ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • ijwbq প্রবন্ধ ৮৩
  • ঈশ্বরকে কি কেউ কখনো দেখেছে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ঈশ্বরকে কি কেউ কখনো দেখেছে?
  • বাইবেলের প্রশ্নের উত্তর
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বাইবেলের উত্তর
  • যেভাবে এখন ঈশ্বরকে “দেখা” সম্ভব
  • মোশি, অব্রাহাম এবং অন্যেরা কি তাহলে ঈশ্বরকে দেখেনি?
  • সৃষ্টিকর্তা কে?
    প্রকৃত বিশ্বাস—আপনার জন্য এক সুখী জীবনের চাবিকাঠি
  • যিহোবার পথ সকল জানা
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ‘বিশ্বাস দ্বারা চলা, বাহ্য দৃশ্য দ্বারা নয়’
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • স্বর্গদূতেরা তারা যেভাবে আমাদের প্রভাবিত করে
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
বাইবেলের প্রশ্নের উত্তর
ijwbq প্রবন্ধ ৮৩
একজন ব্যক্তি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন

ঈশ্বরকে কি কেউ কখনো দেখেছে?

বাইবেলের উত্তর

আজ পর্যন্ত কোনো মানুষই সরাসরি ঈশ্বরকে দেখেনি। (যাত্রাপুস্তক ৩৩:২০; যোহন ১:১৮; ১ যোহন ৪:১২) বাইবেল বলে, “ঈশ্বর অদৃশ্য ব্যক্তি” আর তাই মানুষ তাঁকে দেখতে পায় না।—যোহন ৪:২৪; ১ তীমথিয় ১:১৭.

কিন্তু, স্বর্গদূতেরা ঈশ্বরকে সরাসরি দেখতে পায়, কারণ তারা নিজেরাও ঈশ্বরের মতো অদৃশ্য। (মথি ১৮:১০) এ ছাড়াও, এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যাদেরকে মৃত্যুর পর অদৃশ্য বা স্বর্গীয় দেহ দিয়ে স্বর্গে জীবিত করা হবে আর তখন তারাও ঈশ্বরকে দেখতে পাবে। —ফিলিপীয় ৩:২০, ২১; ১ যোহন ৩:২.

যেভাবে এখন ঈশ্বরকে “দেখা” সম্ভব

অনেক সময় বাইবেলে যখন কোনো কিছু দেখতে পাওয়া বা না পাওয়ার বিষয়ে লেখা থাকে, তখন সেখানে আসলে কিছু বুঝতে পারা বা না পারাকে বোঝায়। (যিশাইয় ৬:১০; যিরমিয় ৫:২১; যোহন ৯:৩৯-৪১) তাই, একজন ব্যক্তি ঈশ্বরকে তার “হৃদয়ের চোখ” দিয়ে এখনই দেখতে পারেন, যদি তার বিশ্বাস থাকে আর এই দেখতে পারার অর্থ হল, তিনি তাঁকে জানেন আর তাঁর গুণগুলোকে ভালোবাসেন। (ইফিষীয় ১:১৮) বাইবেল থেকে আমরা জানতে পারি, কী করে এই ধরনের বিশ্বাস গড়ে তোলা যায়।

  • সৃষ্টির মধ্যে ঈশ্বরের গুণগুলো ভালোভাবে লক্ষ করুন। সৃষ্টি থেকে আপনি জানতে পারবেন, ঈশ্বর কত প্রেমময় ও উদার, কত প্রজ্ঞাবান ও শক্তিশালী। (রোমীয় ১:২০) ঈশ্বরের সৃষ্টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার পর, বিশ্বস্ত ব্যক্তি ইয়োবের মনে হয়েছিল যেন তিনি ঈশ্বরকে নিজের চোখে দেখতে পেয়েছেন।—ইয়োব ৪২:৫.

  • ঈশ্বরকে জানার জন্য বাইবেল অধ্যয়ন করুন। আর বাইবেল আমাদের এই আশ্বাস দেয়: “তুমি যদি তাঁর অনুসন্ধান করো, তা হলে তুমি তাঁকে খুঁজে পাবে।”—১ বংশাবলি ২৮:৯; গীতসংহিতা ১১৯:২; যোহন ১৭:৩.

  • ঈশ্বরকে জানার জন্য যিশুর জীবন সম্বন্ধে ভালোভাবে জানুন। কারণ যিশুই একমাত্র নিখুঁতভাবে তাঁর পিতা যিহোবা ঈশ্বরের ব্যক্তিত্বকে প্রতিফলিত করেছেন আর তাই একমাত্র তিনিই এই কথাগুলো বলতে পারেন: “যে আমাকে দেখেছে, সে পিতাকেও দেখেছে।”—যোহন ১৪:৯.

  • এমনভাবে জীবনযাপন করুন, যা ঈশ্বরকে খুশি করে আর দেখুন, তিনি কীভাবে আপনাকে সাহায্য করেন। যিশু এই বিষয়ে বলেছিলেন: “সুখী সেই ব্যক্তিরা, যাদের হৃদয় বিশুদ্ধ, কারণ তারা ঈশ্বরকে দেখতে পাবে।” আমরা যেমন আগে জেনেছি, ঈশ্বরকে খুশি করে এমন কিছু ব্যক্তিকে তাদের মৃত্যুর পর স্বর্গে পুনরুত্থিত করা হবে আর তখন তারা সরাসরি “ঈশ্বরকে দেখতে” পাবে।—মথি ৫:৮; গীতসংহিতা ১১:৭.

মোশি, অব্রাহাম এবং অন্যেরা কি তাহলে ঈশ্বরকে দেখেনি?

বাইবেলে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে, যেগুলো পড়লে মনে হতে পারে, মানুষ নিজের চোখে সত্যি সত্যি ঈশ্বরকে দেখেছে। কিন্তু, সেই ঘটনাগুলোর প্রসঙ্গ পড়লে আমরা বুঝতে পারব, সেইসময়ে ঈশ্বর কোনো স্বর্গদূত কিংবা দর্শনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

স্বর্গদূত।

প্রাচীনকালে ঈশ্বর মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর স্বর্গদূতদের ব্যবহার করতেন। (গীতসংহিতা ১০৩:২০) যেমন, একবার ঈশ্বর জলন্ত ঝোপের মধ্য থেকে মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন আর বাইবেল জানায়: “মোশি আপন মুখ আচ্ছাদন করিলেন, কেননা তিনি ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টি করিতে ভীত হইয়াছিলেন।” (যাত্রাপুস্তক ৩:৪, ৬) কিন্তু, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য শাস্ত্রপদ পড়লে আমরা জানতে পারব যে, মোশি আসলে সেইসময়ে ঈশ্বরকে নয় বরং তাঁর ‘দূতকে’ দেখেছিলেন।—যাত্রাপুস্তক ৩:২.

একইভাবে, বাইবেলে যদিও লেখা রয়েছে যে, ঈশ্বর মোশির সঙ্গে “সম্মুখাসম্মুখি” অর্থাৎ মুখোমুখি কথা বলেছেন, কিন্তু এর মানে হল, ঈশ্বর মোশির সঙ্গে একান্তে কথা বলেছিলেন। (যাত্রাপুস্তক ৪:১০, ১১; ৩৩:১১) তাই, মোশি আসলে ঈশ্বরের মুখ দেখেননি, বরং ঈশ্বরের কথাগুলো তাকে “স্বর্গদূতের মাধ্যমে” বলা হয়েছিল। (প্রেরিত ৭:৫৩; গালাতীয় ৩:১৯) ঈশ্বরের প্রতি মোশির বিশ্বাস খুবই দৃঢ় ছিল আর সেইজন্য বাইবেল বলে, মোশি যেন ’যিনি অদৃশ্য তাঁকে … দেখেছেন।’—ইব্রীয় ১১:২৭.

ঈশ্বর যেমন মোশির সঙ্গে তাঁর স্বর্গদূতদের মাধ্যমে কথা বলেছিলেন, ঠিক একইভাবে তিনি অব্রাহামের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। এটা ঠিক যে, বাইবেল পড়ার সময়ে আমাদের মনে হতে পারে, অব্রাহাম সত্যি সত্যিই ঈশ্বরকে দেখেছিলেন। (আদিপুস্তক ১৮:১, ৩৩) কিন্তু, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য শাস্ত্রপদ পড়লে আমরা জানতে পারব, অব্রাহামের সঙ্গে দেখা করার জন্য যে-“তিনটী পুরুষ” এসেছিলেন, তারা আসলে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো স্বর্গদূত ছিলেন। অব্রাহাম সেটা বুঝতে পারেন আর তাই তিনি তাদের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলেন যেন তিনি সরাসরি যিহোবার সঙ্গেই কথা বলছিলেন। —আদিপুস্তক ১৮:২, ৩, ২২, ৩২; ১৯:১.

দর্শন।

ঈশ্বর অনেকসময় দর্শনের মাধ্যমে মানুষকে দেখা দিয়েছেন। যেমন, বাইবেল বলে মোশি ও অন্যান্য ইজরায়েলীয়েরা “ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে দর্শন করিলেন,” অর্থাৎ তারা একটা দর্শনের মাধ্যমে ঈশ্বরকে দেখেছিল। (যাত্রাপুস্তক ২৪:৯-১১) বাইবেল এও বলে, বিভিন্ন ভাববাদী ‘যিহোবাকে দেখেছে।’ (যিশাইয় ৬:১; দানিয়েল ৭:৯; আমোষ ৯:১) সেই ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শাস্ত্রপদগুলো পড়লে আমরা বুঝতে পারব, তারা ঈশ্বরকে চাক্ষুষ দেখেনি বরং দর্শনের মাধ্যমে তাঁকে দেখেছিল।—যিশাইয় ১:১; দানিয়েল ৭:২; আমোষ ১:১.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার