ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৮ ১২/১ পৃষ্ঠা ২৩-২৬
  • বড় বড় কাজের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বড় বড় কাজের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে
  • ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বিদায়বেলায় শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া উপদেশ
  • বছরের পর বছর কাজ করছেন এমন মিশনারিরা সুখী
  • সফল ছাত্র থেকে সফল মিশনারী
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ইচ্ছুক মনোভাব লোকেদেরকে গিলিয়েডে নিয়ে আসে
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • সেবা করার জন্য অনুপ্রাণিত
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবাতে আনন্দ কর, উল্লাস কর
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৮ ১২/১ পৃষ্ঠা ২৩-২৬

বড় বড় কাজের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে

“কারোর মধ্যেই অন্যজনের চেয়ে আগে যাওয়ার মনোভাব ছিল না। প্রত্যেকেই চেয়েছিলেন যে সকলেই সফল হোন,” রিচার্ড ও লুসিয়া এই কথাগুলিই ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অফ গিলিয়েডের ১০৫তম ক্লাসে তাদের সহপাঠীদের সম্বন্ধে বলেছিলেন। তারা আরও বলেন “আমাদের সকলের ব্যক্তিত্বই একেবারে আলাদা কিন্তু আমাদের কাছে প্রত্যেক ছাত্রই মূল্যবান।” ক্লাসের আরেকজন ছাত্র লয়েলও এইরকমই মনে করেছিলেন। তিনি বলেন: “আমাদের এই আলাদা আলাদা ব্যক্তিত্ব আমাদেরকে একে অপরের আরও কাছে নিয়ে এসেছে।”

১৯৯৮ সালের ১২ই সেপ্টেম্বরের গ্র্যাজুয়েশন ক্লাসটির সব ছাত্রদের মধ্যে সত্যিই অনেক পার্থক্য ছিল। এই ক্লাসের কিছু ছাত্র এমন জায়গায় অগ্রগামীর কাজ করেছিলেন যেখানে রাজ্য প্রকাশকদের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। আবার অন্যেরা ঘরের কাছাকাছি এলাকাগুলিতে বিশ্বস্তভাবে পরিচর্যা করেছিলেন। ম্যাটস্‌ ও রোজ-মেরীর মতো কিছু ছাত্রছাত্রীদের এই ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য ইংরাজি ভাষা শিখতে অনেক পরিশ্রম করতে ও এর পেছনে অনেক সময় কাটাতে হয়েছিল। তাদের অনেকেরই ছোটবেলা থেকে মিশনারী হওয়ার ইচ্ছা ছিল। একটি দম্পতি গিলিয়াড স্কুলে যোগ দেওয়ার জন্য ১২ বার আবেদন করেছিলেন; আর তাই যখন ১০৫তম ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের ডাকা হয় তখন তাদের আনন্দের সীমা ছিল না!

একাগ্র প্রশিক্ষণের কুড়িটি সপ্তাহ যেন চোখের নিমেষে শেষ হয়ে গিয়েছিল। ছাত্রেরা টেরই পাননি যে কখন তারা তাদের শেষ লিখিত পরীক্ষা ও তাদের মৌখিক পরীক্ষাটি দিয়ে ফেলেছেন আর তারপর কবে তাদের গ্র্যাজুয়েশনের সেই দিনটিও এসে পড়েছে।

কার্যক্রমের সভাপতি এলবার্ট শ্রোডার, যিনি যিহোবার সাক্ষীদের পরিচালক গোষ্ঠীরও একজন সদস্য ছাত্রদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে তাদের সামনে “বাইবেল শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় বড় প্রবেশদ্বার খোলা রয়েছে” আর এই কাজে তাদের সঙ্গে আরও ৭,০০০ জনের বেশি মিশনারিরা আছেন। তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেছিলেন যে এই গ্রীষ্মে ছাত্রেরা অনেক অভিজ্ঞ মিশনারিদের সঙ্গে মেলামেশা করার অনুপম সুযোগ উপভোগ করেছেন যখন তারা আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশ্বের প্রধান কার্যালয়গুলিতে এসেছিলেন।

ভাই শ্রোডার এরপর বেথেল অপারেশন কমিটির ম্যাক্স লারসনকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি “যে শিক্ষা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে” নামক বিষয়বস্তুটির উপর কথা বলেন। ভাই লারসন হিতোপদেশ ১:৫ পদটি পড়েছিলেন যেটি বলে: “জ্ঞানবান শুনিবে ও পাণ্ডিত্যে বৃদ্ধি পাইবে, বুদ্ধিমান সুমন্ত্রণা [দক্ষতা] লাভ করিবে।” মিশনারি হিসাবে সফল হওয়ার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন। দক্ষ বা কুশলী ব্যক্তিরা রাজাদের সামনে দাঁড়ান। (হিতোপদেশ ২২:২৯) পাঁচ মাস ধরে শিক্ষা লাভের পর, ছাত্রেরা মহান রাজা যিহোবা ঈশ্বর ও খ্রীষ্ট যীশুর প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার জন্য ভালভাবে তৈরি ছিলেন।

এরপর পরিচর্যা বিভাগের ডেভিড ওলসন “যিহোবার হৃদয়কে আনন্দিত করতে কাজ করুন” নামক বিষয়বস্তুটির উপর বক্তৃতা দেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন: “অসিদ্ধ মানুষেরা ঈশ্বরের হৃদয়কে আনন্দিত করার জন্য কী করতে পারেন?” এর উত্তর? তারা বিশ্বস্তভাবে, নিষ্ঠার সঙ্গে ও আনন্দের সঙ্গে তাঁর সেবা করতে পারেন। যিহোবা চান তাঁর লোকেরা যেন তাঁকে সেবা করে আনন্দ পান। যখন আমরা খুশি মনে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করি, আমরা তাঁর হৃদয়কে আনন্দিত করি। (হিতোপদেশ ২৭:১১) ভাই ওলসন এক মিশনারি দম্পতির একটি চিঠি পড়ে শোনান যারা ১০৪তম গিলিয়েড ক্লাসে গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন। তারা কি নতুন জায়গায় তাদের নতুন কার্যভার উপভোগ করছেন? তারা তাদের মণ্ডলী সম্পর্কে লিখেছিলেন, “আমাদের মণ্ডলীতে প্রায় ১৪০ জন প্রকাশক আছেন কিন্তু গড়ে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন সভায় আসেন। আর সবচেয়ে বেশি মজা হয় প্রচারে। আমাদের দুজনেরই চারটে-চারটে করে বাইবেল অধ্যয়ন আছে আর তাদের কিছুজন এরমধ্যেই সভাগুলিতে আসছেন।”

পরিচালক গোষ্ঠীর সদস্য লাইম্যান সুইংগেল “একটু থেমে আশীর্বাদগুলির কথা চিন্তা করার সময়,” নামক বিষয়বস্তুটির উপর বক্তব্য রাখেন। গিলিয়েড প্রশিক্ষণ থেকে অনেক আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এই প্রশিক্ষণ ছাত্রদের নিজেদের জ্ঞানকে বাড়াতে, যিহোবার সংগঠনের প্রতি তাদের উপলব্ধিবোধ গড়ে তুলতে এবং নম্রতার মতো অত্যন্ত জরুরি গুণাবলি অর্জন করতে সাহায্য করে। ভাই সুইংগিল বলেছিলেন: ‘এখানে এসে উপদেশ শোনার জন্য সময় কাটিয়ে আমরা আরও নম্র হয়ে উঠি। আপনারা যখন এখান থেকে চলে যাবেন তখন যিহোবার গুণকীর্তন করার জন্য আরও ভালভাবে তৈরি হয়ে উঠবেন।’

এর পরের বক্তৃতাটি ছিল, “আপনার আনন্দ কতই না মহান—তাহলে চিন্তা কেন?” পরিচালক গোষ্ঠীর সদস্য ভাই দানিয়েল সিডলিক এটি দিয়েছিলেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে যখন সমস্যা এসে হাজির হয়, তখন তা সমাধানের জন্য বাইবেল কী বলে সেটি জানার চেষ্টা করুন। মথি ৬ অধ্যায় থেকে কয়েকটি পদ বেছে নিয়ে ভাই সিডলিক দেখান যে কী করে তা করা যেতে পারে। আমাদের যদি বিশ্বাসের অভাব থাকে, তাহলে খাদ্য-বস্ত্রের মতো বিষয়গুলি যা আমাদের রোজকার জীবনের চিন্তা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলবে। কিন্তু, যিহোবা জানেন যে আমাদের কীসের প্রয়োজনীয়তা আছে। (মথি ৬:২৫, ৩০) চিন্তা করা আমাদের দরকারকে তো মেটায়ই না বরং তা কেবল আমাদের উপর সমস্যার বোঝা চাপিয়ে দেয়। (মথি ৬:৩৪) কিন্তু, ভেবে-চিন্তে কাজ করা জরুরি। (লূক ১৪:২৮ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) ভাই সিডলিক বলেছিলেন ‘যীশু ভবিষ্যতের জন্য বিচার-বুদ্ধি ব্যবহার করে চিন্তা করাকে মানা করেননি কিন্তু অকারণে ভবিষ্যতের বিষয়ে চিন্তা করতে নিষেধ করেছিলেন। যখন চিন্তা আমাদের কষ্ট দেয় তখন তা দূর করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখা। এইরকম সময়ে অন্যদের সঙ্গে সত্য সম্বন্ধে কথা বলা আমাদের জন্য ভাল।’

বিদায়বেলায় শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া উপদেশ

এরপর গিলিয়েড শিক্ষাবিভাগের তিনজন সদস্য বক্তৃতা দেন। প্রথম বক্তৃতাটি কার্ল অ্যাডামস্‌ দিয়েছিলেন যার বিষয়বস্তু ছিল “আপনি যিহোবাকে কী ফিরিয়ে দেবেন?” তার বক্তৃতাটি ১১৬ গীতটির উপর ভিত্তি করে ছিল, যেটি সম্ভবত যীশু তাঁর মৃত্যুর আগের রাতে গেয়েছিলেন। (মথি ২৬:৩০, পাদটীকা, NW) যখন যীশু গানের এই কলিগুলি গেয়েছিলেন, তখন তাঁর মনে কত কথাই না এসেছিল: “আমি সদাপ্রভু হইতে যে সকল মঙ্গল পাইয়াছি, তাহার পরিবর্ত্তে তাঁহাকে কি ফিরাইয়া দিব”? (গীতসংহিতা ১১৬:১২) হয়তো তিনি তাঁর সিদ্ধ দেহ সম্বন্ধে ভেবেছিলেন যা যিহোবা তাঁর জন্য রচনা করেছিলেন। (ইব্রীয় ১০:৫) পরের দিন তিনি সেই দেহ বলিরূপে উৎসর্গ করে তাঁর প্রেমের গভীরতার প্রমাণ দেবেন। ১০৫তম ক্লাসের ছাত্রেরা গত পাঁচ মাস ধরে যিহোবার মঙ্গলময়তাকে আস্বাদন করেছেন। এখন তারা যে দেশগুলিতে মিশনারী হিসাবে যাবেন সেখানে কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করে তারা ঈশ্বরের প্রতি তাদের ভালোবাসার প্রকাশ দেখাবেন।

গিলিয়েডের দ্বিতীয় শিক্ষক ছিলেন মার্ক নুমার যিনি ছাত্রদের এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন: “সঠিক কাজ করে চলুন।” যোষফকে মিশরে দাস হিসাবে বিক্রি করে দেওয়ার পর, ১৩ বছর ধরে তিনি অন্যায় সহ্য করেছিলেন। অন্যদের অন্যায় ব্যবহারের জন্য কি যোষেফ ঈশ্বরের সেবা করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন? না, যা সঠিক তিনি তা করে চলেছিলেন। তারপর ঈশ্বরের নিরূপিত সময়ে, যোষেফ তার সেই পরীক্ষাগুলি থেকে উদ্ধার পেয়েছিলেন। হঠাৎই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে প্রাসাদে বাস করতে শুরু করেছিলেন। (আদিপুস্তক, ৩৭-৫০ অধ্যায়গুলি) শিক্ষক তার ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন: “আপনাদের মিশনারি কার্যভারে যদি আপনার আশাগুলি পূরণ না হয়, আপনি কি তাহলে তা ছেড়ে চলে আসবেন? আপনি হার মানবেন? অথবা আপনি কি যোষেফের মতো ধৈর্য ধরবেন, তা সহ্য করবেন?”

সব শেষে গিলিয়েড স্কুলের রেজিস্ট্রার ওয়াল্স লিভারেন্স, ক্লাসের ছাত্রদের সঙ্গে “রাজা ও রাজ্যকে ঘোষণা করুন” নামক বিষয়বস্তুর উপর এক জীবন্ত আলোচনা করেন। কিছু ছাত্র তাদের সেই অভিজ্ঞতাগুলির কথা বলেন যেগুলি তাদের ঘরে ঘরে, দোকানে দোকানে ও রাস্তায় প্রচার করার সময় হয়েছিল। অন্যেরা বলেছিলেন যে কিভাবে তারা অন্য ভাষাভাষী লোকেদের কাছে সাক্ষ্যদান করেছিলেন। কিছু ছাত্রেরা দেখিয়েছিলেন যে কী করে অন্য ধর্মের লোকেদের কাছে প্রচার করতে হয়। সমস্ত গ্র্যাজুয়েটরা মিশনারি ক্ষেত্রে গিয়ে প্রচার শুরু করার জন্য অত্যন্ত উৎসুক ছিলেন।

বছরের পর বছর কাজ করছেন এমন মিশনারিরা সুখী

এরপরের অংশটি ছিল “মিশনারি পরিচর্যা থেকে আসা আনন্দপূর্ণ ফলগুলি,” নামক বক্তৃতা যেটি ভাই রবার্ট ওয়ালেন দিয়েছিলেন এবং তিনি প্রধান কার্যালয়ে কাজ করেন এমন চারজন ভাইয়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন যারা সম্প্রতি অভিজ্ঞ মিশনারিদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন আর যারা তাদের উৎসাহিত করেছিলেন। এই মিশনারিরা অকপটে স্বীকার করেছিলেন যে একটি নতুন ভাষা শেখা, অন্য সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া বা ভিন্ন আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া তাদের জন্য সহজ ছিল না। এর ওপর আবার ঘর ছেড়ে দূরে থাকার ব্যথা তাদের কষ্ট দিত। কখনও কখনও তারা অসুস্থ হয়ে পড়তেন। কিন্তু এই সমস্ত কিছু সহ্য করেও মিশনারিরা হার মানেননি কিন্তু তাদের কাজে লেগে ছিলেন আর এইজন্য তারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। এদের কিছুজন অনেককেই যিহোবার কাছে আসতে সাহায্য করেছেন। আবার অন্যেরা তাদের নিজেদের দেশে রাজ্যের কাজকে বাড়ানোর জন্য আলাদা আলাদা উপায়ে সাহায্য করেছেন।

সব শেষে পরিচালক গোষ্ঠীর সদস্য ক্যারী বারবার তার বক্তৃতাটি দিয়েছিলেন। তিনি “জীবনের জন্য ঈশ্বরের পথ” সম্মেলন কার্যক্রমের প্রধান প্রধান বিষয়গুলির পুনরালোচনা করেছিলেন। তিনি শ্রোতাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “সম্মেলন কার্যক্রম যিহোবার সঙ্গে আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন্‌ প্রভাব ফেলেছে?” বক্তা ঈশ্বরের পথে চলার ফলে পাওয়া ভাল ফলগুলির সঙ্গে জগতের পথে চলা লোকেদের ভয়াবহ পরিণতির তুলনা করেছিলেন। মরীবায় মোশির পাপের বিষয় উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে: “এমনকি একজন ব্যক্তি অনেক বছর ধরে বিশ্বস্তভাবে সেবা করে চললেও যিহোবার ন্যায্য ব্যবস্থার সামান্যতম লঙ্ঘনও তিনি উপেক্ষা করেন না।” (গণনাপুস্তক ২০:২-১৩) পৃথিবীর সব জায়গায় ঈশ্বরের সমস্ত দাসেরা যেন তাদের অমূল্য পরিচর্যার সুযোগকে দৃঢ়ভাবে ধরে থাকেন!

এখন ছাত্রদের ডিপ্লোমা দেওয়ার সময় আসে। এরপর, ক্লাসের সব ছাত্রদের পক্ষ থেকে একজন ছাত্র তারা যে প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন তার প্রতি উপলব্ধি ভরা চিঠিটি পড়েন। এরপর সমাপ্তির গান গেয়ে ও হৃদয় থেকে প্রার্থনা করে গ্র্যাজুয়েশন কার্যক্রম শেষ হয়। কিন্তু ১০৫তম ক্লাসের ছাত্রদের জন্য এটি ছিল কেবল আরম্ভ মাত্র, কারণ নতুন মিশনারিদের জন্য “বড় বড় কাজের প্রবেশদ্বার খোলা ছিল।”

[২৩ পৃষ্ঠার বাক্স]

ক্লাসের পরিসংখ্যান

প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলির সংখ্যা: ৯

নিযুক্তিকৃত দেশগুলির সংখ্যা: ১৭

ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা: ৪৮

বিবাহিত দম্পতিদের সংখ্যা: ২৪

গড় বয়স: ৩৩

সত্যে থাকার গড় বয়স: ১৬

পূর্ণ-সময় পরিচর্যার গড় বছর: ১২

[২৪ পৃষ্ঠার বাক্স]

তারা পূর্ণ-সময়ের পরিচর্যাকে বেছে নিয়েছিলেন

১০৫তম গিলিয়েড ক্লাসের একজন ছাত্র বেন বলেন “আমি যখন ছোট ছিলাম, আমি কোনদিন ভাবিনি যে আমি অগ্রগামীর কাজ করব।” তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভাবতাম যে কেবল যাদের বিশেষ দক্ষতা আছে ও যারা ভাল পরিস্থিতির মধ্যে থাকেন কেবল তারাই অগ্রগামীর কাজ করতে পারেন। কিন্তু আমি প্রচার কাজকে ভালবাসতে শিখেছিলাম। তারপর এক দিন আমি বুঝেছিলাম যে অগ্রগামী হওয়ার মানে হচ্ছে যে প্রচারে বেশি করে অংশ নেওয়া। আর তখনই আমি উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম যে আমি অগ্রগামী হতে পারি।’

লুসিয়া জানান “আমাদের ঘরে পূর্ণ-সময়ের সেবকদের সবসময়েই খুব সম্মানের চোখে দেখা হয়।” তিনি বলেন প্রত্যেকবার মিশনারিরা যখন তাদের মণ্ডলী পরিদর্শন করতে আসতেন, পুরো মণ্ডলী খুশিতে ভরে উঠত। তিনি বলেন, “আমি বড় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ঘরে এরকমই মনে করা হয়েছিল যে আমি পূর্ণ-সময়ের পরিচারক হব।”

১৫ বছর বয়সে থিয়োডিস তার মাকে হারিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “সেই সময়ে মণ্ডলী আমাকে সত্যিই সবরকমভাবে সাহায্য করেছিল, তাই আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য আমি কী করতে পারি?’” আর সেইজন্যেই আমি আজকে পূর্ণ-সময়ের পরিচর্যা শুরু করেছিলাম আর এখন আমি মিশনারির কাজ করছি।

[২৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অফ গিলিয়েডের ১০৫তম গ্র্যাজুয়েটিং ক্লাস

নিম্নলিখিত তালিকাতে সামনে থেকে পিছনে সারিগুলিকে সংখ্যান্বিত করা হয়েছে এবং প্রত্যেক সারিতে বামদিক থেকে ডানদিকে নামগুলি তালিকা বদ্ধ করা হয়েছে

(১) স্যাম্পসন, এম.; ব্রাউন, আই.; হেগলি, জি.; অবুয়েন, ই.; ডেবোয়া, এম.; পুরটি, পি. (২) কাসম, জি.; লিন্ডবার্গ, আর.; ডাপুজো, এ.; টেলর, সি.; লাফেভরে, কে.; ওয়াকার, এস. (৩) বেকর, এল.; পেলাস, এম.; ওয়াগন, ই.; বোনে, সি.; আস্পলান্ড, জে.; হেইলে, জে. (৪) পুরটি, টি.; উইতাকার, জে.; পামর, এল.; নরটন, এস.; গারিং, এম.; হেইলি, ডব্লু. (৫) ওয়াকার, জে.; বোনে, এ.; গ্রুনভেল্ড, সি.; ওয়াসিংটন, এম.; উইতাকার, ডি.; অবুয়েন, জে. (৬) গারিং, ডব্লু.; ওয়াসিংটন, কে.; পেলাস, এম.; ডেবোয়া, আর.; হেগলি, টি.; আস্পলান্ড, এ. (৭) ওয়াগন, বি.; লাফেভরে, আর.; টেলর, এল.; ব্রাউন, টি.; গ্রুনভেল্ড, আর.; পামার, আর. (৮) নরটন, পি.; স্যাম্পসন, টি.; বারকর, সি.; লিন্ডবার্গ, এম.; কাসম, এম.; ডাপুজো, এম.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার