ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ৪/১ পৃষ্ঠা ২০-২২
  • কে আপনার চিন্তাভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • কে আপনার চিন্তাভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে?
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • শয়তানের ছাঁচে গড়ে ওঠা?
  • কী হচ্ছে তা জানুন
  • যিহোবার ছাঁচে গড়ে উঠতে চাওয়া
  • আমাদের কুম্ভকার হিসেবে যিহোবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৬
  • যিহোবার শাসন যেন আপনাকে গঠন করে
    ২০১৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনার চিন্তাভাবনা ও আচরণে রদবদল করার জন্য যিহোবা আপনাকে গঠন করুক
    আমাদের খ্রিস্টীয় জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা ২০১৭
  • আপনার মনের বিরুদ্ধে করা যুদ্ধে জয়ী হোন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ৪/১ পৃষ্ঠা ২০-২২

কে আপনার চিন্তাভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে?

“আমার যা খুশি আমি তাই ভাবব, আমার যা খুশি আমি তাই করব, কাউকে কিছু বলে দিতে হবে না!” জোর দিয়ে এই কথাগুলো বলা বোঝায় যে নিজের ওপর আর নিজের মতামতের ওপর আপনার খুব বেশি আস্থা আছে। আপনিও কি এইরকমই ভাবেন? এটা ঠিক যে আপনার নিজস্ব সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। কিন্তু অন্যের পরামর্শ সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করে দেওয়াটা কি বুদ্ধিমানের কাজ? হতে পারে যে তা মানলে হয়ত আপনার ভাল হবে। ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আসলেই কি কেউ কখনও আপনাকে সাহায্য করতে পারেন না? কিন্তু এটাও কি হতে পারে যে একেবারে আপনার অজান্তেই কেউ না কেউ আপনার মনের ওপর প্রভাব ফেলছেন?

হিটলারের প্রচার মন্ত্রী, যোসেফ গোবেলসের উদাহরণের কথা চিন্তা করুন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে তিনি জার্মান চলচ্চিত্র শিল্প পরিচালনার ভার নেন। কেন? কারণ তিনি বুঝতে পারেন যে এটা তার জন্য খুব জোরালো একটা অস্ত্র হবে যা দিয়ে তিনি “লোকেদের ধারণা ও তাদের আচরণের ওপর প্রভাব” ফেলতে পারবেন। (প্রপাগান্ডা অ্যান্ড জার্মান সিনেমা ১৯৩৩—১৯৪৫) আর আপনি হয়ত জানেন যে কত খারাপভাবে তিনি এটা ও অন্যান্য মাধ্যমকে কাজে লাগিয়েছিলেন। তিনি সাধারণ লোকেদের, সাধাসিধে যুক্তিবাদী লোকেদের তার হাতের পুতুল করে তুলেছিলেন আর তাদের নাৎসী চিন্তাধারাকে অন্ধভাবে মেনে নেওয়ার জন্য উসকেছিলেন।

তাই এটা সত্যি যে আপনি যেভাবে ভাবেন ও তার ফলে আপনি যেভাবে কাজ করেন তাতে সবসময়ই সেই লোকেদের অনুভূতি ও চিন্তাধারার কোন না কোন প্রভাব থেকেই যায় যাদের কথা আপনি শোনেন। অবশ্য তাতে দোষের কিছু নেই। আর তারা যদি এমন লোক হন যারা অন্তর থেকে আপনার ভাল চান যেমন আপনার শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধব কিংবা বাবামা, তাহলে তাদের পরামর্শ ও উপদেশ আপনার জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু তারা যদি এমন লোক হন যারা শুধু নিজেদের স্বার্থের কথাই ভাবেন আর নিজেদের চিন্তাধারা নোংরা এবং কলুষিত, তাদের থেকে সাবধান থাকুন যেমন প্রেরিত পৌল তাদেরকে “বুদ্ধিভ্রামক লোক” হিসাবে বলেছিলেন!—তীত ১:১০; দ্বিতীয় বিবরণ ১৩:৬-৮.

এই ভেবে আত্মতৃপ্ত হয়ে পড়বেন না যে আপনার ওপর কেউই কখনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। (১ করিন্থীয় ১০:১২ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) হতে পারে যে এখনই আপনার ওপর এরকম প্রভাব আছে আর তা আপনার অজান্তেই। যেমন একটা সাধারণ বিষয়ের কথাই ধরুন, আপনি কেনাকাটা করতে গিয়ে কী কিনবেন তা ঠিক করছেন। সবসময় কি আপনি একাই বুঝেশুনে সেটা ঠিক করেন? কিংবা প্রায়ই অন্যেরা যাকে আপনি দেখেননি তারা পর্যন্ত আপনার পছন্দের ওপর সূক্ষ্ম অথচ জোরালোভাবে প্রভাব ফেলেন? তদন্তকারী সাংবাদিক এরিক ক্লার্ক বলেন যে এটা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, “আমাদের ওপর বিজ্ঞাপনের প্রভাব যত বেশি থাকে তত বেশিই আমরা এর প্রভাবকে দেখতে পাই না আর আমাদের ওপর এর প্রভাব আরও বাড়তে থাকে।” তিনি আরও বলেন যে লোকেদের যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে বিজ্ঞাপন কতটা প্রভাব ফেলে বলে তারা মনে করেন, তখন “বেশিরভাগই বলেন যে এটা খুবই প্রভাব ফেলে কিন্তু তাদের বেলায় নয়।” প্রত্যেকেই মনে করেন যে অন্যেরা সহজেই এর শিকার হতে পারেন কিন্তু তারা নন। “মনে হয় যেন শুধু তার ওপরই এর কোন প্রভাব পড়ে না।”—দ্যা ওয়ান্ট মেকারস্‌।

শয়তানের ছাঁচে গড়ে ওঠা?

রোজকার বিজ্ঞাপনের প্রভাব যদি আপনার ওপর থাকেও, তার পরিণতি হয়ত খুব বেশি খারাপ নয়। কিন্তু আরেকটা প্রভাব রয়েছে যা আরও বেশি বিপদজনক। বাইবেল স্পষ্ট ভাষায় বলে যে বিপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য শয়তান হচ্ছে সবচেয়ে দক্ষ। (প্রকাশিত বাক্য ১২:৯) তার কাজ করার ধরণ মূলত একজন বিজ্ঞাপন প্রতিনিধির চিন্তাধারার মতোই যিনি বলেন যে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার দুটো উপায় আছে—“তাদেরকে লোভ দেখানো বা তাদের চিন্তাধারাকে বদলে দেওয়া।” যদি প্রচারক আর বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করার জন্য এইরকম কৌশল ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে ভেবে দেখুন শয়তান এইরকম কৌশল ব্যবহার করতে কতই না দক্ষ হবে!—যোহন ৮:৪৪.

প্রেরিত পৌল এই বিষয়টা ভালভাবে জানতেন। তিনি ভয় পান যে তার কিছু খ্রীষ্টান ভাইবোনেরা আধ্যাত্মিকভাবে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন আর তাহলে তারা সহজেই শয়তানের কবলে চলে যাবেন। তিনি লেখেন: “আশঙ্কা হইতেছে, পাছে সর্প যেমন আপন ধূর্ত্ততায় হবাকে প্রতারণা করিয়াছিল, তেমনি তোমাদের মন খ্রীষ্টের প্রতি সরলতা ও শুদ্ধতা হইতে ভ্রষ্ট হয়।” (২ করিন্থীয় ১১:৩) এই সতর্কবাণীতে কান দেওয়া খুবই জরুরি। তা না হলে আপনি তাদের মতো হয়ে পড়বেন যারা মনে করেন যে প্রচার এবং লোভ দেখানো কার্যকারী ঠিকই—“কিন্তু তাদের বেলায় নয়।” আর শয়তানের প্রচারের প্রভাব যে সত্যিই রয়েছে তা আমরা আমাদের চারপাশের নৃশংসতা, লম্পটতা আর ভণ্ডামির মধ্যে পরিষ্কার দেখতে পাই, যেগুলো এই বংশের লোকেদের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায়।

তাই পৌল তার খ্রীষ্টান ভাইবোনদের অনুরোধ করেছিলেন “এই যুগের অনুরূপ হইও না।” (রোমীয় ১২:২) বাইবেলের একজন অনুবাদক পৌলের এই কথাগুলোকে একটু ঘুরিয়ে এইভাবে বলেছিলেন: “তোমার চারপাশের জগৎকে তার মতো করে তোমাকে গড়তে দিও না।” (রোমীয় ১২:২, ফিলিপস্‌) আপনাকে তার মতো করে গড়ার জন্য শয়তান মনে প্রাণে চেষ্টা করবে, ঠিক যেমন প্রাচীনকালে কুমোররা মাটিকে নিজেদের ইচ্ছামতো আকার দিতেন ও তারা যা চাইতেন তা তৈরি করার জন্য ছাঁচে ঢালতেন। আর এই কাজে সফল হওয়ার জন্য শয়তান এই জগতের রাজনীতি, বাণিজ্য, ধর্ম এবং আমোদপ্রমোদকে ব্যবহার করার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে আছে। আর এর প্রভাব কতদূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে? এটা পুরো জগতে ছড়িয়ে আছে যেমন প্রেরিত যোহনের দিনে ছিল। যোহন বলেছিলেন যে “সমস্ত জগৎ সেই পাপাত্মার মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে।” (১ যোহন ৫:১৯; এছাড়াও ২ করিন্থীয় ৪:৪ পদ দেখুন।) যদি লোকেদের লোভ দেখানো ও তাদের চিন্তাধারাকে নোংরা করায় শয়তানের ক্ষমতা সম্বন্ধে আপনার কিছুমাত্র সন্দেহ থাকে, তাহলে মনে করে দেখুন যে কীভাবে সে ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গীকৃত, গোটা ইস্রায়েল জাতিকে পুরোপুরি বিপথে নিয়ে গিয়েছিল। (১ করিন্থীয় ১০:৬-১২) আপনার ক্ষেত্রেও কি এইরকম হতে পারে? হ্যাঁ, হতে পারে যদি আপনি আপনার মনকে শয়তানের ছলনার সামনে খুলে দেন।

কী হচ্ছে তা জানুন

এইরকম ছলনাগুলো সাধারণত তখনই আপনার চিন্তাধারার ওপর প্রভাব ফেলবে, যখন আপনি তা হতে দেবেন। ভানস্‌ প্যাকার্ড তার দ্যা হিডেন পারসুয়েডারস্‌ বইয়ে এই কথা বলেন: “এইরকম [গুপ্ত] ধোঁকাবাজের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের এখনও এক মজবুত অস্ত্র আছে: আমরা ঠিক করতে পারি যে আমরা কখনই ভুল পথে যাব না। আমরা যদি আগে থেকেই জানতে পারি যে কী হচ্ছে, তাহলে যে কোন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন না কোন উপায় আমাদের হাতে থাকে আর তখন আমাদেরকে খুব খারাপভাবে ফাঁদে ফেলা যাবে না।” এটা প্রচার ও ছলনার ক্ষেত্রেও সত্য।

আসলে ‘কী হচ্ছে তা জানতে’ চাইলে অবশ্যই ভাল বিষয়গুলোর দিকে সবসময় আপনার মনকে খুলে রাখা দরকার। শরীরের মতো মনকেও সুস্থ রাখার জন্য ঠিকমতো পুষ্টির দরকার হয়, যেন তা ঠিক-ঠিক কাজ করতে পারে। (হিতোপদেশ ৫:১, ২) পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব ঠিক ভুল তথ্যের মতোই মারাত্মক হতে পারে। তাই এটা যেমন সত্যি যে আপনার মনকে ভুল ধারণা ও দর্শন থেকে রক্ষা করা দরকার, তেমনই আপনাকে দেওয়া সমস্ত উপদেশ অথবা তথ্যের প্রতি বিরূপ মনোভাব রাখা ও তাকে সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করে দেওয়াটাও ঠিক নয়।—১ যোহন ৪:১.

খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে করা অপপ্রচার, সৎভাবে উপদেশ দেওয়ার থেকে একেবারেই আলাদা। প্রেরিত পৌল নিশ্চয়ই যুবক তীমথিয়কে সাবধান করে দিয়েছিলেন কারণ “দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।” কিন্তু পৌল আরও বলেছিলেন: “কিন্তু তুমি যাহা যাহা শিখিয়াছ ও যাহার যাহার প্রমাণ জ্ঞাত হইয়াছ, তাহাতেই স্থির থাক; তুমি ত জান যে, কাহাদের কাছে শিখিয়াছ।” (২ তীমথিয় ৩:১৩, ১৪) যেহেতু আপনি যা মনের মধ্যে নেবেন তা কিছুটা হলেও আপনার ওপর প্রভাব ফেলবেই তাই মূল বিষয়টা হল ‘জানা যে কাহাদের কাছে আপনি শিখিয়াছেন,’ যার ফলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে তারা সেই লোক যারা নিজেদের স্বার্থ নয় কিন্তু আপনার ভাল চান।

বেছে নেওয়ার ভার আপনার। এই জগতের দর্শনবিদ্যা ও মূল্যবোধকে আপনার চিন্তাধারার ওপর প্রভাব ফেলতে দিয়ে আপনি “এই যুগের অনুরূপ” হওয়াকে বেছে নিতে পারেন। (রোমীয় ১২:২) কিন্তু এই জগৎ একেবারেই আপনার ভাল চায় না। তাই পৌল সতর্ক করেন “দেখিও, দর্শনবিদ্যা ও অনর্থক প্রতারণা দ্বারা কেহ যেন তোমাদিগকে বন্দি করিয়া লইয়া না যায়; তাহা মনুষ্যদের পরম্পরাগত শিক্ষার অনুরূপ।” (কলসীয় ২:৮) এইভাবে শয়তানের ইচ্ছামতো গড়ে ওঠা অর্থাৎ, ‘তার বন্দি’ হয়ে পড়ার জন্য বিশেষ কোন চেষ্টার দরকার হয় না। এটা পাশে বসে সিগারেটের ধোঁয়া নেওয়ার মতো। আপনি হয়ত সিগারেট খাচ্ছেন না কিন্তু সেই দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়াই আপনার জন্য ক্ষতিকারক।

তাই বাঁচার পথ হল এইরকম ‘বাতাসে’ নিঃশ্বাস না নেওয়া। (ইফিষীয় ২:২, NW) পৌলের উপদেশ মেনে চলুন: “মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি, যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।” (রোমীয় ১২:২) এর জন্য অবশ্যই প্রাণপণ চেষ্টা করা দরকার। (হিতোপদেশ ২:১-৫) মনে রাখবেন যিহোবা ধূর্ত নন। তিনি প্রয়োজনীয় সব তথ্য আমাদেরকে দেন কিন্তু এর থেকে উপকার পেতে হলে আপনাকে তা শুনতে হবে এবং আপনার চিন্তাধারার ওপর সেগুলোকে প্রভাব ফেলতে দিতে হবে। (যিশাইয় ৩০:২০, ২১; ১ থিষলনীকীয় ২:১৩) “পবিত্র শাস্ত্রকলাপ” অর্থাৎ ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য বাইবেলে যে সত্য রয়েছে তা দিয়ে মনকে ভরে রাখার ইচ্ছা আপনার থাকা দরকার।—২ তীমথিয় ৩:১৫-১৭.

যিহোবার ছাঁচে গড়ে উঠতে চাওয়া

যিহোবার ছাঁচে গড়ে উঠে উপকার পাওয়ার জন্য আপনাকে হৃদয় থেকে তাঁর কথা মানা দরকার। যিহোবা তা খুবই স্পষ্টভাবে বুঝিয়েছিলেন যখন তিনি ভাববাদী যিরমিয়কে কুম্ভকারের বাড়িতে যেতে বলেছিলেন। যিরমিয় দেখেছিলেন যে কুম্ভকার মাটি দিয়ে কোন পাত্র তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু সেটা যখন “কুম্ভকারের হস্তে নষ্ট হইয়া গেল,” তখন তিনি সেই মাটি দিয়ে অন্য কিছু বানানোর কথা ভাবেন। এরপর যিহোবা বলেন: “হে ইস্রায়েল-কুল, তোমাদের সহিত আমি কি এই কুম্ভকারের ন্যায় ব্যবহার করিতে পারি না? হে ইস্রায়েল-কুল, দেখ, যেমন কুম্ভকারের হস্তে মৃত্তিকা, তেমনি আমার হস্তে তোমরা।” (যিরমিয় ১৮:১-৬) কিন্তু এর মানে কি এই যে ইস্রায়েলীয়রা যিহোবার হাতে প্রাণহীন মাটির ডেলার মতো ছিল যা দিয়ে তিনি নিজের খুশি মতো পাত্র তৈরি করবেন?

যিহোবা কখনও মানুষকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করানোর জন্য তাঁর অসীম ক্ষমতা ব্যবহার করেন না কিংবা তিনি খুঁতযুক্ত পাত্রের জন্যও দায়ী নন, যেমন মানুষ কুম্ভকারেরা করে থাকেন। (দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪) খুঁত সেই সময় আসে যখন যিহোবা ভালভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাঁর বিরোধিতা করা হয়। আর আপনার সঙ্গে প্রাণহীন মাটির ডেলার এটাই একটা বিরাট পার্থক্য। আপনি স্বাধীন। আর তাই তাকে কাজে লাগিয়ে আপনি যিহোবার ইচ্ছা মতো গড়ে উঠতে চাইতে পারেন কিংবা জেনেশুনে তাঁর বিরোধিতাও করতে পারেন।

আমাদের জন্য কতই না এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা! অহংকারী হয়ে “আমার যা খুশি আমি তাই করব, কাউকে কিছু বলে দিতে হবে না!” এই কথা না বলে যিহোবার কথা শোনা কতই না ভাল! আমাদের সবার যিহোবার নির্দেশনার প্রয়োজন আছে। (যোহন ১৭:৩) গীতরচক দায়ূদের মতো হোন যিনি প্রার্থনা করছিলেন: “সদাপ্রভু, তোমার পথ সকল আমাকে জ্ঞাত কর; তোমার পন্থা সকল আমাকে বুঝাইয়া দেও।” (গীতসংহিতা ২৫:৪) মনে করে দেখুন রাজা শলোমন কী বলেছিলেন: “জ্ঞানবান শুনিবে ও পাণ্ডিত্যে বৃদ্ধি পাইবে।” (হিতোপদেশ ১:৫) আপনিও কি তা শুনবেন? যদি শোনেন, তাহলে “পরিণামদর্শিতা তোমার প্রহরী হইবে, বুদ্ধি তোমাকে রক্ষা করিবে।”—হিতোপদেশ ২:১১.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার