নতুন সীমা সম্মেলন কার্যক্রম
এই ‘বিষম সময়ে’ যিহোবার অনুমোদন লাভ করা ও তা ধরে রাখার জন্য আমাদের ঈশ্বরীয় প্রজ্ঞা দরকার। (২ তীম. ৩:১) ২০০৫ সালের পরিচর্যা বছরের সীমা সম্মেলন কার্যক্রম আমাদের ব্যবহারিক পরামর্শ ও উৎসাহ জোগাবে, যেটা “‘যে জ্ঞান [“প্রজ্ঞা,” NW] উপর হইতে আইসে’ তার দ্বারা পরিচালিত হোন” মূলভাবের ওপর আলোচনা করবে।—যাকোব ৩:১৭.
“‘যে প্রজ্ঞা ওপর হইতে আইসে,’ তা আমাদের জীবনে প্রদর্শন করা” শিরোনামের প্রথম সিম্পোজিয়ামটা আমাদের শুচি, শান্তিপ্রিয়, ক্ষান্ত [“যুক্তিবাদী,” NW] ও বাধ্য থাকার জন্য তৈরি হওয়ার সঙ্গে কী জড়িত, তা দেখতে সাহায্য করবে। এরপর সীমা অধ্যক্ষ স্বর্গীয় প্রজ্ঞার আরও তিনটে দিকের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করবেন। জেলা অধ্যক্ষ প্রথম দিনের শেষে আলোচনা করবেন যে, কীভাবে খ্রিস্টান পরিচারকরা ঈশ্বরের প্রজ্ঞা সম্বন্ধে বলতে সজ্জিত আছে, যদিও কেউ কেউ তাদেরকে “অশিক্ষিত সামান্য” লোক হিসেবে দেখে থাকে।—প্রেরিত ৪:১৩.
দ্বিতীয় দিন, “গঠনমূলক বিষয়গুলো অনুধাবন করুন” শিরোনামের এক সিম্পোজিয়াম আমাদেরকে সেই বিষয়গুলো শনাক্ত করতে ও এড়াতে সাহায্য করবে, যেগুলো আধ্যাত্মিকভাবে আমাদের দুর্বল করে ফেলতে পারে। এ ছাড়া, এটা আমাদের এও জানাবে যে, কীভাবে আমরা মণ্ডলীর সভাগুলোতে, ক্ষেত্রের পরিচর্যায় ও পারিবারিক বৃত্তে অন্যদের গেঁথে তুলতে পারি। আমরা আমাদের জীবনে ঐশিক নীতিগুলো প্রয়োগ করায় যে-উপকারগুলো পেয়ে থাকি, সেগুলোর প্রতি জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতা আমাদের উপলব্ধিকে আরও গভীর করবে, যার শিরোনাম হল “ঈশ্বরীয় প্রজ্ঞা যেভাবে আমাদের উপকার করে।” “ঐশিক প্রজ্ঞা অনুযায়ী কাজ করা আমাদের সুরক্ষা জোগায়” শিরোনামের শেষ বক্তৃতা এই শেষ দিনগুলোতে প্রজ্ঞার জন্য যিহোবার ওপর নির্ভর করার ব্যাপারে আমাদের দৃঢ়সংকল্পকে শক্তিশালী করবে।
প্রতিটা সম্মেলনের লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে নতুন শিষ্যদের বাপ্তিস্ম। কার্যক্রমে ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয় এবং সেই সপ্তাহের প্রহরীদুর্গ অধ্যয়নও থাকবে। যিহোবা চান যেন আমরা সকলে তাঁর জোগানো প্রজ্ঞা দ্বারা উপকৃত হই। আমাদের সীমা সম্মেলনে যে-পরামর্শ ও উৎসাহ দেওয়া হবে, সেগুলোর দ্বারা আমরা আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ হব।—হিতো. ৩:১৩-১৮.