ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w08 ১০/১ পৃষ্ঠা ৯-১১
  • আপনার পরিকল্পনাগুলো কি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল রাখে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনার পরিকল্পনাগুলো কি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল রাখে?
  • ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • মানুষের পরিকল্পনাগুলো যখন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যকে উপেক্ষা করে
  • এক ধনী ব্যক্তির মূর্খতা
  • এক “স্বাভাবিক” জীবনযাপনের পরিকল্পনা করা
  • আপনি কি “ঈশ্বরের উদ্দেশে ধনবান্‌”?
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “তিনি . . . তোমার সমস্ত পরিকল্পনা সফল করুন”
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
  • ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন—অনন্তকালের প্রতি দৃষ্টি রেখে
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • হিতোপদেশ ১৬:৩—“তুমি যা-ই কর না কেন তার ভার সদাপ্রভুর উপর ফেলে দাও”
    বাইবেলের পদের ব্যাখ্যা
আরও দেখুন
২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w08 ১০/১ পৃষ্ঠা ৯-১১

আপনার পরিকল্পনাগুলো কি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল রাখে?

ক্লার্কস্‌ নাটক্র্যাকার নামে পরিচিত ধূসর-সাদাটে গায়কপাখিকে উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলের অরণ্যজুড়ে বিচরণ করতে দেখা যায়। এই পাখি বছরে ৩৩,০০০টার মতো দানা সংগ্রহ করে ও মাটির নীচে লুকিয়ে রাখে, কনকনে ঠাণ্ডার মাসগুলোর প্রস্তুতি হিসেবে সেগুলোকে ২,৫০০টা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মজুত করে রাখে। বাস্তবিকই, এই পাখিটা যেভাবে ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চয় করে থাকে, তা দেখায় যে, এটা “প্রবৃত্তিগতভাবে বুদ্ধিমান।”—হিতোপদেশ ৩০:২৪, NW.

মানুষ এমনকি আরও উল্লেখযোগ্য ক্ষমতার অধিকারী। যিহোবার সমস্ত পার্থিব সৃষ্টির মধ্যে মানুষেরই অতীতের অভিজ্ঞতাগুলো থেকে শেখার এবং এই শিক্ষাগুলোকে ভবিষ্যতের জন্য করা তাদের পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে প্রভাব ফেলতে দেওয়ার এক অতুলনীয় ক্ষমতা রয়েছে। “মানুষের মনে অনেক সঙ্কল্প [“পরিকল্পনা,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন] হয়,” বিজ্ঞ রাজা শলোমন বলেছিলেন।—হিতোপদেশ ১৯:২১.

তা সত্ত্বেও, ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে মানুষদের সাধারণত অনুমানের ভিত্তিতে পরিকল্পনা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি এইরকম অনুমান করেই আগামীকালের কাজগুলো নিয়ে পরিকল্পনা করেন যে, কাল সূর্য উঠবে এবং আপনি তখনও বেঁচে থাকবেন। প্রথম অনুমানটা সুপ্রতিষ্ঠিত; কিন্তু, দ্বিতীয়টা অনিশ্চিত। বাইবেল লেখক যাকোব এই বাস্তবতা তুলে ধরেছিলেন: “তোমরা ত কল্যকার তত্ত্ব জান না।”—যাকোব ৪:১৩, ১৪.

যিহোবা ঈশ্বরের এইরকম সীমাবদ্ধতা নেই। তিনি “শেষের বিষয় আদি অবধি” জানেন। তাঁর ঘোষিত উদ্দেশ্য যেকোনোভাবেই হোক, পূর্ণ হবেই। “আমার মন্ত্রণা স্থির থাকিবে,” তিনি ঘোষণা করেন, “আমি আপনার সমস্ত মনোরথ সিদ্ধ করিব।” (যিশাইয় ৪৬:১০) কিন্তু, মানবজাতির পরিকল্পনাগুলো যখন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করে, তখন কী হয়?

মানুষের পরিকল্পনাগুলো যখন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যকে উপেক্ষা করে

প্রায় ৪,০০০ বছর আগে, বাবিলের দুর্গ নির্মাতারা পরিকল্পনা করেছিল যেন মানবজাতি পৃথিবীর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। “আইস,” তারা বলেছিল। “আমরা আপনাদের নিমিত্তে এক নগর ও গগনস্পর্শী এক উচ্চগৃহ নির্ম্মাণ করিয়া আপনাদের নাম বিখ্যাত করি, পাছে সমস্ত ভূমণ্ডলে ছিন্নভিন্ন হই।”—আদিপুস্তক ১১:৪.

কিন্তু, পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ভিন্ন ছিল। নোহ ও তার ছেলেদের তিনি আদেশ দিয়েছিলেন: “তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, পৃথিবী পরিপূর্ণ কর।” (আদিপুস্তক ৯:১) বাবিলের বিদ্রোহী লোকেদের লক্ষ্যগুলোকে ঈশ্বর কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন? তিনি তাদের ভাষার ভেদ জন্মিয়েছিলেন, যাতে তারা একে অন্যের সঙ্গে ভাববিনিময় করতে না পারে। ফল কী হয়েছিল? “আর সদাপ্রভু তথা হইতে সমস্ত ভূমণ্ডলে তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিলেন।” (আদিপুস্তক ১১:৫-৮) বাবিলের নির্মাতারা এক মূল্যবান বিষয় শিখতে বাধ্য হয়েছিল। যখন মানুষের পরিকল্পনাগুলো ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের চেয়ে ভিন্ন হয়, তখন “সদাপ্রভুরই মন্ত্রণা স্থির থাকিবে।” (হিতোপদেশ ১৯:২১) আপনি কি অতীতের এইরকম শিক্ষাগুলোকে আপনার জীবনের ওপর প্রভাব ফেলতে দেন?

এক ধনী ব্যক্তির মূর্খতা

আপনি হয়তো কোনো দুর্গ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন না কিন্তু আজকে অনেকেই ব্যাঙ্কে মোটা অঙ্কের টাকা জমানোর এবং বস্তুগত সম্পদ সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করে থাকে, যাতে কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর আরামদায়কভাবে জীবনযাপন করতে পারে। একজন ব্যক্তির জন্য তার পরিশ্রমের ফল ভোগ করতে চাওয়া স্বাভাবিক। ‘প্রত্যেক মনুষ্য ভোজন পান ও সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে সুখভোগ করে,’ শলোমন লিখেছিলেন। “ইহাও ঈশ্বরের দান।”—উপদেশক ৩:১৩.

আমরা এই দানকে যেভাবে ব্যবহার করে থাকি, সেই বিষয়ে যিহোবার কাছে আমাদের নিকাশ দিতে হবে। প্রায় ২,০০০ বছর আগে, যিশু একটা দৃষ্টান্তের মাধ্যমে তাঁর শিষ্যদের কাছে এই বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “এক জন ধনবানের ভূমিতে প্রচুর শস্য উৎপন্ন হইয়াছিল। তাহাতে সে মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিল, কি করি? আমার শস্য রাখিবার ত স্থান নাই। পরে কহিল, এইরূপ করিব, আমার গোলাঘর সকল ভাঙ্গিয়া বড় বড় গোলাঘর নির্ম্মাণ করিব, এবং তাহার মধ্যে আমার সমস্ত শস্য ও আমার দ্রব্য রাখিব। আর আপন প্রাণকে বলিব, প্রাণ, বহুবৎসরের নিমিত্ত তোমার জন্য অনেক দ্রব্য সঞ্চিত আছে; বিশ্রাম কর, ভোজন পান কর, আমোদ প্রমোদ কর।” (লূক ১২:১৬-১৯) সেই ধনী ব্যক্তির লক্ষ্য যুক্তিসংগত বলেই মনে হয়, তাই নয় কি? আগে উল্লেখিত ক্লার্কস্‌ নাটক্র্যাকার পাখির মতো, দৃষ্টান্তের সেই ব্যক্তি তার ভবিষ্যতের প্রয়োজনগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে মনে হয়েছে।

কিন্তু, সেই ব্যক্তির চিন্তাধারায় ত্রুটি ছিল। যিশু আরও বলেছিলেন: “কিন্তু ঈশ্বর তাহাকে কহিলেন, হে নির্ব্বোধ, অদ্য রাত্রিতেই তোমার প্রাণ তোমা হইতে দাবি করিয়া লওয়া যাইবে, তবে তুমি এই যে আয়োজন করিলে, এ সকল কাহার হইবে?” (লূক ১২:২০) যিশু কি শলোমনের সেই বিবৃতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছিলেন যে, পরিশ্রম এবং এর ফলে যে-উত্তম বিষয়গুলো লাভ করা যায়, সেগুলোও ঈশ্বরের দান? না। যিশু আসলে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন? যিশু বলেছিলেন, “যে কেহ আপনার জন্য ধন সঞ্চয় করে, এবং ঈশ্বরের উদ্দেশে ধনবান্‌ নয়, সে এইরূপ।”—লূক ১২:২১.

যিশু তাঁর শ্রোতাদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন যে, যিহোবা চান যেন আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো করার সময় তাঁর কথা বিবেচনা করি। সেই ধনী ব্যক্তি ঈশ্বরীয় ভক্তি, প্রজ্ঞা ও প্রেমে বৃদ্ধি লাভ করার উপায়গুলো খোঁজার চেষ্টা করে ঈশ্বরের উদ্দেশে ধনবান হতে পারতেন। সেই ব্যক্তির কথাগুলো এইরকম বিষয়ে কোনোরকম আগ্রহ প্রকাশ করে না কিংবা গরিব লোকেরা যাতে কুড়াতে পারে, সেইজন্য কিছু শস্য ক্ষেত্রে ফেলে রাখার বা যিহোবার উদ্দেশে নৈবেদ্য উৎসর্গ করার কোনো ইচ্ছাও প্রকাশ করে না। এই ধরনের আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর অনুধাবন এবং নিঃস্বার্থ কাজগুলো ধনী ব্যক্তির জীবনের অংশ ছিল না। তার পরিকল্পনাগুলো পুরোপুরিভাবে তার নিজের আকাঙ্ক্ষা ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে কেন্দ্র করে ছিল।

আপনি কি লক্ষ করেছেন যে, আজকে অনেক লোকের জীবনে যিশুর বর্ণিত সেই ধনী ব্যক্তির মতো অগ্রাধিকারগুলো রয়েছে? আমরা স্বচ্ছল বা দরিদ্র যা-ই হই না কেন, দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন ও আকাঙ্ক্ষাগুলোর কারণে বিক্ষিপ্ত হয়ে আধ্যাত্মিক চাহিদাগুলোকে ঠেলে একপাশে সরিয়ে দেওয়ার দ্বারা বস্তুবাদিতাপূর্ণ মনোভাবে মগ্ন হয়ে পড়া খুব সহজ। সেই ফাঁদকে এড়ানোর জন্য আপনি কী করতে পারেন?

এক “স্বাভাবিক” জীবনযাপনের পরিকল্পনা করা

যিশুর দৃষ্টান্তের ধনী ব্যক্তির বিপরীতে, আপনার হয়তো অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে। তা ছাড়া, আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তাহলে কোনো সন্দেহ নেই যে, আপনি আপনার পরিবারের জন্য জীবনের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জোগানোর এবং যদি সম্ভব হয়, আপনার ছেলেমেয়েদের উত্তম মৌলিক শিক্ষা প্রদান করার পরিকল্পনা করেন। যদি আপনি অবিবাহিত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি সম্ভবত একটা ভাল চাকরি খোঁজার বা আপনি যে-চাকরি করছেন, সেটাতে বহাল থাকার পরিকল্পনা করছেন, যাতে আপনি অন্যদের জন্য বোঝা না হন। এগুলো হচ্ছে যুক্তিসংগত লক্ষ্য।—২ থিষলনীকীয় ৩:১০-১২; ১ তীমথিয় ৫:৮.

তা সত্ত্বেও, এমনটা হতে পারে যে, কাজ করা, ভোজন-পান করা—স্বাভাবিক জীবনধারা বলে বিবেচিত হয় এমনভাবে জীবনযাপন করা—একজন ব্যক্তিকে এমন উপায়ে জীবনযাপন করাতে পারে, যা ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করে। কীভাবে? যিশু বলেছিলেন: “বাস্তবিক নোহের সময়ে যেরূপ হইয়াছিল, মনুষ্যপুত্ত্রের আগমনও তদ্রূপ হইবে। কারণ জলপ্লাবনের সেই পূর্ব্ববর্ত্তী কালে, জাহাজে নোহের প্রবেশ দিন পর্য্যন্ত, লোকে যেমন ভোজন ও পান করিত, বিবাহ করিত ও বিবাহিতা হইত, এবং বুঝিতে পারিল [“মনোযোগ দিল,” NW] না, যাবৎ না বন্যা আসিয়া সকলকে ভাসাইয়া লইয়া গেল; তদ্রূপ মনুষ্যপুত্ত্রের আগমন হইবে।”—মথি ২৪:৩৭-৩৯.

জলপ্লাবনের আগে, বেশির ভাগ লোক সেই বিষয়গুলো উপভোগ করত, যেগুলোকে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন হিসেবে বিবেচনা করত। কিন্তু, তাদের যে-সমস্যাটা ছিল তা হল, বিশ্বব্যাপী এক জলপ্লাবনের মাধ্যমে সেই দুষ্ট জগৎকে নির্মূল করে দেওয়ার বিষয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের প্রতি তারা ‘মনোযোগ দেয়নি।’ কোনো সন্দেহ নেই যে, তারা ভেবেছিল নোহের জীবনধারা অদ্ভুত ছিল। তা সত্ত্বেও, যখন জলপ্লাবন এসেছিল, তখন নোহ ও তার পরিবারের জীবনধারাই প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞ প্রমাণিত হয়েছিল।

আজকে, প্রাপ্তিসাধ্য সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ করে যে, আমরা শেষ সময়ে বাস করছি। (মথি ২৪:৩-১২; ২ তীমথিয় ৩:১-৫) শীঘ্রই, ঈশ্বরের রাজ্য বর্তমান বিধিব্যবস্থাকে “চূর্ণ ও বিনষ্ট” করবে। (দানিয়েল ২:৪৪) সেই রাজ্যের অধীনে, পৃথিবী এক পরমদেশে পরিণত হবে। সেই রাজ্য অসুস্থতা ও মৃত্যুকে দূর করবে। (যিশাইয় ৩৩:২৪; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩-৫) পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী ঐক্যবদ্ধভাবে বাস করবে এবং খাদ্যের অভাব থেকে মুক্ত হবে।—গীতসংহিতা ৭২:১৬; যিশাইয় ১১:৬-৯.

কিন্তু, পদক্ষেপ নেওয়ার আগে যিহোবার উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাঁর রাজ্যের সুসমাচার “সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে।” (মথি ২৪:১৪) ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল রেখে প্রায় সত্তর লক্ষ যিহোবার সাক্ষি দ্বীপ ও দেশ মিলিয়ে ২৩৬টা জায়গায় চারশোরও বেশি ভাষায় সুসমাচার প্রচার করছে।

জগতের লোকেদের কাছে যিহোবার সাক্ষিদের জীবনধারাকে হয়তো কোনো কোনো দিক দিয়ে অদ্ভুত—এমনকি হাস্যকর—বলে মনে হতে পারে। (২ পিতর ৩:৩, ৪) জলপ্লাবনের আগে বসবাসকারী লোকেদের মতো আজকে অধিকাংশ লোক রোজকার জীবনের তালিকাবদ্ধ কাজগুলোর কারণে ব্যস্ত। তারা হয়তো সমাজ যেটাকে স্বাভাবিক জীবনযাপন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে, সেভাবে জীবনযাপন করতে অস্বীকার করে এমন যেকাউকে ভারসাম্যহীন বলে মনে করতে পারে। কিন্তু, ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলোর ওপর যাদের বিশ্বাস রয়েছে, তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে ঈশ্বরকে সেবা করার ওপর কেন্দ্রীভূত এক জীবন সত্যিই ভারসাম্যপূর্ণ।

তাই, আপনি ধনী বা দরিদ্র অথবা মধ্যবিত্ত যেরকমই হোন না কেন, সময়ে সময়ে নিকট ভবিষ্যতের জন্য আপনার পরিকল্পনাগুলোকে পুনর্বিবেচনা করে দেখা বিজ্ঞতার কাজ হবে। তা করার সময় নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘আমার পরিকল্পনাগুলো কি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল রাখে?’ (w০৮ ৭/১)

[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

মানবজাতির পরিকল্পনা ও ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের মধ্যে যখন সংঘাত সৃষ্টি হয়, তখন যিহোবার মন্ত্রণাই স্থির থাকবে

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিশুর বলা নীতিগল্পের ধনী ব্যক্তি তার পরিকল্পনাগুলো করার সময়, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার