যে-কাজে ঈশ্বরের সমর্থন রয়েছে
১ আজকে ঈশ্বরের দাসদের মধ্যে খুব কম লোকই উল্লেখযোগ্য শিক্ষা, সম্পদের অধিকারী অথবা বর্তমান বিধিব্যবস্থায় বিশিষ্ট ব্যক্তি। সেই কারণে, কিছু লোক আমাদের পরিচর্যাকে নগণ্য মনে করে প্রত্যাখ্যান করে থাকে। (যিশা. ৫৩:৩) কিন্তু, বাইবেল শিক্ষার যে-কাজ আমরা করি, তা সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ লোকের জন্য সান্ত্বনা ও আশা নিয়ে এসেছে। কীভাবে সাধারণ লোকেরা এইরকম অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেছে? কেবলমাত্র ঈশ্বরের সমর্থনের দ্বারা। (মথি ২৮:১৯, ২০; প্রেরিত ১:৮) প্রেরিত পৌল ব্যাখ্যা করেছিলেন, “ঈশ্বর জগতের দুর্ব্বল বিষয় সকল মনোনীত করিলেন, যেন শক্তিমন্ত বিষয় সকলকে লজ্জা দেন।”—১ করি. ১:২৬-২৯.
২ প্রেরিতরা এবং প্রথম শতাব্দীর অন্যান্য খ্রিস্টানদের অধিকাংশই “অশিক্ষিত সামান্য লোক” ছিল। (প্রেরিত ৪:১৩) তা সত্ত্বেও, তারা সাহসের সঙ্গে তাদের সুসমাচার প্রচার করার দায়িত্ব পালন করে চলেছিল আর যিহোবা তাদের প্রচেষ্টাগুলোতে আশীর্বাদ করেছিলেন। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা এবং বিরোধিতা সত্ত্বেও, “সপরাক্রমে প্রভুর [“যিহোবার,” NW] বাক্য বৃদ্ধি পাইতে ও প্রবল হইতে লাগিল।” কোনোকিছুই সেই কাজকে থামাতে পারেনি কারণ ঈশ্বর এই কাজে সমর্থন জুগিয়েছিলেন। (প্রেরিত ৫:৩৮, ৩৯; ১৯:২০) আধুনিক সময়েও এটা সত্য হয়েছে। এমনকি ক্ষমতাবান শাসকদের প্রচণ্ড বিরোধিতাও, সুসমাচার ছড়িয়ে পড়া এবং প্রবল হওয়াকে থামাতে পারেনি।—যিশা. ৫৪:১৭.
৩ সমস্ত প্রশংসা ঈশ্বরেরই প্রাপ্য: ঈশ্বরের পরিচারক হিসেবে আমাদের বিশেষ সুযোগ কি আমাদের দম্ভ করার কারণ জোগায়? কখনোই না। খ্রিস্টীয় পরিচর্যার বিষয়ে উল্লেখ করতে গিয়ে পৌল লিখেছিলেন: “এই ধন মৃন্ময় পাত্রে করিয়া আমরা ধারণ করিতেছি, যেন পরাক্রমের উৎকর্ষ ঈশ্বরের হয়, আমাদের হইতে নয়।” (২ করি. ৪:৭) পৌল উপলব্ধি করেছিলেন যে, একমাত্র ঈশ্বরের জোগানো শক্তিতেই তিনি তার পরিচর্যা করে যেতে পেরেছিলেন।—ইফি. ৬:১৯, ২০; ফিলি. ৪:১৩.
৪ একইভাবে আমরা উপলব্ধি করি যে, একমাত্র “ঈশ্বর হইতে সাহায্য প্রাপ্ত” হওয়ার দরুণই প্রচার কাজ সম্পাদিত হচ্ছে। (প্রেরিত ২৬:২২) পৃথিবীব্যাপী এই ধরনের ঘোষণার দ্বারা, যিহোবা আমাদের এক পরাক্রমী উপায়ে জাতিগণের কাছে এক শিহরণ পাঠানোর জন্য ব্যবহার করছেন—বিচারমূলক ধ্বংসের এক সংকেত যা শীঘ্রই আসতে চলেছে। (হগয় ২:৭) সর্বমহৎ আধ্যাত্মিক শস্যছেদনে ‘ঈশ্বরের সহকার্য্যকারী’ হওয়া আমাদের জন্য কী এক বিশেষ সুযোগ!—১করি. ৩:৬-৯.