ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w08 ১০/১ পৃষ্ঠা ৬-৮
  • এক পরমদেশ পৃথিবী একেবারে কাছেই!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • এক পরমদেশ পৃথিবী একেবারে কাছেই!
  • ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • এক প্রকৃত সরকার
  • “পৃথিবীনাশকদিগকে নাশ” করা
  • পরমদেশ পুনর্স্থাপিত
  • বিশ্বাস করার কারণগুলো
  • ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে যিশু যা শিক্ষা দিয়েছিলেন
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে সত্য
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০২০
  • ঈশ্বরের রাজ্য কী?
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
  • ঈশ্বরের রাজ্য কী?
    ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে কী চান?
আরও দেখুন
২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w08 ১০/১ পৃষ্ঠা ৬-৮

এক পরমদেশ পৃথিবী একেবারে কাছেই!

“হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক, তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক।” —মথি ৬:৯, ১০.

প্রভুর প্রার্থনা হিসেবে সুপরিচিত এই প্রার্থনাটি মানবজাতির জন্য আশা প্রদান করে। কীভাবে?

প্রভুর প্রার্থনা যেমন প্রকাশ করে, ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীতে ঈশ্বরের ইচ্ছা ঠিক ততখানি নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠা করবে, যেমনটা বর্তমানে স্বর্গে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর ঈশ্বরের ইচ্ছা হচ্ছে, পরমদেশ যেন পুনর্স্থাপিত হয়। (প্রকাশিত বাক্য ২১:১-৫) ঈশ্বরের রাজ্য আসলে কী আর কীভাবে এটা পৃথিবীতে পরমদেশ পুনর্স্থাপন করবে?

এক প্রকৃত সরকার

ঈশ্বরের রাজ্য হল এক প্রকৃত সরকার। যেকোনো সরকারেরই কাজ করার জন্য শাসক, আইন ও প্রজার প্রয়োজন হয়। ঈশ্বরের রাজ্য কি এই চাহিদাগুলো পূরণ করে? নীচের তিনটে প্রশ্নের বিষয়ে বাইবেলের উত্তরগুলো লক্ষ করুন:

ঈশ্বরের রাজ্যের শাসক কারা? (যিশাইয় ৩৩:২২) যিহোবা ঈশ্বর তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টকে রাজ্যের তত্ত্বাবধান করার জন্য নিযুক্ত করেছেন। (মথি ২৮:১৮) যিহোবার নির্দেশনাধীনে যিশু “সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি ও লোকবৃন্দ” থেকে সীমিত সংখ্যক ব্যক্তি বিশেষকে বাছাই করেছেন, যারা তাঁর সঙ্গে “পৃথিবীর ওপর রাজত্ব করিবে।”—প্রকাশিত বাক্য ৫:৯, ১০.

ঈশ্বরের রাজ্য এর প্রজাদের মেনে চলার জন্য কোন আইনগুলো প্রতিষ্ঠা করেছে? কিছু আইন বা আজ্ঞা পালন করতে ইতিবাচক কাজ করা আবশ্যক। যিশু সেই আইনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আজ্ঞা শনাক্ত করে বলেছিলেন: “‘তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে,’ এইটী মহৎ ও প্রথম আজ্ঞা। আর দ্বিতীয়টী ইহার তুল্য; ‘তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।’”—মথি ২২:৩৭-৩৯.

অন্যান্য আইন দেখায় যে, ঈশ্বরের রাজ্যের প্রজাদের নির্দিষ্ট কিছু কাজ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, বাইবেলে এই স্পষ্ট বিবৃতি রয়েছে: “নিজেদের ভুলিয়ো না: যারা যৌন-ক্ষেত্রে দুশ্চরিত্র, পৌত্তলিক, ব্যভিচারী, সব প্রকার সমকামী, চোর, কৃপণ, মদ্যপায়ী, পরনিন্দুক, প্রবঞ্চক, তারা কেউই ঈশ্বরের রাজ্যের উত্তরাধিকারী হবে না।”—১ করিন্থীয় ৬:৯, ১০, বাংলা জুবিলী বাইবেল।

ঈশ্বরের রাজ্যের প্রজা কারা? যিশু ঈশ্বরের রাজ্যের প্রজাদেরকে মেষের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “তাহারা আমার রব শুনিবে, তাহাতে এক পাল, ও এক পালক হইবে।” (যোহন ১০:১৬) ঈশ্বরের রাজ্যের একজন প্রজা হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে শুধুমাত্র একথা বললেই হবে না যে, তিনি উত্তম মেষপালক যিশুকে অনুসরণ করেন কিন্তু সেইসঙ্গে তিনি যা যা আদেশ দেন, সেগুলো পালনও করতে হবে। যিশু বলেছিলেন: “যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পাইবে।”—মথি ৭:২১.

তাই, ঈশ্বরের রাজ্যের প্রজারা যিশুর মতো করে ঈশ্বরের যিহোবা নামকে ব্যবহার ও সম্মান করে থাকে। (যোহন ১৭:২৬) তারা অন্যদেরকে “রাজ্যের এই সুসমাচার” সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে যিশুর আদেশ মেনে চলে। (মথি ২৪:১৪; ২৮:১৯, ২০) আর তারা একে অন্যের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা দেখায়।—যোহন ১৩:৩৫.

“পৃথিবীনাশকদিগকে নাশ” করা

বর্তমান জগতের অবস্থা ইঙ্গিত করে যে, ঈশ্বরের রাজ্য শীঘ্রই পৃথিবীতে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনগুলো আনার জন্য পদক্ষেপ নেবে। কীভাবে আমরা তা জানি? দুহাজার বছর আগে, যিশু এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ চিহ্নের বিষয় বর্ণনা করেছিলেন, যেটা ইঙ্গিত করবে যে, “ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট।” (লূক ২১:৩১) পূর্ববর্তী প্রবন্ধটিতে যেমন দেখানো হয়েছে, সেই চিহ্নের বৈশিষ্ট্যগুলো এখন বিশ্বব্যাপী স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান।

এরপর কী হবে? যিশু উত্তর দেন: “তৎকালে এরূপ ‘মহাক্লেশ উপস্থিত হইবে, যেরূপ জগতের আরম্ভ অবধি এ পর্য্যন্ত কখনও হয় নাই, কখনও হইবেও না’।” (মথি ২৪:২১) এটা মানুষের সৃষ্ট কোনো বিপর্যয় নয়। এর পরিবর্তে, এটা হচ্ছে “পৃথিবীনাশকদিগকে নাশ করিবার” জন্য ঈশ্বরের কাজ। (প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮) দুষ্ট লোকেরা, যাদের স্বার্থপর কাজগুলো এই গ্রহকে একেবারে ধ্বংসের প্রান্তে নিয়ে এসেছে, তারা পৃথিবী বা “দেশ হইতে উচ্ছিন্ন হইবে।” কিন্তু, সিদ্ধ বা নির্দোষ ব্যক্তিরা, যারা ঈশ্বরকে গ্রহণযোগ্যভাবে সেবা করে, তারা “তথায় অবশিষ্ট থাকিবে।”—হিতোপদেশ ২:২১, ২২.

এইরকম কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পিছনে যিহোবা ঈশ্বরের উপযুক্ত কারণ রয়েছে। কেন? এই দৃষ্টান্তটা বিবেচনা করুন: কল্পনা করুন যে, আপনি একটা ছোটো অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের মালিক। কয়েক জন ভাড়াটিয়া ভদ্র ও বিবেচক; তারা তাদের ভাড়া পরিশোধ করে ও তাদের ঘরগুলোর উত্তম যত্ন নিয়ে থাকে। কিন্তু, অন্য ভাড়াটিয়ারা ধ্বংসাত্মক ও স্বার্থপর; তারা ভাড়া দেয় না এবং বিল্ডিংয়ের অনেক ক্ষতি করে। কয়েক বার সাবধান করার পরও, তারা খারাপ আচরণ করতেই থাকে। আপনি এখন কী করবেন? মালিক হিসেবে, আপনি নিশ্চয়ই সেই খারাপ ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করবেন।

অনুরূপভাবে, পৃথিবীর ও এখানে যা-কিছু রয়েছে সেগুলোর সৃষ্টিকর্তা হিসেবে, যিহোবা ঈশ্বরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে যে, কাদের তিনি এই গ্রহে বাস করার অনুমতি দেবেন। (প্রকাশিত বাক্য ৪:১১) যিহোবার ঘোষিত উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই পৃথিবী থেকে সেই দুষ্ট লোকেদের সরিয়ে দেওয়া, যারা তাঁর ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে অন্যদের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করে।—গীতসংহিতা ৩৭:৯-১১.

পরমদেশ পুনর্স্থাপিত

শীঘ্রই, যিশু খ্রিস্টের অধীনে ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীকে শাসন করবে। যিশু এই নতুন আরম্ভকে “সমস্তকিছুর পুনর্নবীকরণ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (মথি ১৯:২৮, নিউ ইন্টারন্যাশনাল ভারসন) সেই অবস্থা কীরকম হবে? নীচে বর্ণিত বাইবেলের প্রতিজ্ঞাগুলো লক্ষ করুন:

গীতসংহিতা ৪৬:৯. “তিনি পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত যুদ্ধ নিবৃত্ত করেন।”

যিশাইয় ৩৫:১. “প্রান্তর ও জলশূন্য স্থান আমোদ করিবে, মরুভূমি উল্লাসিত হইবে, গোলাপের ন্যায় উৎফুল্ল হইবে।”

যিশাইয় ৬৫:২১-২৩. “আমার মনোনীত লোকেরা দীর্ঘকাল আপন আপন হস্তের শ্রমফল ভোগ করিবে। তাহারা বৃথা পরিশ্রম করিবে না, বিহ্বলতার নিমিত্ত সন্তানের জন্ম দিবে না।”

যোহন ৫:২৮, ২৯. “এমন সময় আসিতেছে, যখন কবরস্থ সকলে [যিশুর] রব শুনিবে, এবং বাহির হইয়া আসিবে।”

প্রকাশিত বাক্য ২১:৪. “[ঈশ্বর] তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না।”

বিশ্বাস করার কারণগুলো

আপনি কি বাইবেলের প্রতিজ্ঞাগুলোতে বিশ্বাস করেন? বাইবেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, অনেকে বিশ্বাস করবে না। এটি বলে: “শেষকালে . . . উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে; তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে, এবং বলিবে, তাঁহার আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়? কেননা যে অবধি পিতৃলোকেরা নিদ্রাগত হইয়াছেন, সেই অবধি সমস্তই সৃষ্টির আরম্ভ অবধি যেমন, তেমনই রহিয়াছে।” (২ পিতর ৩:৩, ৪) কিন্তু, এইরকম উপহাসকারীরা বিরাট ভুল করে থাকে। শুধু চারটে কারণ বিবেচনা করুন যে, কেন আপনি বাইবেল যা বলে, তাতে বিশ্বাস করতে পারেন:

(১) ঈশ্বর অতীতে পৃথিবীর বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করেছেন। নোহের দিনের জলপ্লাবন হচ্ছে এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।—২ পিতর ৩:৫-৭.

(২) ঈশ্বরের বাক্য সারা পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে।

(৩) সমস্ত বিষয়ই “সৃষ্টির আরম্ভ অবধি যেমন, তেমনই” নেই। আমাদের গ্রহ নজিরবিহীন মাত্রায় সামাজিক, নৈতিক এবং পরিবেশ সংক্রান্ত অধঃপতন ভোগ করছে।

(৪) ‘রাজ্যের সুসমাচার’ এখন সারা পৃথিবীতে প্রচারিত হচ্ছে, যা ইঙ্গিত করে যে, শীঘ্রই “শেষ উপস্থিত হইবে।”—মথি ২৪:১৪.

যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে তাদের সঙ্গে ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল অধ্যয়ন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, যাতে আপনি ঈশ্বরের রাজ্যের শাসনাধীনে অনন্তজীবনের আশা সম্বন্ধে আরও বেশি শিখতে পারেন। (যোহন ১৭:৩) হ্যাঁ, মানবজাতির জন্য এক চমৎকার ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সর্বোত্তম সময় একেবারে কাছেই! আপনি কি এই ভবিষ্যতের অংশী হবেন? (w০৮ ৮/১)

[৭ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

যারা বলে যে, পরিস্থিতি সবসময় যেরকম ছিল অনেকটা সেইরকমই থাকবে, তারা বিরাট ভুল করে থাকে

[৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনি কি এই ভবিষ্যতের অংশী হবেন?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার