ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৮ ১১/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • দূতেরা যেভাবে আপনাকে সাহায্য করেন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • দূতেরা যেভাবে আপনাকে সাহায্য করেন
  • ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • দূতেদের সাক্ষাৎ
  • আমরা কি দূতেদের কাছে সাহায্য চাইব?
  • ঈশ্বরকে ডাকা
  • দূতেরা এবং নৈতিক দায়িত্বগুলি
  • রক্ষক দূতেরা
  • দূতেরা যে বার্তা বহন করেন
  • স্বর্গদূতেরা তারা যেভাবে আমাদের প্রভাবিত করে
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • স্বর্গদূতেরা —“সেবাকারী আত্মা”
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • স্বর্গদূতেরা যেভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০১৭
  • স্বর্গদূতেরা তারা কারা
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৮ ১১/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭

দূতেরা যেভাবে আপনাকে সাহায্য করেন

ঈশ্বরের বাক্য দূতেদের অস্তিত্বকে স্বীকার করে। এটি আমাদের জানায় যে এইধরনের অসংখ্য আত্মিক প্রাণী রয়েছে। যিহোবা ঈশ্বরের দাস, দানিয়েল স্বর্গীয় বিষয়ের দর্শন পেয়েছিলেন, যে সম্বন্ধে তিনি লিখেছিলেন: “সহস্রের সহস্র [ঈশ্বরের] পরিচর্য্যা করিতেছিল, এবং অযুতের অযুত তাঁহার সম্মুখে দণ্ডায়মান ছিল।”—দানিয়েল ৭:১০.

লক্ষ্য করুন যে দানিয়েলের বিবৃতি আমাদেরকে দূতেদের সংখ্যার চেয়ে আরও বেশি কিছু জানায়। এটি আরও বলে যে দূতেরা ঈশ্বরের পরিচর্যা করেন। তারা তাঁর দাস। এর সঙ্গে মিল রেখে গীতরচক গেয়েছিলেন: “সদাপ্রভুর দূতগণ! তাঁহার ধন্যবাদ কর, তোমরা বলে বীর, তাঁহার বাক্য-সাধক, তাঁহার বাক্যের রব শ্রবণে নিবিষ্ট। সদাপ্রভুর সমস্ত বাহিনি! তাঁহার ধন্যবাদ কর, তোমরা তাঁহার পরিচারক, তাঁহার অভিমত-সাধক।”—গীতসংহিতা ১০৩:২০, ২১.

বাইবেল আরও ব্যাখ্যা করে যে দূতেদের জীবন, পৃথিবীর মানুষদের মতো শুরু হয়নি। যিহোবা, পৃথিবী সৃষ্টি করারও আগে স্বর্গে দূতেদের সৃষ্টি করেছিলেন। ঈশ্বর যখন ‘পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেন, ঈশ্বরের দূতরূপ পুত্ত্রগণ সকলে জয়ধ্বনি করিল।’—ইয়োব ৩৮:৪-৭.

দূতেরা হলেন আত্মিক প্রাণী—অদৃশ্য, শক্তিধর, বুদ্ধিমান। বাইবেলে আত্মিক প্রাণীদের সম্বন্ধে কথা বলার সময় ইব্রীয় মালাখ্‌ এবং গ্রিক অ্যাজেলস শব্দগুলিকে “দূত” হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে। বাইবেলে এই শব্দগুলি প্রায় ৪০০ বারের মতো দেখা যায়। দুটি শব্দের অর্থই “বার্তাবাহক।”

দূতেদের সাক্ষাৎ

দূতেরা অবশ্যই বার্তাবাহক। আপনি হয়তো মরিয়মের কাছে গাব্রিয়েল দূতের আবির্ভাব সম্বন্ধে বাইবেলের বিবরণটি জানেন। তিনি মরিয়মকে বলেছিলেন যে কুমারী হওয়া সত্ত্বেও, তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করবেন যার নাম যীশু রাখা হবে। (লূক ১:২৬-৩৩) মাঠে কয়েকজন মেষপালকের কাছেও একজন দূত উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন: “অদ্য . . . তোমাদের জন্য ত্রাণকর্ত্তা জন্মিয়াছেন; তিনি খ্রীষ্ট প্রভু।” (লূক ২:৮-১১) একইভাবে, হাগার, অব্রাহাম, লোট, যাকোব, মোশি, গিদিয়োন, যীশু এবং বাইবেলে বিবরণ আছে এইরকম আরও অন্যান্যদের কাছেও দূতেরা বার্তা নিয়ে এসেছিলেন।—আদিপুস্তক ১৬:৭-১২; ১৮:১-৫, ১০; ১৯:১-৩; ৩২:২৪-৩০; যাত্রাপুস্তক ৩:১, ২; বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৬:১১-২২; লূক ২২:৩৯-৪৩; ইব্রীয় ১৩:২.

