ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr23 জানুয়ারি পৃষ্ঠা ১-১০
  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স—২০২৩
  • উপশিরোনাম
  • জানুয়ারি ২-৮
  • জানুয়ারি ৯-১৫
  • জানুয়ারি ১৬-২২
  • জানুয়ারি ২৩-২৯
  • জানুয়ারি ৩০–ফেব্রুয়ারি ৫
  • ফেব্রুয়ারি ৬-১২
  • ফেব্রুয়ারি ১৩-১৯
  • ফেব্রুয়ারি ২০-২৬
  • ফেব্রুয়ারি ২৭–মার্চ ৫
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স—২০২৩
mwbr23 জানুয়ারি পৃষ্ঠা ১-১০

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

© 2022 Christian Congregation of Jehovah’s Witnesses

জানুয়ারি ২-৮

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ২ রাজাবলি ২২-২৩

“কেন আমাদের নম্র মনোভাব দেখাতে হবে?“

প্রহরীদুর্গ ০০ ৯/১৫ ২৯-৩০

নম্র যোশিয়—যিহোবা তার উপর খুশি ছিলেন

ভোরবেলা থেকে কারীগরেরা মন্দির মেরামতের কাজ শুরু করে দেয়। ঈশ্বরের গৃহ মেরামত করা হচ্ছে দেখে যোশিয় যিহোবার কাছে কতই না কৃতজ্ঞ হন কারণ যিহোবার আশীর্বাদে মন্দির সারানো হচ্ছে যা তার কিছু দুষ্ট পিতৃপুরুষেরা নষ্ট করেছিল। কিন্তু কাজ চলছে এমন সময় শাফন খুবই জরুরি কিছু খবর দেওয়ার জন্য রাজার কাছে আসেন। তার হাতে এটা কী? একটা গোটানো পুস্তক! তিনি রাজা যোশিয়কে বলেন যে মহাযাজক হিল্কিয় মন্দিরের মধ্যে “মোশি দ্বারা দত্ত সদাপ্রভুর ব্যবস্থাপুস্তকখানি” খুঁজে পেয়েছেন আর সেটাই তিনি নিয়ে এসেছেন। (২ বংশাবলি ৩৪:১২-১৮) কোন সন্দেহ নেই যে এটাই হল মোশির লেখা আসল ব্যবস্থাপুস্তক। সত্যিই এক বহুমূল্য আবিষ্কার!

যোশিয় এই পুস্তকের প্রত্যেকটা কথা শোনার জন্য উৎসুক হয়ে পড়েন। এরপর শাফন যখন রাজার সামনে পুস্তকখানা পড়েন, রাজা তা শোনেন আর দেখেন যে ওই পুস্তকের কথাগুলোকে কীভাবে তার ও তার প্রজাদের জন্য কাজে লাগানো যায়। এই পুস্তকে সত্য উপাসনাকে যে ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে তা তার খুব ভাল লাগে। এছাড়া এই পুস্তকে আগে থেকে বলা হয়েছিল যে, লোকেরা যদি মিথ্যা ধর্মে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তাদের ওপর অমঙ্গল আসবে ও তাদেরকে বন্দিত্বে নিয়ে যাওয়া হবে, এই বিষয়টাও রাজার মনে ভীষণভাবে ছাপ ফেলে। এখন যোশিয় বুঝতে পারেন যে ঈশ্বরের অনেক নিয়মই পালন করা হয়নি আর এইজন্য দুঃখে, অনুশোচনায় তিনি নিজের কাপড় ছিড়ে ফেলেন। তিনি হিল্কিয়, শাফন ও অন্যদের আদেশ দেন: ‘এই পুস্তকের বাক্য সকলের বিষয়ে সদাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা কর; আমাদের পিতৃপুরুষেরা এই পুস্তকের কথায় কর্ণপাত করেন নাই, এই জন্য আমাদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর অতিশয় ক্রোধ প্রজ্বলিত হইয়াছে।’—২ রাজাবলি ২২:১১-১৩; ২ বংশাবলি ৩৪:১৯-২১.

প্রহরীদুর্গ ০০ ৯/১৫ ৩০ অনু. ২

নম্র যোশিয়—যিহোবা তার উপর খুশি ছিলেন

এরপর রাজার দূতেরা যিরূশালেমে ভাববাদিনী হুল্‌দার কাছে যান। হুল্‌দা তাদেরকে যিহোবার বাক্য শোনান আর বলেন যে এই পুস্তকে যে অমঙ্গলের কথা বলা আছে তা যিহূদার উপর আসবে কারণ তারা বিপথগামী হয়েছে। কিন্তু যোশিয়কে এই অমঙ্গলের দিন দেখতে হবে না কারণ যিহোবার আজ্ঞা মেনে তিনি নিজেকে নম্র করেছেন। তিনি তার পিতৃপুরুষদের কাছে সংগৃহীত হবেন আর শান্তিতে নিজের কবরে যাবেন।—২ রাজাবলি ২২:১৪-২০; ২ বংশাবলি ৩৪:২২-২৮.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০১ ৪/১৫ ২৬ অনু. ৩-৪

যে পরিবেশেই বড় হোন না কেন আপনি সফল হতে পারেন

তার ছেলেবেলার পরিবেশ খারাপ থাকা সত্ত্বেও, যোশিয় সবসময় যিহোবার দৃষ্টিতে যা ন্যায্য তা-ই করেছিলেন। তাই, তার শাসনকালের সফলতার বিষয়ে বাইবেল জানায়: “তাঁহার ন্যায় সমস্ত অন্তঃকরণ, সমস্ত প্রাণ ও সমস্ত শক্তি দ্বারা মোশির সমস্ত ব্যবস্থানুসারে সদাপ্রভুর প্রতি ফিরিলেন, এমন কোন রাজা তাঁহার পূর্ব্বে ছিলেন না, এবং তাঁহার পরেও তাঁহার তুল্য কেহ উঠেন নাই।”—২ রাজাবলি ২৩:১৯-২৫.

যারা ছেলেবেলায় ক্ষতিকর পরিস্থিতি সহ্য করেছেন, তাদের জন্য যোশিয় কতই না উৎসাহজনক উদাহরণ! আমরা তার উদাহরণ থেকে কী শিখতে পারি? সঠিক পথ বেছে নিতে ও তাতে স্থির থাকতে কোন্‌ বিষয়টা যোশিয়কে সাহায্য করেছিল?

জানুয়ারি ৯-১৫

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ২ রাজাবলি ২৪-২৫

“আমরা কোন সময়ে বাস করছি, তা মনে রাখুন”

প্রহরীদুর্গ ০১ ২/১৫ ১২ অনু. ২

যিহোবার বিচার দিন একেবারে কাছে!

২ কোন সন্দেহ নেই যে সফনিয়ের এই ভবিষ্যদ্বাণী শুনেই, যুবক যোশিয় যিহূদা দেশ থেকে মিথ্যা ধর্ম দূর করার তাগিদ অনুভব করেছিলেন। কিন্তু, রাজা যোশিয় যিহূদা থেকে মিথ্যা ধর্ম ও লোকেদের সমস্ত দুষ্টতা পুরোপুরি দূর করতে পারেননি বা তার দাদু রাজা মনঃশি, যিনি “নির্দ্দোষের রক্তে যিরূশালেমকে পরিপূর্ণ করিয়াছিলেন” তার পাপের প্রায়শ্চিত্তও করতে পারেননি। (২ রাজাবলি ২৪:৩, ৪; ২ বংশাবলি ৩৪:৩) তাই যিহোবা ঠিক করেছিলেন যে তাদের ওপর বিচার আনবেনই আনবেন।

প্রহরীদুর্গ ০৭ ৩/১৫ ১১ অনু. ১০

যিরমিয় বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

সময়টা হল সা.কা.পূ. ৬০৭ সাল। সিদিকিয় তার রাজত্বের ১১তম বছরে রয়েছেন। বাবিল-রাজ নবূখদ্‌নিৎসর বিগত ১৮ মাস ধরে যিরূশালেম অবরোধ করেছেন। নবূখদ্‌নিৎসরের রাজত্বের ১৯তম বছরের পঞ্চম মাসের সপ্তম দিনে রক্ষকসেনাপতি নবূষরদন যিরূশালেমে ‘আসেন’ বা উপস্থিত হন। (২ রাজাবলি ২৫:৮) সম্ভবত নবূষরদন নগর প্রাচীরের বাইরে তার শিবির থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখেন এবং পদক্ষেপ নেওয়ার উপায় সম্বন্ধে পরিকল্পনা করেন। তিন দিন পর, মাসের দশম দিনে তিনি যিরূশালেমে ‘প্রবেশ করেন।’ আর তিনি সেই শহর পুড়িয়ে দেন।—যিরমিয় ৫২:১২, ১৩.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৫ ৮/১ ১২ অনু. ১

দ্বিতীয় রাজাবলি বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

২৪:৩, ৪. মনঃশির কৃত রক্তপাতের দরুন, যিহোবা যিহূদাকে “ক্ষমা করিতে চাহিলেন না।” ঈশ্বর নির্দোষদের রক্তকে সম্মান করেন। আমরা আস্থা রাখতে পারি যে, যারা এই রক্তপাতের জন্য দায়ী তাদেরকে ধ্বংস করে যিহোবা নির্দোষদের রক্তের প্রতিশোধ নেবেন।—গীতসংহিতা ৩৭:৯-১১; ১৪৫:২০.

জানুয়ারি ১৬-২২

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ বংশাবলি ১-৩

“বাইবেলে কোনো কাল্পনিক কাহিনি নয়, বরং সত্য ঘটনা রয়েছে”

প্রহরীদুর্গ ০৯ ৯/১ ১৪ অনু. ১, ইংরেজি

আদম ও হবা—তারা কি সত্যিকারের ব্যক্তি ছিল?

আমরা যদি বাইবেলে প্রথম বংশাবলি ১ থেকে ৯ অধ্যায় এবং লূক ৩ অধ্যায়ে দেওয়া বংশতালিকার বিবরণ দেখি, তা হলে আমরা দেখব, সেখানে ৪৮ অথবা ৭৫ প্রজন্মের বিষয়ে বলা হয়েছে। লূক যিশু খ্রিস্টের বংশতালিকা সম্বন্ধে লেখেন আর বংশাবলি বইয়ে ইজরায়েল জাতির রাজবংশ এবং যাজকবংশের বিবরণ রয়েছে। দুটো তালিকার মধ্যেই সুপরিচিত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যেমন, শলোমন, দায়ূদ, যাকোব, ইস্‌হাক, অব্রাহাম, নোহ এবং শেষে আদম। দুটো তালিকার মধ্যেই সত্যিকারের ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে আর প্রতিটা তালিকার মধ্যেই প্রথম সত্যিকারের ব্যক্তি হলেন আদম।

প্রহরীদুর্গ ০৮ ৭/১ ১৭ অনু. ৪

নোহ এবং জলপ্লাবন কাল্পনিক নয় কিন্তু বাস্তব

বাইবেলের দুটো বংশতালিকার বিবরণ প্রমাণ দেয় যে, নোহ একজন বাস্তব ব্যক্তি ছিলেন। (১ বংশাবলি ১:৪; লূক ৩:৩৬) ইষ্রা ও লূক উভয়েই, যারা এই বংশতালিকাগুলো লিখেছিলেন, তারা সতর্ক গবেষক ছিল। লূক যিশু খ্রিস্টকে নোহের বংশধর হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন।

প্রহরীদুর্গ ০৯ ৯/১ ১৪-১৫, ইংরেজি

আদম ও হবা—তারা কি সত্যিকারের ব্যক্তি ছিল?

উদাহরণ স্বরূপ, বাইবেলের একটা শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করুন, যা এমন অনেকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যারা গির্জায় যায়। সেটা হল মুক্তির মূল্য। এই শিক্ষা অনুযায়ী, লোকদের তাদের পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য যিশু মুক্তির মূল্য হিসেবে তাঁর নিখুঁত জীবন দান করেছেন। (মথি ২০:২৮; যোহন ৩:১৬) “মুক্তির মূল্য” শব্দগুলোর অর্থ কী? এটা হল, কোনো কিছু মুক্ত করার অথবা পুনরায় কেনার জন্য আমরা যে-পরিমাণ মূল্য দিয়ে থাকি। এই পরিমাণ সবসময় সেই ব্যক্তি অথবা বস্তুর মূল্যের সমরূপ, যাকে অথবা যে-বস্তু আমরা ফিরে পেতে চাই। এই কারণে বাইবেলে যিশুকে “সমরূপ মুক্তির মূল্য” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। (১ তীমথিয় ২:৬) আমরা হয়তো প্রশ্ন করতে পারি, কীসের সমরূপ? বাইবেল উত্তর দেয়: “ঠিক যেমন আদমের মাধ্যমে সকলে মারা যায়, তেমনই খ্রিস্টের মাধ্যমে সকলকে জীবিত করা হবে।” (১ করিন্থীয় ১৫:২২) যিশু বলি হিসেবে যে-নিখুঁত জীবন দান করেছেন, তা আদম যে-নিখুঁত জীবন হারিয়েছেন, সেটার সমরূপ। (রোমীয় ৫:১২) স্পষ্টতই, আদম যদি সত্যিই না থাকতেন, তা হলে যিশুর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদান পুরোপুরি অর্থহীন হয়ে যেত।

অমূল্য রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৯১১ অনু. ৩-৪, ইংরেজি

বংশতালিকা

নারীদের নাম। নারীদের নাম তখনই বংশতালিকার মধ্যে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, যখন তা ইতিহাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আদিপুস্তক ১১:২৯, ৩০ পদে, সারীর (সারা) নাম উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ তার মাধ্যমে প্রতিজ্ঞাত বংশ আসার কথা ছিল, অব্রাহামের অন্য স্ত্রীর মাধ্যমে নয়। একই অধ্যায়ে মিল্কার নামও উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ তিনি ইস্‌হাকের স্ত্রী রিবিকার ঠাকুরমা ছিলেন। এটা দেখায়, রিবিকা অব্রাহামের আত্মীয় ছিলেন আর এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ ইস্‌হাককে অন্য জাতির মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে হয়নি। (আদি. ২২:২০-২৩; ২৪:২-৪) আদিপুস্তক ২৫:১ পদে, অব্রাহামের দ্বিতীয় স্ত্রী কটুরার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটা দেখায়, সারা মারা যাওয়ার পর অব্রাহাম আবার বিয়ে করেছিলেন এবং যিহোবা অলৌকিকভাবে তাকে সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা দান করার পর তা আরও ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছিল। (রোমীয় ৪:১৯) বাইবেলে দেওয়া বিবরণ থেকে আমরা এও জানতে পারি, কটুরার কাছ থেকে মিদিয়নীয় এবং অন্যান্য আরবীয় বংশ আসে। এটা থেকে বোঝা যায়, কীভাবে ইজরায়েলীদের সঙ্গে অন্যান্য বংশের সম্পর্ক ছিল।

এ ছাড়া, বাইবেলে লেয়া, রাহেল এবং যাকোবের অন্যান্য উপপত্নীর নামও রয়েছে। (আদি. ৩৫:২১-২৬) এটা আমাদের বুঝতে সাহায্য করে, যিহোবা কেন যাকোবের ছেলেদের সঙ্গে বিশেষ উপায়ে আচরণ করেছিলেন। অন্যান্য কারণেও নারীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এটা নিশ্চিত করার জন্য যে, তাদের যে-উত্তরাধিকার দেওয়া হয়েছে, তা যেন নিজেদের বংশের মধ্যে থাকে। (গণনা. ২৬:৩৩) এদের মধ্যে তামর, রাহব ও রূতের নামও উল্লেখযোগ্য। এই নারীরা কোনো-না-কোনো উল্লেখযোগ্য উপায়ে মশীহ, যিশু খ্রিস্টের পূর্বপুরুষী হয়ে উঠেছিলেন।—আদি. ৩৮; রূৎ. ১:৩-৫; ৪:১৩-১৫; মথি ১:১-৫.

জানুয়ারি ২৩-২৯

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ বংশাবলি ৪-৬

“আমার প্রার্থনা আমার সম্বন্ধে কী প্রকাশ করে?”

প্রহরীদুর্গ ১১ ৪/১ ১৯ অনু. ৩-৭

একজন “প্রার্থনা-শ্রবণকারী”

যাবেষ এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি নিয়মিতভাবে প্রার্থনা করতেন। ঈশ্বরের আশীর্বাদের জন্য অনুরোধ করে তিনি তার প্রার্থনা শুরু করেছিলেন। এরপর তিনি তিনটে অনুরোধ করেছিলেন যা দেখায় যে, তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল।

প্রথমত, যাবেষ এই বলে ঈশ্বরের কাছে মিনতি করেছিলেন: “আমার অধিকার [“জমি-জমা,” বাংলা ইজি-টু-রিড ভারসন] বৃদ্ধি কর।” (পদ ১০) এই সম্মাননীয় ব্যক্তি জমি আত্মসাৎকারী ছিলেন না অর্থাৎ তিনি তার সহমানবের দ্রব্যে লোভ করতেন না। তার আন্তরিক অনুরোধ হয়তো জমির চেয়ে লোকেদের সঙ্গে আরও বেশি সম্পর্কযুক্ত ছিল। তিনি হয়তো এইজন্য জমি-জমা বৃদ্ধি করতে চেয়েছিলেন যাতে সেই জমিতে বসবাসকারী অনেককে তিনি সত্য ঈশ্বর সম্বন্ধে জানতে ও তাঁকে উপাসনা করতে সাহায্য করতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, যাবেষ অনুরোধ করেছিলেন ঈশ্বরের “হস্ত” যেন তার সঙ্গে সঙ্গে থাকে। ঈশ্বরের রূপক হাত হল তাঁর প্রযুক্ত শক্তি, যেটাকে তিনি তাঁর উপাসকদের সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করেন। (১ বংশাবলি ২৯:১২) যাবেষ হৃদয় থেকে যে-অনুরোধগুলো করেছিলেন, সেগুলো লাভ করার জন্য ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করেছিলেন, যাঁর হাত যারা তাঁর প্রতি বিশ্বাস প্রদর্শন করে তাদের প্রতি খাটো নয়।—যিশাইয় ৫৯:১.

তৃতীয়ত, যাবেষ প্রার্থনা করেছিলেন: “আমি যেন দুঃখ প্রাপ্ত না হই, এই জন্য মন্দ [“বিপদ,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন] হইতে আমাকে রক্ষা কর।” “আমি যেন দুঃখ প্রাপ্ত না হই” অভিব্যক্তিটি হয়তো ইঙ্গিত দিতে পারে যে, যাবেষ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নয় কিন্তু মন্দতার প্রভাবগুলোর কারণে দুঃখিত হওয়া অথবা সেগুলোর কাছে নতিস্বীকার করাকে এড়ানোর জন্য প্রার্থনা করেছিলেন।

যাবেষের প্রার্থনা সত্য উপাসনার জন্য তার চিন্তা এবং প্রার্থনা-শ্রবণকারীর ওপর তার বিশ্বাস ও নির্ভরতাকে প্রকাশ করেছিল। যিহোবা কীভাবে সাড়া দিয়েছিলেন? এই সংক্ষিপ্ত বিবরণটি এই কথাগুলো দিয়ে শেষ হয়: “তাহাতে ঈশ্বর তাঁহার যাচিত বিষয় দান করিলেন।”

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৫ ১০/১ ৯ অনু. ৭

প্রথম বংশাবলি বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

৫:১০, ১৮-২২. রাজা শৌলের সময়ে, যর্দনের পূর্ব দিকের বংশগুলো হাগরীয়দের পরাস্ত করেছিল এমনকি যদিও হাগরীয়রা সংখ্যায় দ্বিগুণের চেয়েও বেশি ছিল। এর কারণ ছিল, এই বংশগুলোর বলবান লোকেরা যিহোবার ওপর বিশ্বাস বা নির্ভর করেছিল এবং তাঁর কাছ থেকে সাহায্য লাভ করার চেষ্টা করেছিল। আসুন আমরা আমাদের ভয়ংকর শত্রুদের বিরুদ্ধে আধ্যাত্মিক যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সময় যিহোবার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখি।—ইফিষীয় ৬:১০-১৭.

জানুয়ারি ৩০–ফেব্রুয়ারি ৫

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ বংশাবলি ৭-৯

“যিহোবার সাহায্যে আপনি কঠিন দায়িত্ব পালন করতে পারবেন”

প্রহরীদুর্গ ০৫ ১০/১ ৯ অনু. ৮

প্রথম বংশাবলি বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

৯:২৬, ২৭. লেবীয় দ্বারপালেরা নিরূপিত বা অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ কার্যে রত থাকত। তাদেরকে মন্দিরের পবিত্র জায়গাগুলোতে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছিল। প্রতিদিন দ্বার খোলার ব্যাপারে তারা নির্ভরযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল। আমাদের ওপর আস্থা সহকারে, আমাদের এলাকায় লোকেদের কাছে পৌঁছানোর এবং তাদেরকে যিহোবাকে উপাসনা করতে সাহায্য করার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। আমাদেরও কি সেই লেবীয় দ্বারপালদের মতো নির্ভরযোগ্য ও আস্থাশীল বলে প্রমাণিত হওয়া উচিত নয়?

প্রহরীদুর্গ ১১ ৯/১৫ ৩২ অনু. ৮

প্রতিদ্বন্দ্বিতার মোকাবিলা করার সময় আপনি কি পীনহসের মতো হতে পারেন?

পীনহসকে প্রাচীন ইস্রায়েলে এক গুরুদায়িত্বের ভার বহন করতে হয়েছিল; কিন্তু তিনি সাহস, অন্তর্দৃষ্টি ও ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। আর পীনহস অধ্যবসায়ের সঙ্গে ঈশ্বরের মণ্ডলীর যত্ন নিয়েছিলেন বলে যিহোবার অনুমোদন লাভ করেছিলেন। প্রায় ১,০০০ বছর পর, ইষ্রা এই কথা লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন: “পুরাকালে ইলিয়াসরের পুত্ত্র পীনহস তাহাদের অধ্যক্ষ ছিলেন, এবং সদাপ্রভু তাঁহার সহবর্ত্তী ছিলেন।” (১ বংশা. ৯:২০) এই বিষয়টা যেন বর্তমানে ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে নেতৃত্ব নেয় এমন সমস্ত লোকের ক্ষেত্রে ও সেইসঙ্গে তাঁকে অনুগতভাবে সেবা করে এমন সমস্ত খ্রিস্টানের ক্ষেত্রে সত্য হয়।

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ১০ ১২/১৫ ২১ অনু. ৬

যিহোবার উদ্দেশে গান গাও!

৬ হ্যাঁ, তাঁর ভাববাদীদের মাধ্যমে যিহোবা তাঁর উপাসকদেরকে গান সহকারে তাঁর প্রশংসা করতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। যাজকীয় গোষ্ঠীর গায়কদের এমনকী সেই কাজগুলো করতে হতো না, যেগুলো অন্যান্য লেবীয়রা করতে বাধ্য ছিল আর এর ফলে তারা গান রচনা করার এবং খুব সম্ভবত মহড়া দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পেত।—১ বংশা. ৯:৩৩.

ফেব্রুয়ারি ৬-১২

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ বংশাবলি ১০-১২

“ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করার জন্য আপনার আকাঙ্ক্ষাকে দৃঢ় করুন”

প্রহরীদুর্গ ১২ ১১/১৫ ৬ অনু. ১২-১৩

“তোমার ইষ্ট সাধন করিতে আমাকে শিক্ষা দেও”

১২ ব্যবস্থার পিছনে যে-নীতিগুলো রয়েছে, সেগুলোর প্রতি দায়ূদের উপলব্ধি এবং সেইসমস্ত নীতি অনুযায়ী জীবনযাপন করার ব্যাপারে তার ইচ্ছাও অনুকরণযোগ্য। দায়ূদ যখন ‘বৈৎলেহমের দ্বারনিকটস্থ কূপের জল পান করিবার’ তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন, তখন কী ঘটেছিল, তা বিবেচনা করুন। দায়ূদের তিন জন লোক পলেষ্টীয়দের হস্তগত নগরের সৈন্যদের মধ্যে দিয়ে গিয়ে জল নিয়ে এসেছিল। কিন্তু, “দায়ূদ তাহা পান করিতে সম্মত হইলেন না, সদাপ্রভুর উদ্দেশে ঢালিয়া ফেলিলেন।” কেন? দায়ূদ ব্যাখ্যা করেন: “হে আমার ঈশ্বর, এমন কর্ম্ম যেন আমি না করি। আমি কি এই মনুষ্যদের রক্ত পান করিব, যাহারা প্রাণপণ করিয়াছে? ইহারা প্রাণপণ করিয়া এই জল আনিয়াছে।”—১ বংশা. ১১:১৫-১৯.

১৩ ব্যবস্থা থেকে দায়ূদ জানতে পেরেছিলেন যে, রক্ত যিহোবার উদ্দেশ্যে ঢেলে দিতে হবে এবং তা খাওয়া যাবে না। তিনি এও বুঝতে পেরেছিলেন যে, কেন এইরকমটা করা উচিত। দায়ূদ জানতেন যে, “রক্তের মধ্যেই শরীরের প্রাণ থাকে।” কিন্তু, এটা জল ছিল, রক্ত নয়। তাহলে কেন দায়ূদ তা পান করতে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন? এই বৈধ চাহিদার পিছনে যে-নীতিটা রয়েছে, সেটার প্রতি তিনি উপলব্ধি দেখিয়েছিলেন। দায়ূদের কাছে সেই জল ওই তিন জন লোকের রক্তের মতোই মূল্যবান ছিল। তাই, সেই জল পান করার কথা তিনি চিন্তাও করতে পারেননি। তা পান করার পরিবর্তে, তিনি এই উপসংহারে এসেছিলেন যে, সেই জল ভূমিতে ঢেলে দেওয়া উচিত।—লেবীয়. ১৭:১১; দ্বিতীয়. ১২:২৩, ২৪.

প্রহরীদুর্গ ১৮.০৬ ১৭ অনু. ৫-৬

ঈশ্বরের বিভিন্ন আইন ও নীতির দ্বারা আপনার বিবেককে প্রশিক্ষিত হতে দিন

৫ আমরা যদি চাই যে, ঈশ্বরের আইনগুলো আমাদের সাহায্য করুক, তা হলে আমাদের কেবলমাত্র সেগুলো পড়ার অথবা সেগুলো জানার চেয়ে অবশ্যই আরও বেশি কিছু করতে হবে। আমাদের সেগুলোকে ভালোবাসতে ও সম্মান করতে হবে। বাইবেল আমাদের বলে: “মন্দকে ঘৃণা কর ও উত্তমকে ভালবাস।” (আমোষ ৫:১৫) কিন্তু, কীভাবে আমরা এমনটা করতে পারি? আমাদের বিভিন্ন বিষয়কে যিহোবার মতো করে দেখা শিখতে হবে। এটাকে এভাবে চিন্তা করুন। কল্পনা করুন, আপনি ভালো করে ঘুমাতে পারছেন না আর তাই, আপনার ডাক্তার আপনাকে আরও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার, আরও বেশি শরীরচর্চা করার এবং আপনার জীবনধারায় অন্যান্য রদবদল করার নির্দেশনা দেন। আপনি তার নির্দেশনা মেনে চলেন আর এতে আপনি উপকৃত হন! আপনি সেই ডাক্তারের নির্দেশনা সম্বন্ধে কেমন অনুভব করবেন?

৬ একইভাবে, আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের পাপের দুঃখজনক পরিণতি থেকে সুরক্ষিত রাখার ও আমাদের জীবনকে উন্নত করার জন্য বিভিন্ন আইন দিয়েছেন। উদাহরণ স্বরূপ, বাইবেল আমাদের শিক্ষা দেয় যে, আমাদের মিথ্যে কথা বলা, অন্যদের ঠকানো, চুরি করা, অনৈতিক কাজ করা, দৌরাত্ম্যপূর্ণ কাজ করা অথবা মন্দদূতদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনো কিছুতে জড়িত হওয়া উচিত নয়। (পড়ুন, হিতোপদেশ ৬:১৬-১৯; প্রকা. ২১:৮) আমরা যখন যিহোবার বাধ্য হওয়ার মাধ্যমে আসা উত্তম ফলগুলো লাভ করি, তখন তাঁর প্রতি ও তাঁর বিভিন্ন আইনের প্রতি আমাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।

অমূল্য রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ১০৫৮ অনু. ৫-৬, ইংরেজি

হৃদয় বা মন

“একাগ্র অন্তঃকরণে” বা সম্পূর্ণ হৃদয়ে সেবা করা। একজন ব্যক্তি যখন দুই প্রভুর সেবা করার চেষ্টা করেন অথবা মুখে বলেন একটা এবং করেন আরেকটা আর এভাবে অন্যদের ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তখন বাইবেলে তাকে “দ্বিমনা” অথবা ‘দ্বিধা চিত্তের’ লোক বলা হয়েছে। (১বংশা ১২:৩৩; গীত ১২:২) এইরকম দ্বিমনা অথবা দ্বিধা চিত্তের ও ভণ্ড ব্যক্তিদের যিশু তীব্রভাবে নিন্দা করেছিলেন।—মথি ১৫:৭, ৮.

আমরা যদি ঈশ্বরকে খুশি করতে চাই, তা হলে আমাদের দ্বিমনা লোক হওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এর পরিবর্তে, আমাদের সম্পূর্ণ হৃদয়ে তাঁকে সেবা করতে হবে। (১বংশা ২৮:৯) তা করার জন্য অনেক প্রচেষ্টার প্রয়োজন, কারণ আমাদের হৃদয়ের “রোগ অপ্রতিকার্য্য” বা এটা বেপরোয়া আর আমাদের “মনস্কল্পনা দুষ্ট” অর্থাৎ আমাদের হৃদয় দুষ্ট কাজ করতে চায়। (যির ১৭:৯, ১০; আদি ৮:২১) তা হলে, সম্পূর্ণ হৃদয়ে সেবা করার জন্য আমাদের কী করতে হবে? আমাদের হৃদয় থেকে প্রার্থনা করতে হবে (গীত ১১৯:১৪৫; বিলাপ ৩:৪১), নিয়মিতভাবে ঈশ্বরের বাক্য নিয়ে অধ্যয়ন করতে হবে (ইষ্রা ৭:১০; হিতো ১৫:২৮), উদ্যোগের সঙ্গে সুসমাচার প্রচার করতে হবে (তুলনা করুন, যির ২০:৯) এবং সেই লোকদের সঙ্গে মেলামেশা করতে হবে, যারা সম্পূর্ণ হৃদয়ে যিহোবার সেবা করে থাকে।—তুলনা করুন, ২রাজা ১০:১৫, ১৬.

ফেব্রুয়ারি ১৩-১৯

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ বংশাবলি ১৩-১৬

“নির্দেশনা মেনে চললে সফল হওয়া যায়”

প্রহরীদুর্গ ০৩ ৫/১ ১০-১১

আপনি কি জিজ্ঞেস করেন, “যিহোবা কোথায়?”

১২ ইস্রায়েলে নিয়ম-সিন্দুক ফিরিয়ে নিয়ে আসার এবং সেটি অনেক বছর কিরিয়ৎ-যিয়ারীমে রাখার পর, রাজা দায়ূদ সেটি যিরূশালেমে স্থানান্তরিত করতে চান। তিনি অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং বলেন যে, ‘যদি তাহাদের বিহিত বোধ হয়, ও সদাপ্রভু হইতে এ কার্য্য হইয়া থাকে,’ তা হলে সিন্দুক সরানো হবে। কিন্তু, এই বিষয়ে যিহোবার ইচ্ছা সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট অনুসন্ধান করাকে তিনি অবহেলা করেন। তিনি যদি তা করতেন, তা হলে সিন্দুক কখনোই শকটের মধ্যে উঠাতেন না। এটি কহাতীয় লেবীয়দের তাদের কাঁধে বহন করার কথা ছিল, ঠিক যেমন ঈশ্বর স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও দায়ূদ সবসময় যিহোবাকে জিজ্ঞেস করতেন কিন্তু সেই সময় তিনি তা সঠিকভাবে করেননি। এর ফল হয়েছিল অমঙ্গলজনক। দায়ূদ পরে স্বীকার করেছিলেন: “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদিগকে আক্রমণ করিলেন, কারণ আমরা বিধিমতে তাঁহার অন্বেষণ করি নাই।”—১ বংশাবলি ১৩:১-৩; ১৫:১১-১৩; গণনাপুস্তক ৪:৪-৬, ১৫;

প্রহরীদুর্গ ০৩ ৫/১ ১১ অনু. ১৩

আপনি কি জিজ্ঞেস করেন, “যিহোবা কোথায়?”

১৩ অবশেষে লেবীয়রা যখন ওবেদ-ইদোমের বাড়ি থেকে সিন্দুক বহন করে যিরূশালেমে নিয়ে এসেছিল, তখন দায়ূদের দ্বারা রচিত একটি গান গাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে এই আন্তরিক কথাগুলোও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল: “সদাপ্রভুর ও তাঁহার শক্তির অনুসন্ধান কর, নিয়ত তাঁহার শ্রীমুখের অন্বেষণ কর। স্মরণ কর তাঁহার কৃত আশ্চর্য্য কর্ম্ম সকল, তাঁহার অদ্ভুত লক্ষণ ও তাঁহার মুখের শাসন সকল।”—১ বংশাবলি ১৬:১১, ১২.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ১৪ ১/১৫ ১০ অনু. ১৪

অনন্তকালীন রাজা যিহোবার উপাসনা করুন

১৪ দায়ূদ পবিত্র নিয়ম সিন্দুক যিরূশালেমে নিয়ে আসেন। এই আনন্দপূর্ণ মুহূর্তে, লেবীয়রা একটা প্রশংসা গীত গায়। এই গীতে এক উল্লেখযোগ্য বিবৃতি রয়েছে, যা ১ বংশাবলি ১৬:৩১ পদে পাওয়া যায়: “লোকে জাতিগণের মধ্যে বলুক, সদাপ্রভু রাজত্ব করিতেছেন।” যিহোবা এই অর্থে রাজত্ব করেন যে, তিনি তাঁর কর্তৃত্ব ব্যবহার করেন অথবা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিংবা কোনো নির্দিষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে তাঁকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কাউকে নিযুক্ত করেন। যিহোবা যে এভাবে রাজত্ব করেন, তা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দায়ূদ মারা যাওয়ার আগে, যিহোবা তার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তার রাজত্ব চিরকাল থাকবে: “আমি তোমার পরে তোমার বংশকে, যে তোমার ঔরসে জন্মিবে তাহাকে স্থাপন করিব, এবং তাহার রাজ্য সুস্থির করিব।” (২ শমূ. ৭:১২, ১৩) এই প্রতিজ্ঞা সেই সময় সত্য হয়েছিল, যখন দায়ূদের এই ‘বংশ’ ১০০০ বছরেরও বেশি সময় পরে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি কে ছিলেন এবং তিনি কখন রাজা হয়েছিলেন?

ফেব্রুয়ারি ২০-২৬

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ বংশাবলি ১৭-১৯

“হতাশা সত্ত্বেও আনন্দ বজায় রাখুন”

প্রহরীদুর্গ ০৬ ৭/১৫ ১৯ অনু. ১

যিহোবার সংগঠনের উত্তম উত্তম দ্রব্যের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন

প্রাচীন ইস্রায়েলের দায়ূদ হলেন ইব্রীয় শাস্ত্রে আলোচ্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। এই মেষপালক, বাদক, ভাববাদী ও রাজা যিহোবা ঈশ্বরের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করেছিলেন। যিহোবার সঙ্গে দায়ূদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তার মধ্যে ঈশ্বরের জন্য এক গৃহ নির্মাণ করার আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলেছিল। এইরকম এক গৃহ বা মন্দির ইস্রায়েলে সত্য উপাসনার এক কেন্দ্র হয়ে উঠবে। দায়ূদ জানতেন যে, মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ব্যবস্থাদি ঈশ্বরের লোকেদের জন্য আনন্দ ও আশীর্বাদ নিয়ে আসবে। তাই, দায়ূদ গেয়েছিলেন: “ধন্য [“সুখী,” বাংলা জুবিলী বাইবেল] সেই, যাহাকে তুমি [সদাপ্রভু] মনোনীত করিয়া নিকটে আন, সে তোমার প্রাঙ্গণে বাস করিবে; আমরা পরিতৃপ্ত হইব, তোমার গৃহের উত্তম দ্রব্যে, তোমার পবিত্র মন্দিরের উত্তম দ্রব্যে।”—গীতসংহিতা ৬৫:৪.

প্রহরীদুর্গ ২১.০৮ ২২-২৩ অনু. ১১

আপনি যা করতে পারছেন, তাতে আনন্দ লাভ করুন

১১ দ্বিতীয় দাসের মতো আমাদেরও যে-কাজ দেওয়া হয়ে থাকে, সেটা আমাদের মনপ্রাণ দিয়ে করতে হবে। আমাদের ‘সমস্ত সময়ে’ প্রচার কাজ করতে হবে এবং মণ্ডলীর প্রতিটা কাজে সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য করতে হবে। (প্রেরিত ১৮:৫; ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫) আমাদের সভাতে মন্তব্য করার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ তুলে ধরার সময়ও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের যদি মণ্ডলীতে কোনো কাজ দেওয়া হয়ে থাকে, তা হলে সেটা সঠিক সময়ে এবং ভালোভাবে করতে হবে। কোনো কাজকেই আমাদের ছোটো বলে মনে করা উচিত নয়। (হিতো. ২২:২৯) আমরা যখন যিহোবার সেবায় কঠোর পরিশ্রম করব, তখন তাঁর সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীর হবে। আর আমরা আরও আনন্দ লাভ করব। (গালা. ৬:৪) এ ছাড়া, যখন কেউ সেই দায়িত্ব লাভ করে, যেটা আমরা পেতে চাই, তখন আমরা তার সঙ্গে আনন্দ করতে পারব।—রোমীয় ১২:১৫; গালা. ৫:২৬.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ২০.০২ ১২, বাক্স

আমরা আমাদের পিতা যিহোবাকে খুব ভালোবাসি

যিহোবা কি আমাকে লক্ষ করেন?

আপনি কি কখনো নিজেকে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও কেন যিহোবা আমাকে লক্ষ করেন?’ অনেক ভালো লোকই এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করেছে। রাজা দায়ূদ লিখেছিলেন: “হে সদাপ্রভু, মনুষ্য কি যে তুমি তাহার পরিচয় লও? মর্ত্ত্যের সন্তান কি যে তুমি তাহাকে গণ্য কর?” (গীত. ১৪৪:৩) দায়ূদ এই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন যে, যিহোবা তাকে ভালোভাবে জানেন। (১ বংশা. ১৭:১৬-১৮) আর তাঁর বাক্য ও সংগঠনের মাধ্যমে যিহোবা আপনাকে আশ্বস্ত করেন যে, আপনি তাঁর প্রতি যে-ভালোবাসা প্রকাশ করেন, সেটা তিনি লক্ষ করেন। ঈশ্বরের বাক্য থেকে কিছু বিবরণ নিয়ে বিবেচনা করুন, যেগুলো আপনাকে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাহায্য করতে পারে:

• আপনি জন্মগ্রহণ করার আগে থেকেই যিহোবা আপনাকে লক্ষ করেছিলেন।—গীত. ১৩৯:১৬.

• যিহোবা জানেন, আপনার হৃদয়ে কী রয়েছে এবং তিনি এও জানেন, আপনি কী ভাবছেন।—১ বংশা. ২৮:৯.

• যিহোবা ব্যক্তিগতভাবে আপনার প্রতিটা প্রার্থনা শোনেন।—গীত. ৬৫:২.

• আপনার কাজ যিহোবার অনুভূতিকে প্রভাবিত করে।—হিতো. ২৭:১১.

• যিহোবা ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে তাঁর দিকে আকর্ষণ করেছেন।—যোহন ৬:৪৪.

• যিহোবা আপনাকে এতটাই ভালোভাবে জানেন যে, আপনি মারা গেলেও তিনি আপনাকে পুনরুত্থিত করতে পারবেন। তিনি আপনার দেহকে পুনরায় গঠিত করবেন এবং আপনাকে আপনার স্মৃতি ও সেইসঙ্গে ব্যক্তিত্বের অন্যান্য অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যগুলো ফিরিয়ে দেবেন।—যোহন ১১:২১-২৬, ৩৯-৪৪; প্রেরিত ২৪:১৫.

ফেব্রুয়ারি ২৭–মার্চ ৫

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ বংশাবলি ২০-২২

“তরুণ-তরুণীদের ভালোভাবে সেবা করার জন্য সাহায্য করুন”

প্রহরীদুর্গ ১৭.০১ ২৯ অনু. ৮

‘সে সকল বিশ্বস্ত লোকদিগকে সমর্পণ কর’

৮ প্রথম বংশাবলি ২২:৫ পদ পড়ুন। দায়ূদ হয়তো মনে করতে পারতেন, শলোমন এই ধরনের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। কারণ মন্দিরটা “অতিশয় প্রতাপান্বিত” হবে আর শলোমন “অল্পবয়স্ক ও কোমল” ছিল। কিন্তু দায়ূদ জানতেন, যিহোবা এই বিশেষ কাজে শলোমনকে সাহায্য করবেন। তাই, এই বিশাল প্রকল্পের জন্য শলোমনকে প্রস্তুত করার ব্যাপারে দায়ূদ যথাসাধ্য করেছিলেন।

প্রহরীদুর্গ ১৭.০১ ২৯ অনু. ৭

‘সে সকল বিশ্বস্ত লোকদিগকে সমর্পণ কর’

৭ দায়ূদ যেহেতু আন্তরিকভাবেই যিহোবার জন্য একটা মন্দির নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, তাই তিনি হয়তো খুব হতাশ হয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও, তিনি সেই প্রকল্পে পুরোপুরি সমর্থন করেছিলেন, যেটা তার ছেলে শলোমনের নির্দেশনায় নির্মাণ করা হবে। দায়ূদ মজুরদের সংগঠিত করতে এবং লোহা, পিতল, রুপো, সোনা ও কাঠ সংগ্রহ করতে সাহায্য করেছিলেন। মন্দির নির্মাণের কৃতিত্ব কার হবে, সেটা ভেবে তিনি উদ্‌বিগ্ন হননি। সেই মন্দির পরে শলোমনের মন্দির হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছিল। এর পরিবর্তে, তিনি শলোমনকে এই কথা বলে উৎসাহিত করেছিলেন: “এখন, হে আমার পুত্ত্র, সদাপ্রভু তোমার সহবর্ত্তী হউন, এবং তিনি তোমার বিষয়ে যেমন বলিয়াছেন, তদনুসারে তুমি কৃতকার্য্য হও, ও তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহ নির্ম্মাণ কর।”—১ বংশা. ২২:১১, ১৪-১৬.

প্রহরীদুর্গ ১৮.০৩ ১১-১২ অনু. ১৪-১৫

বাবা-মায়েরা, আপনারা কি আপনাদের সন্তানকে বাপ্তিস্ম নেওয়ার জন্য উন্নতি করতে সাহায্য করছেন?

১৪ প্রাচীনরা যিহোবার সেবায় বিভিন্ন লক্ষ্যের বিষয়ে আলোচনা করার সময় ইতিবাচক মন্তব্য করার মাধ্যমে বাবা-মায়েদের কাজে সমর্থন জোগাতে পারেন। একজন বোন স্মরণ করে বলেন যে, তার বয়স যখন ছ’বছর ছিল, তখন ভাই রাসেল তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বোন বলেছিলেন, “তিনি ঈশ্বরের সেবায় আমার লক্ষ্যগুলো নিয়ে ১৫ মিনিট আমার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন।” এর ফল কী হয়েছিল? পরবর্তী সময় সেই বোন একজন অগ্রগামী হয়েছিলেন এবং ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন! স্পষ্টতই, ইতিবাচক কথা ও উৎসাহ একজন ব্যক্তির সমগ্র জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। (হিতো. ২৫:১১) এ ছাড়া, প্রাচীনরা কিংডম হলের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করার জন্য বাবা-মায়েদের ও সন্তানদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। তারা সন্তানদের বয়স ও ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন কাজ করতে দিতে পারেন।

১৫ কীভাবে মণ্ডলীর অন্যেরা সাহায্য করতে পারে? তারা অল্পবয়সিদের প্রতি উপযুক্ত মাত্রায় ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখানোর মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি হয়তো এমন চিহ্নগুলো লক্ষ করতে পারেন, যেগুলো দেখায় যে, অল্পবয়সিরা যিহোবার আরও নিকটবর্তী হচ্ছে। কোনো সন্তান কি মণ্ডলীর সভায় একটা ভালো মন্তব্য করেছে অথবা সে কি সপ্তাহের মাঝের সভায় কোনো অংশ তুলে ধরেছে? সে কি স্কুলে কারো কাছে সাক্ষ্যদান করেছে অথবা সে কি কোনো ভুল কাজ করার জন্য প্রলুব্ধ হওয়া সত্ত্বেও সঠিক কাজ করেছে? যদি এমনটা হয়ে থাকে, তা হলে দেরি না করে দ্রুত তার প্রশংসা করুন! আমরা সভার আগে ও পরে অল্পবয়সিদের সঙ্গে কথা বলাকে একটা লক্ষ্য হিসেবে স্থাপন করতে পারি। আমরা যখন এমনটা করি, তখন সন্তানরা অনুভব করবে যে, তারা এক “মহাসমাজের” অর্থাৎ বৃহৎ মণ্ডলীর অংশ।—গীত. ৩৫:১৮.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৫ ১০/১ ১১ অনু. ৬

প্রথম বংশাবলি বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

২১:১৩-১৫. যিহোবা দূতকে মহামারী থামাতে আদেশ দিয়েছিলেন কারণ তিনি তাঁর লোকেদের কষ্ট গভীরভাবে অনুভব করেছিলেন। বাস্তবিকই, “তাঁহার করুণা প্রচুর।”

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার