যিহোবা আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন
১ আজ পৃথিবীর ২৩৩টা দেশে এক আন্তর্জাতিক শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালান হচ্ছে যিহোবা যার ব্যবস্থা করেছেন। জগতের কোন কিছুই আমাদের কখনও এইরকম শিক্ষা দিতে পারে না। আমাদের মহান শিক্ষক যিহোবা আমাদের এখন উপকার পাওয়ার জন্য ও সেইসঙ্গে অনন্ত জীবন পাওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছেন।—যিশা. ৩০:২০; ৪৮:১৭.
২ ঐশিক শিক্ষার স্কুলগুলো: আসুন আমরা কয়েকটা স্কুল সম্বন্ধে দেখি যেগুলো আজ যিহোবার লোকেদের উপকারের জন্য চালান হচ্ছে। সারা পৃথিবীর প্রায় ৮৭,০০০ মণ্ডলীতে প্রতি সপ্তাহে ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয় চালান হয়। এই বিদ্যালয় লক্ষ লক্ষ রাজ্য প্রকাশকদের দক্ষতার সঙ্গে সুসমাচার প্রচার করার জন্য শিক্ষা দেয়। আপনি কি এই বিদ্যালয়ে নাম দিয়েছেন? আর একটা স্কুল হল দু-সপ্তাহের অগ্রগামী পরিচর্যা স্কুল যেখান থেকে হাজার হাজার অগ্রগামীরা উপকার পান। আপনার কি এই স্কুলে যোগ দেওয়ার সুযোগ হয়েছে? এখন হয়ত আরও অনেকেরই সুযোগ হবে কারণ নিয়মিত অগ্রগামীদের জন্য ঘন্টা কমিয়ে দেওয়ায় অনেকেই অগ্রগামীর কাজ করতে পারবেন। দু-মাসের মিনিস্টিরিয়াল ট্রেনিং স্কুল হল আরেকটা স্কুল যা এখন সারা পৃথিবীর প্রধান ভাষাগুলোতে চালান হচ্ছে। এই স্কুল অবিবাহিত প্রাচীন ও পরিচালক দাসেদেরকে শিক্ষা দেয় যাতে তারা আরও বেশি দায়িত্ব বহন করতে পারেন। আর রাজ্যের পরিচর্যা বিদ্যালয়ের মাধ্যমে কয়েক বছর অন্তর অন্তর সমস্ত প্রাচীন ও পরিচালক দাসেদের বিশেষ শিক্ষা দেওয়া হয়।
৩ নিউ ইয়র্কের প্যাটারসনে প্রহরীদুর্গ শিক্ষা কেন্দ্র আছে যেখানে ঐশিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনটে বিশেষ স্কুল চালানো হয়। পাঁচ মাসের ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অফ গিলিয়েড ভাইবোনদের বিদেশী ক্ষেত্রগুলোতে মিশনারির কাজ করার জন্য তৈরি করে। সারা পৃথিবীর শাখা কমিটির সদস্যেরা দু-মাসের শাখা সংগঠন কোর্সে যোগ দেন। ১৯৯৯ সালের মে মাসে ভ্রমণ অধ্যক্ষদের জন্য দু-মাসের এক নতুন কোর্স শুরু করা হয়েছে। এই ক্লাসে আমেরিকা ও কানাডা থেকে মোট ৪৮ জন ছাত্র যোগ দিয়েছিলেন। এই সমস্ত স্কুলগুলোর মাধ্যমে যিহোবার সমস্ত দাসেরা যিহোবা যে শিক্ষা দিচ্ছেন তার থেকে উপকার পাচ্ছেন।
৪ কোন্ উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষা দেওয়া? পরিচালক গোষ্ঠীর একজন সদস্য বলেছিলেন: “সম্প্রতি আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে সব স্থানের যিহোবার সকল লোকেদের হিতোপদেশ ১:১-৪ পদে উল্লেখিত পরিপক্বতার এক সুন্দর অবস্থায় আনার জন্য।” যিহোবা যেন আমাদের সকলকে “শিক্ষাগ্রাহীদের জিহ্বা দেন।”—যিশা. ৫০:৪.