এটি লক্ষণীয় যে দূতেদের মাধ্যমে প্রেরিত সমস্ত বার্তাই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল এবং স্পষ্টতই সেগুলি সেই মানুষদের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং সময়সারণী অনুযায়ী দূতেরা ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত হয়েছিলেন। মানুষেরা তাদের ডেকে পাঠাননি।

আমরা কি দূতেদের কাছে সাহায্য চাইব?

সংকটাপন্ন অবস্থায় দূতেদের নামে ডাকা কি উপযুক্ত? যদি তাই হয়, তবে আমরা নিশ্চয়ই এমন একজন দূতের নাম জানতে চাইব, যিনি আমাদেরকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা রাখেন। ফলে, কিছু বাণিজ্যিক বই বিভিন্ন দূতের পদমর্যাদা, উপাধি এবং কাজ সহ সম্ভাব্য নামের তালিকা তুলে ধরে। একটি বই এভাবে তালিকা করে যেমন “স্বর্গীয় শীর্ষ দশ,” “পাশ্চাত্য জগতের সুপরিচিত দূতেরা।” তালিকার সঙ্গে আপনার জন্য উপদেশ জুড়ে দেওয়া হয়, যেমন চোখ বন্ধ করুন, ধীরে ধীরে কয়েকবার দূতেদের নাম উচ্চারণ করুন, জোরে জোরে শ্বাস নিন, ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং “তাদের সঙ্গে সম্ভাব্য যোগাযোগের জন্য নিজেকে তৈরি করুন।”

বিপরীতে, বাইবেল আমাদেরকে ঈশ্বরের বিশ্বস্ত দূতেদের মধ্যে কেবল দুইজন যেমন, মীখায়েল এবং গাব্রিয়েলের নাম জানায়। (দানিয়েল ১২:১; লূক ১:২৬) প্রত্যেক দূত যে আলাদা আত্মিক ব্যক্তি ও তাদের পৃথক পৃথক নাম রয়েছে এবং তারা কোন নৈর্ব্যক্তিক শক্তি অথবা তেজ নন, সম্ভবত এই বিষয়টি দেখাতে এই নামগুলি সরবরাহ করা হয়েছে।

এই ব্যাপারটি উল্লেখযোগ্য যে কিছু দূত মানুষদের কাছে তাদের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছিলেন। একবার যাকোব একজন দূতের নাম জিজ্ঞাসা করলে, তিনি নাম বলেননি। (আদিপুস্তক ৩২:২৯) যিহোশূয়ের কাছে আবির্ভূত দূতকে নিজের পরিচয় দিতে বললে তিনি কেবল বলেছিলেন যে তিনি “সদাপ্রভুর সৈন্যের অধ্যক্ষ।” (যিহোশূয় ৫:১৪) শিম্‌শোনের পিতামাতা যখন একজন দূতকে তার নাম জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন: “কেন আমার নাম জিজ্ঞাসা করিতেছ? তাহা ত আশ্চর্য্য।” (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৩:১৭, ১৮) দূতেদের নামের তালিকা না দিয়ে বাইবেল দূতেদেরকে অনুপযুক্ত সম্মান ও উপাসনার বিষয়ে আমাদের সাবধান করে। আমরা যেমন দেখতে পাব যে এটি আমাদেরকে তাদের কাছে সাহায্য চাইবার জন্যও বলে না।

ঈশ্বরকে ডাকা

বাইবেল আমাদের বলে যে আমাদের সকলের আত্মিক রাজ্যের বিষয়গুলি সম্বন্ধে জানা প্রয়োজন। প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার . . . নিমিত্ত উপকারী, যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্ম্মের জন্য সুসজ্জীভূত হয়।” (২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭) ঈশ্বর যদি চাইতেন যে আমরা বিভিন্ন দূতের নাম জানি, তবে তিনি নিশ্চয়ই তাঁর বাক্য বাইবেলে তা প্রকাশ করতেন। আর ঈশ্বর যদি আমাদের শিক্ষা দিতে চাইতেন যে কিভাবে প্রার্থনায় দূতেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় ও তাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়, তবে তিনি শাস্ত্রে এই বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করতেন।

পরিবর্তে, যীশু খ্রীষ্ট শিখিয়েছিলেন: “তুমি যখন প্রার্থনা কর, তখন তোমার অন্তরাগারে প্রবেশ করিও, আর দ্বার রুদ্ধ করিয়া তোমার পিতা, যিনি গোপনে বর্ত্তমান তাঁহার নিকটে প্রার্থনা করিও . . . তোমরা এই মত প্রার্থনা করিও; হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক।” (মথি ৬:৬, ৯) শাস্ত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গিটি এইরকম: আমরা দূতেদের নামে ডাকতে অথবা তাদের কাছে প্রার্থনা করতে পারি না, বরং আমাদের প্রার্থনার মাধ্যমে আমাদের দূতেদের সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং ঈশ্বরের নিকটবর্তী হওয়া উচিত। তাঁর নাম কোন রহস্যময় বস্তু নয় আর তা প্রকাশ করার জন্য কোন অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরও প্রয়োজন নেই। ঐশিক নামটিকে বাদ দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা সত্ত্বেও, বাইবেলে এটি ৭,০০০ বারেরও বেশি দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, স্বর্গীয় পিতার বিষয় উল্লেখ করতে গিয়েই গীতরচক গেয়েছিলেন: “আর জানুক যে তুমি, যাঁহার নাম সদাপ্রভু [“যিহোবা,” “NW”], একা তুমিই সমস্ত পৃথিবীর উপরে পরাৎপর।”—গীতসংহিতা ৮৩:১৮.

আমরা যদি প্রার্থনার মাধ্যমে যথার্থভাবে যিহোবার নিকটবর্তী হই, তবে তিনি কখনও আমাদের প্রতি বিমুখ হবেন না। বাইবেল এই নিশ্চয়তা দেয়: “সদাপ্রভুর প্রতি যাহাদের অন্তঃকরণ একাগ্র, তাহাদের পক্ষে আপনাকে বলবান দেখাইবার জন্য তাঁহার চক্ষু পৃথিবীর সর্ব্বত্র ভ্রমণ করে।”—২ বংশাবলি ১৬:৯.

দূতেরা এবং নৈতিক দায়িত্বগুলি

বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তুলে ধরা হয় যে দূতেরা মানুষদের বিচার করেন কিন্তু আসলে তারা তা করেন না। সেটি উপযুক্ত কারণ মানুষদের বিচার করার অধিকার দূতেদের দেওয়া হয়নি। যিহোবা “সকলের বিচারকর্ত্তা,” কিন্তু “সমস্ত বিচার-ভার পুত্ত্রকে” অর্থাৎ যীশু খ্রীষ্টকে দিয়েছেন। (ইব্রীয় ১২:২৩; যোহন ৫:২২) তথাপি, আমরা যেভাবে জীবনযাপন করি সেই ব্যাপারে দূতেরা উদাসীন এমন ধারণা পোষণ করাও ভুল হবে। যীশু বলেছিলেন: “এক জন পাপী মন ফিরাইলে ঈশ্বরের দূতগণের সাক্ষাতে আনন্দ হয়।”—লূক ১৫:১০.

অতএব, দূতেরা কেবল নীরব দর্শক নন। অতীতে, তারা ঈশ্বরের বিচার সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সংহারক হিসাবে কাজ করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ঈশ্বর প্রাচীন মিশরীয়দের বিরুদ্ধে দূতেদের ব্যবহার করেছিলেন। গীতসংহিতা ৭৮:৪৯ পদ অনুসারে, “তিনি তাহাদের বিরুদ্ধে পাঠাইলেন আপন প্রচণ্ড ক্রোধ, কোপ, ও রোষ, ও সঙ্কট, অমঙ্গলের এই দূতদল।” একইভাবে বাইবেল বিবৃতি দেয় যে একরাতের মধ্যে, কেবল একজন দূত ১,৮৫,০০০ জন অশূরীয় সৈনিককে হত্যা করেছিলেন।—২ রাজাবলি ১৯:৩৫.

অনুরূপভাবে, ভবিষ্যতে দূতেরা তাদের ধ্বংস করবেন যারা ঈশ্বরের ধার্মিক মান মেনে চলতে অস্বীকার করে অন্যদের মঙ্গলে বাধার সৃষ্টি করবেন। যীশু “আপনার পরাক্রমের দূতগণের সহিত জ্বলন্ত অগ্নিবেষ্টনে . . . যাহারা ঈশ্বরকে জানে না ও যাহারা আমাদের প্রভু যীশুর সুসমাচারের আজ্ঞাবহ হয় না, তাহাদিগকে সমুচিত দণ্ড দিবেন।”—২ থিষলনীকীয় ১:৭, ৮.

এভাবে শাস্ত্র দেখায় যে ঈশ্বরের বিশ্বস্ত দূতেরা তাঁর নির্দেশ মেনে চলার এবং তাঁর ধার্মিক মানকে সমর্থন করার দ্বারা সর্বদা তাঁর ইচ্ছা পালন করেন। এটি স্পষ্ট যে আমরা যদি ঈশ্বরের দূতগণের সাহায্য পেতে চাই, তাহলে আমাদের ঈশ্বরের ইচ্ছা সম্বন্ধে জানতে হবে এবং তা পালন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।

রক্ষক দূতেরা

দূতেরা কি লোকেদের জন্য চিন্তা করেন এবং তাদের রক্ষা করেন? প্রেরিত পৌল জিজ্ঞাসা করেছিলেন: “উহাঁরা [দূতগণ] সকলে কি সেবাকারী আত্মা নহেন? যাহারা পরিত্রাণের অধিকারী হইবে, উহাঁরা কি তাহাদের পরিচর্য্যার জন্য প্রেরিত নহেন?” (ইব্রীয় ১:১৪) স্পষ্টতই, পৌলের প্রশ্নের উত্তরটি হল, হ্যাঁ।

বাবিলনের রাজা নবূখদ্‌নিৎসরের স্থাপিত স্বর্ণময় প্রতিমার সম্মুখে নত হতে অস্বীকার করার জন্য তিন জন ইব্রীয় যুবক শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্‌-নগোকে অত্যধিক উত্তপ্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু ঈশ্বরের ওই বিশ্বস্ত দাসগণ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। রাজা যখন অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে তাকান, তিনি “চারি ব্যক্তিকে” দেখেছিলেন এবং বলেছিলেন যে “চতুর্থ ব্যক্তির মূর্ত্তি দেবপুত্ত্রের সদৃশ।” (দানিয়েল ৩:২৫) কয়েক বছর পর, দানিয়েলকে তার বিশ্বস্ততার কারণে সিংহের গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তিনিও অক্ষত অবস্থায় রক্ষা পেয়েছিলেন এবং ঘোষণা করেছিলেন: “আমার ঈশ্বর আপন দূত পাঠাইয়া সিংহগণের মুখ বদ্ধ করিয়াছেন।”—দানিয়েল ৬:২২.

সাধারণ কালের প্রথম শতাব্দীতে খ্রীষ্টের অনুসারীরা মণ্ডলী প্রতিষ্ঠা করার পর আবারও দূতেরা এসেছিলেন, কারাগার থেকে প্রেরিতদের মুক্ত করেছিলেন। (প্রেরিত ৫:১৭-২৪; ১২:৬-১২) আর সমুদ্রে পৌলের জীবন যখন ঝুঁকির মধ্যে ছিল, একজন দূত তাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি নিরাপদে রোমে পৌঁছাতে পারবেন।—প্রেরিত ২৭:১৩-২৪.

যিহোবা ঈশ্বরের বর্তমান দিনের দাসগণ পূর্ণ বিশ্বাসী যে ঈশ্বরের অদৃশ্য দূত বাহিনীর অস্তিত্ব বাস্তব এবং তারা রক্ষা করতে সমর্থ, যেভাবে ইলীশায় ও তার পরিচারকের জন্য তারা করেছিলেন। (২ রাজাবলি ৬:১৫-১৭) বাস্তবিকই “সদাপ্রভুর দূত, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের চারিদিকে শিবির স্থাপন করেন, আর তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।”—গীতসংহিতা ৩৪:৭; ৯১:১১.

দূতেরা যে বার্তা বহন করেন

যারা যিহোবা ঈশ্বরকে সেবা করেন তাদের মঙ্গলের বিষয়ে দূতেরা যেমন উদ্বিগ্ন, তেমনই লোকেরা ঈশ্বর এবং তাঁর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে শিখছে কি না সেই বিষয়েও তারা লক্ষ্য করে থাকেন। প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন: “আমি আর এক দূতকে দেখিলাম, তিনি আকাশের মধ্যপথে উড়িতেছেন, তাঁহার কাছে অনন্তকালীন সুসমাচার আছে, যেন তিনি পৃথিবী-নিবাসীদিগকে, প্রত্যেক জাতি ও বংশ ও ভাষা ও প্রজাবৃন্দকে, সুসমাচার জানান; তিনি উচ্চ রবে এই কথা কহিলেন, ঈশ্বরকে ভয় কর ও তাঁহাকে গৌরব প্রদান কর।”—প্রকাশিত বাক্য ১৪:৬, ৭.

আপনি কি এই “অনন্তকালীন সুসমাচার” এর অর্থ বুঝতে চান? যদি চান, তবে যিহোবার সাক্ষীদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন। তারা এই বিষয়টি আপনাকে জানাতে আনন্দিত হবেন।

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

মধ্য আকাশে একজন দূত অনন্তকালীন সুসমাচার ঘোষণা করছেন। আপনি কি সেই সম্বন্ধে জানতে চান?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার