ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr21 নভেম্বর পৃষ্ঠা ১-১০
  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০২১)
  • উপশিরোনাম
  • নভেম্বর ১-৭
  • নভেম্বর ৮-১৪
  • নভেম্বর ১৫-২১
  • নভেম্বর ২২-২৮
  • নভেম্বর ২৯–ডিসেম্বর ৫
  • ডিসেম্বর ৬-১২
  • ডিসেম্বর ১৩-১৯
  • ডিসেম্বর ২০-২৬
  • ডিসেম্বর ২৭–জানুয়ারি ২
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০২১)
mwbr21 নভেম্বর পৃষ্ঠা ১-১০

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

নভেম্বর ১-৭

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | যিহোশূয়ের পুস্তক ১৮-১৯

“যিহোবা বিজ্ঞতার সঙ্গে দেশ ভাগ করে দেন”

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৩৫৯ অনু. ১, ইংরেজি

সীমানা

তাই এটা স্পষ্ট যে, বংশের মধ্যে জমির বিভাগ দুটো বিষয়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল: ঘুঁটি চালার ফলাফল এবং বংশের লোকদের সংখ্যা। ঘুঁটি চালার ফলে এটা নির্ধারিত হত যে, প্রতিটা বংশ তাদের অধিকার হিসেবে আনুমানিক কোন জায়গা লাভ করবে, যেমন তাদের জমি দেশের কোন বিভাগে পড়বে, উত্তরে না কি দক্ষিণে, পূর্বে না কি পশ্চিমে, উপকূলবর্তী এলাকায় না কি পর্বতময় এলাকায়। ঘুঁটি চালার ফলাফল যিহোবা নির্ধারণ করতেন, তাই এটা বিভিন্ন বংশের মধ্যে ঈর্ষা বা ঝগড়াঝাঁটিকে প্রতিরোধ করেছিল। (হিতো ১৬:৩৩) এভাবে, ঈশ্বর বিভিন্ন বিষয়ে পরিচালনা দিয়েছিলেন, যেন প্রতিটা বংশের পরিস্থিতি আদিপুস্তক ৪৯:১-৩৩ পদে লিপিবদ্ধ কুলপতি যাকোবের ভবিষ্যদ্‌বাণীর সঙ্গে মিলে যায়, যা তিনি ঈশ্বরের অনুপ্রেরণায় তার মৃত্যুশয্যায় করেছিলেন।

অন্তর্দৃষ্টি-১ ১২০০ অনু. ১, ইংরেজি

উত্তরাধিকার

আদিপুস্তক ৪৯:৫, ৭ পদে বলা যাকোবের ভবিষ্যদ্‌বাণীর সঙ্গে মিল রেখে, শিমিয়োন ও লেবিকে উত্তরাধিকার হিসেবে দেশের আলাদা আলাদা অংশ দেওয়া হয়নি: শিমিয়োনের এলাকা যিহূদার এলাকার মধ্যেই ছিল (যিহো ১৯:১-৯) আর লেবি ৪৮টা নগর পেয়েছিল, যেগুলো ইজরায়েলের পুরো এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল।

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৩৫৯ অনু. ২, ইংরেজি

সীমানা

ঘুঁটি চেলে বংশের জায়গার ভৌগলিক অবস্থান নির্ধারণ করার পর দ্বিতীয় যে-বিষয়টা সেই জায়গার পরিসীমা নির্ধারণ করেছিল, তা হল: বংশের লোকদের সংখ্যার আনুপাতিক হার। “আর তোমরা গুলিবাঁট দ্বারা আপন আপন গোষ্ঠী অনুসারে দেশাধিকার বিভাগ করিয়া লইবে; অধিক লোককে অধিক অংশ, ও অল্প লোককে অল্প অংশ দিবে; যাহার অংশ যে স্থানে পড়ে, তাহার অংশ সেই স্থানে হইবে।” (গণনা ৩৩:৫৪) ভৌগলিক অবস্থান সম্বন্ধে ঘুঁটি চালার ফলাফল অপরিবর্তনশীল ছিল কিন্তু কোনো বংশ কতটা জায়গা লাভ করবে, সেই বিষয়ে রদবদল করা যেতে পারত। তাই, যিহূদা বংশের এলাকা যখন এর লোকদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হয়ে গিয়েছিল, তখন সেখান থেকে জায়গা কমিয়ে কিছু অংশ শিমিয়োন বংশের লোকদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।—যিহো ১৯:৯.

আধ্যাত্মিক রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৩৫৯ অনু. ৫, ইংরেজি

সীমানা

সাত বংশ কেন জর্ডনের পশ্চিমে অবস্থিত দেশের বাকি অংশ জয় করার ব্যাপারে অবহেলা করেছিল, সেই বিষয়ে পণ্ডিত ব্যক্তিরা/বাইবেল সম্বন্ধে মন্তব্যকারীরা ভিন্ন ভিন্ন কারণ সম্বন্ধে জানিয়েছেন। কয়েক জন (মন্তব্যকারী) বলেন যে, ইজরায়েলীয়েরা যত বিজয় লাভ করেছিল, সেখান থেকে প্রচুর লুট করা জিনিস সংগ্রহ করেছিল। এ ছাড়া, ভবিষ্যতে কনানীয়দের কাছ থেকে কোনোরকম আক্রমণের বিপদ ছিল না। তাই, তারা হয়তো মনে করেছিল, দেশের বাকি অংশ জয় করা ততটা জরুরি নয়। আরেকটা কারণ হতে পারে যে, বাকি এলাকাগুলোতে তাদের যে-শত্রুরা ছিল, তাদের সংখ্যা অনেক বেশি এবং তারা অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে লড়াই করা সহজ নয়। তাদের পরাজিত করার বিষয়টাকে স্থগিত রাখা আরও সহজ। (যিহো ১৩:১-৭) এ ছাড়া, ইতিমধ্যেই তারা প্রতিজ্ঞাত দেশের যে-এলাকাগুলো জয় করেছিল, সেগুলোর তুলনায় এই অংশের বিষয়ে তাদের জ্ঞান কম ছিল।

নভেম্বর ৮-১৪

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | যিহোশূয়ের পুস্তক ২০-২১

“ভুল বোঝাবুঝির একটা ঘটনা থেকে শেখা”

প্রহরীদুর্গ ০৬ ৪/১৫ ৫ অনু. ৩

আপনার সাথির সঙ্গে ভাববিনিময় করার অপরিহার্য বিষয়গুলো

খোলাখুলি ভাববিনিময় ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল ধারণা রোধ করতে পারে। ইস্রায়েলীয়দের ইতিহাসের শুরুর দিকে, রূবেণ, গাদ ও মনঃশির অর্ধ বংশ, যারা যর্দন নদীর পূর্বপারে বাস করত, তারা যর্দন নদীর তীরে “এক যজ্ঞবেদি” নির্মাণ করেছিল, “সেই বেদি দেখিতে বৃহৎ।” অন্য বংশগুলো তাদের এই কাজ দেখে তাদেরকে ভুল বুঝেছিল। যর্দন নদীর অপর পারে বসবাসরত তাদের ভাইয়েরা ধর্মভ্রষ্টতার কাজ করেছে ভেবে পশ্চিম পারের বংশগুলো “বিদ্রোহীদের” সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু, যুদ্ধে যাওয়ার আগে তারা পূর্ব পারের বংশগুলোর সঙ্গে ভাববিনিময় করার জন্য এক প্রতিনিধি দলকে পাঠিয়েছিল। কত বিজ্ঞতাপূর্ণ এক পদক্ষেপ! তারা বুঝতে পেরেছিল যে, সেই বেদি অবৈধ হোমবলি বা বলিদানগুলো করার জন্য ছিল না। বরং, পূর্ব পারের বংশগুলোর মধ্যে এই ভীতি জন্মেছিল যে, ভবিষ্যতে অন্যান্য বংশ তাদের বলবে: “সদাপ্রভুতে তোমাদের কোন অধিকার নাই।” এই বেদি এক সাক্ষি হবে যে, তারাও যিহোবার উপাসক ছিল। (যিহোশূয়ের পুস্তক ২২:১০-২৯) তারা সেই বেদির নাম রেখেছিল এদ (ইব্রীয় ভাষায় যেটার অর্থ হচ্ছে সাক্ষি) কারণ এটা তাদের জন্য এক সাক্ষি হিসেবে কাজ করেছিল যে, যিহোবাই ছিলেন সত্য ঈশ্বর।—যিহোশূয়ের পুস্তক ২২:৩৪.

প্রহরীদুর্গ ০৮ ১১/১৫ ১৮ অনু. ৫

‘যে যে বিষয় শান্তিজনক, সেই সকলের অনুধাবন করুন’

কিছু ইস্রায়েলীয় হয়তো ভেবেছিল যে, অন্যায় কাজের যথেষ্ট প্রমাণ ইতিমধ্যেই ছিল আর এক গুপ্ত আক্রমণের ফলে কিছু লোকের মৃত্যু হবে। কিন্তু, তাড়াহুড়ো করে কাজ করার পরিবর্তে যর্দনের পশ্চিম পারে যে-বংশের লোকেরা ছিল, তারা তাদের ভাইদের সঙ্গে সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিল। তারা জিজ্ঞেস করেছিল: “তোমরা অদ্য সদাপ্রভুর অনুগমন হইতে ফিরিবার জন্য ইস্রায়েলের ঈশ্বরের বিরুদ্ধে এই যে সত্যলঙ্ঘন করিলে, এ কি?” আসলে, যে-বংশগুলো বেদি নির্মাণ করেছিল, তারা অবিশ্বস্তভাবে কাজ করেনি। কিন্তু, এই ধরনের এক অভিযোগের প্রতি তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? তারা কি অভিযোগকারীদের সঙ্গে রাগান্বিতভাবে কথা বলবে, নাকি তাদের সঙ্গে কোনোরকম কথা বলাই বাদ দেবে? অভিযুক্ত বংশগুলো কোমলভাবে উত্তর দিয়েছিল, স্পষ্টভাবে বলেছিল যে, যিহোবাকে সেবা করার বিষয়ে তাদের আকাঙ্ক্ষাই আসলে তাদেরকে এই কাজ করতে প্রেরণা দিয়েছিল। তাদের এই কোমল উত্তর ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে অক্ষুণ্ণ রেখেছিল এবং তাদের জীবন বাঁচিয়েছিল। শান্ত আলোচনা এই বিষয়টা মীমাংসা এবং পুনরায় শান্তি স্থাপন করেছিল।—যিহো. ২২:১৩-৩৪.

আধ্যাত্মিক রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৪০২ অনু. ৩, ইংরেজি

কনান

ইজরায়েলের চারপাশে যে-শত্রুরা ছিল, তারা ভয় পেয়ে গিয়েছিল এবং তারা ইজরায়েলীয়দের জন্য আর হুমকি স্বরূপ ছিল না। এ ছাড়া, ঈশ্বর আগে তাদের বলেছিলেন, তিনি কনানীয়দের “একটু একটু করে” তাড়িয়ে দেবেন। যিহোবা যদি এক বারেই কনানীয়দের তাড়িয়ে দিতেন, তা হলে ইজরায়েলীয়েরা হয়তো পুরো দেশে খুব তাড়াতাড়ি বাস করা শুরু করতে পারত না আর এতে দেশের যে-এলাকাগুলোতে কেউ বসবাস করত না, সেই এলাকাগুলোতে হিংস্র পশুদের সংখ্যা বেড়ে যেত।—যাত্রা ২৩:২৯, ৩০; দ্বিতীয় ৭:২২, NW.

নভেম্বর ১৫-২১

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | যিহোশূয়ের পুস্তক ২৩-২৪

“ইজরায়েল জাতির প্রতি যিহোশূয়ের শেষ উপদেশ”

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৭৫, ইংরেজি

মিত্রতা

সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হিসেবে যিহোবা কনান দেশ জয় করার জন্য ইজরায়েলীয়দের পূর্ণ বৈধ অধিকার দিয়েছিলেন। তাই, তারা সেই দেশে বিদেশি হিসেবে প্রবেশ করছিল না। সেইজন্য, সেই দেশে বসবাসকারী পৌত্তলিক লোকদের সঙ্গে তাদের কোনোরকম মিত্রতা/লিখিত চুক্তি করার দরকার ছিল না। এই কারণে, যিহোবা তাদের স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে, কনানের লোকদের সঙ্গে তারা যেন কোনোরকম নিয়ম বা চুক্তি না করে। (যাত্রা ২৩:৩১-৩৩; ৩৪:১১-১৬) তাদের বিশেষভাবে সাবধান করা হয়েছিল যেন তারা সেখানে যেসমস্ত জাতি বাস করে, তাদের লোকদের সঙ্গে বিয়ে না হয় বা তাদের বিয়ে না করে। তারা যদি কোনো জাতির কাউকে বিয়ে করে, তা হলে তারা কেবল পৌত্তলিক স্ত্রীই নয়, কিন্তু সেইসঙ্গে পৌত্তলিক আত্মীয়স্বজনও লাভ করবে। যিহোবার উপাসনা করে না এমন ব্যক্তিদের বিয়ে করার মাধ্যমে তারা যদি তাদের সঙ্গে আত্মীয়তা গড়ে তোলে, তা হলে সেটা তাদের জন্য ফাঁদস্বরূপ হবে। আর একসময় তারা মিথ্যা ধর্মীয় রীতিনীতি ও প্রথা পালন করতে শুরু করবে। এই ধরনের ধর্মভ্রষ্টতা দেখা দিলে যিহোবা আর তাদের সুরক্ষা ও আশীর্বাদ করবেন না।—দ্বিতীয় ৭:২-৪; যাত্রা ৩৪:১৬; যিহো ২৩:১২, ১৩.

প্রহরীদুর্গ ০৭ ১১/১ ২৬ অনু. ১৯-২০

যিহোবার বাক্য কখনো বিফল হয় না

১৯ নিশ্চিতভাবেই, আমাদের নিজের চোখে আমরা যা দেখেছি, সেই অনুযায়ী আমরা বলতে পারি: “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে যত মঙ্গলবাক্য বলিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে একটীও বিফল হয় নাই; তোমাদের পক্ষে সকলই সফল হইয়াছে, তাহার একটীও বিফল হয় নাই।” (যিহোশূয়ের পুস্তক ২৩:১৪) যিহোবা তাঁর দাসদের উদ্ধার করেন, সুরক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জোগান। আপনি কি তাঁর এমন কোনো প্রতিজ্ঞার কথা উল্লেখ করতে পারেন, যা তাঁর নিরূপিত সময়ে পরিপূর্ণ হতে বিফল হয়েছে? এটা অসম্ভব। তাই বিজ্ঞতার সঙ্গেই আমরা ঈশ্বরের নির্ভরযোগ্য বাক্যের ওপর নির্ভর করি।

২০ ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে কী বলা যায়? যিহোবা আমাদের বলেছেন যে, আমাদের মধ্যে অধিকাংশই এমন একটা পৃথিবীতে বাস করার আশা করতে পারি, যা মনোরম পরমদেশে রূপান্তরিত হবে। আমাদের মধ্যে মাত্র অল্পসংখ্যক ব্যক্তির স্বর্গে খ্রিস্টের সঙ্গে শাসন করার আশা রয়েছে। আমাদের আশা যা-ই হোক না কেন, আমাদের বিশ্বস্ত থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, যেমনটা যিহোশূয়ও ছিলেন। সেই দিন আসবে, যখন আমাদের আশা বাস্তবে পরিণত হবে। তখন আমরা যিহোবার সেইসমস্ত প্রতিজ্ঞার দিকে ফিরে তাকাব, যেগুলো তিনি করেছেন এবং আমরাও বলব: “সকলই সফল হইয়াছে।”

আধ্যাত্মিক রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৪ ১২/১ ১২ অনু. ১

যিহোশূয়ের পুস্তকের প্রধান বিষয়গুলো

২৪:২—অব্রাহামের বাবা তেরহ কি মূর্তিপূজক ছিলেন? প্রথমে তেরহ যিহোবা ঈশ্বরের উপাসক ছিলেন না। তিনি সম্ভবত সিন নামে চন্দ্রদেবতার—ঊরের এক বিখ্যাত দেবতার—উপাসনা করতেন। যিহুদি প্রথা অনুযায়ী তেরহ হয়তো এমনকি একজন মূর্তি নির্মাণকারীও ছিলেন। কিন্তু, ঈশ্বরের আদেশে অব্রাহাম যখন ঊর ত্যাগ করেন, তখন তেরহ তার সঙ্গে হারণে গিয়েছিলেন।—আদিপুস্তক ১১:৩১.

নভেম্বর ২২-২৮

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১-৩

“সাহস ও কৌশলতার এক ঘটনা”

প্রহরীদুর্গ ০৪ ৩/১৫ ৩১ অনু. ৩

এহূদ পীড়নকারীর জোয়াল ভাঙেন

এহূদের পরিকল্পনা সফল হয়েছিল, তার নিজের কোনো চতুরতা বা শত্রুপক্ষের কোনো অযোগ্যতার জন্য নয়। ঐশিক উদ্দেশ্যগুলোর পরিপূর্ণতা মানুষের কোনো কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে না। এহূদের সাফল্যের মূল কারণ ছিল, তিনি ঈশ্বরের লোকেদের মুক্ত করার জন্য ঈশ্বরের অজেয় ইচ্ছার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করায় তার প্রতি ঈশ্বরের সমর্থন ছিল। ঈশ্বর এহূদকে উৎপন্ন করেছিলেন, ‘আর সদাপ্রভু যখন [তাঁহার লোকেদের] জন্য বিচারকর্ত্তা উৎপন্ন করিতেন, তখন সদাপ্রভু বিচারকর্ত্তার সঙ্গে সঙ্গে থাকিতেন।’—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ২:১৮; ৩:১৫.

প্রহরীদুর্গ ০৪ ৩/১৫ ৩০ অনু. ১-৩

এহূদ পীড়নকারীর জোয়াল ভাঙেন

এহূদের প্রথম পদক্ষেপ ছিল ‘আপনার জন্য একখানি খড়্গ’—তার পোশাকের নিচে লুকিয়ে নেওয়ার মতো একটা ছোট দ্বিধার খড়্গ—প্রস্তুত করা। তিনি হয়তো আশা করেছিলেন যে তাকে তল্লাশি করা হবে। খড়্গ সাধারণত দেহের বামদিকে নেওয়া হতো, ফলে ডান-হাতিরা খুব দ্রুত এগুলোকে বের করতে পারত। বাঁ-হাতি হওয়ায় এহূদ তার অস্ত্র “দক্ষিণ ঊরুদেশে বস্ত্রের ভিতরে” লুকিয়ে রেখেছিলেন, যেখানে রাজার রক্ষীদের তল্লাশী চালানোর খুব কম সম্ভাবনাই ছিল। ফলে, কোনোরকম বাধা ছাড়াই, তিনি “মোয়াব-রাজ ইগ্লোনের নিকটে উপঢৌকন লইয়া গেলেন।”—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৩:১৬, ১৭.

ইগ্লোনের রাজপ্রাসাদে প্রাথমিক ঘটনাবলির বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করা হয়নি। বাইবেল শুধু বলে: “[এহূদের] উপঢৌকন দেওয়া হইয়া গেলে তিনি ঐ উপঢৌকনবাহক লোকদিগকে বিদায় করিলেন।” (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৩:১৮) এহূদ উপঢৌকন দিয়েছিলেন, উপঢৌকনবাহকদের সঙ্গে ইগ্লোনের বাসভবন থেকে নিরাপদ দূরত্ব পর্যন্ত গিয়েছিলেন এবং তাদের বিদায় করে আবার ফিরে এসেছিলেন। কেন? সেই লোকেদের কি তিনি কেবলমাত্র সুরক্ষার জন্য, নিছক সৌজন্যতার খাতিরে অথবা শুধুমাত্র উপঢৌকনবাহক হিসেবে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন? আর তিনি কি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের বিদায় করে দিতে চেয়েছিলেন? তার চিন্তাভাবনা যা-ই ছিল না কেন, এহূদ একাই সাহসের সঙ্গে পিছনে ফিরে গিয়েছিলেন।

“[এহূদ] গিল্‌গলস্থ প্রস্তরাকর হইতে ফিরিয়া আসিয়া কহিলেন, হে রাজন্‌, আপনার নিকটে আমার একটী গোপনীয় কথা আছে।” তিনি আবার কীভাবে ইগ্লোনের সভাকক্ষে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন, তা শাস্ত্রে বলা নেই। রক্ষীদের কি সন্দেহ করা উচিত ছিল না? তারা কি মনে করেছিল যে, শুধুমাত্র একজন ইস্রায়েলীয় তাদের প্রভুর জন্য কোনো হুমকির কারণই হবে না? এহূদের একা ফিরে আসা কি এমন ধারণা সৃষ্টি করেছিল যে, তিনি তার দেশের লোকেদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছিলেন? যা-ই হোক না কেন, রাজার সঙ্গে এহূদ একান্তে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন আর তা করেও ছিলেন।—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৩:১৯.

আধ্যাত্মিক রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৫ ১/১৫ ২৫ অনু. ১

বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

২:১০-১২. আমাদের অবশ্যই এক নিয়মিত বাইবেল অধ্যয়নের কার্যক্রম থাকতে হবে, যাতে ‘সদাপ্রভুর উপকার ভুলিয়া না যাই।’ (গীতসংহিতা ১০৩:২) বাবামাদের, তাদের সন্তানদের হৃদয়ে ঈশ্বরের বাক্যের সত্য গেঁথে দেওয়া দরকার।—দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৬-৯.

নভেম্বর ২৯–ডিসেম্বর ৫

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৪-৫

“যিহোবা তাঁর লোকদের উদ্ধার করার জন্য দু-জন নারীকে ব্যবহার করেন”

প্রহরীদুর্গ ১৭.৪ ২৯ অনু. ৬

স্বেচ্ছাসেবকের মনোভাব নিয়ে যিহোবার প্রশংসা করুন!

৬ বারক ছিলেন একজন ইস্রায়েলীয় যোদ্ধা আর দবোরা ছিলেন একজন ভাববাদিনী। ২০ বছর ধরে ইস্রায়েলীয়রা যাবীন নামে এক কনানীয় রাজার কাছ থেকে “কঠোর দৌরাত্ম্য” সহ্য করছিল। যাবীনের সৈন্যবাহিনী এতটাই হিংস্র ও নিষ্ঠুর ছিল যে, ইস্রায়েলীয়রা এমনকী যে-জায়গাগুলোতে লুকিয়ে থাকত, সেই জায়গাগুলো থেকে বের হতেও ভয় পেত। যাবীনের সৈন্যবাহিনীর কাছে ৯০০টা যুদ্ধরথ ছিল কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের কাছে লড়াই করার জন্য কোনো উপযুক্ত অস্ত্র বা আত্মরক্ষার জন্য কোন যুদ্ধসজ্জা ছিল না।—বিচার. ৪:১-৩, ১৩; ৫:৬-৮.

প্রহরীদুর্গ ১৪ ৮/১৫ ৮ অনু. ১২

যিহোবার উদ্দেশ্যের মধ্যে নারীদের ভূমিকা কী?

১২ ইস্রায়েলে যে-সময়ে বিচারকরা শাসন করত, সেই সময়ে ঈশ্বর দবোরা নামে একজন নারীকে ভাববাদিনী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। দবোরা, বিচারক বারককে উৎসাহিত করেছিলেন এবং ইস্রায়েলীয়দেরকে তাদের শত্রুদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সাহায্য করেছিলেন। তিনি এই ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিলেন, বারক নয় বরং একজন নারী কনানীয়দের পরাজিত করার গৌরব লাভ করবে। এই শত্রুরা সেই সময়ে পরাজিত হয়েছিল, যখন যায়েল নামে একজন ন-ইস্রায়েলীয় নারী কনানীয় সেনাবাহিনীর প্রধান সীষরাকে হত্যা করেছিলেন।—বিচার. ৪:৪-৯, ১৭-২২.

প্রহরীদুর্গ ১২ ২/১৫ ১২ অনু. ৯

“বলবান হও ও অতিশয় সাহস কর”

৯ খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ১৪৫০ সালে যিহোশূয়ের মৃত্যুর পর, বিচারকর্তৃগণ ইস্রায়েলে বিচার করত। সেই সময় কনানের রাজা যাবীন ২০ বছর ধরে ইস্রায়েলীয়দের অত্যাচার করে আসছিল, যখন ঈশ্বর ভাববাদিনী দবোরাকে দিয়ে বিচারক বারককে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। বারক ১০,০০০ লোককে তাবোর পর্বতে একত্রিত করেছিলেন এবং যাবীনের প্রধান সেনাপতি সীষরার সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন আর সীষরা তার সেনাবাহিনী এবং ৯০০ যুদ্ধরথ নিয়ে কীশোন নদীর উপত্যকায় প্রবেশ করেছিলেন। ইস্রায়েলীয়রা যখন তলভূমিতে এসে পৌঁছেছিল, তখন ঈশ্বর আকস্মিক বন্যা ঘটিয়েছিলেন, যা যুদ্ধক্ষেত্রকে কর্দমাক্ত এলাকায় পরিণত করেছিল এবং কনানীয় রথগুলোকে অকেজো করে দিয়েছিল। বারকের লোকেরা বিজয় লাভ করেছিল এবং “সীষরার সমস্ত সৈন্য খড়গধারে পতিত হইল।” সীষরা নিজে যায়েলের তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিলেন কিন্তু যায়েল তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেন। বারকের প্রতি বলা দবোরার ভাববাণীমূলক কথা অনুযায়ী, এই জয়ের “যশ” যায়েল নামে একজন নারী পান। যেহেতু, দবোরা, বারক এবং যায়েল সাহসের সঙ্গে কাজ করেছিল, তাই ইস্রায়েল “চল্লিশ বৎসর . . . নিষ্কন্টকে থাকিল।” (বিচার. ৪:১-৯, ১৪-২২; ৫:২০, ২১, ৩১) ঈশ্বরভয়শীল অনেক নারী ও পুরুষ একইরকম বিশ্বাস এবং সাহস প্রদর্শন করেছিল।

আধ্যাত্মিক রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৫ ১/১৫ ২৫ অনু. ৬

বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

৫:২০—কীভাবে আকাশমণ্ডল থেকে তারাগণ বারকের হয়ে যুদ্ধ করেছিল? স্বর্গদূতেরা সাহায্য করেছিল নাকি উল্কাবৃষ্টি হয়েছিল যেটাকে সীষরার বিজ্ঞ লোকেরা অশুভ লক্ষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিল কিংবা সম্ভবত সীষরার পক্ষে করা জ্যোতিষীদের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল, সেই বিষয়ে বাইবেল কিছু বলে না। কিন্তু নিঃসন্দেহে, এতে কোনো ধরনের ঐশিক হস্তক্ষেপ ছিল।

ডিসেম্বর ৬-১২

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৬-৭

“তুমি তোমার এই বলেতেই গমন কর”

প্রহরীদুর্গ ০২ ২/১৫ ৬-৭

ঈশ্বরের দেওয়া নীতিগুলো আপনার উপকার করতে পারে

প্রাচীন ইব্রীয়দের বিচারক গিদিয়োনের নিজের সম্বন্ধে সঠিক মনোভাব ছিল এবং তিনি নিজের যোগ্যতা সম্বন্ধে সঠিক মূল্যায়ন করেছিলেন। তিনি ইস্রায়েলের নেতা হতে চাননি। কিন্তু, তাকে যখন সেই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছিল, তখন তিনি তার অযোগ্যতা সম্বন্ধে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “মনঃশির মধ্যে আমার গোষ্ঠী সর্ব্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র, এবং আমার পিতৃকুলে আমি কনিষ্ঠ।”—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৬:১২-১৬.

প্রহরীদুর্গ ০৫ ৭/১৫ ১৬ অনু. ৩

“সদাপ্রভুর ও গিদিয়োনের খড়গ”

মিদিয়নীয়রা কী আতঙ্কের মধ্যেই না পড়ে! হঠাৎ ৩০০টা ঘট ভাঙ্গার শব্দ, ৩০০টা তূরী ধ্বনির শব্দ এবং ৩০০ জন লোকের চিৎকার নিস্তব্ধতা ভেঙে দেয়। বিশেষভাবে, “সদাপ্রভুর ও গিদিয়োনের খড়গ” চিৎকারে হতভম্ব হয়ে, মিদিয়নীয়রাও চিৎকার করতে শুরু করে, যার ফলে চিৎকার আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এই বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে কে শত্রু কে বন্ধু, তা নির্ণয় করা তাদের পক্ষে অসম্ভব। সেই ৩০০ জন ব্যক্তি তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকে কারণ যিহোবা এমনটা ঘটান যে, শত্রুরা নিজেদের খড়্গগুলো দিয়ে একে অন্যকে হত্যা করে। শিবিরকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করা হয়, পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং এক দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে অবশিষ্ট শত্রুদের নির্মূল করে দেওয়া মিদিয়নীদের হুমকিকে চিরতরে দূর করে দেয়। অবশেষে দীর্ঘ এবং নিষ্ঠুর এক শাসনের অবসান ঘটে।—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৭:১৯-২৫; ৮:১০-১২, ২৮.

আধ্যাত্মিক রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৫ ১/১৫ ২৬ অনু. ৬

বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

৬:২৫-২৭. গিদিয়োন বিচক্ষণতাকে কাজে লাগিয়েছিলেন, যাতে তার বিপক্ষদের অযথা রাগান্বিত না করেন। সুসমাচার প্রচার করার সময়, আমরা যেভাবে কথা বলি সেটার দ্বারা আমাদের অবশ্যই অন্যদেরকে অযথা অসন্তুষ্ট না করার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

ডিসেম্বর ১৩-১৯

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৮-৯

“গর্বের চেয়ে নম্রতা উত্তম”

প্রহরীদুর্গ ০০ ৮/১৫ ২৫ অনু. ৪

মতের অমিল হলে আপনি কী করে তা মিটমাট করেন?

মিদিয়নীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় গিদিয়োন ইফ্রয়িমদের সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে মিদিয়নীয়রা গিদিয়োনের ওপর খুব রেগে যায় আর বলতে লাগে যে যুদ্ধের শুরুতে গিদিয়োন কেন তাদের ডাকেনি। বাইবেল বলে যে ‘এইরূপে তাহারা তাঁহার সহিত অত্যন্ত বিবাদ করিবার’ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু গিদিয়োন বলেছিলেন: “এখন তোমাদের কর্ম্মের তুল্য কোন কর্ম্ম আমি করিয়াছি? অবীয়েষরের দ্রাক্ষা চয়ন অপেক্ষা ইফ্রয়িমের পরিত্যক্ত দ্রাক্ষাফল কুড়ান কি ভাল নয়? তোমাদেরই হস্তে ত ঈশ্বর মিদিয়নের দুই রাজাকে, ওরেব ও সেবকে, সমর্পণ করিয়াছেন; আমি তোমাদের এই কর্ম্মের তুল্য কোন কর্ম্ম করিতে পারিয়াছি?” (বিচারকর্ত্তৃগণ ৮:১-৩) ভালভাবে, মিষ্টি করে কথা বলায় গিদিয়োন ইফ্রয়িমদের রাগকে ঠাণ্ডা করতে পেরেছিলেন আর এর ঘোরতর যুদ্ধকে রুখতে পেরেছিলেন। ইফ্রয়িমরা হয়তো খুব অহংকারী ছিল আর নিজেদের খুব বড় মনে করত। কিন্তু তারা যেমনই হোক না কেন গিদিয়োন শান্তভাবে মতের অমিলকে মিটিয়ে নিতে পেরেছিলেন। আমরাও কি তার মতো করতে পারি?

প্রহরীদুর্গ ১৭.০১ ২০ অনু. ১৫

কেন বিনয়ী হওয়া এখনও গুরুত্বপূর্ণ?

১৫ গিদিয়োন হলেন বিনয়ী মনোভাবের এক চমৎকার উদাহরণ। যিহোবা যখন গিদিয়োনকে মিদিয়নীয়দের হাত থেকে ইস্রায়েলকে রক্ষা করার কার্যভার দিয়েছিলেন, তখন গিদিয়োন বলেছিলেন: “মনঃশির মধ্যে আমার গোষ্ঠী সর্ব্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র, এবং আমার পিতৃকুলে আমি কনিষ্ঠ।” (বিচার. ৬:১৫) কিন্তু, গিদিয়োন যিহোবার উপর নির্ভর করেছিলেন এবং কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন। যিহোবা তার কাছ থেকে যা চেয়েছিলেন, তা তিনি পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন কি না, সেটা ভালোভাবে পরীক্ষা করেছিলেন এবং তাঁর নির্দেশনা চেয়ে প্রার্থনা করেছিলেন। (বিচার. ৬:৩৬-৪০) যদিও গিদিয়োন একজন শক্তিশালী ও সাহসী ব্যক্তি ছিলেন কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞ এবং সতর্কও ছিলেন। (বিচার. ৬:১১, ২৭) পরবর্তী সময়ে, লোকেরা যখন তাকে তাদের শাসক হিসেবে নিযুক্ত করতে চেয়েছিল, তখন তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যিহোবা তাকে যা করতে বলেছিলেন, তা সম্পন্ন করার পর তিনি বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।—বিচার. ৮:২২, ২৩, ২৯.

প্রহরীদুর্গ ০৮ ২/১৫ ৯ অনু. ৯

যিহোবার পথে চলুন

৯ ঈশ্বরের বন্ধু হতে হলে, আমাদের অবশ্যই “নম্রমনা” হতে হবে। (১ পিতর ৩:৮; গীত. ১৩৮:৬) বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৯ অধ্যায়ে নম্রতার গুরুত্ব সম্বন্ধে দেখানো হয়েছে। গিদিয়োনের ছেলে যোথম বলেছিলেন: “একদা বৃক্ষগণ আপনাদের উপরে অভিষেক করণার্থে রাজার অন্বেষণে গমন করিল।” সেখানে জিতবৃক্ষ, ডুমুরবৃক্ষ এবং দ্রাক্ষালতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো এমন যোগ্য ব্যক্তিদের চিত্রিত করে, যারা তাদের সহইস্রায়েলীয়দের ওপর শাসন করার চেষ্টা করেনি। কিন্তু, কন্টকবৃক্ষ—একমাত্র জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার্য—অন্যদের ওপর কর্তৃত্ব করতে চায় এমন খুনি ও গর্বিত অবীমেলকের রাজপদকে চিত্রিত করে। যদিও তিনি ‘ইস্রায়েলের উপরে তিন বৎসর কর্ত্তৃত্ব করিয়াছিলেন’ কিন্তু তার অকালমৃত্যু হয়েছিল। (বিচার. ৯:৮-১৫, ২২, ৫০-৫৪) “নম্রমনা” হওয়া কতই না উত্তম!

আধ্যাত্মিক রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৫ ৭/১৫ ১৬ অনু.৬

“সদাপ্রভুর ও গিদিয়োনের খড়গ”

কিন্তু, অসিদ্ধতার কারণে গিদিয়োন সবসময় উপযুক্ত বিচার করেননি। কিছু অব্যক্ত কারণের জন্য, তিনি যুদ্ধের লুটিত দ্রব্য দিয়ে একটা এফোদ তৈরি করেন এবং সেটা তার শহরে প্রদর্শন করেন। বিবরণ জানায় যে, সমস্ত ইস্রায়েল এফোদের অনুগমনে ‘ব্যভিচার’ করতে শুরু করে। তারা এটার উপাসনা করে এবং তা গিদিয়োন ও তার পরিবারের জন্যও এক ফাঁদস্বরূপ হয়। তবে, তিনি পুরোদস্তুর প্রতিমাপূজক হননি কারণ শাস্ত্র তাকে যিহোবার একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরে।—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৮:২৭; ইব্রীয় ১১:৩২-৩৪.

ডিসেম্বর ২০-২৬

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১০-১২

“যিপ্তহ যিহোবার প্রতি মনোযোগ দিয়েছিলেন”

প্রহরীদুর্গ ১৬.০৪ ৭ অনু. ৯

বিশ্বস্ত থাকার মাধ্যমে ঈশ্বরের অনুমোদন লাভ করা যায়

৯ সম্ভবত যোষেফের উদাহরণ যিপ্তহকে সাহায্য করেছিল। যিপ্তহ নিশ্চয়ই জানতেন, যোষেফের ভাইয়েরা তাকে ঘৃণা করা সত্ত্বেও যোষেফ তাদের প্রতি করুণা দেখিয়েছিলেন। (আদি. ৩৭:৪; ৪৫:৪, ৫) তার উদাহরণ নিয়ে চিন্তা করা হয়তো যিপ্তহকে এমন উপায়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে সাহায্য করেছিল, যা যিহোবাকে খুশি করে। যিপ্তহের ভাইয়েরা যা করেছিল, সেটা তাকে সত্যিই কষ্ট দিয়েছিল। কিন্তু যিহোবার নাম ও তাঁর লোকেদের জন্য যুদ্ধ করা, যিপ্তহের কাছে নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতির চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। (বিচার. ১১:৯) তিনি যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলেন। এই মনোভাবের ফলে তিনি নিজে যিহোবার আশীর্বাদ লাভ করেছিলেন ও সেইসঙ্গে ইস্রায়েলীয়রা যিহোবার আশীর্বাদ লাভ করেছিল।—ইব্রীয় ১১:৩২, ৩৩.

প্রহরীদুর্গ ০৭ ৫/১৫ ৯ অনু. ২-৩

যিপ্তহ যিহোবার কাছে তার মানত পূর্ণ করেন

যিপ্তহ অম্মোনীয়দের সঙ্গে আলাপআলোচনা করার চেষ্টা করেন। তিনি অম্মোনীয়দের আক্রমণের কারণ উদ্‌ঘাটনের জন্য তাদের রাজার কাছে দূত পাঠান। এর উত্তরে একটা অভিযোগ করা হয়: ইস্রায়েলীয়রা যখন মিসর থেকে বের হয়ে এসেছিল, তখন তারা অম্মোনীয়দের এলাকা দখল করেছিল আর এখন তা ফিরিয়ে দিতে হবে।—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১১:১২, ১৩.

ইস্রায়েলের ইতিহাস সম্বন্ধে তার সামগ্রিক জ্ঞান থেকে যিপ্তহ দক্ষতার সঙ্গে অম্মোনীয়দের দাবিগুলো খণ্ডন করেন। তিনি তাদের বলেন যে, ইস্রায়েলীয়রা যখন মিসর ছেড়ে এসেছিল, তখন তারা অম্মোন, মোয়াব অথবা ইদোমকে উত্যক্ত করেনি; কিংবা ইস্রায়েলের যাত্রার সময়ে সেই বিতর্কিত ভূমি অম্মোনের অধিকারেও ছিল না। সেই সময়ে সেটা ইমোরীয়দের অধিকারে ছিল কিন্তু ঈশ্বর তাদের রাজা সীদোনকে ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করেছিলেন। অধিকন্তু, ইস্রায়েলীয়রা প্রায় ৩০০ বছর ধরে সেই জায়গায় বাস করছে। তা হলে, কেন অম্মোনীয়রা এখন সেটা দাবি করছে?—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১১:১৪-২২, ২৬.

প্রহরীদুর্গ ০৭ ৫/১৫ ৯ অনু. ৪

যিপ্তহ যিহোবার কাছে তার মানত পূর্ণ করেন

এ ছাড়া, যিপ্তহ ইস্রায়েলীয়দের দুর্দশার মূল কারণের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেন: সত্য ঈশ্বর কে? যিহোবা নাকি ইস্রায়েল যে-ভূমি দখল করেছিল, সেই জায়গার দেব-দেবীরা? কমোশ দেবের যদি আদৌ কোনো ক্ষমতা থেকে থাকে, তা হলে সে কি তার লোকেদের ভূমি রক্ষা করার জন্য তা ব্যবহার করবে না? এটা অম্মোনীয়দের সমর্থিত মিথ্যা ধর্ম ও সত্য উপাসনার মধ্যে প্রতিযোগিতা। তাই, যিপ্তহ যুক্তিসংগতভাবেই এই উপসংহারে পৌঁছান: “বিচারকর্ত্তা সদাপ্রভু অদ্য ইস্রায়েল-সন্তানগণের ও অম্মোন-সন্তানগণের মধ্যে বিচার করুন।”—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১১:২৩-২৭.

আধ্যাত্মিক রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-২ ২৬, ইংরেজি

যিপ্তহ

যিপ্তহ একজন বৈধ সন্তান। যিপ্তহ “এক বেশ্যার পুত্ত্র” ছিলেন। কিন্তু, এর অর্থ এই নয়, একজন বেশ্যার সঙ্গে যিপ্তহের বাবার সম্পর্কের কারণে যিপ্তহের জন্ম হয়েছে। সেটা হলে তিনি একজন অবৈধ সন্তান হতেন। গিলিয়দের দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ার আগে যিপ্তহের মা একজন বেশ্যা ছিলেন, ঠিক যেমন রাহব সল্‌মোনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে একজন বেশ্যা ছিলেন। (বিচার ১১:১; যিহো ২:১; মথি ১:৫) যিপ্তহ যে অবৈধ সন্তান ছিলেন না, সেটার একটা প্রমাণ হল, তার সৎ ভাইয়েরা (গিলিয়দের প্রথম স্ত্রীর ঘরের ছেলেরা) তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল, যাতে তিনি উত্তরাধিকার থেকে কোনো অংশ না পান। যিপ্তহ যদি অবৈধ সন্তান হতেন, তা হলে উত্তরাধিকারের উপর তার কোনো অধিকার থাকত না। (বিচার ১১:২) আরেকটা প্রমাণ হল, যিপ্তহ পরবর্তী সময়ে গিলিয়দের লোকদের নেতা হয়েছিলেন। তার ভাইয়েরা সেই লোকদের মধ্যে গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিল। যিপ্তহ যদি অবৈধ সন্তান হতেন, তা হলে তারা এই বিষয়ে আপত্তি জানাত। (বিচার ১১:১১) তৃতীয় কারণ হল, যিপ্তহ তাঁবুতে উৎসর্গ করেছিলেন। (বিচার ১১:৩০, ৩১) এটা একজন অবৈধ সন্তানের পক্ষে করা সম্ভব ছিল না কারণ ব্যবস্থায় নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছিল: “কোনো অবৈধ সন্তান যিহোবার মণ্ডলীর অংশ হতে পারবে না। তার দশম প্রজন্ম পর্যন্ত কেউই যিহোবার মণ্ডলীর অংশ হতে পারবে না।”—দ্বিতীয় ২৩:২, NW.

ডিসেম্বর ২৭–জানুয়ারি ২

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৩-১৪

“মানোহ এবং তার স্ত্রীর কাছ থেকে বাবা-মায়েরা যা শিখতে পারে”

প্রহরীদুর্গ ১৩ ৮/১৫ ১৬ অনু. ১

বাবা-মায়েরা আপনাদের সন্তানদেরকে শিশুকাল থেকে প্রশিক্ষণ দিন

দানীয় গোষ্ঠীর মানোহের কথা বিবেচনা করুন, যিনি প্রাচীন ইস্রায়েলের সরা নগরে বাস করতেন। যিহোবার দূত মানোহের বন্ধ্যা স্ত্রীকে বলেছিলেন যে, তিনি একটা ছেলের জন্ম দিতে যাচ্ছেন। (বিচার. ১৩:২, ৩) কোনো সন্দেহ নেই যে, এই আশার কথা শুনে বিশ্বস্ত মানোহ এবং তার স্ত্রী অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিল। কিন্তু, এই ব্যাপারে তারা গভীর চিন্তাও প্রকাশ করেছিল। তাই, মানোহ প্রার্থনা করেছিলেন: “হে প্রভু, ঈশ্বরের যে লোককে আপনি আমাদের কাছে পাঠাইয়াছিলেন, তাঁহাকে পুনর্ব্বার আমাদের কাছে আসিতে দিউন, এবং যে বালকটী জন্মিবে, তাহার প্রতি আমাদের কি কর্ত্তব্য, তাহা আমাদিগকে বুঝাইয়া দিউন।” (বিচার. ১৩:৮) মানোহ এবং তার স্ত্রী তাদের সন্তানকে কীভাবে লালন-পালন করবে, তা নিয়ে চিন্তিত ছিল। নিঃসন্দেহে, তারা তাদের ছেলে শিম্‌শোনকে ঈশ্বরের ব্যবস্থা সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছিল আর স্পষ্টতই তাদের প্রচেষ্টা সার্থক হয়েছিল। ‘সদাপ্রভুর আত্মা [শিম্‌শোনকে] চালাইতে লাগিলেন,’ বাইবেল বলে। এর ফলে, শিম্‌শোন ইস্রায়েলের একজন বিচারকর্তা হিসেবে অনেক পরাক্রমী কাজ সম্পাদন করেছিলেন।—বিচার. ১৩:২৫; ১৪:৫, ৬; ১৫:১৪, ১৫.

প্রহরীদুর্গ ০৫ ৩/১৫ ২৫ অনু. ৫

যিহোবার শক্তিতে শিম্‌শোন জয়ী হন!

শিম্‌শোন যতই বড় হতে থাকেন, “সদাপ্রভু তাঁহাকে আশীর্ব্বাদ করিলেন।” (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৩:২৪) একদিন শিম্‌শোন তার বাবা ও মায়ের কাছে এসে বলেছিলেন: “আমি তিম্নায় পলেষ্টীয়দের কন্যাদের মধ্যে একটী রমণীকে দেখিয়াছি; তোমরা তাহাকে আনিয়া আমার সহিত বিবাহ দেও।” (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৪:২) একটু কল্পনা করুন যে তারা কতখানি অবাক হয়েছিল। উৎপীড়কদের হাত থেকে ইস্রায়েলয়ীদের মুক্ত করার পরিবর্তে, তাদের ছেলে কিনা তাদের সঙ্গেই বিবাহ বন্ধন গড়ে তুলতে চাইছে। পৌত্তলিক দেব-দেবীর উপাসকদের মধ্যে থেকে একজন কন্যাকে বিয়ে করা ঈশ্বরের ব্যবস্থাবিরুদ্ধ ছিল। (যাত্রাপুস্তক ৩৪:১১-১৬) তাই বাবামা আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন: “তোমার জ্ঞাতিগণের মধ্যে ও আমার সমস্ত স্বজাতির মধ্যে কি কন্যা নাই যে, তুমি অচ্ছিন্নত্বক্‌ পলেষ্টীয়দের কন্যা বিবাহ করিতে যাইতেছ?” তবুও শিম্‌শোন নাছোড়বান্দা হয়ে বলেছিলেন: “আমার জন্য তাহাকেই আনাও, কেননা আমার দৃষ্টিতে সে মনোহরা।”—বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৪:৩.

আধ্যাত্মিক রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৫ ৩/১৫ ২৬ অনু. ১

যিহোবার শক্তিতে শিম্‌শোন জয়ী হন!

কীভাবে নির্দিষ্টভাবে এই পলেষ্টীয় কন্যাটি শিম্‌শোনের কাছে “মনোহরা” হয়েছিল? ম্যাকক্লিনটক এবং স্ট্রংয়ের সাইক্লোপিডিয়া ইঙ্গিত করে, এর অর্থ নয় যে সে “সুন্দরী, নজরকাড়া, আকর্ষণীয়া” ছিল “কিন্তু এক অভীষ্ট, উদ্দেশ্য অথবা লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে” মনোহরা ছিল। কোন অভীষ্ট পূরণের ক্ষেত্রে? বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৪:৪ পদ ব্যাখ্যা করে যে, শিম্‌শোন “পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে সুযোগ অন্বেষণ করিতেছিলেন।” শিম্‌শোন সেই উদ্দেশ্যে কন্যাটির প্রতি আগ্রহী ছিলেন। শিম্‌শোন যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছিলেন, তখন “সদাপ্রভুর আত্মা . . . তাঁহাকে চালাইতে লাগিলেন,” অথবা তাকে পদক্ষেপ নিতে উদ্দীপিত করেছিল। (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৩:২৫) তাই একজন স্ত্রীর জন্য শিম্‌শোনের এই অস্বাভাবিক অনুরোধ ও সেইসঙ্গে ইস্রায়েলের ওপর বিচারক হিসেবে তার পুরো কর্মজীবনের পিছনে যিহোবার আত্মা ছিল এক চালিকা শক্তি। শিম্‌শোন যে-সুযোগটা খুঁজছিলেন সেটা কি তিনি পেয়েছিলেন? আসুন আমরা প্রথমে বিবেচনা করি যে, যিহোবা কীভাবে তাকে ঐশিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার