ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৮ ৮/১ পৃষ্ঠা ১৯-২৪
  • ‘যাহা করিতে বাধ্য ছিলাম, তাহাই করিয়াছি’

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ‘যাহা করিতে বাধ্য ছিলাম, তাহাই করিয়াছি’
  • ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বাইবেল সত্যের সংস্পর্শ
  • সত্যে উন্নতি
  • কার্যভারের পরিবর্তন
  • বেথেলের জীবন অর্থপূর্ণ
  • বিস্তৃতির কাজে অংশগ্রহণের এক সুযোগ
  • যে বিষয়গুলি আমি শিখেছি
  • বেথেল পরিচর্যা—আরও স্বেচ্ছাসেবকের প্রয়োজন
    ১৯৯৫ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
  • এটা কি আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল কাজ হতে পারে?
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনি কি নিজেকে প্রাপ্তিসাধ্য করতে পারেন?
    ২০০৩ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
  • পূর্ণসময়ের পরিচর্যা এটা আমাকে যেখানে নিয়ে এসেছে
    ২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৮ ৮/১ পৃষ্ঠা ১৯-২৪

‘যাহা করিতে বাধ্য ছিলাম, তাহাই করিয়াছি’

জর্জ কাউচ দ্বারা কথিত

সকালে গৃহে গৃহে পরিচর্যার কাজ করার পর, আমার সঙ্গী দুটি স্যান্ডউইচ বের করেছিলেন। সেগুলি খাওয়া শেষ করার পর আমি একটি সিগারেট ধরিয়েছিলাম। “আপনি কত দিন যাবৎ সত্যে আছেন?” তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন। “গত রাতেই আমি প্রথমবারের মত সভায় যোগদান করি,” আমি তাকে বলেছিলাম।

আমি, ১৯১৭ সালের ৩রা মার্চ, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটস্‌বার্গের প্রায় ৫০ কিলোমিটার পূর্বে ছোট্ট শহর, অ্যাভেনমোরের কাছে একটি খামারে জন্মগ্রহণ করি। সেখানে আমার বাবামা চার ভাই, এক বোন ও আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।

আমাদের খুব বেশি ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়নি। এক সময় আমার বাবামা গির্জায় যেতেন কিন্তু আমরা ছোট থাকা অবস্থাতেই তারা গির্জায় যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবুও, আমরা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতাম এবং আমাদের পারিবারিক জীবনে বাইবেলে প্রাপ্ত মূল নীতিগুলি পালন করতাম।

আমার বাবামার কাছ থেকেই আমি দায়িত্ব সম্বন্ধে সর্বোত্তম প্রশিক্ষণ লাভ করেছিলাম—কিভাবে তা গ্রহণ এবং সম্পন্ন করতে হয়। খামারের জীবন তেমনই ছিল। কিন্তু আমাদের সবসময়ই কেবল কাজ করতে হত না। আমরা স্বাস্থ্যকর আমোদপ্রমোদ যেমন, বাস্কেটবল ও বেসবল খেলা, ঘোড়ায় চড়া ও সাঁতার কাটা উপভোগ করতাম। ওই দিনগুলিতে অর্থসংকট থাকা সত্ত্বেও আমাদের খামারের জীবন আনন্দদায়ক ছিল। আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় এক-কক্ষবিশিষ্ট বিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলাম এবং উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার বছরগুলিতে শহরের বিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলাম।

সেই শহরে, এক রাতে আমি আমার এক বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম। আমার বন্ধুকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য একটি সুন্দরী মেয়ে তার বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছিল। আমার বন্ধু আমাকে ফার্ন প্রুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। আমার উচ্চ বিদ্যালয়টি যেখানে ছিল, সেখানেই রাস্তার উপর তার বাড়ি ছিল। প্রায়ই আমি যখন ফার্নের বাড়ির পাশ দিয়ে যেতাম, তখন তাকে গৃহস্থালীর বিভিন্ন কাজ করতে দেখতাম। স্পষ্টতই সে একজন কঠোর পরিশ্রমী মেয়ে ছিল যা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। আমাদের দুজনের মধ্যে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব এবং প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ১৯৩৬ সালের এপ্রিল মাসে আমরা বিয়ে করি।

বাইবেল সত্যের সংস্পর্শ

আমার জন্মের আগে শহরে একজন বৃদ্ধা মহিলা ছিলেন যার ধর্মের কারণে সেখানকার লোকেরা তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত। আমার মা বাজার করার জন্য প্রতি শনিবারে শহরে গেলেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। সেই মহিলা মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মা তার ঘর পরিষ্কার করে দিতেন এবং তার খবরাখবর প্রেরণে সাহায্য করতেন। আমি বিশ্বাস করি যে যিহোবা মাকে আশীর্বাদ করেছিলেন কারণ মা এই মহিলার প্রতি খুবই সদয় ছিলেন যিনি একজন বাইবেলের ছাত্রী ছিলেন, যিহোবার সাক্ষীদের তখন এই নামে ডাকা হত।

এর অল্প কিছুদিন পর আমার পিসির অল্পবয়সী মেয়ে হঠাৎ করে মারা যায়। গির্জা আমার পিসিকে খুব বেশি সান্ত্বনা দিতে পারেনি কিন্তু একজন প্রতিবেশিনী যিনি একজন বাইবেলের ছাত্রী ছিলেন, তিনি পেরেছিলেন। একজন ব্যক্তির মৃত্যু হলে কী হয় সেই বিষয়টি বাইবেলের ছাত্রী তার কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন। (ইয়োব ১৪:১৩-১৫; উপদেশক ৯:৫, ১০) এটি প্রচুর সান্ত্বনার এক উৎস হয়েছিল। পরে আমার পিসি মায়ের সঙ্গে পুনরুত্থানের প্রত্যাশা সম্বন্ধে কথা বলেছিলেন। এটি মায়ের আগ্রহকে উদ্দীপিত করেছিল কারণ তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তার বাবামা মারা গিয়েছিলেন এবং মৃত্যুতে একজন ব্যক্তির কী হয় তা জানার জন্য তিনিও উদ্বিগ্ন ছিলেন। ওই অভিজ্ঞতাটি, সর্বদা অনিয়মিত সাক্ষ্যদানের সুযোগ গ্রহণের উপর গুরুত্ব প্রদানের জন্য আমাকে প্রভাবিত করেছিল।

১৯৩০ এর দশকে মা এক রবিবার সকালে বেতার যোগে ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটির তৎকালীন সভাপতি, যোষেফ এফ. রাদারফোর্ডের বক্তৃতাগুলি শুনতে শুরু করেছিলেন। তখন ওই সময়ে আমরা যেখানে থাকতাম সেখানে সাক্ষীরা গৃহে গৃহে সাক্ষ্যদানের কাজও শুরু করেছিলেন। আমাদের উঠানে একটি ছায়াময় গাছের নিচে তারা সহজে বহনীয় ধ্বনিগ্রাহী-যন্ত্র স্থাপন করতেন এবং ভাই রাদারফোর্ডের রেকর্ডকৃত বক্তৃতাগুলি চালাতেন। ওই রেকর্ড এবং প্রহরীদুর্গ ও স্বর্ণযুগ (এখন সচেতন থাক!) পত্রিকাগুলি মায়ের আগ্রহকে সজীব রেখেছিল।

অল্প কয়েক বছর পর, ১৯৩৮ সালে প্রহরীদুর্গ গ্রাহকদের কাছে একটি পোস্টকার্ড পাঠানো হয়েছিল, যেখানে সকলকে ২৫ কিলোমিটার দূরে একজনের ব্যক্তিগত গৃহে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ সভায় যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মা যোগদান করতে চেয়েছিলেন তাই ফার্ন ও আমি এবং আমার দুই দাদা তার সঙ্গে গিয়েছিলাম। জন বুথ এবং চার্লস হেসলার নামে যিহোবার সাক্ষীদের দুইজন ভ্রমণ অধ্যক্ষ আমাদের প্রায় ১২ জনের সামনে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এরপর, তারা পরের দিন সকালে পরিচর্যায় অংশগ্রহণ করার জন্য একটি দল গঠন করতে শুরু করেছিলেন। তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য কেউই যেহেতু ইচ্ছুক হননি তাই ভাই হেসলার সরাসরি আমাকে বাছাই করলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আপনি আমাদের সঙ্গে আসুন না কেন?” তারা কী করতে যাচ্ছিলেন সেই সম্বন্ধে আমি যদিও সঠিকভাবে কিছু জানতাম না তবুও তাদের সাহায্য না করার কোন কারণই আমি খুঁজে পাইনি।

আমরা দুপুর পর্যন্ত গৃহে গৃহে পরিচর্যা করেছিলাম এবং এরপর ভাই হেসলার দুটি স্যান্ডউইচ বের করেছিলেন। আমরা একটি গির্জার সিঁড়িতে বসে সেগুলি খেতে শুরু করেছিলাম। সিগারেটটি ধরানোর পরই ভাই হেসলার জেনেছিলেন যে আমি শুধু একটি সভায় যোগ দিয়েছিলাম। ওই সন্ধ্যায় তিনি নিজে থেকেই আমাদের বাড়িতে রাতের খাবারের নিমন্ত্রণ নিয়েছিলেন এবং বাইবেল আলোচনার জন্য প্রতিবেশীদের আমন্ত্রণ জানাতে বলেছিলেন। খাবারের পর, তিনি আমাদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করেছিলেন এবং প্রায় দশজনের যে দলটি এসেছিলেন তাদের সামনে একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের বলেছিলেন যে আমাদের প্রতি সপ্তাহে বাইবেল অধ্যয়ন করা উচিত। আমাদের প্রতিবেশীরা যদিও সম্মত হননি, তবুও ফার্ন এবং আমি সাপ্তাহিক গৃহ বাইবেল অধ্যয়নের ব্যবস্থা করেছিলাম।

সত্যে উন্নতি

ফার্ন ও আমি শীঘ্রই ক্ষেত্রের পরিচর্যায় বের হয়েছিলাম। আমরা গাড়ির পিছনের আসনে বসেছিলাম এবং আমরা সিগারেট ধরানো মাত্রই আমার দাদা বলেছিলেন: “আমি এই মাত্র জানতে পেরেছি যে সাক্ষীরা ধূমপান করেন না।” ফার্ন তৎক্ষণাৎ তার সিগারেটটি জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছিল—কিন্তু আমি আমারটি শেষ করেছিলাম। যদিও আমরা ধূমপানে আনন্দ পেতাম কিন্তু সেই থেকে আমরা আর কখনও সিগারেট স্পর্শ করিনি।

১৯৪০ সালে আমাদের বাপ্তিস্মের পর, ফার্ন ও আমি সভায় একটি প্রবন্ধ অধ্যয়ন করেছিলাম, যেটিতে অগ্রগামীর কাজকে উৎসাহিত করা হয়েছিল, তখন পূর্ণ-সময়ের পরিচর্যাকে যেভাবে বলা হত। বাড়ি যাওয়ার পথে একজন ভাই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন: “আপনি এবং ফার্ন অগ্রগামীর কাজের জন্য যাচ্ছেন না কেন? আটকে রাখার মত কোন কারণ তো আপনাদের নেই।” আমরা তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতে পারিনি তাই আমরা নিজেদের প্রস্তুত করেছিলাম। আমি আমার কর্মস্থলে চাকরি ছাড়ার জন্য ৩০ দিনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম এবং অগ্রগামীর কাজ করার ব্যবস্থা নিয়েছিলাম।

আমরা কোথায় পরিচর্যা করব সেই বিষয়ে ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটির সঙ্গে পরামর্শ করেছিলাম এবং তারপর ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোরে গিয়েছিলাম। সেখানে অগ্রগামীদের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং থাকা খাওয়ার জন্য মাসে ভাড়া ছিল দশ মার্কিন ডলার। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের যেটুকু সঞ্চয় ছিল তা দিয়ে হর্‌মাগিদোন পর্যন্ত অনায়াসে চলে যাবে। (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৪, ১৬) কারণ আমরা সবসময় ভাবতাম যে হর্‌মাগিদোন খুবই নিকটবর্তী ছিল। তাই যখন আমরা অগ্রগামীর কাজ করতে শুরু করেছিলাম, আমরা আমাদের ঘর ছেড়ে দিয়েছিলাম এবং অন্যান্য সমস্ত কিছু পরিত্যাগ করেছিলাম।

বাল্টিমোরে আমরা ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত অগ্রগামীর কাজ করেছিলাম। ওই বছরগুলিতে যিহোবার সাক্ষীদের কাজের প্রতি প্রচণ্ড বিরোধিতা ছিল। বাইবেল অধ্যয়নের জন্য ছাত্রদের গৃহে আমরা নিজেদের গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে মাঝে মাঝে অন্য কেউ আমাদের সেখানে নামিয়ে দিতেন। এভাবেই আমাদের গাড়ির চাকাগুলি ক্ষতি থেকে রক্ষা পেত। কেউই এইধরনের বিরোধিতা পছন্দ করেন না কিন্তু আমি বলতে পারি যে আমরা সর্বদা ক্ষেত্রের পরিচর্যা উপভোগ করতাম। প্রকৃতপক্ষে, প্রভুর কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা রোমাঞ্চিত হওয়ার জন্য প্রতীক্ষা করেছিলাম।

শীঘ্রই আমরা আমাদের সঞ্চয়ের সমস্ত অর্থই খরচ করে ফেলেছিলাম। আমাদের গাড়ির চাকা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং একইভাবে আমাদের জামা, জুতোও। দুই বা তিন বার আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। এভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া সহজ ছিল না কিন্তু আমরা কখনও তা ছেড়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করিনি। এমনকি এই বিষয়ে আমরা কখনও কোন কথা বলিনি। অগ্রগামীর কাজে রত থাকার জন্য আমরা আমাদের জীবনের আনুষঙ্গিক বিষয়গুলি বাদ দিয়েছিলাম।

কার্যভারের পরিবর্তন

১৯৪৭ সালে আমরা ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলসের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম। সেখানে অবস্থানকালে আমার দাদা উইলিয়াম এবং আমাকে একটি করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল যেটিতে আমাদের মণ্ডলীগুলি পরিদর্শন এবং সাহায্য করার জন্য ভ্রমণ কাজের কার্যভারের বিষয়ে বলা হয়েছিল। আমরা তখন সেই কাজের জন্য কোন বিশেষ প্রশিক্ষণ লাভ করিনি। তবুও আমরা তা গ্রহণ করেছিলাম। পরবর্তী সাত বছর ফার্ন এবং আমি ওহাইও, মিসিগান, ইন্ডিয়ানা, ইলিনোয়িস এবং নিউ ইয়র্কে পরিচর্যা করেছিলাম। ১৯৫৪ সালে মিশনারিদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি বিদ্যালয়, গিলিয়েডের ২৪তম ক্লাসে যোগদানের জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে অবস্থানকালে ফার্নের পোলিও হয়েছিল। আনন্দের বিষয় যে সে শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠেছিল এবং আমরা নিউ ইয়র্ক ও কানেকটিকাটে ভ্রমণ কাজের জন্য কার্যভার পেয়েছিলাম।

কানেকটিকাটের স্ট্যামফোর্ডে অবস্থানকালে ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটির তৎকালীন সভাপতি নেথেন এইচ. নর আমাদের সপ্তাহশেষের দিনগুলি তার এবং তার স্ত্রী অড্রের সঙ্গে কাটাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তারা আমাদের মাংসের সুস্বাদু স্টেক ও অন্যান্য খাবার পরিবেশন করেছিলেন। তাদের সঙ্গে আমরা পূর্বেই পরিচিত হয়েছিলাম এবং ভাই নরকে আমি ভালভাবেই জানতাম এবং উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম যে আমাদের এই মেলামেশা ও রাতের খাবার ছাড়াও তার মনে অন্য কিছু ছিল। সেই সন্ধ্যায় তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “বেথেলে আসার ব্যাপারে আপনি কেমন বোধ করেন?”

“আসলে এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই; আর বেথেলের জীবন সম্বন্ধে আমি খুব বেশি জানিও না,” আমি উত্তর দিয়েছিলাম।

কয়েক সপ্তাহ এই বিষয়ে চিন্তা করার পর, আমরা ভাই নরকে বলেছিলাম যে যদি তিনি চান তবে আমরা বেথেলে আসব। পরের সপ্তাহে, ১৯৫৭ সালের ২৭শে এপ্রিল আমাদের ২১তম বিবাহ বার্ষিকীতে বেথেলে আসার জন্য আমরা একটি চিঠি পেয়েছিলাম।

বেথেলে একেবারে প্রথম দিনেই ভাই নর, আমাকে কী করতে হবে সেই সম্বন্ধে স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন: “আপনি এখন আর সীমা অধ্যক্ষ নন; আপনি এখানে বেথেলে কাজ করতে এসেছেন। এটিই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা আপনাকে করতে হবে আর আমরা চাই আপনি বেথেলে যে প্রশিক্ষণ লাভ করবেন তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আপনার সময় ও শক্তি ব্যবহার করুন। আমরা চাই আপনারা এখানে থাকুন।”

বেথেলের জীবন অর্থপূর্ণ

আমার প্রথম কার্যভার ছিল পত্রিকা ও ডাক বিভাগে। এরপর, প্রায় তিন বছর পর, ভাই নর আমাকে তার অফিসে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন। এরপর তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন যে আমাকে বেথেলে আনার আসল উদ্দেশ্য হল গৃহ বিভাগের দেখাশোনা করা। তার নির্দেশনাগুলি খুবই সরাসরি ছিল, “আপনি এখানে এসেছেন বেথেল গৃহ পরিচালনা করার জন্য।”

বেথেল গৃহ পরিচালনা করা, খামারে বড় হয়ে ওঠার সময়ে আমার বাবামা আমাকে যে শিক্ষা দিয়েছিলেন তা মনে করিয়ে দিয়েছিল। বেথেল গৃহ প্রায় একটি সাধারণ পরিবারের মত। সেখানে কাপড় পরিষ্কার করা, খাদ্য প্রস্তুত করা, থালাবাটি ধোয়া, বিছানা করা এবং আরও অন্যান্য কাজও করতে হয়। গৃহ বিভাগ বেথেলকে বসবাসের জন্য একটি আরামদায়ক স্থান করার চেষ্টা করে যাতে একজন ব্যক্তি বেথেলকে তার নিজ গৃহ বলতে পারেন।

আমি মনে করি যে বেথেল যেভাবে পরিচালিত হয় সেখান থেকে পরিবারগুলি প্রচুর শিক্ষা লাভ করতে পারে। আমরা খুব ভোরবেলা উঠি এবং প্রতিদিনের শাস্ত্রপদ বিবেচনা করার দ্বারা এক আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা দিয়ে আমাদের দিন শুরু করি। আমাদের কাছ থেকে কঠোর পরিশ্রম এবং এক ভারসাম্যপূর্ণ কিন্তু ব্যস্ত জীবনযাপন প্রত্যাশা করা হয়। কারও কারও ধারণার মত বেথেল সন্ন্যাসীদের মঠের মত নয়। আমাদের এক তালিকাবদ্ধ জীবনধারা থাকার ফলে আমরা অধিক কাজ সম্পন্ন করতে পারি। অনেকে বলেছেন যে এখানে তারা যে প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন তা পরবর্তী সময়ে তাদের পরিবারে এবং খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে দায়িত্ব গ্রহণ করতে সাহায্য করেছে।

বেথেলে যে যুবক-যুবতীরা আসে তাদের হয়ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, কাপড় কাচা অথবা কারখানায় কাজ করার জন্য কার্যভার দেওয়া হয়। জগৎ হয়ত আমাদের বিশ্বাস করতে প্রণোদিত করে যে এইধরনের শারীরিক পরিশ্রম অবমাননাকর এবং আমাদের নিচু করে। তথাপি, বেথেলের যুবক-যুবতীরা উপলব্ধি করে যে আমাদের পরিবার যথার্থ এবং সফলতার সঙ্গে পরিচালিত হওয়ার জন্য এইধরনের কার্যভারগুলি অপরিহার্য।

জগৎ হয়ত এই মনোভাব পোষণ করতে পারে যে প্রকৃতরূপে সুখী হওয়ার জন্য আপনার উচ্চ পদমর্যাদা এবং খ্যাতির প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তা ভুল। যখন আমরা আমাদের কার্যভার অনুযায়ী কাজ করি, তখন আমরা ‘যাহা করিতে বাধ্য ছিলাম, তাহাই করি’ এবং যিহোবার আশীর্বাদ লাভ করি। (লূক ১৭:১০) যিহোবার ইচ্ছা পরিপূর্ণ করা এবং রাজ্যের আগ্রহকে অগ্রসর করাই হল আমাদের কাজের উদ্দেশ্য—আমরা যখন তা মনে করব কেবল তখনই প্রকৃত পরিতৃপ্তি এবং সুখ লাভ করতে পারব। আমরা যদি এই বিষয়টি মনে রাখি, তাহলে যে কোন কার্যভারই উপভোগ্য এবং সন্তোষজনক হয়ে উঠতে পারে।

বিস্তৃতির কাজে অংশগ্রহণের এক সুযোগ

আমরা বেথেলে আসার এক দশকেরও বেশি আগে ১৯৪২ সালে, ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডের একটি সম্মেলনে, ভাই নর “শান্তি—এটি কি স্থায়ী হতে পারে?” নামক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তিনি এটি স্পষ্ট করেছিলেন যে সেইসময়ে চলমান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবে এবং শান্তির এক সময় আসবে যা বিস্তৃত প্রচার অভিযানের এক সুযোগ খুলে দেবে। মিশনারিদের প্রশিক্ষণের জন্য গিলিয়েড স্কুল এবং প্রচলিত ভাষায় কথা বলার ক্ষমতায় ভাইদের উন্নতির জন্য ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়, ১৯৪৩ সালে প্রবর্তন করা হয়েছিল। বৃহৎ বৃহৎ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৫০ এর দশকে নিউ ইয়র্কের ইয়াংকি স্টেডিয়ামের সম্মেলনগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। ১৯৫০ এবং ১৯৫৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রতিটি সম্মেলনের বিশাল ট্রেলর সিটির ব্যবস্থা করার সুযোগ আমার হয়েছিল যেখানে হাজার হাজার ব্যক্তিদের আটদিন করে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল।

১৯৫৮ সালের সর্ববৃহৎ সম্মেলনটি সহ ওই সম্মেলনগুলির পরে, রাজ্যের প্রকাশকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। এটি বেথেলে আমাদের কাজে সরাসরি প্রভাব ফেলেছিল। ১৯৬০ দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৭০ দশকের প্রথম দিকে গৃহের কর্মীদের জন্য স্থান ও কক্ষের অভাবে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের বৃদ্ধিরত পরিবারের বাসস্থানের জন্য আমাদের আরও বেশি শোয়ার কক্ষ, রান্নাঘর ও ভোজন কক্ষের প্রয়োজন হয়েছিল।

ভাই নর, কারখানার অধ্যক্ষ ভাই ম্যাক্স লার্সন ও আমাকে বেথেল বিস্তৃতির জন্য উপযুক্ত জমি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে যখন আমি বেথেলে এসেছিলাম, প্রায় ৫০০ জনের আমাদের পরিবারটি কেবল একটি বিশাল বাসভবনে বাস করত। কিন্তু বছর অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোসাইটি নিকটবর্তী তিনটি বিশাল হোটেল ক্রয় এবং পুনরায় মেরামত করেছিল—যেগুলি হল টাওয়ার্স, স্ট্যান্ডিশ ও বোসার্ট—এবং সেইসঙ্গে ছোট ছোট অনেক স্বয়ংসম্পূর্ণ কক্ষ। ১৯৮৬ সালে সোসাইটি, হোটেল মার্গারেট যেখানে ছিল সেই জায়গাটি ক্রয় করে এবং সেটিকে নতুন সুন্দর অট্টালিকায় পরিণত করেছিল যেখানে ২৫০ জন ব্যক্তির বাসস্থান হয়েছিল। তারপর, ১৯৯০ দশকের প্রথম দিকে, অতিরিক্ত ১,০০০ জন কর্মীর জন্য ৩০ তলাবিশিষ্ট একটি বাসভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ব্রুকলিন বেথেল, আমাদের পরিবারের ৩,৩০০ জনের বেশি সদস্যদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে।

এছাড়াও, ব্রুকলিন বেথেল থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে, নিউ ইয়র্কের ওয়ালকিলে জমি ক্রয় করা হয়েছিল। ১৯৬০ দশকের শুরুতে আরম্ভ করে বছরের পর বছর ধরে সেখানে বাসভবনগুলি এবং এক বিশাল ছাপাখানা নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন আমাদের বেথেল পরিবারের প্রায় ১,২০০ জন সদস্য সেখানে থাকেন ও কাজ করেন। ১৯৮০ সালে নিউ ইয়র্ক শহরের কাছেই উত্তম যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ প্রায় ৬০০ একর জমির সন্ধান শুরু হয়েছিল। ভূসম্পত্তি প্রতিনিধি হেসে বলেছিলেন: “এইধরনের জমি আপনারা কোথায় পাবেন? এটি একেবারেই অসম্ভব।” কিন্তু পরদিন সকালেই তিনি ফোন করেছিলেন এবং বলেছিলেন: “আমি আপনাদের জন্য জমি পেয়েছি।” বর্তমানে এটি নিউ ইয়র্কের প্যাটারসনে, প্রহরীদুর্গ শিক্ষাকেন্দ্র বলে পরিচিত। সেখানে বিদ্যালয়গুলি পরিচালিত হয় এবং ১,৩০০ জনেরও বেশি পরিচারকদের একটি পরিবার রয়েছে।

যে বিষয়গুলি আমি শিখেছি

আমি শিখেছি যে একজন উত্তম অধ্যক্ষ হলেন তিনি যিনি অন্যের কাছ থেকে মূল্যবান তথ্যগুলি বের করে আনতে পারেন। বেথেল অধ্যক্ষ হিসাবে যে ধারণাগুলি কার্যকারী করার সুযোগ আমি পেয়েছি, সেগুলির অধিকাংশই অন্যদের কাছ থেকে এসেছে।

আমি যখন বেথেলে এসেছিলাম, আমার মত তখন অনেকে বয়স্ক ছিলেন। তাদের অধিকাংশই এখন আর নেই। যারা বৃদ্ধ হন ও মারা যান তাদের স্থান কারা পূরণ করেন? সর্বদা কেবল অধিক কর্মদক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা নন। বরঞ্চ তারাও, যারা এখানে আছেন বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাদের কাজ করে চলেছেন, নিজেদের প্রাপ্তিসাধ্য করছেন।

স্মরণ করার মত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল উত্তম স্ত্রী থাকার মূল্য। আমার প্রিয়তমা স্ত্রী ফার্নের সমর্থন, আমার ঈশতান্ত্রিক কার্যভারগুলি পরিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে প্রচুর সাহায্যে এসেছে। স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের কার্যভারগুলিতে আনন্দিত কি না সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার দায়িত্ব স্বামীদের রয়েছে। ফার্ন ও আমি উভয়েই পছন্দ করি এমন কিছু করতে আমি পরিকল্পনা করার চেষ্টা করি। এটি খুব বেশি ব্যয়বহুল নয়, কেবল তালিকায় কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। স্ত্রীকে সুখী করার দায়িত্ব তার স্বামীর। স্ত্রীর সঙ্গে তার সময়গুলি মহামূল্যবান এবং খুব দ্রুত কেটে যায়, তাই এর বেশিরভাগ সময়ই কার্যকারী করার জন্য তার চেষ্টা করা প্রয়োজন।

যীশু যে বিষয়ে বলেছিলেন সেই শেষকালে বাস করতে পারায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। মানব ইতিহাসের যে কোন সময়ের চেয়ে এটি সবচেয়ে বেশি বিস্ময়কর সময়। প্রতিজ্ঞাত নতুন জগতের আবির্ভাবের জন্য তাঁর সংগঠনকে প্রভু কিভাবে বিকাশ সাধন করেন তা আমরা আমাদের বিশ্বাসের চোখ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে ও দেখতে পারছি। যিহোবার পরিচর্যায় আমার জীবনের বিগত দিনগুলির দিকে ফিরে তাকালে আমি দেখতে পাই যে যিহোবাই এই সংগঠনকে পরিচালিত করছেন—কোন মানুষ নয়। আমরা কেবল তাঁর দাস। অতএব, নির্দেশনার জন্য আমাদের অবশ্যই সর্বদা তাঁর প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। একবার তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আমাদের কী করতে হবে, সুতরাং আমদের বাধ্য থাকা এবং একত্রে সহযোগিতা করা উচিত।

সংগঠনের সঙ্গে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করুন তাহলে আপনি পরিপূর্ণ, সুখী জীবনের নিশ্চয়তা পাবেন। আপনি যাই করুন না কেন—হতে পারে তা অগ্রগামীর কাজ, সীমার কাজ, প্রকাশক হিসাবে একটি মণ্ডলীতে কাজ, বেথেল পরিচর্যা অথবা মিশনারি কাজ—পরিলেখকৃত নির্দেশনাগুলি অনুসরণ করুন এবং আপনার কার্যভারকে মূল্যায়ন করুন। প্রত্যেকটি কার্যভার এবং যিহোবার পরিচর্যায় প্রতিটি দিন উপভোগ করার জন্য সর্বোত্তমরূপে চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝে আপনি হয়ত ক্লান্ত হয়ে পড়বেন এবং আপনি হয়ত পরিশ্রান্ত এবং নিরুৎসাহিত বোধ করতে পারেন। যিহোবার প্রতি আপনার জীবন উৎসর্গীকরণের উদ্দেশ্য স্মরণ করার তখনই সময়। এটি হল তাঁর ইচ্ছা পরিপূর্ণ করা, আপনার নিজস্ব ইচ্ছা নয়।

এমন একটি দিনও আসেনি যে আমি কাজ করেছি ও যা করেছি তা উপভোগ করিনি। কেন? কারণ পূর্ণ হৃদয়ে যখন আমরা যিহোবার প্রতি নিজেদের উৎসর্গ করি, আমরা এটি জেনে পরিতৃপ্ত হই যে ‘যাহা করিতে বাধ্য ছিলাম, তাহাই করিয়াছি।’

[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

পত্রিকা বিভাগ

[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

ফার্নের সঙ্গে ১৯৫০ সালে ট্রেলর সিটিতে

[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

বাল্টিমোরে ১৯৪৬ সালে অগ্রগামীর কাজ করা

[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

ট্রেলর সিটি, ১৯৫০

[২২ পৃষ্ঠার চিত্র]

অড্রে এবং নেথেন নরের সঙ্গে

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

নিউ ইয়র্ক প্যাটারসনের কাছে প্রহরীদুর্গ শিক্ষাকেন্দ্র

[২৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

বর্তমানে ফার্নের সঙ্গে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার