শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর
আলোর সন্তান হিসেবে চলো।—ইফি. ৫:৮.
‘আলোর সন্তান হিসেবে চলার’ জন্য আমাদের পবিত্র শক্তির সাহায্য নিতে হবে। কেন? কারণ এই জগৎ অনৈতিকতায় ভরে গিয়েছে আর এর মধ্যে নিজেদের শুদ্ধ রাখা সহজ নয়। (১ থিষল. ৪:৩-৫, ৭, ৮) কিন্তু, পবিত্র শক্তির সাহায্যে আমরা জগতের সেইসমস্ত চিন্তাভাবনা ও মনোভাবকে নিজেদের উপর প্রভাব ফেলতে দেব না, যেগুলো যিহোবার চিন্তাভাবনার সঙ্গে মেলে না। এ ছাড়া, পবিত্র শক্তির সাহায্যে আমরা ‘ধার্মিক হতে এবং সত্যের সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করতে’ পারব। (ইফি. ৫:৯) পবিত্র শক্তি পাওয়ার একটা উপায় হল, এটার জন্য যিহোবার কাছে প্রার্থনা করা। যিশু বলেছিলেন, ‘[যিহোবার] কাছে যারা চায়, তিনি তাদের পবিত্র শক্তি দেবেন।’ (লূক ১১:১৩) এ ছাড়া, আমরা যখন সভায় প্রত্যেকের সঙ্গে যিহোবার উপাসনা করি, তখন আমরা পবিত্র শক্তি পাই। (ইফি. ৫:১৯, ২০) পবিত্র শক্তি যখন আমাদের মধ্যে কাজ করে, তখন আমরা এমনভাবে জীবনযাপন করি, যেটা দেখে যিহোবা খুশি হন। প্রহরীদুর্গ ২৪.০৩ ২৩-২৪ অনু. ১৩-১৫
শনিবার, ১৮ অক্টোবর
চাইতে থাকো, তা হলে তোমাদের দেওয়া হবে; অন্বেষণ করতে থাকো, তা হলে তোমরা খুঁজে পাবে; দরজায় আঘাত করতে থাকো, তা হলে তোমাদের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে।—লূক ১১:৯.
আপনার কি আরও ধৈর্যের প্রয়োজন? যদি হয়, তা হলে প্রার্থনা করুন। ধৈর্য পবিত্র শক্তির ফলের একটা দিক। (গালা. ৫:২২, ২৩) তাই, যিহোবার কাছ থেকে পবিত্র শক্তি চান এবং তাঁর কাছে অনুরোধ করুন যেন আপনি ধৈর্য ধরতে পারেন। যদি আপনার সামনে কখনো এমন পরিস্থিতি আসে, যেখানে ধৈর্য ধরা আপনার কঠিন বলে মনে হয়, তা হলে পবিত্র শক্তি ‘চাইতে থাকুন।’ (লূক ১১:১৩) এ ছাড়া, আমরা বিনতি করতে পারি, যেন আমরা পরিস্থিতিকে যিহোবার মতো করে দেখতে পারি। এরপর, আমাদের প্রার্থনা করা উচিত। প্রার্থনা করার পর আমাদের প্রতিদিন ধৈর্য ধরার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করা উচিত। আমরা ধৈর্য ধরার জন্য যত বেশি প্রার্থনা করব এবং তা করার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করব, তত বেশি আমরা ধৈর্য ধরতে পারব। আর এটা আমাদের এক অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। এটা বাইবেলে দেওয়া উদাহরণগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার জন্য সাহায্য করে। বাইবেলে এমন অনেক ব্যক্তির বিষয়ে বলা হয়েছে, যারা ধৈর্য ধরেছিল। সেই ব্যক্তিদের বিবরণ পড়ে এবং সেগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে আমরা জানতে পারি যে, কীভাবে আমরা আলাদা আলাদা পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে পারি। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৮ ২২ অনু. ১০-১১
রবিবার, ১৯ অক্টোবর
মাছ ধরার জন্য . . . তোমার জাল ফেলো।—লূক ৫:৪.
যিশু প্রেরিত পিতরকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, যিহোবা তার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জুগিয়ে দেবেন। পুনরুত্থিত হওয়ার পর যিশু আরেক বার একটা অলৌকিক কাজ করেছিলেন, যেটার ফলে পিতর এবং অন্যান্য প্রেরিতেরা অনেক মাছ ধরতে পেরেছিলেন। (যোহন ২১:৪-৬) এই অলৌকিক কাজ দেখে পিতর আরেক বার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন, যিহোবা তার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জুগিয়ে দেবেন। পিতরের হয়তো যিশুর এই কথাগুলো মনে পড়ে গিয়েছিল, যারা ‘ঈশ্বরের রাজ্যকে সবসময় জীবনে প্রথম স্থান’ দেয়, যিহোবা তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জুগিয়ে দেন। (মথি ৬:৩৩) এই কারণে পিতর তার মাছ ধরার ব্যাবসা নয় বরং প্রচার কাজকে নিজের জীবনে প্রথম স্থান দিয়েছিলেন। এরপর, ৩৩ খ্রিস্টাব্দের পঞ্চাশত্তমীর দিনে তিনি সাহসের সঙ্গে যিশুর বিষয়ে লোকদের বলতে পেরেছিলেন আর এই কারণে হাজার হাজার লোক সুসমাচার গ্রহণ করতে পেরেছিল। (প্রেরিত ২:১৪, ৩৭-৪১) এরপর, তিনি শমরীয় ও ন-যিহুদিদেরও খ্রিস্টের শিষ্য হতে সাহায্য করেছিলেন। (প্রেরিত ৮:১৪-১৭; ১০:৪৪-৪৮) যিহোবা কতই-না চমৎকার উপায়ে পিতরকে তাঁর সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন! পিতরের মাধ্যমে তিনি সমস্ত ধরনের লোককে খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে নিয়ে এসেছিলেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৯ ২০ অনু. ১; ২৩ অনু. ১১