আপনার বিবেককে রক্ষা করুন
১. দুহাজার তেরো সালের পরিচর্যা বছরের বিশেষ সম্মেলন দিনের মূলভাব কী আর এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য কী?
১ প্রতিটা দিন, আমরা এমন পরিস্থিতিগুলোর মুখোমুখি হই, যেগুলো আমাদের বিবেককে কলুষিত করে দিতে পারে। সেই কারণেই ২০১৩ সালের পরিচর্যা বছরের বিশেষ সম্মেলন দিনের কার্যক্রম, যেটা ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে, সেটার মূলভাব হল “আপনার বিবেককে রক্ষা করুন।” (১ তীম. ১:১৯) এই কার্যক্রম, আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পাওয়া এই অপূর্ব দানকে আমরা কীভাবে ব্যবহার করছি, সেই বিষয়ে আমাদের প্রত্যেককে গভীর মনোযোগ দিতে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
২. কার্যক্রম চলাকালীন কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া হবে?
২ এই বিষয়গুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন: এই কার্যক্রম বিবেকের বিষয়ে সাতটা মুখ্য প্রশ্নের উত্তর প্রদান করবে:
• কী আমাদের বিবেকের জন্য বিপদজনক?
• কীভাবে আমরা আমাদের বিবেককে প্রশিক্ষিত করতে পারি?
• কীভাবে সকল লোকের রক্তের দায় থেকে শুচি হওয়া সম্ভব?
• বাইবেলের নীতিগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা যে-চিন্তাভাবনা ও কাজ করি, তা আমাদের সম্বন্ধে কী প্রকাশ করে?
• কীভাবে আমরা বিবেকের সঙ্গে জড়িত এমন বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে অন্যদের আঘাত দেওয়া এড়াতে পারি?
• অল্পবয়সিরা, তোমরা কীভাবে সেই সময়ে সহ্য করতে পার, যখন তোমাদেরকে আপোশ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়?
• যারা আত্মা দ্বারা পরিচালিত বিবেককে অনুসরণ করে, তারা কোন আশীর্বাদগুলো লাভ করে?
৩. কীভাবে কার্যক্রম আমাদেরকে উপকৃত করতে পারে?
৩ যিহোবার সাহায্যে আমরা আমাদের বিবেককে কলুষিত করে দেওয়ার শয়তানের প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে পারি। ঈশ্বরের বাক্য এবং সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের প্রেমময় স্বর্গীয় পিতা আমাদেরকে বলছেন: “এই পথ, তোমরা এই পথেই চল।” (যিশা. ৩০:২১) এই কার্যক্রম হল, এই ধরনের নির্দেশনা জোগানোর জন্য যিহোবার একটা উপায়। তাই, পুরো কার্যক্রমে উপস্থিত থাকার জন্য ব্যবস্থাদি করুন। ভালোভাবে মনোযোগ দিন আর কীভাবে আপনি তথ্যটি ব্যক্তিগতভাবে কাজে লাগাবেন, তা বিবেচনা করুন। পরিবারগতভাবে কার্যক্রমটা নিয়ে আলোচনা করুন। আমরা যে-নির্দেশনা লাভ করব, সেটাকে কাজে লাগানো আমাদেরকে ক্রমাগত “সৎসংবেদ” বা বিবেককে ‘রক্ষা করিয়া’ চলতে শক্তিশালী করবে এবং শয়তানের জগতের ক্ষণস্থায়ী আনন্দের জন্য সরে পড়া এড়াতে আমাদেরকে সাহায্য করবে।—১ পিতর ৩:১৫.