ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w15 ৭/১ পৃষ্ঠা ৩-৫
  • “শেষ”​—এর অর্থ কী?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “শেষ”​—এর অর্থ কী?
  • ২০১৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • শেষ বলতে যা বোঝায় না
  • শেষ বলতে যা বোঝায়
  • জগতের শেষ ভীতিকর, রোমাঞ্চকর ও হতাশাজনক
    ২০১৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • এই জগৎ কি সত্যিই শেষ হয়ে যাবে?
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০২১
  • এই জগৎ কি রক্ষা পাবে?
    এই জগৎ কি রক্ষা পাবে?
  • শেষ কখন আসবে? যিশু যা বলেছিলেন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০২১
২০১৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w15 ৭/১ পৃষ্ঠা ৩-৫
একজন মহিলা সব কিছু শেষ হতে দেখে ভয় পাচ্ছন আর তার চারপাশের লোকেরা আগুন, ধোঁয়া এবং ধ্বংসতূপ থেকে পালানোর চষ্টা করছ

প্রচ্ছদ বিষয় | শেষ কি খুব কাছেই?

“শেষ”​—এর অর্থ কী?

“শেষ খুব কাছেই!” আপনি যখন এই কথাগুলো শোনেন, তখন আপনার মনে কোন বিষয়টা ভেসে ওঠে? আপনার কি এইরকমটা মনে হয়, একটা গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে এবং সমস্ত মানুষকে ধ্বংস করে দেবে? নাকি আপনি কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় অথবা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা কল্পনা করেন? এই ধরনের দৃশ্য কল্পনা করে কেউ কেউ উদ্‌বিগ্ন হয়ে পড়ে আবার অন্যেরা হয়তো এটা নিয়ে সন্দেহ করে, এমনকী বিষয়টা হেসে উড়িয়ে দেয়।

বাইবেলও জানায়: “শেষ উপস্থিত হইবে।” (মথি ২৪:১৪) এই একই ঘটনাকে ‘ঈশ্বরের মহাদিন’ এবং “হর্‌মাগিদোন” বলা হয়েছে। (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৪, ১৬) এটা ঠিক যে, এই বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন মতামত রয়েছে এবং সেইসঙ্গে কিছু অদ্ভুত ও অস্পষ্ট ধারণাও প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু, শেষ সম্বন্ধে বাইবেল একেবারে স্পষ্টভাবে জানায়। এটি জানায়, শেষ বলতে কী বোঝায় এবং কী বোঝায় না। এ ছাড়া, ঈশ্বরের বাক্য আমাদের এটা বুঝতেও সাহায্য করে যে, শেষ সত্যিই খুব কাছে কি না। সবচেয়ে ভালো বিষয় হল, এটি আমাদের জানায়, কীভাবে শেষ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়! তবে, প্রথমে আসুন আমরা কিছু ভুল ধারণা দূর করি এবং এর অর্থ সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা লাভ করি। বাইবেল অনুসারে “শেষ” বলতে আসলে কী বোঝায়?

শেষ বলতে যা বোঝায় না

  1. আগুন দিয়ে পুরো পৃথিবীর ধ্বংস।

    বাইবেল বলে: “[ঈশ্বর] পৃথিবীকে তাহার ভিত্তিমূলের উপরে স্থাপন করিয়াছেন; তাহা অনন্তকালেও বিচলিত হইবে না।” (গীতসংহিতা ১০৪:৫) এই শাস্ত্রপদ এবং অন্যান্য শাস্ত্রপদ আমাদের আশ্বাস দেয়, ঈশ্বর কখনোই এই পৃথিবীকে ধ্বংস করবেন না কিংবা পৃথিবীকে ধ্বংস হতেও দেবেন না!—উপদেশক ১:৪; যিশাইয় ৪৫:১৮.

  2. ২. অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত কোনো ঘটনা।

    বাইবেল প্রকাশ করে, শেষ হল এক পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা অর্থাৎ ঈশ্বর এর জন্য এক নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে রেখেছেন। বাইবেল বলে: “সেই দিনের বা সেই দণ্ডের তত্ত্ব কেহই জানে না; স্বর্গস্থ দূতগণও জানেন না, পুত্ত্রও জানেন না, কেবল পিতা জানেন। সাবধান, তোমরা জাগিয়া থাকিও ও প্রার্থনা করিও; কেননা সে সময় কবে হইবে, তাহা জান না।” (মার্ক ১৩:৩২, ৩৩) স্পষ্টতই, ঈশ্বর (“পিতা”) কখন শেষ নিয়ে আসবেন, সেটার একেবারে সঠিক “সময়” নির্ধারণ করে রেখেছেন।

  3. মানুষের দ্বারা কিংবা মহাকাশ থেকে আসা কোনো গ্রহাণুর দ্বারা ধ্বংস।

    কীসের মাধ্যমে শেষ আসবে? প্রকাশিত বাক্য ১৯:১১ পদ বলে: “পরে আমি দেখিলাম, স্বর্গ খুলিয়া গেল, আর দেখ, শ্বেতবর্ণ একটী অশ্ব; যিনি তাহার উপরে বসিয়া আছেন, তিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় নামে আখ্যাত।”১৯ পদ আরও বলে: “পরে আমি দেখিলাম, ঐ অশ্বারোহী ব্যক্তির ও তাঁহার সৈন্যের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য সেই পশু ও পৃথিবীর রাজগণ ও তাহাদের সৈন্যগণ একত্র হইল।” (প্রকাশিত বাক্য ১৯:১১-২১) যদিও এখানকার বেশিরভাগ কথা রূপক, তবে এই কথাগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারি, ঈশ্বর তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করার জন্য স্বর্গীয় দূতবাহিনী পাঠাবেন।

আরমাগিদোন থেকে রক্ষাপাত ব্যক্তিরা ধ্বংসের মধ্যেও সুরক্ষিত রয়েছ, দূরে ধোঁয়া উঠছ

শেষ সম্বন্ধে বাইবেলের বার্তা কোনো দুঃসংবাদ নয় বরং সুসংবাদ

শেষ বলতে যা বোঝায়

  1. ব্যর্থ মানবসরকারগুলোর শেষ।

    বাইবেল বলে: “স্বর্গের ঈশ্বর এক রাজ্য [সরকার] স্থাপন করিবেন, তাহা কখনও বিনষ্ট হইবে না, এবং সেই রাজত্ব অন্য জাতির হস্তে সমর্পিত হইবে না; তাহা ঐ সকল রাজ্য চূর্ণ ও বিনষ্ট করিয়া আপনি চিরস্থায়ী হইবে।” (দানিয়েল ২:৪৪) আগে ৩ নম্বর বিষয়বস্তুতে যেমন তুলে ধরা হয়েছে, ‘পৃথিবীর রাজগণ ও তাহাদের সৈন্যগণকে’ ধ্বংস করা হবে, যারা ‘অশ্বারোহী ব্যক্তির ও তাঁহার সৈন্যের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য একত্র’ হবে।—প্রকাশিত বাক্য ১৯:১৯.

  2. যুদ্ধ, দৌরাত্ম্য এবং অবিচারের শেষ।

    “[ঈশ্বর] পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত যুদ্ধ নিবৃত্ত করেন।” (গীতসংহিতা ৪৬:৯) “সরলগণ দেশে” বা পৃথিবীতে “বাস করিবে, সিদ্ধেরা তথায় অবশিষ্ট থাকিবে। কিন্তু দুষ্টগণ দেশ” বা পৃথিবী “হইতে উচ্ছিন্ন হইবে, বিশ্বাসঘাতকেরা তথা হইতে উন্মূলিত হইবে।” (হিতোপদেশ ২:২১, ২২) “দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৪, ৫.

  3. সেইসমস্ত ধর্মের শেষ, যেগুলো ঈশ্বর ও মানুষের প্রতি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে।

    “ভাববাদিগণ মিথ্যা ভাববাণী বলে, আর যাজকগণ তাহাদের বশবর্ত্তী হইয়া কর্ত্তৃত্ব করে; . . . কিন্তু ইহার পরিণামে তোমরা কি করিবে?” (যিরমিয় ৫:৩১) “সেই দিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নাই? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নাই? আপনার নামেই কি অনেক পরাক্রম-কার্য্য করি নাই? তখন আমি তাহাদিগকে স্পষ্টই বলিব, আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্ম্মচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।”—মথি ৭:২১-২৩.

  4. সেই লোকেদের শেষ, যারা বর্তমান জগৎ পরিস্থিতির জন্য দায়ী এবং এটাকে সমর্থন করে।

    যিশু খ্রিস্ট বলেছিলেন: “সেই বিচার এই যে, জগতে জ্যোতি আসিয়াছে, এবং মনুষ্যেরা জ্যোতি হইতে অন্ধকার অধিক ভালবাসিল, কেননা তাহাদের কর্ম্ম সকল মন্দ ছিল।” (যোহন ৩:১৯) বাইবেল বলে, আগেও বিশ্বব্যাপী এক ধ্বংস হয়েছিল আর তা বিশ্বস্ত ব্যক্তি নোহের সময়। “তখনকার জগৎ জলে আপ্লাবিত হইয়া নষ্ট হইয়াছিল। আবার সেই বাক্যের গুণে এই বর্ত্তমান কালের আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী অগ্নির নিমিত্ত সঞ্চিত রহিয়াছে, ভক্তিহীন মনুষ্যদের বিচার ও বিনাশের দিন পর্য্যন্ত রক্ষিত হইতেছে।”—২ পিতর ৩:৫-৭.

লক্ষ করুন, আসন্ন ‘বিচার ও বিনাশের দিনকে’ নোহের সময়ের ‘জগতের’ বিনাশ বা ধ্বংসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কোন জগৎ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল? আমাদের এই গ্রহ রক্ষা পেয়েছিল; কিন্তু ‘ভক্তিহীন মনুষ্যরা’ অর্থাৎ ঈশ্বরের শত্রুরা ধ্বংস বা “নষ্ট হইয়াছিল।” ঈশ্বরের আসন্ন ‘বিচার দিনে’ যারা ঈশ্বরের শত্রু বলে প্রমাণিত হবে, তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে, ঈশ্বরের বন্ধুরা রক্ষা পাবে, ঠিক যেমন নোহ ও তার পরিবার রক্ষা পেয়েছিল।—মথি ২৪:৩৭-৪২.

কল্পনা করুন, ঈশ্বর যখন সমস্ত মন্দ প্রভাব দূর করে দেবেন, তখন পৃথিবীর অবস্থা কত চমৎকারই-না হবে! স্পষ্টতই, শেষ সম্বন্ধে বাইবেলের বার্তা কোনো দুঃসংবাদ নয় বরং সুসংবাদ। এরপরও, আপনি হয়তো ভাবতে পারেন: ‘বাইবেল কি আমাদের জানায় যে, কখন শেষ আসবে? এটা কি খুব কাছেই? আমি কীভাবে এটা থেকে রক্ষা পেতে পারি?’ (w১৫-E ০৫/০১)

শেষ আসার পর পৃথিবীর অবস্থা যেমন হবে

শেষ আসার পর সব কিছু কেমন হবে? অনেক শাস্ত্রপদ সেই অপূর্ব সময় সম্বন্ধে বর্ণনা করে। উদাহরণ স্বরূপ: “[ঈশ্বর] তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল। আর যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তিনি কহিলেন, দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৪, ৫) শেষ আসার অর্থ এই নয় যে, আপনার জীবনও শেষ হয়ে যাবে। ঈশ্বর চান যেন আমরা রক্ষা পাই আর আমরা কীভাবে রক্ষা পেতে পারি, তা তিনি আমাদের জানান।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার