যে-তরুণ-তরুণীরা জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাচ্ছে
১ যিশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন: “তোমরা জগতের দীপ্তি।” (মথি ৫:১৪, ১৬) পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত, সূর্যের আলোয় জ্বল জ্বল করা এক নগরের মতো, তারা লক্ষণীয়ভাবে আলাদা হবে। আজকে, অনেক খ্রিস্টান তরুণ-তরুণী তাদের ন্যায়নিষ্ঠ আচারব্যবহার ও উদ্যোগী সাক্ষ্যদানের দ্বারা ‘জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছে।’—ফিলি. ২:১৫; মালাখি ৩:১৮.
২ স্কুলে: কীভাবে তুমি স্কুলে সাক্ষ্য দিতে পারো? কিছু অল্পবয়সি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে করা ক্লাসের আলোচনাগুলোর সদ্ব্যবহার করেছে যেমন মাদকদ্রব্য, ক্রমবিবর্তনবাদ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ—এগুলো হল মাত্র কয়েকটা বিষয়। একজন বোনকে সন্ত্রাসবাদের ওপর একটা রচনা লিখতে বলা হয়েছিল আর সে সেই সুযোগকে মানবজাতির জন্য প্রকৃত আশা হিসেবে ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য কাজে লাগিয়েছিল। সুপরিকল্পিতভাবে তৈরি এই রিপোর্টটা শিক্ষিকার ওপর ছাপ ফেলেছিল আর এটা আরও সাক্ষ্য দেওয়ার পথ খুলে দিয়েছিল।
৩ জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাওয়ার আরেকটা উপায় হল, তোমার আচারব্যবহার এবং মার্জিত পোশাক-আশাক ও সাজগোজ। (১ করি. ৪:৯; ১ তীম. ২:৯) ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা যখন দেখে যে, তোমার চালচলন আলাদা, তখন তোমার উত্তম আচারব্যবহারের ফলস্বরূপ কেউ কেউ হয়তো সত্যের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে আর এটা তোমাকে বাইবেলের সত্যগুলো সম্বন্ধে জানানোর সুযোগ করে দিতে পারে। (১ পিতর ২:১২; ৩:১, ২) ঈশ্বরীয় আচারব্যবহার দেখানো হয়তো সহজ হবে না কিন্তু যিহোবা তোমাকে প্রচুররূপে আশীর্বাদ করবেন। (১ পিতর ৩:১৬, ১৭; ৪:১৪) সুসমাচারের প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তোলার জন্য তুমি হয়তো ক্লাসের সাময়িক বিরতির সময়ে বাইবেল সাহিত্য পড়তে পারো অথবা সেটি অন্যদের নজরে পড়ে এমন একটা জায়গায় রাখতে পারো।
৪ স্কুলে তোমার দীপ্তিকে উজ্জ্বল হতে দেওয়া তোমার বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে এবং তোমাকে যিহোবার সেবায় এক গঠনমূলক গর্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করে। (যির. ৯:২৪) এ ছাড়া, এটা সুরক্ষা হিসেবেও কাজ করে। একজন বোন বলেছিল, “আমার বিশ্বাসের পক্ষে কথা বলার একটা উপকার হল যে, ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে সেই বিষয়গুলো করার জন্য চাপ দেয় না, যেগুলো বাইবেলের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।”
৫ সেবাকে বাড়ানো: আরেকটা যে-উপায়ে অনেক অল্পবয়সি জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাচ্ছে সেটা হল, তাদের পরিচর্যাকে বৃদ্ধি করে। হাইস্কুল পাশ করার পর, একজন ভাই যেখানে রাজ্য ঘোষাণাকারীদের বেশি প্রয়োজন সেখানে সেবা করার জন্য গিয়েছিল। সে এমন একটা ছোট মণ্ডলীর সঙ্গে মেলামেশা করত, যেখানে কেবলমাত্র একজন প্রাচীন ছিলেন। “আমি এখানে আমার জীবন পুরোপুরিভাবে উপভোগ করছি,” এক বন্ধুকে সে লিখেছিল। “পরিচর্যা খুবই সতেজতাদায়ক! আমরা প্রত্যেক দরজায় প্রায় ২০ মিনিট ধরে কথা বলি কারণ লোকেরা আমাদের সমস্ত কথা শুনতে চায়।” সে আরও বলেছিল: “আমি আশা করি যে, প্রত্যেক যুবক-যুবতী এইরকম কিছু করবে এবং আমার মতো তাদেরও একই অনুভূতি হবে। সর্বান্তঃকরণে যিহোবাকে সেবা করার চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই।”
৬ তরুণ-তরুণীরা তোমাদের জন্য আমরা কতই না গর্বিত, যারা জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাচ্ছো! (১ থিষল. ২:২০) তুমি যখন তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, প্রাণ, মন ও শক্তি দিয়ে যিহোবার সেবা করো, তখন তুমি ‘এখন ইহকালে শতগুণ এবং আগামী যুগে অনন্ত জীবন’ পুরস্কার পাবে।—মার্ক ১০:২৯, ৩০; ১২:৩০.
[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]
১. বাইবেল কীভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, খ্রিস্টানরা লক্ষণীয়ভাবে আলাদা হবে আর সেই কথাগুলো আজকের অল্পবয়সি খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রে কীভাবে প্রযোজ্য?
২. কোন কোন উপায়ে তুমি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহপাঠীদের কাছে সাক্ষ্য দিতে পারো?
৩. তোমার আচারব্যবহারের মাধ্যমে তুমি কীভাবে স্কুলে তোমার দীপ্তি উজ্জ্বল করতে পারো?
৪. স্কুলে সাক্ষ্যদান করার কিছু উপকার কী?
৫. (ক) কীভাবে কিছু অল্পবয়সি তাদের পরিচর্যাকে বৃদ্ধি করছে? (খ) তোমার আধ্যাত্মিক লক্ষ্যগুলো কী?
৬. আপনার মণ্ডলীতে অল্পবয়সিদের কোন বিষয়টা আপনাকে গর্বিত করে?