শাখার চিঠি
প্রিয় রাজ্য প্রকাশকরা:
বিগত কয়েক পরিচর্যা বছরে মণ্ডলী ও সীমাগুলোকে ক্রমাগত দৃঢ় ও শক্তিশালী করা হয়েছে। শুধু গত পরিচর্যা বছরেই কাছাকাছি মণ্ডলীগুলোর সঙ্গে একত্রিত হওয়ার জন্য ১৪টা মণ্ডলী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ফলে বিগত দুটো পরিচর্যা বছরে এর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬টা। আরও অধিক সংখ্যক ভাইয়েরা পরিচর্যার বিশেষ সুযোগগুলোর যোগ্য হয়ে ওঠার ফলে এখন প্রতিটা মণ্ডলীতে গড়ে তিন জন প্রাচীন এবং চার জন করে পরিচারক দাস রয়েছে।
মণ্ডলীগুলো বড় হওয়ায় আরও ভাল কিংডম হলের দরকব হয়েছে, তাই গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে শাখার প্রতিনিধিরা গিয়ে আনন্দের সঙ্গে ১০টা জায়গায় কিংডম হল উৎসর্গীকরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে, যেগুলোর দুটোতে একই বিল্ডিংয়ে দুটো কিংডম হল রয়েছে। এই সমস্তই ভবিষ্যৎ বৃদ্ধির জন্য একটা দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছে।
বেথেল হোম, অফিস এবং প্রিন্টারী সবই এখন সুপ্রতিষ্ঠিত এবং উৎসুকভাবে প্রতীক্ষিত বহুমুখী বৃদ্ধির সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম। এই ক্যালেন্ডার বছরের প্রথম ছয় মাসে নতুন মেশিন স্থাপন করা হয়েছে আর নতুন করে স্থাপিত দুটো রেপিডা প্রিন্টিং প্রেসে এখন ঘন্টায় ১২,০০০ পত্রিকা ছাপানো হয়, যা আগের মেশিনে যে-পরিমাণ ছাপানো হতো, তার প্রায় দ্বিগুণ। নতুন পেপার কাটারস্, ফোল্ডারস্, ট্রিমারস্ এবং স্টিচিং মেশিনের পুরো সেট থাকার ফলে ভবিষ্যতে আমাদের সাহিত্যাদির চাহিদাগুলোকে সহজভাবে মেটানো যেতে পারে।
নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করার জন্য ছয় জন ভাই ও তাদের স্ত্রীদের এক আন্তর্জাতিক দল আর সেইসঙ্গে আমাদের নিজের দেশ থেকে পাঁচ জন দক্ষ টেকনিশিয়ানের সাহায্যের দরকার হয়েছিল। এই স্বেচ্ছাসেবকদের অভিজ্ঞতা ও ইচ্ছুক মনোভাবকে বেথেল কর্মীরা খুবই উপলব্ধি করেছে এবং তাদেরকে বিদায় জানানো আমাদের জন্য কষ্টকর ছিল।
এ ছাড়া, আমাদের যে-ভাইয়েরা সুনামির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাদেরকে সাহায্য করার জন্য এক ত্রাণকাজেও আন্তর্জাতিক সাহায্য জড়িত ছিল। দেশের সমস্ত জায়গা এবং বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের কাছ থেকে আর্থিক দান এসেছিল, তাই এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ভাইবোনদের পরিদর্শন করতে এবং ব্যবহারিক ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ কাজ সংগঠিত করতে পেরেছিলাম, বিশেষ করে মারাত্মকভাবে বিধ্বস্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জন্য। যোগ্য সীমা অধ্যক্ষ এবং নির্মাণ কর্মীবৃন্দের দ্বারা পরবর্তী পরিদর্শনগুলো নিশ্চিত করেছিল যে, দুর্দশায় যারা সমস্তকিছু হারিয়েছে, তাদেরকে সাহায্য করার জন্য ত্রাণকাজ চালু রয়েছে। সুনামি বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর ভাইবোনেরা আমাদেরকে সেই সকলের প্রতি তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে, যারা তাদের এই ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে অংশ নিয়েছে। প্রেমময় খ্রিস্টীয় ভ্রাতৃসমাজের অংশ হতে পারা কতই না বিশেষ সুযোগ!—১ পিতর ২:১৭.
রাজ্যের বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই সমস্ত উদ্যোগী কাজ প্রশংসনীয়! এ ছাড়া, এই কাজে আপনার আর্থিক সমর্থনকেও খুবই উপলব্ধি করা হয়। (হিতো. ৩:৯, ১০) “ঈশ্বরের প্রতাপের প্রশংসা” করার জন্য যিহোবা যেন আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আশীর্বাদ করেন।—ইফি. ১:১২.
আপনাদের ভাইয়েরা,
ভারতের শাখা অফিস