আগে থেকে পরিকল্পনা করুন!
১ যিহোবার সংগঠন আমাদের জন্য ঐশিক কাজকর্মের এক নিয়মিত কার্যক্রম তৈরি করে। এগুলো আমাদের সমস্তরকম আধ্যাত্মিক চাহিদাকে মেটায়। এই ব্যবস্থার জন্য যদি আমাদের উপলব্ধি থাকে, তাহলে আমরা এগুলোর প্রত্যেকটা থেকে পুরোপুরি লাভ পেতে চেষ্টা করব যেমন ভ্রমণ অধ্যক্ষের পরিদর্শন, অধিবেশন ও সম্মেলনগুলো আর স্থানীয়ভাবে পরিকল্পিত অন্যান্য বিশেষ কাজকর্মগুলো। (মথি ৫:৩) কিন্তু কারও কারও নিজেদের অন্য পরিকল্পনাগুলো থাকার জন্য বেশ অনেক আধ্যাত্মিক ব্যবস্থাগুলো থেকে পুরোপুরি লাভ পেতে পারেন না। এর থেকে বাঁচার জন্য কী করা যেতে পারে? আর আমরা কী করতে পারি যাতে “যাহা যাহা ভিন্ন প্রকার,” সেই জায়গায় অন্য কোন কাজ এসে না পড়ে?—ফিলি. ১:১০.
২ বুদ্ধিপূর্বক পরিকল্পনা করা খুবই দরকার: হিতোপদেশ ২১:৫ পদ আমাদের পরামর্শ দেয়: “পরিশ্রমীর চিন্তা হইতে কেবল ধনলাভ হয়, কিন্তু যে কেহ হঠকারী, তাহার কেবল অভাব ঘটে।” আধ্যাত্মিক “ধনলাভ” করতে হলে আমাদের আধ্যাত্মিক ব্যবস্থাগুলোকে মাথায় রেখে আগে থেকেই মন দিয়ে পরিকল্পনা করা দরকার। আমাদের নিজেদের কাজগুলোকে আমরা এমনভাবে আলাদা করে রাখব যাতে সেগুলো আমাদের আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ পাওয়ার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। আমরা যদি আমাদের নিজেদের কাজগুলো করার জন্য আসন্ন আধ্যাত্মিক কাজগুলোর বিষয়ে চিন্তা না করেই তাড়াহুড়ো করে পরিকল্পনা করি, তাহলে এটা একেবারে ঠিক যে আমরা আধ্যাত্মিক “অভাব” ভোগ করব।
৩ অনুপস্থিত থাকবেন না! আমরা সবাই ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করি, যেমন ছুটি কাটানো, কাজের ব্যাপারে বাইরে যাওয়া, আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া ও এইরকম আরও অনেক কিছু। আপনার নিজের এই কাজগুলোর জন্য পরিকল্পনা করার আগে বা সেগুলো ঠিক করার আগে, আসন্ন আধ্যাত্মিক কাজকর্মগুলোর খোঁজ নিন। যদি আপনি দেখেন যে, যে সময়ে আপনি বাইরে থাকবেন বলে ভাবছেন সেই সময় সীমা অধ্যক্ষ পরিদর্শন করতে আসছেন অথবা কোন অধিবেশন রয়েছে, তাহলে এগুলোতে উপস্থিত থাকার জন্য আপনার নিজের কাজের তালিকাকে আপনি একটু বদলানোর চেষ্টা করতে পারেন। আমাদের আগে থেকেই ভবিষ্যতে যে সমস্ত বড় বড় কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। আপনার মণ্ডলীর প্রাচীন আপনাকে বলতে পারেন যে স্থানীয়ভাবে কী পরিকল্পনা করা হয়েছে।
৪ জরুরি বিষয়গুলোর জন্য আগে থেকেই ভাল করে বুঝেশুনে পরিকল্পনা করলে আমরা ‘ধার্ম্মিকতার সেই ফলে পূর্ণ হব . . . যেন ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা হয়।’—ফিলি. ১:১১