ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ৫/১৫ পৃষ্ঠা ২৯-৩১
  • শৌল—প্রভুর একজন মনোনীত পাত্র

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • শৌল—প্রভুর একজন মনোনীত পাত্র
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • শৌলের পারিবারিক পটভূমি
  • শৌলের শিক্ষা
  • দক্ষতাকে ঠিকভাবে কাজে লাগানো
  • যিশু শৌলকে বাছাই করেন
    বাইবেল থেকে তুমি যা শিখতে পার
  • মণ্ডলী “শান্তিতে বাস করতে” থাকল
    ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়া’!
  • “বলিদান অপেক্ষা আজ্ঞাপালন উত্তম”
    ২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • এক তাড়নাকারী মহা আলোক দেখতে পান
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ৫/১৫ পৃষ্ঠা ২৯-৩১

শৌল—প্রভুর একজন মনোনীত পাত্র

তার্ষের শৌল খ্রীষ্টের অনুগামীদের বিরোধী ছিলেন ও তাদেরকে হত্যাও করতেন। কিন্তু প্রভু তার জন্য একেবারেই আলাদা কিছু ঠিক করে রেখেছিলেন। যে কাজের বিরোধিতা করার জন্য তিনি এত প্রচণ্ডভাবে লড়াই করছিলেন সেই কাজকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় তিনি এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। তার সম্বন্ধে যীশু বলেছিলেন: “জাতিগণের ও রাজগণের এবং ইস্রায়েল-সন্তানগণের নিকটে আমার নাম বহনার্থে সে [শৌল] আমার মনোনীত পাত্র।”—প্রেরিত ৯:১৫.

শৌল একজন “অপমানকারী” ছিলেন কিন্তু তার জীবন পুরোপুরি বদলে যায় যখন তাকে দয়া দেখানো হয় ও তিনি প্রভু যীশু খ্রীষ্টের একজন “মনোনীত পাত্র” হন। (১ তীমথিয় ১:১২, ১৩) স্তিফানকে পাথর মারা ও যীশুর শিষ্যদের ওপর তাড়না করায় যে শক্তি তিনি ব্যয় করতেন তা যখন শৌল খ্রীষ্টান প্রেরিত পৌল হন তখন বদলে গিয়ে একেবারেই এক ভিন্ন কাজে লাগানো হয়েছিল। এটা পরিষ্কার যে যীশু শৌলের মধ্যে কিছু গুণ দেখেছিলেন। কোন্‌ গুণগুলো? শৌল কে ছিলেন? তার জীবনের পটভূমি কীভাবে তাকে সত্য উপাসনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপযোগী করে তুলেছিল? আমরা কি তার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু শিখতে পারি?

শৌলের পারিবারিক পটভূমি

সাধারণ কাল ৩৩ সালের পঞ্চাশত্তমীর ঠিক পরেই স্তিফানের হত্যার সময়ে শৌল ‘এক যুবক’ ছিলেন। প্রায় সা.কা. ৬০-৬১ সালে ফিলীমনকে পত্র লেখার সময় তিনি “বৃদ্ধ” ছিলেন। (প্রেরিত ৭:৫৮; ফিলীমন ৯) পণ্ডিতেরা বলেন যে আগেকার দিনে ২৪ থেকে ৪০ বছর বয়সকে ‘যুবক’ আর ৫০ থেকে ৫৬ বছর বয়সকে “বৃদ্ধ” বলা হতো। তাই সম্ভবত যীশুর জন্মের অল্প কিছু বছর পর শৌলের জন্ম হয়।

সেইসময় যিহূদীরা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত। যিহূদা থেকে তাদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার কারণগুলো ছিল যিহূদীয়ার ওপর অন্য দেশগুলোর বিজয়, তাদের দাস করে নিয়ে যাওয়া, দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া, বাণিজ্য ও স্বেচ্ছায় দেশান্তর। শৌল জোর গলায় বলেন যে যদিও তাদের পরিবার বিচ্ছিন্ন যিহূদী ছিল, তবুও তারা ব্যবস্থা মানতেন আর তাই তিনি বলেন যে তিনি “অষ্টম দিনে ত্বক্‌ছেদপ্রাপ্ত, ইস্রায়েল-জাতীয় বিন্যামীন বংশীয়, ইব্রিকুলজাত ইব্রীয়, ব্যবস্থার সম্বন্ধে ফরীশী” ছিলেন। শৌলের নাম তার গোষ্ঠীরই একজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম অনুসারে রাখা হয়েছিল যিনি ছিলেন ইস্রায়েলের প্রথম রাজা। আর রোমে জন্ম গ্রহণ করায় তার্ষের শৌলের একটা ল্যাটিন নামও ছিল আর তা হল পৌলাস।—ফিলিপীয় ৩:৫, ৬ক; প্রেরিত ১৩:২১; ২২:২৫-২৯.

শৌলের রোমে জন্ম গ্রহণ করা বোঝায় যে তার কোন একজন পূর্বপূরুষ রোমীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। কীভাবে? এর বেশ কয়েকটা সম্ভাবনা রয়েছে। নাগরিকত্ব জন্মসূত্রে পাওয়া ছাড়াও তা কোন ব্যক্তি বা দলকে সম্মান দেখানোর জন্য, রাজনৈতিক কারণে কিংবা রাষ্ট্রের জন্য কিছু বিশেষ কাজ করার পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হতো। যদি কোন দাস একজন রোমীয়ের কাছ থেকে তার স্বাধীনতা কিনে নিত বা একজন রোমীয় নাগরিক একজন দাসকে মুক্ত করে দিত, তাহলে সে নিজেই রোমীয় হয়ে যেত। এইভাবে একজন রোমীয় সৈন্য যখন সেনাবাহিনী থেকে মুক্ত হতো তখন সে রোমীয় নাগরিকত্ব পেত। রোমের কিছু জায়গায় লোকেরা কিছু সময় বাস করার ফলে রোমের নাগরিক হয়ে যেতে পারত। এছাড়াও কথিত আছে যে কখনও কখনও বিরাট অংকের টাকা দিয়ে নাগরিকত্ব কেনা হতো। কিন্তু শৌলের পরিবার কীভাবে নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন তা এখনও অজানা রয়ে গেছে।

আমরা জানি যে শৌল তার্ষ নগরে বাস করতেন, যেটা ছিল রোমীয় প্রদেশ, কিলিকিয়ার (এখন দক্ষিণ তুরস্কে) রাজধানী ও প্রধান শহর। যদিও ওই এলাকায় অনেক যিহূদী লোক বাস করত কিন্তু তবুও সেখানে থাকায় শৌল পরজাতীয়দের রীতি-রেওয়াজের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। তার্ষ একটা বড় ও সমৃদ্ধশালী শহর ছিল যা হেলেনিসীয় অথবা গ্রিসীয় শিক্ষার একটা কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত ছিল। অনুমান করা হয় যে প্রথম শতাব্দীতে এখানকার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৩,০০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ ছিল। এটা এশিয়া মাইনর, সিরিয়া ও মেসোপটামিয়ার মধ্যে যোগাযোগের প্রধান পথের ওপর থাকায় এক বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল। তার্ষ সমৃদ্ধশালী শহর ছিল কারণ সেখানে ব্যাবসা বাণিজ্য করা যেত আর এর চারপাশের সমতল ভূমি খুবই উর্বর ছিল, যেখানে প্রধানত রবিশস্য, দ্রাক্ষারস এবং কাপড় উৎপাদন করা হতো। এর সমৃদ্ধ বয়ন শিল্প ছাগ-লোমের কাপড় উৎপাদন করত যার থেকে তাঁবু তৈরি করা হতো।

শৌলের শিক্ষা

শৌল অথবা পৌল নিজের ভরণপোষণ এবং মিশনারি কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁবু তৈরি করতেন। (প্রেরিত ১৮:২, ৩; ২০:৩৪) তার শহর, তার্ষে তাঁবু তৈরির কাজ খুবই সাধারণ ছিল। মনে হয় যে শৌল ছেলেবেলায় তার বাবার কাছে তাঁবু বানাতে শিখেছিলেন।

শৌলের ভাষাগত জ্ঞান—বিশেষ করে রোমের সাধারণ ভাষা, গ্রিকের ওপর তার দখল তাকে তার মিশনারি কাজে খুবই সাহায্য করেছিল। (প্রেরিত ২১:৩৭–২২:২) তার লেখার বিশ্লেষকেরা বলেন যে গ্রিক ভাষায় তার চমৎকার দখল ছিল। তার ভাষা প্রাচীন গ্রিক লেখকদের মতো বা সাহিত্যিক গ্রিকের মতো ছিল না বরং তা কিছুটা ইব্রীয় শাস্ত্রের গ্রিক অনুবাদ, সেপ্টুয়াজিন্ট এর সঙ্গে মিলে যেত যেখান থেকে তিনি প্রায়ই উদ্ধৃতি করতেন বা শব্দান্তরিত করতেন। এই কারণে পণ্ডিতেরা অনুমান করেন যে শৌল সম্ভবত কোন যিহূদী বিদ্যালয় থেকে গ্রিক ভাষায় বেশ ভালভাবেই অন্তত প্রাথমিক শিক্ষা পেয়েছিলেন। “মধ্য যুগে ভাল শিক্ষা—বিশেষ করে গ্রিক শিক্ষা—বিনামূল্যে দেওয়া হতো না; আইন অনুসারে, এর জন্য কিছু অর্থ আগাম দিতে হতো,” পণ্ডিত মার্টিন হেঞ্জেল বলেন। তাই শৌলের শিক্ষা দেখায় যে তিনি সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে এসেছেন।

সম্ভবত, যখন শৌলের বয়স ১৩ বছরেরও কম তখন থেকেই শৌল ঘর থেকে প্রায় ৮৪০ কিলোমিটার দূরে, যিরূশালেমের স্কুলে পড়াশুনা করতেন। তিনি বিখ্যাত ফরীশী শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তি গমলীয়েলের চরণে মানুষ হয়েছিলেন। (প্রেরিত ২২:৩; ২৩:৬) সেই শিক্ষা আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সমান যা যিহূদীবাদে খ্যাতি অর্জন করার জন্য সুযোগের দরজা খুলে দেয়।a

দক্ষতাকে ঠিকভাবে কাজে লাগানো

গ্রিক সংস্কৃতিতে গড়ে ওঠা রোমীয় শহরে এক যিহূদী পরিবারে জন্ম নেওয়ায় শৌল তিন ধরনের জগতের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এক মিশ্র সংস্কৃতি ও বহুভাষী পটভূমি থাকায় পৌল খুব সহজেই “সর্ব্বজনের কাছে সর্ব্ববিধ” হতে পেরেছিলেন। (১ করিন্থীয় ৯:১৯-২৩) তার রোমীয় নাগরিকত্ব পরে তাকে আইনসংগতভাবে তার পরিচর্যাকে রক্ষা করতে এবং রোমীয় সাম্রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুসমাচারকে তুলে ধরতে সম্ভবপর করেছিল। (প্রেরিত ১৬:৩৭-৪০; ২৫:১১, ১২) অবশ্যই, শৌলের পটভূমি, শিক্ষা এবং ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে পুনরুত্থিত যীশুর জানা ছিল, যিনি অননিয়কে বলেছিলেন: “তুমি যাও, কেননা জাতিগণের ও রাজগণের এবং ইস্রায়েল-সন্তানগণের নিকটে আমার নাম বহনার্থে সে আমার মনোনীত পাত্র; কারণ আমি তাহাকে দেখাইয়া দিব, আমার নামের জন্য তাহাকে কত ক্লেশ ভোগ করিতে হইবে।” (প্রেরিত ৯:১৩-১৬) শৌলের উদ্যোগকে যখন সঠিক পথে চালানো হয়েছিল তখন তা দূরদূরান্তে রাজ্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছিল।

এক বিশেষ কাজের জন্য যীশুর শৌলকে বেছে নেওয়াটা খ্রীষ্টীয় ইতিহাসে এক অসাধারণ ঘটনা ছিল। কিন্তু আজকের দিনের সমস্ত খ্রীষ্টানদের ব্যক্তিগত দক্ষতা ও গুণ রয়েছে যা সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে ভালভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। শৌল যখন বুঝেছিলেনে যে যীশু তাকে দিয়ে কী করাতে চান, তখন তিনি তা করতে পিছপা হননি। রাজ্যের কাজকে বাড়ানোর জন্য তিনি যথাসর্বস্ব করেছিলেন। আপনিও কি তাই করেন?

[পাদটীকাগুলো]

a গমলীয়েলের কাছ থেকে শৌল যে শিক্ষা পেয়েছিলেন তার বিষয় ও ধরণ জানার জন্য ১৯৯৬ সালের ১৫ই জুলাই প্রহরীদুর্গ এর ২৬-৯ পৃষ্ঠা দেখুন।

[৩০ পৃষ্ঠার বাক্স//চিত্র]

রোমীয় নাগরিকত্বের জন্য রেজিস্ট্রেশন এবং সার্টিফিকেট তৈরি করা

রোমীয় নাগরিকদের বৈধ সন্তানদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য অগস্টাস দুটো আইন প্রণয়ন করেছিলেন যা সা.কা. চতুর্থ ও নবম সালে পাস করা হয়েছিল। এই রেজিস্ট্রেশন জন্মের ৩০ দিনের মধ্যে করতে হতো। দেশে বাসকারী যে কোন পরিবারকে উপযুক্ত সরকারি অফিসে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেখাতে হতো যে এই সন্তান বৈধ এবং রোমীয় নাগরিকত্বের অধিকারী। বাবামায়ের নাম, সন্তান ছেলে না মেয়ে উল্লেখ করে তাদের নাম আর সেইসঙ্গে জন্মের তারিখও রেজিস্ট্রি করা হতো। এমনকি এই নিয়ম শুরু হওয়ার আগেও, সমস্ত রোমীয় নগর, কলোনি এবং সমস্ত এলাকার নাগরিকদের রেজিস্ট্রেশনকে আদমশুমারী করে প্রত্যেক পাঁচ বছর অন্তর অন্তর নতুনীকরণ করা হতো।

এইভাবে সরকারি দলিলপত্রের সংরক্ষণাগার থেকে ঠিক নথি দেখানো যেতে পারত। এই নথিগুলোর সার্টিফিকেট তৈরি করে বয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এরকম কাঠের ফলকে (ভাঁজ করা কাঠের তক্তায়) লিখে রাখা হতো। কয়েকজন পণ্ডিত ব্যক্তির মতে, পৌল যখন নিজেকে রোমীয় নাগরিক বলে দাবি করেছিলেন, তখন তিনি হয়তো প্রমাণের জন্য সার্টিফিকেট দেখাতে পেরেছিলেন। (প্রেরিত ১৬:৩৭; ২২:২৫-২৯; ২৫:১১) যেহেতু রোমীয় নাগরিকত্বের “পবিত্র মর্যাদা” আছে বলে মনে করা হতো আর তা একজন ব্যক্তিকে অনেক সুযোগ দিত তাই এটা জাল করা গুরুতর অপরাধ ছিল। একজনের পরিচয়কে মিথ্যা প্রমাণ করার শাস্তি ছিল মৃত্যু।

[সজন্যে]

Historic Costume in Pictures/Dover Publications, Inc., New York

[৩১ পৃষ্ঠার বাক্স//চিত্র]

শৌলের রোমীয় নাম

প্রত্যেক পুরুষ রোমীয় নাগরিকের নামের অন্ততপক্ষে তিনটে অংশ থাকত। তার একটা প্রথম নাম, একটা পারিবারিক নাম (যা তার বংশ অথবা গোষ্ঠী অনুযায়ী হবে) এবং একটা পদবি থাকত। আমাদের জানা এর এক ভাল উদাহরণ হল গায়াস জুলিয়াস সিজার। বাইবেলে কোন রোমীয় নামেরই পুরোটা দেওয়া হয়নি কিন্তু জগতের ইতিহাস দেখায় যে আগ্রিপ্পর নাম ছিল মার্কুস জুলিয়াস আগ্রিপ্প। গাল্লিয়ো ছিলেন লুসিয়াস জুনিয়াস গাল্লিয়ো। (প্রেরিত ১৮:১২; ২৫:১৩) তিন অংশযুক্ত নামের শেষ দুটো অংশ আছে এমন শাস্ত্রীয় উদাহরণগুলো হল পন্তীয় পীলাত, সের্গিয় পৌল, ক্লৌদিয় লুষিয় এবং পর্কিয় ফীষ্ট।—প্রেরিত ৪:২৭; ১৩:৭; ২৩:২৬; ২৪:২৭.

তাই ঠিক করে বলা যায় না যে পৌল নামটা শৌলের প্রথম নাম ছিল বা তার পদবি ছিল। একজন ব্যক্তির নামের সঙ্গে এমনিই আরেকটা নাম জুড়ে দেওয়া এমন অসাধারণ কিছু ছিল না, যে নাম ধরে হয়তো তার পরিবারের লোকেরা বা বন্ধুবান্ধবেরা ডাকতেন। অথবা বিকল্প হিসেবে শৌলের মতো অ-রোমীয় নামও ব্যবহার করা হতো। “[শৌল] এই নামকে রোমীয় নাম বলে ভাবাই যায় না,” একজন পণ্ডিত বলেন “কিন্তু একজন রোমীয় নাগরিককে একটা অ-রোমীয় ডাকনাম দেওয়া সত্যিই উপযুক্ত।” বহুভাষী এলাকায়, পরিস্থিতি হয়তো বলে দিতে পারে যে একজন ব্যক্তি ব্যবহারের জন্য কোন নাম বেছে নেবেন।

[সজন্যে]

Photograph by Israel Museum, ©Israel Antiquities Authority

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার