ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ৮/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • “প্রকৃত জীবন” উপভোগ করুন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “প্রকৃত জীবন” উপভোগ করুন
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • অতঃপর “প্রকৃত জীবন”
  • “প্রকৃত জীবন” একেবারে নিশ্চিত—এটাকে আঁকড়ে ধরুন!
  • যিহোবা বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের প্রতি তাঁর প্রতিজ্ঞাগুলি পরিপূর্ণ করেন
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • তাঁর উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করতে যিহোবাতে আস্থা রাখুন
    ১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • শান্তিপূর্ণ নতুন জগতে জীবন বসবাস
    শান্তিপূর্ণ নতুন জগতে জীবন বসবাস
  • নতুন জগৎ একেবারেই কাছে!
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০২১
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ৮/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭

“প্রকৃত জীবন” উপভোগ করুন

যিহোবা ঈশ্বর চিরকালকে কল্পনা করার ক্ষমতা মানুষকে দিয়েছেন। (উপদেশক ৩:১১) এইজন্যই মানুষ মৃত্যুর মুখে অসহায় বোধ করে কিন্তু এটা আবার তাদের মধ্যে বেঁচে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষাও জাগিয়ে তোলে।

ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য, বাইবেল আমাদের এক বিরাট আশা দেয়। (২ তীমথিয় ৩:১৬) যিহোবা, যিনি প্রেমের উৎস, চিরকালকে বোঝার ক্ষমতা দিয়ে মানুষকে তৈরি করে, তারপর শুধু কিছু বছর বেঁচে থাকার কথা বলতে পারেন না। আমাদেরকে শুধুই দুঃখকষ্ট পাওয়ার জন্য সৃষ্টি করা ঈশ্বরের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে একদম মেলে না। “ধৃত হইবার ও ক্ষয় পাইবার নিমিত্ত জাত বুদ্ধিবিহীন প্রাণীমাত্র পশুদের” ন্যায় আমাদের সৃষ্টি করা হয়নি।—২ পিতর ২:১২.

আদম ও হবাকে চিরকাল বেঁচে থাকার সহজাত অনুভূতি দিয়ে সৃষ্টি করে, যিহোবা ঈশ্বর “অতি উত্তম” কিছু তৈরি করেছিলেন; তিনি তাদের অনন্তকাল বেঁচে থাকার যোগ্য করে তৈরি করেছিলেন। (আদিপুস্তক ১:৩১) কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যে প্রথম দম্পতি তাদের স্বাধীন ইচ্ছার অপব্যবহার করেছিল, সৃষ্টিকর্তার আদেশ অমান্য করে তাদের সিদ্ধতা হারিয়েছিল। আর এর ফলে, তারা মারা গিয়েছিল ও তাদের সন্তানদের মধ্যে অসিদ্ধতা ও মৃত্যু ছড়িয়ে দিয়েছিল।—আদিপুস্তক ২:১৭; ৩:১-২৪; রোমীয় ৫:১২.

বাইবেল জীবনের উদ্দেশ্য ও মৃত্যু কী এই বিষয়গুলোকে রহস্যের বেড়াজালে ঘিরে রাখেনি। এটা বলে যে মৃত্যুতে “কোন কার্য্য কি সঙ্কল্প, কি বিদ্যা কি প্রজ্ঞা, কিছুই নাই।” (উপদেশক ৯:৫, ১০) অন্য কথায় বলা যায় যে মৃতেরা নিষ্প্রাণ। আত্মার অমরত্ব বাইবেলের শিক্ষা নয়, তাই বাইবেলে মৃতদের অবস্থা সম্বন্ধে কোন রহস্য নেই যা ভেদ করার প্রয়োজন আছে।—আদিপুস্তক ৩:১৯; গীতসংহিতা ১৪৬:৪; উপদেশক ৩:১৯, ২০; যিহিষ্কেল ১৮:৪.a

ঈশ্বরের একটা উদ্দেশ্য ছিল; তিনি পৃথিবীকে “অনর্থক” সৃষ্টি করেননি। পরমদেশের মতো সুন্দর অবস্থায় সিদ্ধ মানুষদের “বাসস্থানার্থে” তিনি এটাকে নির্মাণ করেছিলেন আর ঈশ্বরের এই উদ্দেশ্যর একটুও পরিবর্তন হয়নি। (যিশাইয় ৪৫:১৮; মালাখি ৩:৬) এই কথা মনে রেখেই তিনি তাঁর পুত্রকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। মৃত্যু পর্যন্ত বিশ্বস্ত থেকে যীশু খ্রীষ্ট মানবজাতিকে পাপ ও মৃত্যু থেকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাই যীশু বলেছিলেন: “ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্ত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।”—যোহন ৩:১৬.

অনেক অনেক দিন আগে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি ‘নূতন আকাশমণ্ডল ও নূতন পৃথিবী’ সৃষ্টি করবেন। (যিশাইয় ৬৫:১৭; ২ পিতর ৩:১৩) আর এই কারণেই তিনি স্বর্গীয় জীবনের জন্য কিছু বিশ্বস্ত খ্রীষ্টানদের বেছে নেন। তারা যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে মিলে একটা সরকার গঠন করবেন। বাইবেলে এটাকে “স্বর্গ-রাজ্য” বা “ঈশ্বরের রাজ্য” বলা হয়, যা “পৃথিবীস্থ সমস্তই” পরিচালনা করবে। (মথি ৪:১৭; ১২:২৮; ইফিষীয় ১:১০; প্রকাশিত বাক্য ৫:৯, ১০; ১৪:১, ৩) আমাদের পৃথিবীর সমস্ত দুষ্টতা ধ্বংস করার ও এটাকে পরিষ্কার করার পর, ঈশ্বর এক নতুন ধার্মিক মানব সমাজ বা ‘নূতন পৃথিবী’ নিয়ে আসবেন। এদের মধ্যে সেই লোকেরা থাকবেন যাদের ঈশ্বর এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থার আসন্ন ধ্বংস থেকে রক্ষা করবেন। (মথি ২৪:৩, ৭-১৪, ২১; প্রকাশিত বাক্য ৭:৯, ১৩, ১৪) পরে সেই লোকেরা তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন যাদেরকে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী পুনরুত্থানের মাধ্যমে জীবনে ফিরিয়ে আনা হবে।—যোহন ৫:২৮, ২৯; প্রেরিত ২৪:১৫.

অতঃপর “প্রকৃত জীবন”

ভবিষ্যতে পৃথিবী পরমদেশে পরিণত হবে আর সেই সময়ে জীবন সম্বন্ধে যে রোমাঞ্চকর বর্ণনা রয়েছে সেটাকে নিশ্চিত করে ঈশ্বর বলেন: “দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৫) ঈশ্বর মানবজাতির জন্য যে চমৎকার কাজগুলো করবেন তা মানুষের পক্ষে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়। ঈশ্বর এদন উদ্যানের মতো করে সারা পৃথিবীকে পরমদেশ বানাবেন। (লূক ২৩:৪৩) এদনে যেমন ছিল, ঠিক তেমনই পরমদেশে সুন্দর ও রংবেরঙের দৃশ্য, মধুর আওয়াজ ও বিভিন্ন স্বাদের জিনিস থাকবে। দরিদ্রতা ও খাদ্যাভাব থাকবে না, কারণ ওই সময় সম্বন্ধে বাইবেল বলে: “প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৪; গীতসংহিতা ৭২:১৬) সেই সময় কেউ আর বলবে না যে “আমি পীড়িত,” কেননা রোগ চিরকালের জন্য দূর হয়ে যাবে। (যিশাইয় ৩৩:২৪) সত্যি, ব্যথার সমস্ত কারণকে মুছে দেওয়া হবে যার মধ্যে মানুষের পুরনো শত্রু মৃত্যুও আছে। (১ করিন্থীয় ১৫:২৬) ‘নূতন পৃথিবী’ অর্থাৎ খ্রীষ্টের শাসনের অধীনে নতুন মানব সমাজের এক বিস্ময়কর দর্শনে, প্রেরিত যোহন এই বাণী শুনতে পেয়েছিলেন: “[ঈশ্বর] তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না।” ঈশ্বরের এই প্রতিজ্ঞার পরিপূর্ণতা ছাড়া অন্য আর কী আমাদের আরও বেশি সান্ত্বনা ও আনন্দ দিতে পারে?

ভবিষ্যৎ জীবন সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বাইবেল বিশেষ করে সেই পরিস্থিতির কথা বলে যেখানে মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক চাহিদাগুলো পূর্ণ হবে। সেই সময়ে মানুষ তার সমস্ত ভাল লক্ষ্যগুলোতে পৌঁছাতে পারবে যা পাওয়ার জন্য সে আজ পর্যন্ত অনর্থক চেষ্টা করে এসেছে। (মথি ৬:১০) এর মধ্যে রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, যা এখনও পূরণ হয়নি কারণ মানুষেরা প্রায় সবসময়ই নিষ্ঠুর শাসকদের অধীনে থেকেছে যারা দুর্বলদের ওপর কর্তৃত্ব করেছে। (উপদেশক ৮:৯) ভবিষ্যতে খ্রীষ্টের শাসনাধীনে যে পরিস্থিতি আসবে সেই বিষয়ে গীতরচক লিখেছিলেন: “তাঁর সময়ে ধার্মিকতা বৃদ্ধি পাবে ও প্রচুর শান্তি থাকবে।”—গীতসংহিতা ৭২:৭, দ্যা নিউ জেরুশালেম বাইবেল।

সমানাধিকার পেতে চাওয়া হল মানুষের আরেকটা আকাঙ্ক্ষা যার জন্য অনেকে তাদের জীবন বলি পর্যন্ত দিয়েছেন। “পুনঃসৃষ্টিকালে” ঈশ্বর উঁচু-নিচু ভেদাভেদ দূর করবেন। (মথি ১৯:২৮) সেখানে সবাই সমান হবে। কোন কঠোর সরকারের দ্বারা তা করা হবে না। বরং ভেদাভেদ সৃষ্টির কারণগুলোকে দূর করে দেওয়া হবে, যার মধ্যে লোভ ও অহংকার রয়েছে। এই লোভ ও অহংকারের জন্যই মানুষ অন্যের ওপর কর্তৃত্ব করতে চায় বা প্রচুর ধনসম্পদের মালিক হতে চায়। যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন: “লোকেরা গৃহ নির্ম্মাণ করিয়া তাহার মধ্যে বসতি করিবে, দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রস্তুত করিয়া তাহার ফল ভোগ করিবে। তাহারা গৃহ নির্ম্মাণ করিলে অন্যে বাস করিবে না, তাহারা রোপণ করিলে অন্যে ভোগ করিবে না।”—যিশাইয় ৬৫:২১, ২২.

মানুষ নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-লড়াই ও বড় বড় যুদ্ধের কারণে কত দুঃখকষ্টই না ভোগ করে আসছে! এটা হেবলের হত্যা থেকে শুরু হয়েছিল আর আজ পর্যন্ত যুদ্ধে তা ঘটে চলেছে। কত আগে থেকেই না মানুষ শান্তির আশা করেছে, তার জন্য অপেক্ষা করেছে কিন্তু সবকিছুই অনর্থক হয়েছে। কিন্তু যখন পৃথিবীকে আবার পরমদেশ করা হবে, তখন সমস্ত মানুষ শান্তিপ্রিয় ও নম্র হবে; তারা “শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।”—গীতসংহিতা ৩৭:১১.

যিশাইয় ১১:৯ পদ বলে: “সমুদ্র যেমন জলে আচ্ছন্ন, তেমনি পৃথিবী সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হইবে।” জন্মগতভাবে অসিদ্ধ হওয়ায় আর সেইসঙ্গে অন্যান্য কারণে আজকে আমাদের পক্ষে এই কথাগুলো পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়। ঈশ্বরের সিদ্ধ জ্ঞান কীভাবে আমাদেরকে তাঁর সঙ্গে সম্মিলিত করবে ও কীভাবে সেটা আমাদের জন্য পুরো আনন্দ নিয়ে আসবে তা আমাদের এখনও শেখার আছে। কিন্তু বাইবেল যেহেতু আমাদের জানায় যে যিহোবা হলেন বিস্ময়কর ক্ষমতা, প্রজ্ঞা, ন্যায়বিচার ও প্রেমের ঈশ্বর, তাই আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে তিনি ‘নতুন পৃথিবীর’ অধিবাসীদের সব প্রার্থনা শুনবেন।

“প্রকৃত জীবন” একেবারে নিশ্চিত—এটাকে আঁকড়ে ধরুন!

অনেকের কাছে এক সুন্দর জগতে চিরকাল বেঁচে থাকা একটা স্বপ্ন বা মোহ বই আর কিছু নয়। কিন্তু যারা বাইবেলের প্রতিজ্ঞাগুলোতে পুরোপুরি বিশ্বাস করেন, তাদের কাছে এটা একেবারে নিশ্চিত এক আশা। এই আশা তাদের জীবনে এক নোঙ্গরের মতো। (ইব্রীয় ৬:১৯) নোঙ্গর যেমন একটা জাহাজকে ঘাটে ভিড়িয়ে রাখে ও ভেসে যেতে দেয় না, তেমনই অনন্ত জীবনের আশা লোকেদের স্থির ও অটল রাখে আর এর ফলে তারা তাদের জীবনের জটিল সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করতে ও সেগুলো পেরিয়ে আসতে পারেন।

আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে ঈশ্বর তাঁর প্রতিজ্ঞাগুলো পূর্ণ করবেনই করবেন। তিনি এমনকি শপথ করে ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন, যার অন্যথা তিনি করতে পারেন না। প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “ঈশ্বর প্রতিজ্ঞার দায়াধিকারীদিগকে আপন মন্ত্রণার অপরিবর্ত্তনীয়তা আরও অতিরিক্তরূপে দেখাইবার বাসনায় শপথের প্রয়োগ দ্বারা মধ্যস্থতা করিলেন; অভিপ্রায় এই, যে ব্যাপারে মিথ্যাকথা বলা ঈশ্বরের অসাধ্য, এমন অপরিবর্ত্তনীয় দুই ব্যাপার দ্বারা আমরা . . . যেন দৃঢ় আশ্বাস প্রাপ্ত হই।” (ইব্রীয় ৬:১৭, ১৮) তাঁর প্রতিজ্ঞা ও শপথই হল “অপরিবর্ত্তনীয় দুই ব্যাপার” যা ঈশ্বর কখনই পরিবর্তন করতে পারেন না আর এর ওপর ভিত্তি করেই আমরা আমাদের আশাকে গড়ে তুলেছি।

ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলোতে বিশ্বাস করলে তা আমাদের অনেক সান্ত্বনা দেয় ও আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী করে। ইস্রায়েলীয় নেতা যিহোশূয়ের এইরকম বিশ্বাস ছিল। যিহোশূয় যখন ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলেছিলেন, তখন তিনি বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন এবং জানতেন যে খুব তাড়াতাড়িই তিনি মারা যাবেন। তবুও, তিনি আধ্যাত্মিক দৃঢ়তা ও অটুট নিষ্ঠা দেখিয়েছিলেন যা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলোতে তার পুরোপুরি বিশ্বাস থেকে এসেছিল। তিনি “সমস্ত জগতের যে পথ” অর্থাৎ যে পথ সমস্ত মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় সে পথে যাচ্ছেন বলার পর, যিহোশূয় বলেছিলেন: “তোমরা সমস্ত অন্তঃকরণে ও সমস্ত প্রাণে ইহা জ্ঞাত হও যে, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে যত মঙ্গলবাক্য বলিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে একটীও বিফল হয় নাই; তোমাদের পক্ষে সকলই সফল হইয়াছে, তাহার একটীও বিফল হয় নাই।” হ্যাঁ, তিনবার যিহোশূয় বলেছেন যে ঈশ্বর সবসময় তাঁর সমস্ত প্রতিজ্ঞা রাখেন।—যিহোশূয় ২৩:১৪.

যিহোশূয়ের মতো আপনিও ঈশ্বরের নতুন জগৎ সম্পর্কিত প্রতিজ্ঞায় এইরকম বিশ্বাস রাখতে পারেন যা খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠিত হবে। মন দিয়ে বাইবেল অধ্যয়ন করে আপনি বুঝতে পারবেন যে যিহোবা কে এবং কেনই বা তিনি আপনার পূর্ণ বিশ্বাস পাওয়ার যোগ্য। (প্রকাশিত বাক্য ৪:১১) অব্রাহাম, সারা, ইস্‌হাক, যাকোব ও প্রাচীনকালের অন্যান্য বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের অটুট বিশ্বাস ছিল কারণ তাদের সত্য ঈশ্বর যিহোবা সম্বন্ধে গভীর জ্ঞান ছিল। তারা যদিও বেঁচে থাকা অবস্থায় “প্রতিজ্ঞাকলাপের ফল প্রাপ্ত হন নাই,” তবুও তাদের বিশ্বাস কখনও টলমলে হয়ে পড়েনি। তারা “দূর হইতে তাহা দেখিতে পাইয়া সাদর সম্ভাষণ করিয়াছিলেন।”—ইব্রীয় ১১:১৩.

বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো বোঝার ফলে আমরা এখন দেখি যে ‘সর্ব্বশক্তিমান্‌ ঈশ্বরের মহাদিন’ এগিয়ে আসছে যখন পৃথিবী থেকে সমস্ত দুষ্টতা সরিয়ে ফেলা হবে। (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৪, ১৬) প্রাচীনকালের বিশ্বস্ত লোকেদের মতো যদি আমাদের বিশ্বাস থাকে ও সেইসঙ্গে ঈশ্বর ও ‘প্রকৃত জীবনের’ জন্য ভালবাসা থাকে, তাহলে আমরা তাদের মতো দৃঢ় থাকব ও ভবিষ্যতের বিষয়গুলোর আশায় থাকব। আমরা যদি ঈশ্বরকে খুশি করতে চাই ও চাই যে তিনি আমাদেরকে তাঁর মহাদিনে রক্ষা করুন, তাহলে এইরকম বিশ্বাস ও প্রেম গড়ে তোলা খুবই দরকার।—সফনিয় ২:৩; ২ থিষলনীকীয় ১:৩; ইব্রীয় ১০:৩৭-৩৯.

আপনি কি জীবন ভালবাসেন? আপনি কি “প্রকৃত জীবন” পেতে চান—যে জীবনে আপনি ঈশ্বরের দাস হতে পারবেন, সুখী ভবিষ্যৎ পাবেন ও অনন্ত কাল বেঁচে থাকবেন? যদি চান তাহলে প্রেরিত পৌলের পরামর্শ শুনুন যিনি লিখেছিলেন যে আমাদের “ধনের অস্থিরতার উপরে নয়, কিন্তু . . . ঈশ্বরেরই উপরে প্রত্যাশা” রাখা উচিত। পৌল আরও বলেন, ঈশ্বরের সম্মান আনে এমন ‘সৎক্রিয়ারূপ ধনে ধনবান্‌ হও,’ যাতে ‘প্রকৃত জীবন ধরিয়া রাখিতে পার।’—১ তীমথিয় ৬:১৭-১৯.

যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করার প্রস্তাবে রাজি হয়ে আপনিও সেই জ্ঞান পেতে পারেন যার মানে “অনন্ত জীবন।” (যোহন ১৭:৩) বাইবেল আমাদের সকলের জন্য আমাদের পিতার এই আমন্ত্রণকে প্রেমের সঙ্গে লিখে রাখে: “বৎস, তুমি আমার ব্যবস্থা ভুলিও না; তোমার চিত্ত আমার আজ্ঞা সকল পালন করুক। কারণ তদ্দ্বারা তুমি আয়ুর দীর্ঘতা, জীবনের বৎসর-বাহুল্য, এবং শান্তি, প্রাপ্ত হইবে।”—হিতোপদেশ ৩:১, ২.

[পাদটীকাগুলো]

a এই বিষয়ে আরও ভালভাবে জানার জন্য ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত আমরা মারা গেলে আমাদের কী হয়? (ইংরেজি) ব্রোশারটা দেখুন।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার