রাজ্যের বার্তা ঘোষণা করুন
১ “আমাকে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিতে হইবে; কেননা সেই জন্যই আমি প্রেরিত হইয়াছি।” (লূক ৪:৪৩) এই কথাগুলোর দ্বারা যীশু তাঁর পরিচর্যার মূল বিষয়কে স্পষ্ট করেছিলেন—ঈশ্বরের রাজ্য। আজকে আমরা যে-বার্তা ঘোষণা করি সেটাও রাজ্যকে কেন্দ্র করেই, যেমন মথি ২৪:১৪ পদে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল: “সর্ব্ব জাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।” ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে কোন্ সত্যগুলো লোকেদের শোনা দরকার?
২ ঈশ্বরের রাজ্য এখন স্বর্গ থেকে শাসন করছে এবং শীঘ্রই মানুষের সমস্ত শাসনব্যবস্থাকে সরিয়ে দেবে। দিয়াবলকে ইতিমধ্যেই স্বর্গ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে আর সেইসঙ্গে বর্তমান দুষ্ট বিধিব্যবস্থা এর শেষকালে প্রবেশ করেছে। (প্রকা. ১২:১০, ১২) শয়তানের দুষ্ট পুরনো বিধিব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হবে কিন্তু ঈশ্বরের রাজ্য অকম্পনীয় থাকবে। এটা চিরকাল থাকবে।—দানি. ২:৪৪; ইব্রীয় ১২:২৮.
৩ রাজ্য সমস্ত বাধ্য মানুষের গঠনমূলক আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করবে। এটা যুদ্ধ, অপরাধ, অত্যাচার এবং দারিদ্রের দরুণ যে-কষ্টভোগ করতে হয় সেগুলো থেকে স্বস্তি জোগাবে। (গীত. ৪৬:৮, ৯; ৭২:১২-১৪) সকলের জন্য প্রচুর পরিমাণে খাদ্য পাওয়া যাবে। (গীত. ৭২:১৬; যিশা. ২৫:৬) অসুস্থতা এবং অক্ষমতা অতীতের বিষয় হবে। (যিশা. ৩৩:২৪; ৩৫:৫, ৬) মানবজাতি যতই সিদ্ধতার দিকে এগোবে, পৃথিবী এক পরমদেশে রূপান্তরিত হবে এবং লোকেরা মিলেমিশে একসঙ্গে বাস করবে।—যিশা. ১১:৬-৯.
৪ এখন আমরা যেভাবে জীবনযাপন করি সেটার দ্বারা আমরা দেখাই যে, আমরা ঈশ্বরের রাজ্যের প্রজা হতে চাই। রাজ্যের বার্তা যেন আমাদের পুরো জীবনধারাকে প্রভাবিত করে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে আমাদের লক্ষ্য ও অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয়। উদাহরণ হিসেবে, যদিও আমাদের পরিবারের জন্য ভরণপোষণ জোগাতে আমরা দায়বদ্ধ কিন্তু তাই বলে আমরা বস্তুগত চাহিদার উদ্বিগ্নতাগুলোকে রাজ্যের আগ্রহকে রোধ করার সুযোগ দিতে পারি না। (মথি ১৩:২২; ১ তীম. ৫:৮) বরং, যীশুর এই উপদেশে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে: “কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্ম্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও [জীবনের বস্তুগত প্রয়োজনগুলো] তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।”—মথি ৬:৩৩.
৫ এখনও যখন সময় আছে, এর মধ্যে লোকেদের রাজ্যের বার্তা শোনা ও সেই অনুযায়ী কাজ করা জরুরি। ‘ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে . . . প্রবৃত্তি দেওয়ার’ দ্বারা আমরা যেন তাদের তা করতে সাহায্য করি।—প্রেরিত ১৯:৮.