুতে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণের ফলে বেঁচে থাকতে পারে। লন্ডন এবং উলিচের মধ্যবর্তী স্থানে যেখানে নদীর দুই তীরে অট্টালিকাগুলি অবস্থিত সেখানে পাখিদের সংখ্যা এত কমে গিয়েছিল যে কেবল অল্প কয়েকটি বুনো হাঁস ও রাজহাঁস ছিল এবং সেগুলি স্বাভাবিক খাদ্য সরবরাহের পরিবর্তে, শস্য ঘাট থেকে পড়া শস্য খেয়ে তাদের নিজেদের বাঁচিয়ে রেখেছিল। . . . তখন কে কল্পনা করতে পেরেছিলেন যে এই নাটকীয় পরিবর্তনটি ঘটতে যাচ্ছে? দশ বছরের মধ্যে নদীর সেই একই তীরগুলি প্রায় পাখিশূন্য পরিবেশ থেকে অনেক প্রজাতির জলচর পাখির আশ্রয়স্থানে রূপান্তরিত হয়েছিল যার অন্তর্ভুক্ত মেরুদেশীয় ১০,০০০ এরও বেশি বুনোপাখি এবং ১২,০০০ সারস পাখি।”

অবশ্য এটি কেবল পৃথিবীর এক ক্ষুদ্র কোণের একটি রূপান্তর সম্বন্ধে বর্ণনা করে। তাসত্ত্বেও, এই উদাহরণ থেকে আমরা শিক্ষা লাভ করতে পারি। এটি দেখায় যে মানুষের অব্যবস্থা, লোভ এবং অবিবেচনার কারণে পৃথিবী গ্রহটি ধ্বংস হয়ে যাবে তা মনে করার কোন প্রয়োজন নেই। মানবজাতির সার্বিক মঙ্গলের জন্য যথার্থ শিক্ষা ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা পৃথিবীকে এমনকি এর বাস্তুসংস্থান, পরিবেশ ও ভূমির স্তরের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থাকেও বিপরীতমুখী করতে পারে। কিন্তু বহির্শক্তি যেমন পরিভ্রমণশীল ধূমকেতু অথবা উপগ্রহের কারণে সম্ভাব্য ধ্বংস সম্বন্ধে কী বলা যায়?

এইধরনের এক বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের একটি সন্তোষজনক উত্তরের চাবি পরবর্তী প্রবন্ধে রয়েছে।

[৫ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

শিক্ষা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা পৃথিবীকে এমনকি এর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থাকেও বিপরীতমুখী করতে পারে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার