ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০৪ ৪/১ পৃষ্ঠা ৯-১৪
  • এক পরিবর্তনশীল জগতের আত্মাকে প্রতিরোধ করুন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • এক পরিবর্তনশীল জগতের আত্মাকে প্রতিরোধ করুন
  • ২০০৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • নৈতিক মূল্যবোধগুলোর অবক্ষয়
  • “কোন ক্রমে ভাসিয়া চলিয়া” যাবেন না
  • জগতের আত্মা শক্তিশালী
  • ঈশ্বরের আত্মা আরও বেশি শক্তিশালী
  • জগতের নয় বরং ঈশ্বরের আত্মা লাভ করুন
    ২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনি কি জগতের আত্মাকে প্রতিরোধ করছেন?
    ১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “জগতের আত্মাকে” প্রতিরোধ করুন
    ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • কেন ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা পরিচালিত হবেন?
    ২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০৪ ৪/১ পৃষ্ঠা ৯-১৪

এক পরিবর্তনশীল জগতের আত্মাকে প্রতিরোধ করুন

“আমরা জগতের আত্মাকে পাই নাই, বরং ঈশ্বর হইতে নির্গত আত্মাকে পাইয়াছি।”—১ করিন্থীয় ২:১২.

১. কোন কোন উপায়ে হবা প্রতারিত হয়েছিল?

“সর্প আমাকে ভুলাইয়াছিল।” (আদিপুস্তক ৩:১৩) এই কয়েকটা শব্দের মাধ্যমে প্রথম নারী হবা ব্যাখ্যা করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল যে, কেন সে যিহোবা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছিল। সে যা বলেছিল, তা সত্য ছিল ঠিকই কিন্তু তাই বলে সেটা তার অন্যায়কে মার্জনা করে না। প্রেরিত পৌল পরবর্তী সময়ে লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন: “[হবা] . . . প্রবঞ্চিতা হইলেন।” (১ তীমথিয় ২:১৪) সে প্রতারিত হয়ে এইরকম বিশ্বাস করেছিল যে, অবাধ্যতার একটা কাজ—নিষিদ্ধ ফল খাওয়া—তাকে উপকৃত করবে, তাকে ঈশ্বরের সমান করে তুলবে। এ ছাড়া, যে তাকে ভুল পথে চালিত করেছিল, তার পরিচয় সম্বন্ধেও সে প্রতারিত হয়েছিল। সে জানত না যে, সর্প নিছক শয়তানের হয়ে কাজ করেছিল।—আদিপুস্তক ৩:১-৬.

২. (ক) কীভাবে শয়তান আজকে লোকেদের ভ্রান্ত করে? (খ) ‘জগতের আত্মা’ কী এবং আমরা এখন কোন প্রশ্নগুলো বিবেচনা করব?

২ আদম ও হবার সময় থেকে শুরু করে শয়তান ক্রমাগত লোকেদের প্রতারিত করে চলেছে। বস্তুত, সে “সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মায়।” (প্রকাশিত বাক্য ১২:৯) তার কলাকৌশলগুলোর কোনো পরিবর্তন হয়নি। যদিও সে এখন আর কোনো আক্ষরিক সর্পকে ব্যবহার করে না কিন্তু সে সবসময় তার পরিচয় লুকিয়ে রাখে। বিনোদন শিল্প, প্রচারমাধ্যম এবং অন্যান্য উপায়ের দ্বারা শয়তান লোকেদের ভ্রান্ত করে এই বিশ্বাস করায় যে, তাদের ঈশ্বরের প্রেমময় পরিচালনার কোনো প্রয়োজন নেই বা এর থেকে তারা উপকৃত হবে না। দিয়াবলের প্রতারণার অভিযান সমস্ত জায়গার লোকেদের মধ্যে বাইবেলের আইন এবং নীতিগুলোর বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহী আত্মা বা প্রবণতা উৎপন্ন করেছে। বাইবেল এটাকে বলে ‘জগতের আত্মা।’ (১ করিন্থীয় ২:১২) এই আত্মা সেই সমস্ত লোকের বিশ্বাস, মনোভাব ও আচরণের ওপর জোরালোভাবে প্রভাব ফেলে, যারা ঈশ্বরকে জানে না। সেই আত্মা কীভাবে প্রকাশ পায় আর আমরা কীভাবে এর কলুষিত প্রভাবকে প্রতিরোধ করতে পারি? আসুন তা দেখি।

নৈতিক মূল্যবোধগুলোর অবক্ষয়

৩. কেন আধুনিক সময়ে ‘জগতের আত্মা’ ক্রমবর্ধমানভাবে প্রকাশ পাচ্ছে?

৩ আধুনিক সময়ে, ‘জগতের আত্মা’ ক্রমবর্ধমানভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। (২ তীমথিয় ৩:১-৫) আপনি সম্ভবত লক্ষ করেছেন যে, নৈতিক মূল্যবোধগুলোর অবক্ষয় হচ্ছে। শাস্ত্র ব্যাখ্যা করে যে, কেন তা হচ্ছে। ১৯১৪ সালে ঈশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর, স্বর্গে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। শয়তান এবং তার মন্দ দূতেরা পরাজিত হয়েছিল এবং তাদের পৃথিবীর সীমার মধ্যে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ক্রুদ্ধ হয়ে শয়তান বিশ্বব্যাপী প্রতারণার অভিযানকে তীব্রতর করেছে। (প্রকাশিত বাক্য ১২:১-৯, ১২, ১৭) সে যত উপায়ে পারে, ‘যদি হইতে পারে, তবে মনোনীতদিগকেও ভুলাইবার’ জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে। (মথি ২৪:২৪) ঈশ্বরের লোক হিসেবে আমরা হলাম তার প্রধান লক্ষবস্তু। সে আমাদের আধ্যাত্মিকতাকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য কঠোর চেষ্টা করে, যাতে আমরা যিহোবার অনুগ্রহ এবং অনন্তজীবনের প্রত্যাশা হারিয়ে ফেলি।

৪. যিহোবার দাসেরা বাইবেলকে কোন দৃষ্টিতে দেখে এবং জগৎ এটিকে কীভাবে দেখে?

৪ শয়তান বাইবেলের সুনামহানি করার চেষ্টা করে, যে-মূল্যবান বইটি আমাদের প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা সম্বন্ধে শিক্ষা দেয়। যিহোবার দাসেরা বাইবেলকে ভালবাসে এবং সেটিকে মূল্যবান গণ্য করে। আমরা জানি যে, এটি হল ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য, মানুষের নয়। (১ থিষলনীকীয় ২:১৩; ২ তীমথিয় ৩:১৬) কিন্তু, শয়তানের জগৎ আমাদের ভিন্নভাবে চিন্তা করাতে চায়। উদাহরণস্বরূপ, বাইবেলের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে, এমন একটা বইয়ের ভূমিকা বলে: “বাইবেল সম্বন্ধে ‘পবিত্র’ বলে কিছু নেই কিংবা এটি ‘ঈশ্বরের বাক্য’ নয়। এটি ঈশ্বর-অনুপ্রাণিত সাধুদের দ্বারা নয় বরং ক্ষমতালিপ্সু যাজকদের দ্বারা লিখিত হয়েছিল।” যারা এইরকম দাবিগুলো বিশ্বাস করতে পরিচালিত হয়, তারা সহজেই এই বিভ্রান্তিকর ধারণার ফাঁদে আটকা পড়ে যায় যে, তারা যেভাবে খুশি সেভাবে ঈশ্বরকে উপাসনা করার ব্যাপারে স্বাধীন—অথবা আদৌ তাঁকে উপাসনা না করলেও চলে।—হিতোপদেশ ১৪:১২.

৫. (ক) বাইবেলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ধর্মের বিষয়ে একজন গ্রন্থকার কী দাবি করেছিলেন? (খ) জগতের কিছু সাধারণ ধারণাকে কীভাবে বাইবেল যা বলে, সেটার সঙ্গে তুলনা করা যায়? (পরের পৃষ্ঠায় দেওয়া বাক্সটাও অন্তর্ভুক্ত করুন।)

৫ বাইবেলের ওপর সরাসরি এবং পরোক্ষ আক্রমণ ও সেইসঙ্গে যারা এটিকে সমর্থন করে বলে দাবি করে, তাদের ধর্মীয় কপটতার ফলে বাইবেলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মকে অগ্রাহ্য করা দিন দিন বেড়ে চলেছে। সংবাদমাধ্যম এবং শিক্ষিতমহলে ধর্ম আক্রমণের মুখে রয়েছে। একজন গ্রন্থকার মন্তব্য করেন: “যিহুদিধর্ম এবং খ্রিস্টধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি, যা জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে পরিব্যাপ্ত রয়েছে, তা হল নেতিবাচক। সবচেয়ে ভাল দিকটা বলতে গেলে, সেগুলোকে অদ্ভুত কিন্তু আকর্ষক হিসেবে দেখা হয়; আর সবচেয়ে খারাপ দিকটা হল সেকেলে দৃষ্টিভঙ্গি, যা মেধার পরিপক্বতাকে গুপ্ত রাখে এবং বৈজ্ঞানিক উন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই তাচ্ছিল্যের মনোভাব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে উপহাস এবং খোলাখুলি শত্রুতায় গিয়ে পৌঁছেছে।” এই শত্রুতা প্রায়ই সেই সমস্ত ব্যক্তির কাছ থেকে আসে, যারা ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং “আপনাদের তর্কবিতর্কে অসার হইয়া” পড়েছে।—রোমীয় ১:২০-২২.

৬. ঈশ্বরের দ্বারা নিন্দিত যৌন অভ্যাসগুলোর বিষয়ে জগতের কোন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে?

৬ তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, লোকেরা আচরণের ব্যাপারে ঈশ্বরের মান থেকে যেকোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি দূরে সরে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সমকামী সম্পর্ককে বাইবেল “কুৎসিত” হিসেবে বর্ণনা করে। (রোমীয় ১:২৬, ২৭) এ ছাড়া এটি এও বলে যে, যারা ব্যভিচার এবং পারদারিকতা করে চলে, তারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাবে না। (১ করিন্থীয় ৬:৯-১০) কিন্তু, অনেক দেশে এই যৌন অভ্যাসগুলোকে শুধু গ্রহণযোগ্য বলেই মেনে নেওয়া হয় না কিন্তু সেগুলোকে বইপত্র, পত্রপত্রিকা, সংগীত, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোতে মোহনীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়। যারা এই অভ্যাসগুলোর বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করে, তাদের অসহিষ্ণু, খুঁতখুঁতে এবং জ্ঞানালোকিত চিন্তাভাবনা থেকে যোগাযোগরহিত বলে মনে করা হয়। ঈশ্বরের মানগুলোকে প্রেমময় চিন্তার প্রকাশ হিসেবে না দেখে বরং জগৎ সেগুলোকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং পরিপূর্ণতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখে থাকে।—হিতোপদেশ ১৭:১৫; যিহূদা ৪.

৭. নিজেদেরকে আমাদের কোন প্রশ্নগুলো করা উচিত?

৭ ঈশ্বরের বিরোধিতা করা ক্রমবর্ধমানভাবে দৃঢ় হচ্ছে এমন এক জগতের মধ্যে আমাদের নিজেদের মনোভাব এবং মূল্যবোধগুলোর দিকে নজর দেওয়া বিজ্ঞের কাজ হবে। সময়ে সময়ে, আমাদের এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রার্থনাপূর্বক এবং সততার সঙ্গে নিজেদের পরীক্ষা করা উচিত যে, ধীরে ধীরে আমরা যিহোবার চিন্তাভাবনা এবং মানগুলো থেকে ভেসে চলে যাচ্ছি কি না। উদাহরণস্বরূপ, আমরা নিজেদের জিজ্ঞেস করতে পারি, ‘আমি কি সেই বিষয়বস্তুগুলো পোষণ করি, যা আমি কয়েক বছর আগে এড়িয়ে চলতাম? আমি কি ঈশ্বরের দ্বারা নিন্দিত অভ্যাসগুলোর ক্ষেত্রে আরেকটু প্রশ্রয়ী হয়ে উঠেছি? আমি কি অতীতে আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোকে যতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিতাম, এখন সেটার চেয়ে কম গুরত্ব দিচ্ছি? আমি যেভাবে জীবনযাপন করি, তা কি দেখায় যে আমি রাজ্যের বিষয়গুলোকে আমার জীবনের প্রথমে রাখি?’ (মথি ৬:৩৩) এই ধরনের গভীর বিবেচনা আমাদের জগতের আত্মাকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

“কোন ক্রমে ভাসিয়া চলিয়া” যাবেন না

৮. কীভাবে একজন ব্যক্তি যিহোবার কাছ থেকে ভেসে চলে যেতে পারে?

৮ সহখ্রিস্টানদের প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “যাহা যাহা শুনিয়াছি, তাহাতে অধিক আগ্রহের সহিত মনোযোগ করা আমাদের উচিত, পাছে কোন ক্রমে ভাসিয়া চলিয়া যাই।” (ইব্রীয় ২:১) ভাসতে থাকা নিয়ন্ত্রণহীন একটা জাহাজ কখনও এর গন্তব্যে পৌঁছায় না। একজন নাবিক যদি বাতাস এবং স্রোতের বিষয়ে অমনোযোগী হন, তা হলে তার জাহাজ সহজেই এক নিরাপদ পোতাশ্রয় অতিক্রম করে ভেসে চলে যেতে পারে এবং পাথুরে উপকূলের চড়ায় আটকে যেতে পারে। একইভাবে, আমরা যদি ঈশ্বরের বাক্যের মূল্যবান সত্যের বিষয়ে অমনোযোগী হই, তা হলে আমরাও সহজেই যিহোবার কাছ থেকে ভেসে চলে যেতে পারি এবং আমাদের আধ্যাত্মিক নৌকা বা জাহাজ ভগ্ন হতে পারে। এই ধরনের ক্ষতি ভোগ করার জন্য আমাদের যে পুরোপুরিভাবে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে তা নয়। বাস্তবিকপক্ষে, অনেকে হঠাৎ করে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে যিহোবাকে প্রত্যাখ্যান করে না। বেশির ভাগ সময়ই তারা ধীরে ধীরে এমন কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, যা ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়া থেকে তাদের বিক্ষিপ্ত করে। প্রায় অলক্ষিতভাবে তারা পাপের দিকে ভেসে চলে যায়। একজন ঘুমন্ত নাবিকের মতো এই ধরনের ব্যক্তিরা খুব বেশি দেরি না হওয়া পর্যন্ত জেগে ওঠে না।

৯. কোন কোন উপায়ে যিহোবা শলোমনকে আশীর্বাদ করেছিলেন?

৯ শলোমনের জীবনযাত্রার কথা বিবেচনা করুন। যিহোবা আস্থা সহকারে তার ওপর ইস্রায়েলের রাজপদ অর্পণ করেছিলেন। শলোমনকে ঈশ্বর মন্দির নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং বাইবেলের কিছু অংশ লিখতে পরিচালনা দিয়েছিলেন। যিহোবা দুবার তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং তাকে ধনসম্পদ, খ্যাতি এবং এক শান্তিপূর্ণ শাসনকাল দিয়েছিলেন। সর্বোপরি, যিহোবা প্রচুর জ্ঞান বা প্রজ্ঞা দিয়ে শলোমনকে আশীর্বাদ করেছিলেন। বাইবেল বলে: “ঈশ্বর শলোমনকে বিপুল জ্ঞান ও সূক্ষ্মবুদ্ধি এবং সমুদ্রতীরস্থ বালুকার ন্যায় চিত্তের বিস্তীর্ণতা দিলেন। তাহাতে পূর্ব্বদেশের সমস্ত লোকের জ্ঞান ও মিস্রীয়দের যাবতীয় জ্ঞান হইতে শলোমনের অধিক জ্ঞান হইল।” (১ রাজাবলি ৪:২১, ২৯, ৩০; ১১:৯) নিশ্চিতভাবেই, একজন ব্যক্তি চিন্তা করতে পারেন যে, কেউ যদি ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেই থাকেন, তা হলে তিনি হলেন শলোমন। তা সত্ত্বেও, শলোমন ধর্মভ্রষ্টতার দিকে ভেসে চলে গিয়েছিলেন। তা কীভাবে হয়েছিল?

১০. শলোমন কোন নির্দেশনার বাধ্য থাকতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং এর পরিণতি কী হয়েছিল?

১০ শলোমন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ঈশ্বরের ব্যবস্থা জানতেন এবং বুঝতেন। নিঃসন্দেহে তিনি সেই নির্দেশনাগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন, যেগুলো ইস্রায়েলে যারা রাজা হতো তাদের জন্য দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনাগুলোর একটাতে বলা ছিল: “[একজন রাজা] অনেক স্ত্রী গ্রহণ করিবে না, পাছে তাহার হৃদয় বিপথগামী হয়।” (দ্বিতীয় বিবরণ ১৭:১৪, ১৭) সেই স্পষ্ট নির্দেশনা সত্ত্বেও, শলোমনের সাতশো স্ত্রী এবং তিনশো উপপত্নী ছিল। এই স্ত্রীদের মধ্যে অনেকে বিজাতীয় দেবতাদের উপাসনা করত। আমরা জানি না যে কেন শলোমন অনেক স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন অথবা তা করাকে সঠিক বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু আমরা এটা জানি যে, তিনি ঈশ্বরের স্পষ্ট নির্দেশনার বাধ্য থাকতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এর পরিণতি ঠিক তা-ই হয়েছিল, যা হবে বলে যিহোবা সাবধান করে দিয়েছিলেন। আমরা পড়ি: “[শলোমনের] স্ত্রীরা তাঁহার হৃদয়কে অন্য দেবগণের অনুগমনে বিপথগামী করিল।” (১ রাজাবলি ১১:৩, ৪) ধীরে ধীরে—কিন্তু নিশ্চিতভাবে—তার ঈশ্বরীয় প্রজ্ঞা ম্লান হয়ে গিয়েছিল। তিনি ভেসে গিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে, ঈশ্বরের বাধ্য থেকে তাঁকে সন্তুষ্ট করতে চাওয়ার পরিবর্তে, শলোমন তার পৌত্তলিক স্ত্রীদের খুশি করতে চেয়েছিলেন। শলোমনের জন্য তা কত দুঃখজনকই না ছিল, যিনি পূর্বে এই কথাগুলো লিখেছিলেন: “বৎস, জ্ঞানবান হও; আমার চিত্তকে আনন্দিত কর; তাহাতে যে আমাকে টিট্‌কারি দেয়, তাহাকে উত্তর দিতে পারিব”!—হিতোপদেশ ২৭:১১.

জগতের আত্মা শক্তিশালী

১১. আমরা আমাদের মনের মধ্যে যা গ্রহণ করি, তা কীভাবে আমাদের চিন্তাভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে?

১১ শলোমনের উদাহরণ আমাদের শিক্ষা দেয় যে, আমরা সত্য জানি বলে জগতের প্রভাবগুলো আমাদের চিন্তাভাবনার ওপর কোনো প্রভাবই ফেলবে না, এই যুক্তি করা বিপদজনক। দৈহিক খাদ্য যেমন আমাদের দেহের ওপর প্রভাব ফেলে, ঠিক তেমনই মানসিক খাদ্য আমাদের মনের ওপর প্রভাব ফেলে। আমরা যা দিয়ে আমাদের মনকে পুষ্ট করি, তা আমাদের চিন্তাভাবনা ও মনোভাবের ওপর প্রভাব ফেলে। আর এটা বুঝতে পেরেই বিভিন্ন সংস্থা তাদের পণ্যদ্রব্যের বিজ্ঞাপনের জন্য প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে। সফল বিজ্ঞাপনগুলো ক্রেতাদের আকাঙ্ক্ষা এবং পছন্দের কাছে আবেদনময় করে তুলে ধরার জন্য চাতুর্যপূর্ণ শব্দ এবং ছবিগুলো ব্যবহার করে। বিজ্ঞাপনদাতারা এও জানে যে, কোনো বিজ্ঞাপন একবার বা দুবার দেখলেই তা সাধারণত লোকেদের সঙ্গে সঙ্গে সেই পণ্য কিনতে প্ররোচিত করবে না। কিন্তু বেশ কয়েক বার, বার বার করে দেখলে ক্রেতারা প্রায়ই সেই পণ্যকে উপযোগী হিসেবে দেখে। বিজ্ঞাপন দেওয়া সফল হয়—তা না হলে, কেউ এতে অর্থ বিনিয়োগ করত না। এটা জনগণের চিন্তাভাবনা এবং মনোভাবের ওপর জোরালো প্রভাব বিস্তার করে।

১২. (ক) শয়তান কীভাবে লোকেদের চিন্তাভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে? (খ) কী দেখায় যে, খ্রিস্টানরাও প্রভাবিত হতে পারে?

১২ একজন বিজ্ঞাপনদাতার মতো শয়তান তার ধারণাগুলোকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার দ্বারা তুলে ধরে কারণ সে জানে যে, সময়ের প্রবাহে সে লোকেদের তার চিন্তাভাবনার দিকে পরিচালিত করতে পারে। বিনোদন ক্ষেত্র এবং অন্যান্য উপায়ের মাধ্যমে শয়তান লোকেদের ভালকে মন্দ এবং মন্দকে ভাল বলে বিশ্বাস করার জন্য প্রতারিত করে। (যিশাইয় ৫:২০) এমনকি সত্য খ্রিস্টানরাও শয়তানের মিথ্যা অভিযানের ফাঁদের শিকার হয়েছে। বাইবেল সাবধান করে দেয়: “আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদিগেতে ও ভূতগণের শিক্ষামালায় মন দিয়া বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে। ইহা এমন মিথ্যাবাদীদের কপটতায় ঘটিবে, যাহাদের নিজ সংবেদ তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে।”—১ তীমথিয় ৪:১, ২; যিরমিয় ৬:১৫.

১৩. কুসংসর্গ কী আর আমাদের সংসর্গ কীভাবে আমাদের ওপর প্রভাব ফেলে?

১৩ আমাদের মধ্যে কেউই জগতের আত্মা থেকে মুক্ত নয়। শয়তানের ব্যবস্থার বাতাস এবং স্রোত অনেক শক্তিশালী। বাইবেল বিজ্ঞতার সঙ্গে আমাদের পরামর্শ দেয়: “ভ্রান্ত হইও না, কুসংসর্গ শিষ্টাচার নষ্ট করে।” (১ করিন্থীয় ১৫:৩৩) কুসংসর্গের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এমন যেকোনোকিছু বা যেকেউই—এমনকি মণ্ডলীর মধ্যেও—যারা জগতের আত্মাকে প্রতিফলিত করে। আমরা যদি যুক্তি দেখাই যে, কুসংসর্গ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না, তা হলে আমরা কি এই উপসংহারে আসব না যে, সুসংসর্গও আমাদের কোনো সাহায্য করতে পারবে না? সেটা কত ভুলই না হবে! বাইবেল এই বিষয়টাকে স্পষ্ট করে, যখন এটি বলে: “জ্ঞানীদের সহচর হও, জ্ঞানী হইবে; কিন্তু যে হীনবুদ্ধিদের বন্ধু, সে ভগ্ন হইবে।”—হিতোপদেশ ১৩:২০.

১৪. কোন কোন উপায়ে আমরা জগতের আত্মাকে প্রতিহত করতে পারি?

১৪ জগতের আত্মাকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের সেই সমস্ত বিজ্ঞ লোকের সঙ্গে মেলামেশা করতে হবে, যারা যিহোবার সেবা করে। সেই বিষয়গুলো দিয়ে আমাদের মনকে পূর্ণ রাখতে হবে, যা আমাদের বিশ্বাসকে গড়ে তোলে। প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্ত্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।” (ফিলিপীয় ৪:৮) নৈতিক দিক দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে আমরা আমাদের বিবেচনার জন্য বিষয়গুলো বাছাই করতে পারি। আমরা যেন সবসময় সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করা বেছে নিই, যেগুলো আমাদেরকে যিহোবার নিকটবর্তী করবে।

ঈশ্বরের আত্মা আরও বেশি শক্তিশালী

১৫. প্রাচীন করিন্থের খ্রিস্টানরা কীভাবে সেই শহরের অন্যান্য অধিবাসীর চেয়ে আলাদা ছিল?

১৫ যারা জগতের আত্মার দ্বারা ভ্রান্ত হয়, তাদের বিপরীতে সত্য খ্রিস্টানরা ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হয়। করিন্থ মণ্ডলীরই প্রতি পৌল লিখেছিলেন: “আমরা জগতের আত্মাকে পাই নাই, বরং ঈশ্বর হইতে নির্গত আত্মাকে পাইয়াছি, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহপূর্ব্বক আমাদিগকে যাহা যাহা দান করিয়াছেন, তাহা জানিতে পারি।” (১ করিন্থীয় ২:১২) প্রাচীন করিন্থ এমন একটা শহর ছিল, যা জগতের আত্মা দ্বারা পরিবেষ্টিত। এর অধিকাংশ অধিবাসীই এত লম্পট ছিল যে, “করিন্থীয়করণ” অভিব্যক্তিটার অর্থ হয়ে দাঁড়ায় “অনৈতিকতা অভ্যাস করা।” লোকেদের মনকে শয়তান অন্ধ করে রেখেছিল। এর ফলে, তারা সত্য ঈশ্বর সম্বন্ধে সামান্য বুঝতে পেরেছিল বা একেবারে কিছুই বোঝেনি। (২ করিন্থীয় ৪:৪) কিন্তু, যিহোবা তাঁর পবিত্র আত্মার মাধ্যমে কিছু করিন্থীয়ের চোখ খুলে দিয়েছিলেন, তাদের সত্যের জ্ঞান লাভ করতে সাহায্য করেছিলেন। তাঁর আত্মা তাদেরকে তাদের জীবনে বড় বড় পরিবর্তন করতে প্রেরণা দিয়েছিল এবং পরিচালিত করেছিল, যাতে তারা তাঁর অনুমোদন এবং আশীর্বাদ লাভ করতে পারে। (১ করিন্থীয় ৬:৯-১১) যদিও জগতের আত্মা শক্তিশালী ছিল কিন্তু যিহোবার আত্মা আরও বেশি শক্তিশালী ছিল।

১৬. কীভাবে আমরা ঈশ্বরের আত্মা লাভ করতে এবং সেটা বজায় রাখতে পারি?

১৬ আজকেও একই বিষয় সত্য। এই নিখিলবিশ্বে যিহোবার পবিত্র আত্মা হল সবচেয়ে শক্তিশালী এবং তিনি তা মুক্তহস্তে ও প্রচুররূপে সেই সমস্ত ব্যক্তিকে দিয়ে থাকেন, যারা বিশ্বাস সহকারে তা চায়। (লূক ১১:১৩) কিন্তু, ঈশ্বরের আত্মা পেতে হলে আমাদের শুধু জগতের আত্মাকে প্রতিরোধ করার চেয়েও আরও বেশি কিছু করতে হবে। আমাদের নিয়মিতভাবে অধ্যয়ন করতে এবং ঈশ্বরের বাক্যকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে, যাতে আমাদের আত্মা—আমাদের মানসিক প্রবণতা—তাঁর চিন্তাভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আমরা যদি তা করি, তা হলে যিহোবা শয়তানের যেকোনো কৌশলকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের শক্তিশালী করবেন, যা সে আমাদের আধ্যাত্মিকতাকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারে।

১৭. কোন কোন উপায়ে লোটের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সান্ত্বনাজনক হতে পারে?

১৭ যদিও খ্রিস্টানরা জগতের অংশ নয় কিন্তু তারা জগতের মধ্যেই রয়েছে। (যোহন ১৭:১১, ১৬) আমাদের মধ্যে কেউই জগতের আত্মাকে পুরোপুরিভাবে এড়াতে পারি না কারণ আমরা হয়তো এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করি বা বাস করি, ঈশ্বর বা তাঁর পথগুলোর জন্য যাদের কোনো ভালবাসাই নেই। আমরা কি লোটের মতো বোধ করি, যিনি সদোমের লোকেদের, যাদের সঙ্গে তিনি বাস করতেন, তাদের ভক্তিহীন কাজগুলোর কারণে “ক্লিষ্ট” হয়েছিলেন, এমনকি যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন? (২ পিতর ২:৭, ৮) যদি তা-ই হয়, তা হলে আমরা সান্ত্বনা পেতে পারি। যিহোবা লোটকে রক্ষা করেছিলেন এবং তাকে উদ্ধার করেছিলেন আর আমাদের জন্যও তিনি একই বিষয় করতে পারেন। আমাদের প্রেমময় পিতা আমাদের পরিস্থিতিগুলো দেখেন ও জানেন এবং তিনি আমাদের সাহায্য ও শক্তি দিতে পারেন, যা আমাদের আধ্যাত্মিকতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন। (গীতসংহিতা ৩৩:১৮, ১৯) আমরা যদি তাঁর ওপর ভরসা রাখি, তাঁর ওপর নির্ভর করি এবং তাঁকে ডাকি, তা হলে আমাদের পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, তিনি আমাদের জগতের আত্মাকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবেন।—যিশাইয় ৪১:১০.

১৮. যিহোবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে কেন আমাদের মূল্যবান গণ্য করা উচিত?

১৮ ঈশ্বর থেকে বিচ্ছিন্ন এবং শয়তানের দ্বারা প্রতারিত এক জগতে যিহোবার লোক হিসেবে আমাদের সত্যের জ্ঞান দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়েছে। তাই, আমরা এমন আনন্দ এবং শান্তি উপভোগ করি, যা জগতে নেই। (যিশাইয় ৫৭:২০, ২১; গালাতীয় ৫:২২, ২৩) আমরা পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্তজীবনের অপূর্ব আশা রাখি, যেখানে এই মৃতপ্রায় জগতের আত্মা আর থাকবে না। তাই, আমরা যেন ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের মূল্যবান সম্পর্ককে মূল্যবান গণ্য করি এবং আধ্যাত্মিকভাবে ভাসিয়ে নিয়ে যায় এমন যেকোনো মনোভাবকে সংশোধন করতে সতর্ক থাকি। আসুন, আমরা যিহোবার আরও নিকটবর্তী হই, তা হলে তিনি জগতের আত্মাকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের সাহায্য করবেন।—যাকোব ৪:৭, ৮.

আপনি কি ব্যাখ্যা করতে পারেন?

• কোন কোন উপায়ে শয়তান লোকেদের প্রতারিত ও ভ্রান্ত করেছে?

• কীভাবে আমরা যিহোবার কাছ থেকে ভেসে চলে যাওয়া এড়াতে পারি?

• কী দেখায় যে, জগতের আত্মা শক্তিশালী?

• কীভাবে আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে আত্মা পেতে পারি এবং সেটা বজায় রাখতে পারি?

[১১ পৃষ্ঠার তালিকা]

জাগতিক প্রজ্ঞা বনাম ঈশ্বরীয় প্রজ্ঞা

সত্য হল আপেক্ষিক—লোকেরা তাদের নিজেদের সত্য নিজেরা তৈরি করে।

“[ঈশ্বরের] বাক্যই সত্যস্বরূপ।”—যোহন ১৭:১৭.

কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল, তা নির্ধারণ করতে নিজের অনুভূতিগুলোর ওপর নির্ভর করুন।

“অন্তঃকরণ সর্ব্বাপেক্ষা বঞ্চক, তাহার রোগ অপ্রতিকার্য্য।”—যিরমিয় ১৭:৯.

আপনি যা চান, তা-ই করুন।

“মনুষ্য চলিতে চলিতে আপন পাদবিক্ষেপ স্থির করিতে পারে না।”—যিরমিয় ১০:২৩.

ধনসম্পদই হল সুখের চাবিকাঠি।

“ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল।”—১ তীমথিয় ৬:১০.

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]

শলোমন সত্য উপাসনা থেকে ভেসে চলে গিয়েছিলেন এবং মিথ্যা দেবতাদের দিকে ফিরেছিলেন

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

একজন বিজ্ঞাপনদাতার মতো শয়তান জগতের আত্মাকে তুলে ধরে। আপনি কি সেটাকে প্রতিরোধ করেন?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার