ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w09 ১২/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • আপনি কি পার হয়ে মাকিদনিয়াতে আসতে পারেন?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনি কি পার হয়ে মাকিদনিয়াতে আসতে পারেন?
  • ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • নিজেকে বিশ্লেষণ করুন
  • যেখানে সেবা করা যায়
  • নতুন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হওয়া
  • যিহোবার আশীর্বাদই “ধনবান করে”
  • আপনি কি ‘পার হইয়া মাকিদনিয়াতে আসিতে’ পারেন?
    ২০১১ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
  • আপনি কি বিদেশে গিয়ে কাজ করতে পারেন?
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বিদেশে সেবা করার সময় যিহোবার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক বজায় রাখুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৬
  • আপনি কি আপনার মণ্ডলীতে সাহায্য করতে পারেন?
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৬
আরও দেখুন
২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w09 ১২/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭

আপনি কি পার হয়ে মাকিদনিয়াতে আসতে পারেন?

এশিয়া মাইনরের বন্দরনগরী ত্রোয়াতে প্রেরিত পৌল এক দর্শন পেয়েছিলেন। এক মাকিদনীয় পুরুষ তাকে বিনতি করেছিলেন: “পার হইয়া মাকিদনিয়াতে আসিয়া আমাদের উপকার করুন।” পৌল এই দর্শন পাওয়ামাত্র, তিনি ও তার ভ্রমণ সঙ্গীরা ‘বুঝিয়াছিলেন’ যে, মাকিদনীয় লোকেদের কাছে “সুসমাচার প্রচার করিতে ঈশ্বর [তাহাদিগকে] ডাকিয়াছেন।” এর ফল কী হয়েছিল? মাকিদনিয়ার প্রধান নগর ফিলিপীতে লুদিয়া এবং তার পরিবার বিশ্বাসী হয়েছিল। পরে মাকিদনিয়ার রোমীয় প্রদেশের অন্যেরাও বিশ্বাসী হয়েছিল।—প্রেরিত ১৬:৯-১৫.

আজকে যিহোবার সাক্ষিদের মধ্যেও একই ধরনের উদ্যোগী মনোভাব লক্ষ করা যায়। অনেকে স্বেচ্ছায় তাদের নিজের খরচে সেই এলাকাগুলোতে গিয়েছে, যেখানে রাজ্য ঘোষকদের বেশি প্রয়োজন রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, লিসা পরিচর্যাকে তার জীবনের প্রধান বিষয় করতে চেয়েছিলেন। তিনি কানাডা থেকে কেনিয়া চলে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া, কানাডাবাসী ট্রিভর এবং এমিলিও তাদের পরিচর্যাকে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মালাউইতে চলে গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের পল এবং ম্যাগি যিহোবার সেবায় আরও বেশি করার জন্য তাদের অবসর গ্রহণকে এক সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখেছিল ও পূর্ব আফ্রিকায় চলে গিয়েছিল। আপনারও কি এক আত্মত্যাগের মনোভাব রয়েছে? আপনি কি এভাবে অন্য জায়গায় যাওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন? যদি পারেন, তাহলে বাইবেলের কোন নীতি এবং ব্যবহারিক পরামর্শগুলো আপনাকে সফল হতে সাহায্য করতে পারে?

নিজেকে বিশ্লেষণ করুন

একটা যে-বিষয় আপনাকে বিবেচনা করতে হবে তা হল, আপনার উদ্দেশ্য। যিশু বলেছিলেন মহৎ আজ্ঞাটি হল: “তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে।” তাই, বিদেশি এলাকায় সেবা করার কারণ হওয়া উচিত ঈশ্বরের প্রতি প্রেম ও শিষ্য তৈরির দায়িত্ব পালন করার এক আকাঙ্ক্ষা। যিশু আরও বলেছিলেন: “দ্বিতীয়টী ইহার তুল্য; ‘তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।’” সাহায্য করার আন্তরিক ইচ্ছার দ্বারা প্রতিবেশীর প্রতি প্রেম প্রদর্শিত হয়। (মথি ২২:৩৬-৩৯; ২৮:১৯, ২০) বিদেশে গিয়ে সেবা করার সঙ্গে সাধারণত অনেক কাজ এবং আত্মত্যাগের মনোভাব জড়িত থাকে। এটা কোনো দুঃসাহসিক অভিযান নয়। আপনাকে প্রেমের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। নেদারল্যান্ডের রেমকো এবং সুজানে, যারা এখন নামিবিয়ায় সেবা করছে, তারা এভাবে এটার সারাংশ করে, “প্রেমই আমাদের এখানে থাকতে উদ্বুদ্ধ করেছে।”

উইলি, যিনি নামিবিয়ায় একজন সীমা অধ্যক্ষ, তিনি বলেন: “যারা বিদেশি ক্ষেত্রে থেকেছে, তারা এই আশা নিয়ে সেখানে আসেনি যে, স্থানীয় ভাইয়েরা তাদের যত্ন নেবে। তারা স্থানীয় ভাইবোনদের সঙ্গে একত্রে সেবা করার, প্রচার কাজে তাদেরকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এসেছে।”

নিজের উদ্দেশ্যগুলো নিয়ে পরীক্ষা করার পর নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘আমার এমন কোন অভিজ্ঞতা রয়েছে, যেটা বিদেশি ক্ষেত্রে কার্যকারী হতে পারে? আমি কি একজন কার্যকারী পরিচারক? কোন কোন ভাষায় আমি কথা বলতে পারি? আমি কি একটা নতুন ভাষা শিখতে ইচ্ছুক?’ বিষয়টা নিয়ে আপনার পরিবারের সঙ্গে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করুন। আপনার মণ্ডলীর প্রাচীনদের সঙ্গে আলোচনা করুন। আর অবশ্যই বিষয়টা নিয়ে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করুন। এই ধরনের এক সৎ আত্মপরীক্ষা আপনাকে এটা বুঝতে সাহায্য করবে যে, এক বিদেশি ক্ষেত্রে গিয়ে সেবা করার সামর্থ্য ও দৃঢ়সংকল্প আপনার সত্যিই আছে কি না।—“নিজেকে জানুন” নামক বাক্সটা দেখুন।

যেখানে সেবা করা যায়

একটা দর্শনে পৌলকে মাকিদনিয়াতে আসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। আজকে, আমাদের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য যিহোবা অতিপ্রাকৃতিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করেন না। কিন্তু, এই পত্রিকা এবং অন্যান্য প্রকাশনার মাধ্যমে ঈশ্বরের লোকেরা যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে এমন অনেক এলাকা সম্বন্ধে জানতে পারে। তাই, শুরুতে এইরকম স্থানগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। আপনি যদি নতুন একটা ভাষা শেখার জন্য প্রস্তুত না থাকেন কিংবা বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস না করেন, তাহলে এমন কোনো দেশে গিয়ে সেবা করার কথা বিবেচনা করুন, যেখানকার প্রধান ভাষা আপনি ইতিমধ্যেই জানেন। তারপর ভিসার প্রয়োজনীয়তা, পরিবহণ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, জীবনযাপনের সাধারণ খরচ এবং আবহাওয়ার বিষয়ে খোঁজখবর নিন। আপনি হয়তো দেখতে পাবেন যে, যারা ইতিমধ্যেই সেবা করার জন্য অন্য জায়গায় গিয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলা সাহায্যকারী হতে পারে। এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রার্থনা করুন। মনে করে দেখুন যে, পৌল এবং তার সঙ্গীরা “এশিয়া দেশে বাক্য প্রচার করিতে পবিত্র আত্মাকর্ত্তৃক নিবারিত হইয়াছিলেন।” যদিও তারা বিথুনিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু “যীশুর আত্মা তাঁহাদিগকে” সেখানে যেতে ‘দেয় নাই।’ একইভাবে, এই বিষয়টা নির্ণয় করার জন্য হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে যে, আপনি কোথায় প্রকৃতরূপে সাহায্যকারী হতে পারেন।—প্রেরিত ১৬:৬-১০.

এই সময়ের মধ্যে, আপনি হয়তো কয়েকটা বাস্তবসম্মত বাছাই শনাক্ত করেছেন। আপনি যদি বিদেশে গিয়ে সেবা করার কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে যে-দেশগুলোর কথা আপনার মাথায় রয়েছে, সেখানকার যিহোবার সাক্ষিদের শাখা অফিসে চিঠি লিখুন। আপনার ঈশতান্ত্রিক পটভূমি সম্বন্ধে উল্লেখ করুন এবং সেইসঙ্গে আপনার মনে যদি নির্দিষ্ট কোনো প্রশ্ন থাকে যেমন, জীবনযাত্রার খরচ, কোন ধরনের থাকার জায়গা আপনি খুঁজে পেতে পারেন, প্রাপ্তিসাধ্য স্বাস্থ্য পরিসেবা এবং চাকরির কীরকম সুযোগ রয়েছে, সেই বিষয়ে জিজ্ঞেস করুন। এরপর আপনার চিঠি বা চিঠিগুলো আপনার মণ্ডলীর পরিচর্যা কমিটিকে দিন। তারা আপনার চিঠির সঙ্গে তাদের সুপারিশপত্র যুক্ত করবে এবং আপনি যে-শাখা অফিসগুলোর বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, সেখানে সরাসরি পাঠিয়ে দেবে। শাখা অফিসের উত্তর হয়তো আপনাকে এটা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে যে, কোথায় আপনি সবচেয়ে বেশি সাহায্যকারী হতে পারেন।

আগে যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেই উইলি বলেছিলেন: “এই ক্ষেত্রে সাধারণত তারাই ভালো করেছে, যারা প্রথমে গিয়ে দেশটা দেখে এসেছে এবং সেই স্থানগুলো খুঁজেছে, যেখানে তারা বাস্তবসম্মতভাবে সুখী হতে পারবে। এক দম্পতি বুঝতে পেরেছিল যে, এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা তাদের জন্য কঠিন হবে। তাই, তারা এমন একটা ছোটো শহরে বাস করেছিল, যেখানে প্রকাশকদের প্রয়োজন ছিল কিন্তু একইসময়ে তারা এমনভাবে জীবনযাপন করতে পেরেছে, যা তাদেরকে সুখী হতে সাহায্য করেছে।”

নতুন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হওয়া

নিজের দেশ ছাড়া এবং একেবারে নতুন এক পরিবেশে প্রবেশ করা নিঃসন্দেহে আপনার জন্য কিছু প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আসবে। “একাকিত্বের অনুভূতি হয়তো খুবই তীব্র হতে পারে,” আগে উল্লেখিত লিসা বলেন। কী তাকে সাহায্য করে? তার নতুন বাড়ির স্থানীয় মণ্ডলীর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকা। প্রত্যেকের নাম জানাকে তিনি এক লক্ষ্য করে তুলেছিলেন। তা অর্জন করার জন্য তিনি সভাগুলোতে আগে আগে উপস্থিত হতেন এবং সভার পরে ভাইবোনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনেকক্ষণ থাকতেন। লিসা পরিচর্যায় অন্যদের সঙ্গে কাজ করতেন, অনেককে তার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাতেন এবং নতুন নতুন বন্ধু তৈরি করতেন। তিনি বলেন: “এই ত্যাগস্বীকারগুলো করার জন্য আমি আপশোস করি না। যিহোবা সত্যিই আমাকে আশীর্বাদ করেছেন।”

সন্তানদের মানুষ করে তোলার পর, পল ও ম্যাগি ৩০ বছর ধরে তারা যেখানে বাস করত, সেখান থেকে অন্য স্থানে চলে গিয়েছিল। পল বলেন: “বিষয়সম্পত্তি ত্যাগ করা অপ্রত্যাশিতভাবে সহজ ছিল। কিন্তু, পরিবারকে ছেড়ে আসা প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, আমরা যতটা ধারণা করেছিলাম, তার চেয়েও বেশি কষ্টকর। প্লেনে বসে আমরা অনেক কেঁদেছিলাম। এরকম চিন্তা করা খুবই সহজ যে, ‘আমরা এটা করতে পারব না।’ কিন্তু, আমরা যিহোবার ওপর নির্ভর করেছিলাম। নতুন নতুন বন্ধু তৈরি করা আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে চলার সংকল্পকে বৃদ্ধি করে।”

গ্রেগ ও ক্রিস্টাল কানাডা থেকে নামিবিয়ায় যাওয়া বেছে নিয়েছিল কারণ তারা সেই দেশের সরকারি ভাষা ইংরেজিতে কথা বলত। কিন্তু পরে তারা বুঝতে পেরেছিল যে, একটা স্থানীয় ভাষা শেখা কত ব্যবহারিক হবে। “কখনো কখনো আমরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়তাম। কিন্তু, একমাত্র স্থানীয় ভাষা শেখার পরই আমরা সংস্কৃতিকে বুঝতে পেরেছিলাম। স্থানীয় ভাইবোনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করা আমাদের নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছিল।”

এই ধরনের এক নম্র ও ইচ্ছুক মনোভাব স্থানীয় ভাইবোনদের ওপরও এক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জেনি আনন্দের সঙ্গে সেই পরিবারগুলোর কথা স্মরণ করেন, যারা আয়ার্ল্যান্ডে চলে এসেছিল, যেখানে তিনি বড়ো হয়ে উঠেছিলেন। “তারা অতিথিপরায়ণ ছিল,” তিনি বলেন। “তারা সত্যি সত্যিই সেবা করতে এসেছিল, সেবা পেতে নয়। তারা এত উদ্যোগী ও আনন্দিত ছিল যে, আমিও যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানে গিয়ে সেবা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম।” জেনি এখন তার স্বামীর সঙ্গে মিশনারি হিসেবে গ্যাম্বিয়াতে সেবা করছেন।

যিহোবার আশীর্বাদই “ধনবান করে”

মাকিদনিয়ায় পৌলের অভিজ্ঞতা কতই না সমৃদ্ধ ছিল! প্রায় দশ বছর পরে, তিনি ফিলিপীর ভাইদের উদ্দেশে লিখেছিলেন: ‘যখনই তোমাদিগকে স্মরণ হয়, আমি আমার ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিয়া থাকি।’—ফিলি. ১:৩, ৪.

ট্রিভর ও এমিলি, যারা ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অভ্‌ গিলিয়েড-এ আমন্ত্রণ লাভ করার আগে পর্যন্ত মালাউইতে সেবা করেছিল, তারাও একইরকম অনুভব করে। “মাঝে মাঝে আমরা ভাবতাম যে, আমরা সঠিক বিষয় করছি কি না কিন্তু আমরা সুখী ছিলাম। আমরা একে অপরের সান্নিধ্যে ছিলাম এবং যিহোবার আশীর্বাদ অনুভব করেছিলাম।” আগে উল্লেখিত গ্রেগ এবং ক্রিস্টাল জানায়, “আমরা এর চেয়ে ভালো আর কিছু করতে পারতাম না।”

এটা ঠিক যে, প্রত্যেকেরই বিদেশে গিয়ে সেবা করার মতো পরিস্থিতি থাকবে না। কেউ কেউ নিজের দেশেই এমন একটা জায়গায় চলে যাওয়ার দ্বারা আরও ভালো কিছু করতে পারে, যেখানে প্রকাশকদের বেশি প্রয়োজন আছে। অন্যেরা তাদের বাড়ির কাছাকাছি মণ্ডলীগুলোতে সেবা করার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল, “প্রভুর [“যিহোবার,” NW]” সেবায় আপনার যথাসাধ্য করা। (কল. ৩:২৩) এইভাবে, অনুপ্রাণিত এই কথাগুলো আপনার ক্ষেত্রে সত্য হবে: “সদাপ্রভুর আশীর্ব্বাদই ধনবান করে, এবং তিনি তাহার সহিত মনোদুঃখ দেন না।”—হিতো. ১০:২২.

[৫ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

নিজেকে জানুন

আপনি এক বিদেশি ক্ষেত্রে গিয়ে সেবা করতে পারবেন কি না, তা দেখার উদ্দেশ্যে নিজেকে পরীক্ষা করার জন্য নীচের প্রশ্নগুলো বিবেচনা করুন এবং সৎভাবে ও প্রার্থনাপূর্বক বাস্তবসম্মতভাবে মূল্যায়ন করে দেখুন যে, অন্য জায়গায় গিয়ে সেবা করার বিষয়টা আপনার জন্য কি না। প্রহরীদুর্গ পত্রিকার বিগত সংখ্যাগুলো থেকে পাওয়া তথ্য আপনাকে তা করতে সাহায্য করতে পারে।

• আমি কি একজন আধ্যাত্মিকমনা ব্যক্তি?—“সুখের প্রতি পদক্ষেপগুলি” (অক্টোবর ১৫, ১৯৯৭, পৃষ্ঠা ৬)

• আমি কি একজন কার্যকারী পরিচারক?—“অগ্রগামী পরিচর্যায় যেভাবে সফল হওয়া যায়” (মে ১৫, ১৯৮৯ [ইংরেজি], পৃষ্ঠা ২১)

• আমি কি পরিবার ও বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকতে পারব?—“আপনি কি বিদেশে গিয়ে কাজ করতে পারেন?” (অক্টোবর ১৫, ১৯৯৯, পৃষ্ঠা ২৬)

• আমি কি একটা নতুন ভাষা শিখতে পারি?—“বিদেশি ভাষার এক মণ্ডলীতে সেবা করা” (মার্চ ১৫, ২০০৬, পৃষ্ঠা ১৭)

• আমি কি অন্য জায়গায় যাওয়ার খরচ জোগাতে পারব?—“আপনি কি বিদেশে গিয়ে কাজ করতে পারেন?” (অক্টোবর ১৫, ১৯৯৯, পৃষ্ঠা ২৩)

[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

এক নম্র ও ইচ্ছুক মনোভাব স্থানীয় ভাইবোনদের ওপর এক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

যাদের অন্যদের সেবা করার মনোভাব রয়েছে, তারাই সফল হয়

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার